শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৪

ফয়জুন নাহার লীনার খোলা ডায়েরি


(১) ৫-জানুয়ারীর তামাশা নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করে যারা দায়িত্ব পালন করছেন , তাদের নিয়ে বহিবিশ্বে নানারকমের প্রশ্ন থাকলেও সমাধানের সঠিক পথ আছে একটাই-" বিপ্লব"!!! আর সেই বিপ্লব কে সুসংগত করতে হলে আমাদের দলের সকল ত্যাগী নেতাকর্মীকে মনে রাখতে হবে ;একটি শ্রেনী বিভক্ত সমাজে একরকম চিন্তা চেতনা সবার হয়না । এখানে শোষক আছেন/শোষিতও আছেন, শ্রমিক আছেন/পুজিপতিরাও আছেন , সবদেশেই এমনটা থাকে। তবে জাতীয় ইস্যু বা দলীয় ইস্যুতে সবাই এক হয়ে কাজ না করলে সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে পৌছাতে পারা অনেক কষ্টকর , ইতিহাস এক স্থানে দাড়িয়ে থাকেনা , তারজন্য অনেক পথ অতিক্রম করে তখনই লক্ষে পৌছাতে পারবো আমরা/ যখন আমরা সত্যিকার দেশপ্রেমিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবো, আর নিজ স্বার্থ বাদ দিয়ে এই শক্তি যখন উন্নত হবে তখন আমাদের ঐক্য বিকশিত হবে আমাদের নিজেদের পরিবর্তন না আসলে সমাধান অথবা বিপ্লবে কাজ হবে কি ??? দলের কাউন্সিল হবার নাম শুনেই যে বিভক্তি/বিভাজন চালু হয়েছে ভিতরে ভিতরে তারজন্য দায়ী কারা???সময় এসেছে বর্ণচোরাদের বর্জন করে বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাওয়ার, আর এই বিপ্লব হবে আমার মতো জনতার জয়ের প্রথমধাপ..... !!

(লীনার খোলা ডায়েরি, দ্বিতীয় অংশ)।।। অনেক পরিস্থিতি নেতা করে, শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিস্থিতি নেতা হিসেবে তৈরী করেছিল, তখন কিন্তু আরও অনেকেই ছিলেন। মওলানা ভাসানীর মতো নেতাও ছিলেন, কিন্তু পরিস্থিতি শেখ মুজিবুর রহমানকে বড় নেতা হিসেবে পরিচিতি দিয়েছিল/ বিপ্লব মানেই রক্তক্ষরণ নয় , বিপ্লব মানে পরিবর্তনের কথা ।।। তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান কিন্তু ইতিমধ্যেই নেতা হিসেবে বিশাল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। ছলে/বলে / কলেকৌশলে তেমন একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতাকে দূরে সরিয়ে রেখে- আওয়ামীলীগ বাংলাদেশে যে মেধাশুন্যের রাজনীতি চালু করেছে, তাঁর ধারাবাহিকতায় চলছে আজ বাংলাদেশের রাজনীতি, একের পর এক হত্যা/ গুম আর শারিরীক নির্যাতনের মাধ্যমে রাজনীতিকে মেধাশুন্য করে দেয়া হচ্ছে কে বা কাদের ইশারায়??? তাই আজ বড় ধরনের একটা বিপ্লব সৃষ্টি করতেই হবে , ইতিহাসে নাহয় প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যাবে অনেক কিছু... !! আর এই বিপ্লবের জন্য বাংলাদেশ আপনাকে খুজছে তারুণ্যের অহংকার জনাব" তারেক রহমান " ...........।।।
 লীনার খোলা ডাইরি- (তৃতীয় অংশ)   
দিন বদলের রাজনীতির শ্লোগান হলেও বাস্তবে নাম বদলের রাজনীতি হচ্ছে। আমার গণতান্ত্রিক ভোটের অধিকার যখন মুজিব কোর্টে চলে যায় তখন আর বলার অপেক্ষা রাখে না রক্তাক্ত সৃতির অহংকারী সাহসী শব্দ ‘’ স্বাধীনতা’’ আমাকে কতটা ভাবিয়ে তুলে! দীর্ঘ সংগ্রামের পর আজও আমরা ভারতপন্থী, পাকিস্থানপন্থী বা চীনাপন্থী হবো কেন , কেন পারছিনা বাংলাদেশপন্থী হয়ে সূর্যোদয়ের মত মাথা উঁচু করে বাচতে ?  স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে আর কতটা সময় চাই ? পর্যবেক্ষণ করলে আজকের বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতীর অবদানে পার্শ্ববর্তী দেশ ও অগ্রণী ভূমিকায়। আজ আমাদের রাজনীতির ভবিষ্যৎ কিছু মানুষের ইগোর জায়গায় থেমে আছে। যদিও   এভাবে কোন দেশেই কেউ ক্ষমতায় চিরস্থায়ী থেকে যেতে পারেনি, কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে  তারপর ও সাধারণ জনগণ ভাবছেন হয়তো সমাধানের পথ বন্ধ হয়ে পরেছে।দেশী বিদেশী এত চাপ থাকা সত্ত্বেও অনড় থাকতে পারা- রহস্যই বটে!! জনতার ভোটে নয়- ম্যাকানিজম করে ক্ষমতায় টিকে থাকার পিছনে আমাদের দলের বর্ণচোরাদের অবদান ও আশীর্বাদকে খাটো করে দেখলে আবার ও ভুল হবে। যে ভুলের মাশুল  পরবর্তীতে দিতে  গেলে তৃনমূল পর্যায়ে হতাশার হাতছানি দেখছি এখনই আমরা ।    
 
রক্তপাত, প্রানহানী, অশান্তি, হত্যাযজ্ঞ জেনেও বলতে হয় দেশ,জাতি,গণতন্ত্র আর বিশ্বে আত্ম মর্যাদা প্রতিষ্ঠার স্বার্থে মুল শনি শক্তি উদ্ঘাটনের লক্ষে আরেকবার হাতিয়ার তুলে গর্জে  উঠতে পারি না কি আমরা ?  
শাহাবাগী আন্দোলনের মত নয়, এটা জনগণের কাছে বিনোদনের মত ছিল। সরকারী   পয়সায় বিরানী খেয়ে জনগণ বিনা পয়সায় সার্কাস দেখার উল্লাসে মেতে উঠেছিল-এটা  বিপ্লব হতে পারেনা। এটা মজা লুটে নেয়ার মত নিছক একটা সাজানো ড্রামা। আমাদের বিপ্লব হতে হবে সংসদে নয়-রাজপথে । চূড়ান্ত সমাধান সংসদে যতটা হয়নি আমাদের দেশে, তার চেয়ে বেশী হয়েছে রাজপথের আন্দোলনে। ইতিহাস তাই বলে। এ ইতিহাসের বলা থেকেই আমাদের পথ চলা বাঞ্ছনীয়।
সত্য বলতে দ্বিধা নেই ইউ,এস,এ তে আলাদীনের চেরাগ নেই,এমন কোন জব ও নেই যেখানে কাজ করলে যে জব এর বিনিময়ে  কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া যায় রাতারাতি।তাহলে কি আমি এই প্রশ্ন রাখতে পারিনা,আমাদের ডিজিটাল ভাগিনার এই  আয়ের  উৎস কি ? তাই বলে কি ডান মাজিনাদের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ আজ?  
আমার  দেশের গরিব দুঃখী মানুষের রক্ত চোষা শ্রমের টাকা কেন আজ পাচার হয়ে যাচ্ছে? রিজার্ভ ফান্ডের  টাকার প্রবৃদ্ধি কিন্তু ১০% বেড়েছিল কিন্তু সফলতার  ইতিহাস কই ? ভেবে দেখার সময় এসেছে আজ।
আমি ইউ,এ,ই তে একটা নিউজ পেপারের দায়িত্ব চালেঞ্জিং হিসেবে নিয়েছিলাম এবং যত নিউজ পেপারে ই লিখে যেতাম একটি কথাই বলতে চেয়েছি আমার লিখায় ‘’টাকার রাজনীতি আমার স্বপ্ন নয়, দেশের কল্যাণে মানুষের মনে বেচে থাকার রাজনীতি ই  আমার স্বপ্ন। তাই শত বাস্ততার মাঝেও সময় সুযোগে আমার কলম চলবেই।
আমার প্রান প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের মানুষ অনেক ত্যাগী, পরিশ্রমী। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে আমি এই সত্য উদ্ঘাটন করেছি। আমাদের বিবেক বুদ্ধি, শিক্ষা, দক্ষতা সবই আছে, সমস্যা হলো- মাথা কাজে লাগানো নয়-মগজ কাজে লাগাতে হয়।   আমাদের সোনালি সূর্যোদয়ের জন্য আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার আদর্শে বিশ্বাসী যারা সেই জিয়ার আদর্শ বিকশিত করতে কেবল জিয়া পরিবার নয় আমাদের সবাই কেই আজ এগিয়ে আসতে হবে ঐক্যবদ্ধ। ভাবে এটা সময়ের দাবী।  
একটা গল্প দিয়ে আজ শেষ করবো
বাংলাদেশী বিড়াল আর আমেরিকার বিড়ালের ফাইট হবে আজ
ফাইট শুরু হলো সারা বিশ্বের সামনে
বাংলাদেশী বিড়াল বীরত্বের সাথে জয়ী হলো  
যতবারই ফাইট হচ্ছে ততবারই বাংলাদেশী বিড়াল জিতে যাচ্ছে
নিজেদেরকে দাবী করা সুপ্রিম পাওয়ার কান্ট্রি আমেরিকা ক্ষেপে গিয়ে বাংলাদেশী বিড়ালকে বিশ্বের সামনে প্রশ্ন করলো অত্যন্ত বিনীতভাবে (চোরার প্রয়োজনে স্বর নামিয়ে কথা বলে মিষ্টি মিষ্টি করে) এই জয়ের কারন কি ?
বাংলাদেশের বিড়াল হেসে বলল_ ‘’আমি বিড়াল ই নই’’  না খেয়ে খেয়ে আমি শুকনো,  আমি হইলাম রয়েল বেঙ্গল টাইগার। স্বাধীনতা সংগ্রাম আমি নিজের চোখে দেখিনি গল্প শুনেছিলাম বাবার মুখে কিন্তু আজ এত বছর পরেও আরেকটা যুদ্ধে যাবার উপলব্ধিটা তীব্র হচ্ছে দিন দিন।  
বন্ধুরা যে স্বপ্নের উপর ভীত করে এই দেশটি। সেই দেশ, মাটি, মানুষ আর দলের প্রতি  ভালোবাসা, দায়িত্ব সন্মান দেখানোর শেষ হবে কোথায় ? নতুন প্রজন্মের জন্য আমরা তো আর সীমারেখা টেনে দিতে পারিনা_
দেখি আর আরো কতদূর যেতে পারি?
তাই বারবার কণ্ঠে সুর বেজে উঠে
আর আমি গেয়ে যাই_
একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি
একটি গানের জন্য অস্র ধরি।   

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads