বিএনপির তিস্তা অভিমুখে লংমার্চ আজ। সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সকাল ৮টায় বিমান এলাকা থেকে এর যাত্রা শুরু হবে। ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের কারণে তিস্তা এখন পানিশূন্য। দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প অকার্যকর। হাজার হাজার একর জমির ফসল, জীববৈচিত্র্য, প্রকৃতি ও পরিবেশ মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। এর যথাযথ প্রতিবাদ হওয়া জাতীয় স্বার্থেই অপরিহার্য। লংমার্চ প্রতিবাদের এক স্বীকৃত পরিভাষা। দেশের দুই প্রধান দলের একটি হওয়ার সুবাদে বিএনপির লংমার্চ কর্মসূচি দেশ ও জনগণের স্বার্থের পক্ষে দাঁড়ানোর যৌক্তিক ও দায়িত্বশীল উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত। জরুরি বিবেচনায় আরও আগেই বিএনপির এ কর্মসূচি নেয়া উচিত ছিল। ইতোমধ্যে দেশের বাম দলগুলো তিস্তা অভিমুখে একাধিক লংমার্চ কর্মসূচি পালন করেছে। দেশের বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন ছিল, দুই বড় দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া বা কর্মসূচি নেই কেন। শেষ পর্যন্ত বিএনপি লংমার্চের কর্মসূচি ঘোষণা করে। প্রথমে এটা দায়সারা গোছের মনে হয়েছে। তবে পত্র-পত্রিকার খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, কর্মসূচি পালন ও সফল করার ক্ষেত্রে বিএনপি ব্যাপক প্রস্তুতি, পরিকল্পনা, কার্যব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে যাতে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ে। দল ও তার অঙ্গ-সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক তৎপরতা চালাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
যে ইস্যুতে বিএনপির এই লংমার্চ তা একটি জাতীয় ইস্যু। সেই বিবেচনায় সরকারবিরোধী কর্মসূচি এটা নয়। তা কোনো বিশেষ দলের ইস্যুও নয়। এর সঙ্গে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। এরকম জাতীয় ইস্যুতে, দেশ ও জনগণের কল্যাণকামী কর্মসূচিতে শুধু বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগসহ সকল রাজনৈতিক দলেরই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করা উচিত। দুর্ভাগ্যজনক এই যে, বিএনপির এই লংমার্চ কর্মসূচিকে রাজনৈতিক রং দেয়ার চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ-উত্তেজনার আলামতও দেখা গেছে। সত্য বটে, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনের পর দল হিসেবে বিএনপির এটা প্রথম বড় ধরনের কর্মসূচি। এ কর্মসূচি বিএনপি সর্বাত্মকভাবে সফল করতে চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। যেহেতু এই কর্মসূচি রাজনৈতিক উদ্দেশে নয় এবং সরকারের বিরুদ্ধেও নয় সুতরাং এতে সরকার বা সরকারি দলের উদ্বিগ্ন ও বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। তা সত্ত্বেও সরকার ও সরকারি দলের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ ও বিচলন লক্ষ্য করা গেছে। বাম দলগুলোর লংমার্চ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সরকার কোনো বাধা দেয়নি। জামায়াতে ইসলামী দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। সেটাও শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে এবং সরকার তাতেও বাধা দেয়নি। অথচ বিএনপির লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকেই সরকারের ও সরকারি দলের দায়িত্বশীলদের অনেকেই বিরূপ মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কর্মসূচি ঠেকানোর প্রসঙ্গও সামনে এসেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ লংমার্চ বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। দেশ ও জনগণের স্বার্থে নেয়া এ কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। তিনি কর্মসূচিতে বাধা দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সরকার ও সরকারি দলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হবে না। তবে কোনো কোনো নেতা ও মন্ত্রী নৈরাজ্য ও সহিংসতার আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। বলেছেন, এরকম কিছু হলে পরিণতি হবে ভয়াবহ। প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে ও মাঠ দখলে রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এমতাবস্থায় উদ্বেগ ও শংকা দেখা দেয়া স্বাভাবিক। আমরা আশা করতে চাই, তেমন কিছু ঘটবে না। বিএনপিকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যাতে কোথাও সহিংসতা ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সরকারি দলের নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে হবে, উস্কানিমূলক কোনো কিছু করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সরকারি দল-মহলকে মনে রাখতে হবে, এই কর্মসূচিতে বাধাদান করা হলে সরকার গণবৈরি হিসেবে চিহ্নিত হবে এবং ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতি তার সমর্থন আছে বলেও গণ্য হবে। জাতীয় ও জনস্বার্থের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা এই লংমার্চের সাফল্য কামনা করি। আমরা আশা ও বিশ্বাস করতে চাই যে, লংমার্চের যাত্রাপথে জনগণ সবরকম সহযোগিতা দেবে, এতে অংশগ্রহণ করবে। গণমুখী এই কর্মসূচি নেয়ায় বিএনপি বিভিন্ন মহল থেকে নন্দিত ও প্রশংসিত হয়েছে। ভবিষ্যতেও দলটির এ ধরনের গণমুখী কর্মসূচিই নিতে হবে। বলাবাহুল্য, জনস্বার্থকেন্দ্রিক কর্মসূচিই কেবল কোনো দলের জনপ্রিয়তা বাড়াতে ও গণভিত্তি দৃঢ় করতে পারে।
যে ইস্যুতে বিএনপির এই লংমার্চ তা একটি জাতীয় ইস্যু। সেই বিবেচনায় সরকারবিরোধী কর্মসূচি এটা নয়। তা কোনো বিশেষ দলের ইস্যুও নয়। এর সঙ্গে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। এরকম জাতীয় ইস্যুতে, দেশ ও জনগণের কল্যাণকামী কর্মসূচিতে শুধু বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগসহ সকল রাজনৈতিক দলেরই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করা উচিত। দুর্ভাগ্যজনক এই যে, বিএনপির এই লংমার্চ কর্মসূচিকে রাজনৈতিক রং দেয়ার চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ-উত্তেজনার আলামতও দেখা গেছে। সত্য বটে, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনের পর দল হিসেবে বিএনপির এটা প্রথম বড় ধরনের কর্মসূচি। এ কর্মসূচি বিএনপি সর্বাত্মকভাবে সফল করতে চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। যেহেতু এই কর্মসূচি রাজনৈতিক উদ্দেশে নয় এবং সরকারের বিরুদ্ধেও নয় সুতরাং এতে সরকার বা সরকারি দলের উদ্বিগ্ন ও বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। তা সত্ত্বেও সরকার ও সরকারি দলের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ ও বিচলন লক্ষ্য করা গেছে। বাম দলগুলোর লংমার্চ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সরকার কোনো বাধা দেয়নি। জামায়াতে ইসলামী দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। সেটাও শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে এবং সরকার তাতেও বাধা দেয়নি। অথচ বিএনপির লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকেই সরকারের ও সরকারি দলের দায়িত্বশীলদের অনেকেই বিরূপ মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কর্মসূচি ঠেকানোর প্রসঙ্গও সামনে এসেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ লংমার্চ বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। দেশ ও জনগণের স্বার্থে নেয়া এ কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। তিনি কর্মসূচিতে বাধা দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সরকার ও সরকারি দলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হবে না। তবে কোনো কোনো নেতা ও মন্ত্রী নৈরাজ্য ও সহিংসতার আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। বলেছেন, এরকম কিছু হলে পরিণতি হবে ভয়াবহ। প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে ও মাঠ দখলে রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এমতাবস্থায় উদ্বেগ ও শংকা দেখা দেয়া স্বাভাবিক। আমরা আশা করতে চাই, তেমন কিছু ঘটবে না। বিএনপিকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যাতে কোথাও সহিংসতা ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সরকারি দলের নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে হবে, উস্কানিমূলক কোনো কিছু করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সরকারি দল-মহলকে মনে রাখতে হবে, এই কর্মসূচিতে বাধাদান করা হলে সরকার গণবৈরি হিসেবে চিহ্নিত হবে এবং ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতি তার সমর্থন আছে বলেও গণ্য হবে। জাতীয় ও জনস্বার্থের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা এই লংমার্চের সাফল্য কামনা করি। আমরা আশা ও বিশ্বাস করতে চাই যে, লংমার্চের যাত্রাপথে জনগণ সবরকম সহযোগিতা দেবে, এতে অংশগ্রহণ করবে। গণমুখী এই কর্মসূচি নেয়ায় বিএনপি বিভিন্ন মহল থেকে নন্দিত ও প্রশংসিত হয়েছে। ভবিষ্যতেও দলটির এ ধরনের গণমুখী কর্মসূচিই নিতে হবে। বলাবাহুল্য, জনস্বার্থকেন্দ্রিক কর্মসূচিই কেবল কোনো দলের জনপ্রিয়তা বাড়াতে ও গণভিত্তি দৃঢ় করতে পারে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন