রাজধানীতে চলমান দুর্বিসহ যানজটের মধ্যে জনসাধারণের নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার কুর্মিটোলায় আর্মি গলফ ক্লাবে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের ট্যাক্সিক্যাব উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনের প্রথম দিনেই রাজধানীর রাস্তায় নেমেছে ৪৬টি ট্যাক্সি ক্যাব। ট্যাক্সি ক্যাবের ভাড়া প্রথম ২ কিলোমিটারের জন্য ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও প্রধানমন্ত্রী তা কমিয়ে ৮৫ টাকা করতে বলেছেন। পরে ব্যবহারের চাহিদা বাড়লে ধীরে ধীরে ভাড়া বৃদ্ধি করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। কিন্তু প্রথম দিনেই সাধারণ যাত্রীরা এই ট্যাক্সি ক্যাবের সুবিধা থেকে নিজেদের স্বযতেœ সরিয়ে নেন। সকলের অভিযোগ অতিরিক্ত ভাড়া নির্ধারিত হওয়ায় এ সুবিধা তারা গ্রহণ করতে পারছে না বলে পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই প্রথম এদেশে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস চালু হয়। কিছুদিনের মধ্যেই কালো, হলুদ, নীল রঙের ট্যাক্সিক্যাবের চলাচল দেখা গেছে রাজধানীতে। ভারত থেকে আমদানি করা ক্যাবগুলো অবশ্য বেশিদিন সেবা দিতে পারেনি। কমতে কমতে হাতে-গোনা কয়েকটি টিকে ছিল। এর ১৬ বছর পর আবারও নতুন এই ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস চালু করা হলেও কেন আগের সার্ভিস টিকল না সেটা খতিয়ে দেখা হয়েছে বলে শোনা যায়নি। বর্তমানে জাপানের টয়োটা থেকে আনা ৪৬টি হলুদ ট্যাক্সিক্যাব রাস্তায় নামলেও প্রথম ধাপে তা ৫০০-৬০০-তে উন্নীত হবে বলে জানা গেছে। তবে সমস্যা তৈরি হয়েছে এর নির্ধারিত ভাড়া নিয়ে। এসব ট্যাক্সিতে উঠলেই ৮৫ টাকা ভাড়া গুনতে হবে। প্রথম ২ কিলোমিটার পরে প্রতি কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ৩৪ টাকা করে। যাত্রাবিরতিকালে প্রতি ২ মিনিটের জন্য সাড়ে ৮ টাকা, যানজট বা অন্য কারণে পথে ৮ মিনিট আটকে থাকলে ১ কিলোমিটারের ভাড়া দিতে হবে। টেলিফোনে ডাকলে অতিরিক্ত চার্জ হিসেবে দিতে হবে ২০ টাকা। এ কাঠামোগত ব্যবস্থায় দেখা যায়, যানজটহীন অবস্থায় শুধুমাত্র আবদুল্লাপুর থেকে মতিঝিলের ২২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে গুণে গুণে ৭৬৫ টাকা ভাড়া দিতে হবে। অথচ এই দূরত্বে লোকাল বাসের ভাড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বিআরটিসির এসি বাসে ৫৫ টাকা, আর সিএনজি অটোরিকশায় ৩০০ টাকা খরচ হবে। এ অবস্থায় নতুন ট্যাক্সিতে ওঠার আগে পকেটগুলো যে ভারি রাখতে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তা না থাকলে নিশ্চিত বিপদে পড়তে হবে। এমন ঘটনাও পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে দেখা গেছে। বনানী থেকে যাত্রাবাড়ী যাওয়ার জন্য উঠে ক্যাবচালকের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে কথা বলে দৌড়ে নেমে গেছেন দুই যাত্রী। প্রথম যাত্রী হিসেবে অনুনয়-বিনয় করেও তাদের আটকাতে পারেননি ট্যাক্সিচালক। এখন প্রশ্ন হলো এমন গণপরিবহন কিভাবে টিকে থাকবে আর যাত্রীসেবাই বা কিভাবে দেবে?
রাজধানীতে চলাচলকারী প্রায় ১০ লাখ যানবাহনের ভিড়ে এই ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস কিভাবে যানজটের মধ্যে নিরাপদ ও আরামদায়ক সেবা দেবে সেটা ভেবে দেখার বিষয়। স্বাভাবিক রাস্তায় চলাচলের ভাড়াই যেখানে আশপাশের যে কোনো দেশের ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিসের চেয়ে বহুগুণ বেশি সেখানে যানজটে আটকে থাকার পর তার পরিমাণ যাত্রীর আরামকে হারাম করে তুলবে না এটা কেউ বলতে পারে না। প্রথম দিনেই যেখানে ভাড়া শুনে পালিয়েছেন যাত্রী সেখানে পরবর্তী সময়ে অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটা দেখতে অবশ্য বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই প্রথম এদেশে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস চালু হয়। কিছুদিনের মধ্যেই কালো, হলুদ, নীল রঙের ট্যাক্সিক্যাবের চলাচল দেখা গেছে রাজধানীতে। ভারত থেকে আমদানি করা ক্যাবগুলো অবশ্য বেশিদিন সেবা দিতে পারেনি। কমতে কমতে হাতে-গোনা কয়েকটি টিকে ছিল। এর ১৬ বছর পর আবারও নতুন এই ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস চালু করা হলেও কেন আগের সার্ভিস টিকল না সেটা খতিয়ে দেখা হয়েছে বলে শোনা যায়নি। বর্তমানে জাপানের টয়োটা থেকে আনা ৪৬টি হলুদ ট্যাক্সিক্যাব রাস্তায় নামলেও প্রথম ধাপে তা ৫০০-৬০০-তে উন্নীত হবে বলে জানা গেছে। তবে সমস্যা তৈরি হয়েছে এর নির্ধারিত ভাড়া নিয়ে। এসব ট্যাক্সিতে উঠলেই ৮৫ টাকা ভাড়া গুনতে হবে। প্রথম ২ কিলোমিটার পরে প্রতি কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ৩৪ টাকা করে। যাত্রাবিরতিকালে প্রতি ২ মিনিটের জন্য সাড়ে ৮ টাকা, যানজট বা অন্য কারণে পথে ৮ মিনিট আটকে থাকলে ১ কিলোমিটারের ভাড়া দিতে হবে। টেলিফোনে ডাকলে অতিরিক্ত চার্জ হিসেবে দিতে হবে ২০ টাকা। এ কাঠামোগত ব্যবস্থায় দেখা যায়, যানজটহীন অবস্থায় শুধুমাত্র আবদুল্লাপুর থেকে মতিঝিলের ২২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে গুণে গুণে ৭৬৫ টাকা ভাড়া দিতে হবে। অথচ এই দূরত্বে লোকাল বাসের ভাড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বিআরটিসির এসি বাসে ৫৫ টাকা, আর সিএনজি অটোরিকশায় ৩০০ টাকা খরচ হবে। এ অবস্থায় নতুন ট্যাক্সিতে ওঠার আগে পকেটগুলো যে ভারি রাখতে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তা না থাকলে নিশ্চিত বিপদে পড়তে হবে। এমন ঘটনাও পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে দেখা গেছে। বনানী থেকে যাত্রাবাড়ী যাওয়ার জন্য উঠে ক্যাবচালকের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে কথা বলে দৌড়ে নেমে গেছেন দুই যাত্রী। প্রথম যাত্রী হিসেবে অনুনয়-বিনয় করেও তাদের আটকাতে পারেননি ট্যাক্সিচালক। এখন প্রশ্ন হলো এমন গণপরিবহন কিভাবে টিকে থাকবে আর যাত্রীসেবাই বা কিভাবে দেবে?
রাজধানীতে চলাচলকারী প্রায় ১০ লাখ যানবাহনের ভিড়ে এই ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস কিভাবে যানজটের মধ্যে নিরাপদ ও আরামদায়ক সেবা দেবে সেটা ভেবে দেখার বিষয়। স্বাভাবিক রাস্তায় চলাচলের ভাড়াই যেখানে আশপাশের যে কোনো দেশের ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিসের চেয়ে বহুগুণ বেশি সেখানে যানজটে আটকে থাকার পর তার পরিমাণ যাত্রীর আরামকে হারাম করে তুলবে না এটা কেউ বলতে পারে না। প্রথম দিনেই যেখানে ভাড়া শুনে পালিয়েছেন যাত্রী সেখানে পরবর্তী সময়ে অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটা দেখতে অবশ্য বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন