গত শুক্রবার এই লেখাটি প্রায় শেষ করে এনেছিলাম। লেখাটিতে আলোচনা করেছি ভারতের রাজনৈতিক দৃশ্যপট সম্পর্কে, বিশেষ করে নির্বাচনী সম্ভাবনা সম্পর্কে। শুক্রবার লেখাটি অসমাপ্ত রেখেছিলাম। ভেবেছিলাম শনিবারে যদি এ সম্পর্কে আরো তথ্য পাই, তাহলে সেসব তথ্য এই লেখাটিতে অন্তর্ভুক্ত করবো। শনিবারে দেখলাম আরেকটি জনমত জরিপ। সেটি এই লেখার শেষে দেবো। কিন্তু শনিবারের কাগজে আরেকটি খবরের চোখ আটকে গেলো। বলা যেতে পারে দৃষ্টি আমার বিস্ফারিত হলো। খবরে প্রকাশ, গত শুক্রবার পুলিশ শাহবাগ মোড়ে গণজাগরণ মঞ্চের নেতা ইমরান এইচ সরকার, লাকী আকন্দসহ অনেককে লাঠিপেটা করেছে। সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে একই সময়ে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের সন্তান বলে আরেকটি সংগঠনও একই সময় শাহবাগে সমাবেশ করতে যায়। পুলিশ এই প্রজন্মের সন্তানদেরকেও লাঠিপেটা করে। তাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করে। এখন আর এই বিষয়ে লেখার সময় নাই। তবে আগামী রবিবার পর্যন্ত যদি নতুন কোন ঘটনা না ঘটে এবং এই ঘটনাটি বাসি হয়ে না যায়, তাহলে এ সম্পর্কে লিখবার ইচ্ছে রইলো। ফিরে যাচ্ছি ভারতের আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া নির্বাচন প্রসঙ্গে।
আগামীকাল ৭ই এপ্রিল থেকে বিশাল ভারতের জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ৭ই এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে নির্বাচন শেষ হবে ১২ই মে। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষিত হবে ১৬ই মে। সেদিনেই অর্থাৎ ১৬ই মে বোঝা যাবে আগামী ৫ বছরের জন্য বিশাল ভারত শাসন করবে কোন দল এবং দিল্লীর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবেন কে? অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী হবেন কোন ব্যক্তি। এই নির্বাচন নিয়ে শুধুমাত্র ভারতেই নয়। সারা বিশ্বব্যাপী জল্পনা কল্পনা চলছে। জল্পনা কল্পনা চলাটাই স্বাভাবিক। কারণ ভারত পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান মোতাবেক ভারতের জনসংখ্যা হলো ১২১ কোটি। এবারে ভোটার সংখ্যা ৮১ কোটি ৪০ লক্ষ। ভারতের পার্লামেন্ট বলতে যেটিকে বোঝায় তার নাম লোকসভা। এই লোকসভার সদস্য সংখ্যা ৫৪৩। অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ২৭২ জন সদস্য যে দলে বা যে জোটে থাকবে সেই দল বা জোটই ভারতের কেন্দ্রীয় বা ফেডারেল সরকার গঠন করবে। যদি কোন দল এককভাবে ২৭২টি আসন না পায়, তাহলে জোট করে বা কোয়ালিশন করে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং সেই দল, জোট বা কোয়ালিশন ভারতের সরকার গঠন করবে। বিগত তিন চারটি নির্বাচনে দেখা যাচ্ছে যে, লোকসভায় কোন দলই এককভাবে ২৭২টি আসন লাভ করতে সক্ষম হয় না। সেক্ষেত্রে বড় দুইটি দল কংগ্রেস বা বিজেপি উভয়কে কোয়ালিশন করে সরকার গঠন করতে হয়।
২৮টি প্রদেশ বা রাজ্য এবং ৭টি ইউনিয়ন টেরিটোরি নিয়ে গঠিত বিশাল ভারত। এই ২৮টি রাজ্য হলো (১)অন্ধ্র প্রদেশ। অতি সম্প্রতি এই প্রদেশটিকে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আগামী ২ জুন অন্ধ্র প্রদেশ থেকে বেরিয়ে তেলেংগনা নামে আরেকটি রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হবে। তখন ভারতের মোট রাজ্যের সংখ্যা হবে ২৯টি। (২)অরুনাচল প্রদেশ (৩)আসাম (৪)বিহার (৫)ছত্তিশগড় (৬)গোয়া (৭)গুজরাট (৮) হরিয়ানা (৯)হিমাচল প্রদেশ (১০) জুম্মু ও কাশ্মীর (১১)ঝাড়খন্ড (১২)কেরালা (১৩)কর্নাটকা (১৪)মধ্য প্রদেশ (১৫)মহারাষ্ট্র (১৬)মনিপুর (১৭)মেঘালয়া (১৮)মিজোরাম (১৯)নাগাল্যান্ড (২০)ওড়িশ্যা (২১)পাঞ্জাব (২২)রাজস্থান (২৩)সিকিম (২৪)তামিল নাডু (২৫) ত্রিপুরা (২৬)উত্তর প্রদেশ (২৭)উত্তরা খন্ড (২৮)পশ্চিম বঙ্গ।
এছাড়াও আছে আরো ৭টি ইউনিয়ন টেরিটোরি। এগুলি হলো (১)আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (২)চন্ডিগড় (৩)দাদরা ও নগর-হাভেলী (৪)দমন এবং দিউ (৫)লাক্ষাদ্বীপ (৬)দিল্লী (৭)পন্ডীচেরী।
যেহেতু ভারত একটি বিশাল দেশ এবং এই দেশটির গণতন্ত্র পৃথিবীর বৃহত্তম তাই এদেশের নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে ইতোমধ্যেই তুমুল জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা ইতোমধ্যেই নির্বাচনী ফলাফলের পূর্বাভাস দিতে শুরু করেছে। এইসব পূর্বাভাস থেকে দেখা যায় যে, ভারতের বড় দুইটি রাজনৈতিক দল অর্থাৎ কংগ্রেস এবং বিজেপি কেউই একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাচ্ছে না।
কংগ্রেসের ইতিহাস সুদীর্ঘকালের। এই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা কাল ১৮৮৫ সাল। তারপর অনেক চড়াই উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে এই দলটি ভারতের স্বাধীনতার লড়াই করেছে। আমরা এত সুদীর্ঘ ইতিহাসে না গিয়ে ১৯৪৭ সালের ভারতীয় স্বাধীনতার পর থেকেই শুরু করছি।
ভারতীয় স্বাধীনতার পর কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন পন্ডিত জওহর লাল নেহ্রু। লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি পাস করা পন্ডিত নেহ্রু ধীরে ধীরে তার কন্যা ইন্দিরা গান্ধীকে গড়ে তোলেন। ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসই ক্ষমতায় থাকে এবং নির্বাচনে পরাজিত হয় ১৯৭৭ সালে। ১৯৬৪ সালে পন্ডিত জহর লাল নেহ্রুর মৃত্যুর পর ১৪ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন গুলজারী লাল নন্দ। তারপর প্রধানমন্ত্রী হন লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। দেড় বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পর শাস্ত্রীর মৃত্যু হয় এবং গুলজারী লাল নন্দ আবার ১৪ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন। অতঃপর প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেন নেহ্রুর কন্যা ইন্দিরা গান্ধী। তিনি ১১ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকেন। দেখা যাচ্ছে যে, পিতা নেহ্রু এবং কন্যা ইন্দিরা গান্ধী বিশাল ভারতের প্রধানমন্ত্রী থাকেন ২৫ বছর। ইন্দিরা গান্ধী পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৮০ সালে এবং পৌনে ৫ বছর তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকেন। এই সময়টি যোগ করলে ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকেন ১৬ বছর এবং পিতা কন্যা মিলে প্রধানমন্ত্রী থাকেন ৩০ বছর।
দুই
ইন্দিরা গান্ধী নিহত হলে তারপুত্র রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হন এবং ৫ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকেন। রাজীব গান্ধী নিহত হলে তার ইটালিতে জন্ম গ্রহণকারী স্ত্রী সোনিয়া গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী এবং কংগ্রেসের প্রসিডেন্ট হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। তখন রাজীব ও সোনিয়ার পুত্র ও কন্যা যথাক্রমে রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ছোট ছিলেন। তাদেরকে মানুষ করার কারণে এবং সেই সময়ে বিদ্যমান সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে এবং তার স্বামীর নৃশংস হত্যাকান্ডের কারণে সোনিয়া গান্ধী রাজনীতি থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।
দেখা যাচ্ছে যে, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং নেহ্রু পরিবার অঘোষিতভাবে একসূত্রে গঠিত হয়েছিলো। আসলে রাজীব গান্ধী রাজনীতির সাথে কোন কালেই জড়িত ছিলেন না। তিনি ছিলেন বাণিজ্যিক বোয়িং বিমানের চালক বা পাইলট। তার ছোট ভাই সঞ্জয় গান্ধী বরং কংগ্রেস রাজনীতির সাথে সার্বক্ষণিকভাবে জড়িত ছিলেন। তার মাতা ইন্দিরা গান্ধী ও ছোট ছেলে সঞ্জয় গান্ধীকে ভারতের ভবিষ্যৎ নেতা হিসাবে গড়ে তুলছিলেন। তাই সঞ্জয় গান্ধীকে কংগ্রেসের যুবফ্রন্ট যুব কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়। সঞ্জয় গান্ধীর স্ত্রী মানেকা গান্ধী। কিন্তু একটি বিমান দুর্ঘটনায় সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যু হলে পরিস্থিতির চাপে রাজীব গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী এবং কংগ্রেসের প্রেসিডেন্টের পদ গ্রহণ করতে হয়।
ইন্দিরা গান্ধীর দুই পুত্র ছিলেন। একজন রাজীব গান্ধী এবং অপরজন সঞ্জয় গান্ধী। রাজীব গান্ধীর স্ত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং সঞ্জয় গান্ধীর স্ত্রী মানেকা গান্ধী। রাজীব ও সোনিয়ার এক পুত্র ও এক কন্যা। পুত্র রাহুল গান্ধী এবং কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। অপরদিকে সঞ্জয় ও মানেকার পুত্র বরুন গান্ধী। কারণ যাই হোক না কেন শাশুড়ী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে পুত্রবধূ মানেকা গান্ধীর সুসম্পর্ক ছিলো না। তাই সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর পুত্রবধূ মানেকা গান্ধী নেহ্রেু তথা ইন্দিরা পরিবার থেকে দূরে ছিটকে পড়েন। সেই কারণে মানেকার পুত্র বরুন গান্ধী কংগ্রেস থেকে বঞ্চিত হয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন এবং ভারতের পার্লামেন্ট অর্থাৎ লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ভাগ্যের পরিহাস, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং বরুন গান্ধীর ফার্স্ট কাজিন অর্থাৎ রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা বরুনের আপন চাচাতো ভাই-বোন। অথচ রাজনীতির মাঠে তারা আজ চড়ষবং ধঢ়ধৎঃ, অর্থাৎ দুই মেরুর দুই প্রান্তে অবস্থিত।
তিন
এবারের নির্বাচনে জিতবে কোন দল? কে হবেন ভারতের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী আগেই বলেছি যে, বোধগম্য কারণেই নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে তুমুল জল্পনা কল্পনা চলছে। ভারতের জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভির জরিপ মোতাবেক এই নির্বাচনে বিজেপি পাবে ১৯৫টি আসন। কংগ্রেস পাবে ১০৬টি। তৃণমূল কংগ্রেস পাবে ৩২টি এবং বামপন্থীরা পাবে ১৮টি। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, জনপ্রিয়তা এবং জনসমর্থনে এবার কংগ্রেসের চেয়ে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে আছে বিজেপি। তারপরেও কিন্তু সরকার গঠন করার মত একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিজেপি পাচ্ছে না। সেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হলো ২৭২টি আসন। তার অর্থ হলো মন্ত্রীসভা গঠনের জন্য বিজেপির প্রয়োজন আরো ৭৬টি আসন। এই ৭৬টি আসনের জন্য তার দরকার হবে কোয়ালিশন পার্টনার। এই মুহূর্তে কংগ্রেসের সাথে তৃণমূলের সম্পর্ক রীতিমত আদায় কাঁচকলায়। তাই তৃণমূলের আনুমানিক ৩২টি আসন বিজেপির দিকেই যাবে। তাহলে বিজেপি কোয়ালিশনের মোট আসন সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ২২৮টি। তারপরেও সরকার গঠনে বিজেপির প্রয়োজন পড়বে ৪৪টি আসন।
এখানে বলে রাখা ভালো যে, একটি দেশের নির্বাচনের আগে সে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জনমত জরিপ করে। জনমত জরিপে যেটি বেরিয়ে আসে সেটি সাধারণভাবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফলে যায়। তবে সংখ্যা তত্ত্বের হেরফের হয়ে থাকে। কাজেই এখানে বিজেপি, কংগ্রেস বা তৃণমূলের যেসব সংখ্যাতত্ত্ব দেয়া হচ্ছে সেইগুলোকে বেদবাক্য হিসাবে গ্রহণ করা ঠিক হবে না। জনসংখ্যার দিক দিয়ে ভারতের বৃহত্তম প্রদেশ হলো উত্তর প্রদেশ। লোকসভায় এ প্রদেশের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৮০টি আসন। বলা হয় যে, উত্তর প্রদেশ যার দিল্লীর মসনদ তার। নির্বাচনী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যে, উত্তর প্রদেশে বিজেপি পাবে ৪২ থেকে ৫০টি আসন। সমাজবাদী পার্টি পাবে ১১ থেকে ১৭টি আসন। বহুজন সমাজবাদী পার্টি পাবে ১০ থেকে ১৬টি আসন। আর কংগ্রেস পাবে মাত্র ৪ থেকে ৮টি আসন।
চার
ভারতের নির্বাচনে মুসলমানদের ভোট সবসময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেজন্য বিক্ষিপ্তভাবে না হয়ে মুসলমানরা যদি কোন একটি দলকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাহলে সেই দলের জয়লাভ অনেকটা সহজ হয়ে যায়। কারণ ভারতের মোট জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা হলো ১৮ কোটি বা মোট জনসংখ্যার ১৩.৭ শতাংশ। জম্মু ও কাশ্মীর প্রদেশের মুসলমানরা এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ। আসাম, কেরালা এবং পশ্চিম বঙ্গে মুসলমানরা মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ। ভারতের ৩৫টি সংসদীয় জেলায় মুসলিম জনগোষ্ঠি হলো ৩০ শতাংশ ভোটের অধিকারী। এছাড়া ১৮৩টি সংসদীয় জেলায় মুসলমানরা ১১ শতাংশ ভোটের অধিকারী।
শনিবারের পত্রপত্রিকাতে দেখা গেলো, নির্বাচন সম্পর্কে নতুন দুটি জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। একটি জরিপ করেছে ভারতের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল জিটিভির জি-নিউজ। আরেকটি করেছে এনডিটিভি। এনডিটিভির এটি সর্বশেষ জরিপ। গত শুক্রবার ভারতের পত্র-পত্রিকায় এই জরিপের ফলাফল প্রকাশিত হয়। ভারতের বেসরকারি টেলিভিশন জি নিউজ ও তালিম রিসার্চ সেন্টার যৌথভাবে এ সমীক্ষা পরিচালনা করে। জরিপের ফলাফল অনুযায়ী লোকসভার ৫৪৫ আসনের মধ্যে বিজেপি ২১৫ থেকে ২২৫টি আর কংগ্রেস ১২১ থেকে ১৩২টি আসন পেতে পারে। দেশের ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটার বিজেপিকে ভোট দিতে আগ্রহী। আর কংগ্রেসকে ভোট দিতে আগ্রহী ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ ভোটার। তিন নম্বরে রয়েছে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি। দেশের ৩ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার মায়াবতীকে ক্ষমতায় দেখতে চান। আর তৃণমূল ও সমাজবাদী পার্টিকে দেখতে চান ২ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার। সমীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদিকে দেখতে চান ৪৫ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটার। আর রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান ২১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছেন যথাক্রমে আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল(৪ শতাংশ) ও মায়াবতী (৩ দশমিক ৭ শতাংশ)।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন