ভীমরুলের চাকে ঢিল দিয়েছেন তারেক রহমান। লন্ডনে সুধী সমাবেশ ডেকে দুটি অডিও ভ্যিসুয়াল প্রজেকশান করেছেন তিনি। স্লাইড শো দেখিয়ে, টেপ বাজিয়ে, পত্রিকার কাটিং দেখিয়ে তিনি একটি বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। তিনি একটি রাজনৈতিক দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। ভবিষ্যতে ওই দলটির অর্থাৎ বিএনপির কান্ডারী হবেন। সেটাই এখন জেনারেল পারসেপশান। আমাদের দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতা কোন বিষয়ের গভীরে যাননি, কোন বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য রেফারেন্স, ডকুমেন্ট ইত্যাদির আশ্রয় কখনো গ্রহণ করেননি। তার পিতা দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অবৈধ ছিলেন - এই কথার সপক্ষে তিনি লন্ডনের সেই প্রজেকশান মিটিংয়ে তথ্য এবং উপাত্ত পেশ করেছেন। আওয়ামী লীগ দেশে বড় দুটি দলের একটি দল। তারেক রহমানের ওই বক্তব্যের সাথে একমত না হওয়ার পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার তাদের রয়েছে। তারেক রহমান যেটা করেছেন সেটি দেশের একটি ট্রেন্ড সেটার হতে পারে। আওয়ামী লীগও অনুরূপভাবে তথ্য উপাত্ত দিয়ে ডকুমেন্ট দিয়ে সভা সমিতি, সেমিনার বা গোলটেবিল বৈঠক করে তারেকের যুক্তি খন্ডন করতে পারে।
সেইগুলোর কিছুতে না গিয়ে তারা যে পথ অনুসরণ করলেন সেটিতো সুস্থ রাজনীতি এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথ নয়। বাংলাদেশের সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইলাম বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ ধীরে ধীরে একদলীয় রাজনীতির পথে হাঁটছে। তারেক রহমানের বক্তব্যের প্রতিবাদে যে ভায়োলেন্ট রিয়্যাকশান আওয়ামী লীগ দিয়েছে সেটি মাইলামের কথাই প্রতিষ্ঠিত করে।। তারেক রহমানের উক্তির প্রতিবাদে জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ নেতারা যে ভাষা ব্যবহার করেছেন সেটি শুধুমাত্র অসংসদীয় নয় বরং কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীলও বটে। গত বৃহস্পতিবার এই ব্যাপারে সংসদে দাঁড়িয়ে তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন মন্তব্য বেয়াদবি। বেয়াদবির একটা সীমা থাকে। আরে আহম্মক, লেখাপড়াও জানে না। তোর বাপ কী নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলো? তোর বাপ তো আমাদের স্যার বলতে বলতে মূখে ফেনা তুলে ফেলত। তোর বাপতো নির্বাচন দেখেনি।” স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবেই বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরেছিলেন। ওই বাচ্চা ছেলেটা (তারেক রহমান) মায়ের সঙ্গে সেনানিবাসে ছিল, তার মা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি।” আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, অর্ধ শিক্ষিত ওই যুবক (তারেক রহমান) ও অশিক্ষিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী (খালেদা জিয়া) এবং বিএনপি নেতারা ও তাদের দলীয় আইনজীবীরা ইতিহাস বিকৃতি করে চলছেন।
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাসান মাহমুদ বলেন, তারেক রহমানকে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক বলে বিএনপির নেতারা জাতির সঙ্গে উপহাস করছেন। আমি বলবো তারেক রহমান হচ্ছে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির প্রতীক। কারণ তারেকের নেতৃত্বে সারাদেশে ৫০০ স্থানে বোমা ফাটানো হয়েছে। ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। হাসান মাহমুদ সাহেব ভূলে গেছেন যে সেটি ২০০৪ সালের ঘটনা। এখন চলছে ২০১৪ সাল। এই ৮ বছরেও তারা সেই বোমাবাজির প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করতে পারেননি। কিন্তু বিএনপির বিরুদ্ধে ৮ বছর ধরে এই পলিটিক্যাল প্রোপাগান্ডা চলছে। আর কত বছর ধরে তারা এটা চালাবেন?
দুই
‘জিয়াউর রহমান প্রথম রাষ্ট্রপতি’, বিএনপির এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ প্রশ্ন তুলেছেন, একজন রাষ্ট্রপতি কিভাবে পরবর্তীতে গার্ডের দায়িত্ব পালন করলেন? কি বলতে চেয়েছেন হানিফ সাহেব? তাকে ঝেড়ে কাশতে হবে। তারেক রহমান ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে ‘সাপ্তাহিক’ পত্রিকায় প্রকাশিত ডক্টর কামাল হোসেনের একটি সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরেছিলেন পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে। পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে দেশে ফিরে হয়ে গেলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে তিনি জাতিসংঘের ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে ফিরতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটিও করেননি।’ তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে ছোট করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘৪০০ টাকার মেজর’। এ ধরনের মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বরং মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধকেই অপমান করেছেন। কারণ এই ৪০০ টাকার মেজর, ২০০ টাকার ক্যাপ্টেন, ১০০ টাকার সিপাহী, ৫০ টাকার কৃষক কিংবা লুঙ্গি পরা গামছা পরা স্বাধীনতাকামী মানুষগুলোই কখনো এক বেলা অথবা আধা বেলা খেয়ে না খেয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো। আওয়ামী লীগ নেতাদের মতো নিরাপদে কলকাতা পাড়ি জমালে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।
তিনি বলেন, শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, তিনি চেয়েছিলেন স্বায়ত্তশাসন। এ কথার প্রমাণস্বরূপ তারেক রহমান অনুষ্ঠানে মাল্টি মিডিয়ার মাধ্যমে বিদেশী একটি সংবাদ সংস্থায় প্রচারিত শেখ মুজিবুর রহমানের একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও ক্লিপিং দেখান। ওই সাক্ষাৎকারে শেখ মুজিব বিদেশী এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘স্বাধীনতা ? নো নো আই ডোন্ট মিন দ্যাট, আই ওয়ান্ট অটোনমি।’ এর র্অথ হলো, “স্বাধীনতা? না, না। আমি সেটা মিন করিনি। আমি স্বায়ত্তশাসন চেয়েছি।” অনুষ্ঠানে তারেক রহমান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কে এম সফিউল্লাহ, ‘বাংলা নামের দেশ’ পুস্তকের রেকর্ড, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রেকর্ড, ভারত রক্ষক সাইটের রেকর্ডও প্রদর্শন করেন যেখানে জিয়াউর রহমানকেই স্বাধীনতার ঘোষক ও রাষ্ট্রপ্রধান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ‘মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর’ নামে একটি বই থেকে তাজউদ্দিন আহমদের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, ‘২৫ মার্চ রাতে তাজ উদ্দিন আহমদ শেখ মুজিবকে স্বাধীনতা ঘোষণার অনুরোধ জানালে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে অস্বীকৃতি জানান। শেখ মুজিব তাজ উদ্দিনকে সাফ জানিয়ে দেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হতে পারে। অনুষ্ঠানে তারেক রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের ওয়েব সাইটে উল্লেখ রয়েছে, ’৭১ এর ১০ এপ্রিল থেকে শেখ মুজিব বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। তাহলে, ২৬ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধ কি নেতৃত্বশূন্য ছিলো?’
হিন্দি সিনেমার একটি জনপ্রিয় গান রয়েছে। গানটির লাইন হলো, ‘বেগানি শাদীমে আব্দুল্লা দিওআনা’। ছাগলের বাচ্চা দুধ খায় আর অন্য ছাগলের বাচ্চারা সেই দুধ খাওয়া দেখে খামাখা লাফায়। বেশ কিছুদিন আগে ভারতে একটি ছবি নির্মিত হয়েছিলো। এটি ছিলো রাজ কাপুর প্রডাকশন। ছবিটির নাম ‘জিস দেশ মে গঙ্গা বেহেতি হ্যায়’। ছবির নায়ক রাজ কাপুর, নায়িকা পদ্মিনী। ছবিটিতে একটি গান আছে। গানের প্রথম লাইন, ‘বেগানি শাদীমে আব্দুল্লা দিওআনা’। এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি গান এবং এই গানের কথায় পরগাছা শ্রেণীর লোকদেরকে বোঝায়। বাদানুবাদ চলছে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে। এই বাদানুবাদ শেষে কারো না কারো বক্তব্য প্রতিষ্ঠিত হবে। হতে পারে সেটা আদালত পর্যন্তও গড়াতে পারে। যাই হোক, আখেরে হয় আওয়ামী লীগের কথা প্রতিষ্ঠিত হবে, নাহলে বিএনপির কথা প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু সেখানে ইনু আর মেননের ভূমিকা কি? দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির মাঠে সর্বহারার একনায়কত্ব, সমাজতন্ত্র, পুঁজিবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, মুৎসুদ্দি পুঁজি, মেহনতী মানুষ, শোষক শ্রেনী ইত্যাদি গাল ভরা বুলি কপচানোর পর ইনু, মেননরা অবশেষে আওয়ামী লীগের পরগাছা হয়ে জীবনের অবশিষ্ট দিনগুলো গুজরানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারা আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠে বসেছেন এবং বৈঠা মারছেন। বৈঠা মারার এনাম স্বরূপ মেননকে বিমানমন্ত্রী এবং ইনুকে তথ্যমন্ত্রী করা হয়েছে। মন্ত্রীত্বের এনামের প্রতিদান তো কিছু দিতে হয়। সিনেমা অনুযায়ী বিয়ে হবে নায়কের। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বিয়ের আনন্দে পাগল হয়ে গেছে আব্দুল্লাহ। ইনু, মেননদের অবস্থাও সে রকম। মেনন বলেছেন, বিএনপি এবং তাদের দোসর জামায়াত বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারছে না বলেই তারা বারবার ইতিহাস বিকৃত করছে। জিয়াউর রহমানকে এবার বাংলার ‘চার নম্বর মীরজাফর’ বলে আখ্যায়িত করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। ইনু এক ডিগ্রি এগিয়ে গিয়ে বেগম জিয়াকে রাজাকারের মাতা বলেছেন।
তিন
বেগম জিয়া যদি রাজাকারের মাতা হন, তাহলে রাজাকার হলেন তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকো। তারেক জিয়ার বয়স ৪৮ বছর। কোকোর বয়স ৪৫ বছর। আর বাংলাদেশের বয়স ৪৩ বছর। তাহলে তারেক জিয়া রাজাকার হয়েছেন তখন, যখন তিনি ৫ বছরের শিশু ছিলেন। আর কোকো রাজাকার হয়েছেন তখন, যখন তিনি তিন বছরের শিশু এবং যখন তিনি মায়ের কোলে বা বাপের কাঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমার মনে হয়, আওয়ামী লীগ যখন কারো সমালোচনা করে তখন আগে পিছের বিষয়াবলি সম্পর্কে তাদের কোন হুঁশ থাকে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেছেন যে, তারেক রহমান নাকি অর্বাচীন। অর্বাচীনরা কি কোন দিন অডিও ভ্যিসুয়াল প্রজেকশান করতে পারে? নাসিম সাহেবরা বরং পাল্টা অডিও ভ্যিসুয়াল প্রজেকশান করে দেখান যে, তারেক রহমানের বক্তব্য ছিলো মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। সবচেয়ে নি¤œরুচির পরিচয় দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরি। একজন মহিলা হয়ে আরেকজন সম্মানিত মহিলা সম্পর্কে তিনি যা বলেছেন তাতে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়। অনির্ধারিত আলোচনায় মতিয়া চৌধুরী খালেদা জিয়ার শাড়ি এবং অন্যান্য বিলাস বহুল জিনিস ব্যবহারের সমালোচনা করে বলেন, যিনি ৪-৫ লাখ টাকা দামের শাড়ি পরেন, তিনি বাড়ি ভাড়া দিতে পারেন না- তা তো হয় না। 'খালেদা জিয়া ব্লøাউজ বানানোর জন্য দর্জিকে মজুরি দেন ২৫ হাজার টাকা। আর ওনার পরচুলার কত দাম, জানি না।
জিয়াউর রহমানকে ছোট করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘৪০০টাকার মেজর’। তারেক রহমান বলেন, ইতিহাস হলো, ৪০০ টাকার মেজররাই মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো। কিন্তু আলফা ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ব্রেকার, যাদের কাছে মানুষ আশা করেছিলো তারা মুক্তিকামী মানুষকে নেতৃত্ব দিতে, তারা ব্যর্থ হয়েছিলো। তিনি বলেন, শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, তিনি চেয়েছিলেন স্বায়ত্তশাসন। এই কথার প্রমাণস্বরূপ তারেক রহমান অনুষ্ঠানে মাল্টি মিডিয়ার মাধ্যমে বিদেশী একটি সংবাদ সংস্থায় প্রচারিত শেখ মুজিবুর রহমানের একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও ক্লিপস দেখান। ওই সাক্ষাতকারে শেখ মুজিব বিদেশী এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “স্বাধীনতা? নো নো আই ডোন্ট মিন দ্যাট, আই ওয়ান্ট অটোনমি।” আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা অন্যকে ছোট করতে যাবেন না, অন্যের গীবত গাওয়ার জন্য খোঁচাখুঁচি করতে যাবেন না। তাহলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসবে। ইতোমধ্যেই ফেসবুক এবং টুইটারে ৭০ থেকে ৭৫ এর অনেক কথা বলা হচ্ছে। আমরা এইগুলি আজকের লেখায় উল্লেখ করা থেকে বিরত রইলাম। তবে আমরা বিরত থাকলে কি হবে? এইগুলো অন্যান্য পত্রিকায় আসছে এবং অনলাইন পোর্টালেও আসছে। বড় বড় প্রিন্ট মিড়িয়ায় আসতে কত দিন? যদি আসে তাহলে শুধু আওয়ামী লীগ বিএনপি নয়, মহাজোট এবং ১৯ দলীয় জোট রাজনৈতিক, সামাজিক এবং পারিবারিক ভাবেও বিভক্ত হয়ে পয়েন্ট অব নো রিটার্নে চলে যাবে। এই গুলো কারো জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। আল্লাহর ওয়াস্তে এই গুলো থামান।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন