রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৩

সেনাবাহিনী নিয়ে সাম্প্রতিক ‘খোয়াব’, ‘পেয়ার’, ভীতি এবং স্তুতি মিনার রশীদ



প্রিএম্পটিভ ওয়ার’ (Preemptive war) হলো আচমকা আক্রমণ করে শত্রুর যুদ্ধ করার সক্ষমতাকে আগেভাগেই বিনষ্ট করে দেয়া। এই ডেঞ্জারাস কথাটি অনেক বড় হয়ে বুশের মুখে প্রথম শুনেছি। কিন্তু এর প্রয়োগ অনেক ছোট বেলা থেকেই দেখে এসেছি।
ছোট বেলার খেলার সাথীদের মধ্যে কেউ কেউ ছিলেন জন্মগতভাবে ‘বুশ’। নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে আগেভাগেই চাপিয়ে দিত। ‘প্রিএম্পটিভ’ অর্থাত্ আগ বাড়িয়ে ঝগড়া এমনভাবে বাধিয়ে দিত যে, প্রতিপক্ষ সেই আক্রমণ ফেরাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ত। তার মারাত্মক অপরাধ কিংবা অসঙ্গতিটি নিয়ে কথা বলার ফুরসত আর মিলত না।
শেখ হাসিনা এবং মতিয়া চৌধুরীদের দেখে অনেকেরই ছোট বেলার সেসব সাথীর কথা মনে পড়ে যায়। শেখ হাসিনার মনটি কোনো কারণে একটু খারাপ হলেই বেগম খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিতে চান। এটা এক ধরনের সাইকোলজিক্যাল ডিজ-অর্ডার বা হতাশানিঃসৃত ‘চিন্তা-সুখ’ বলে মনে হয়।
তিনি বেগম জিয়াকে যেসব অভিযোগে অভিযুক্ত করেন, একটু ঘাঁটাঘাঁটি করলে দেখা যায় তা তার নিজের বেলাতেই বেশি প্রযোজ্য। তিনি তার ইন্ডিয়াপ্রীতি যতটুকু দেখিয়েছেন সে তুলনায় প্রতিপক্ষের কথিত পাকিস্তানপ্রীতির ছিটেফোঁটাও জনগণের গোচরে বা অনুভবে আসেনি। তবে তার নিজের ইন্ডিয়াপ্রীতির বিরোধিতা যদি কারও পাকিস্তানপ্রীতির নামান্তর হয় তবে সে ভিন্ন কথা।
কোনো ‘বালা-মুসিবতে’ পড়লে পাকিস্তান তাদের কোনো যুদ্ধবিমান কিংবা সেনাবাহিনী পাঠিয়ে উদ্ধার করবেন—এ ধরনের আশ্বাস খালেদা জিয়া কখনোই পাননি। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার প্রতিপক্ষ পাশের দেশ থেকে এ ধরনের আশ্বাস হরদম পাচ্ছেন। পাকিস্তানের কোনো নাগরিক খালেদা জিয়ার প্রতি পেয়ার দেখিয়ে কোনো শের লিখেননি। কিন্তু হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে লক্ষ্য করে এ ধরনের প্রেমের কবিতা ইন্ডিয়ার পত্র-পত্রিকায় অজস্র্র ছড়িয়ে আছে।
সেনাবাহিনীকে নিয়ে বেশি ‘খোয়াব’ না দেখার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিয়েছেন মতিয়া চৌধুরী। কিন্তু সেনাবাহিনীকে নিয়ে তারা যে দুঃস্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন তা অত্যন্ত স্পষ্ট হয়ে পড়েছে। মনে হচ্ছে, দিনে দিনে বাড়িয়াছে দেনা- শোধিতে হইবে ঋণ। বেগম খালেদা জিয়ার উক্তি নয়, নিজেদের কৃত আমলনামাই ওদের এই ভীতিটি বাড়িয়ে দিয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়া কখনোই তার ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি দেশের সেনাবাহিনীর ওপর চাপিয়ে দেননি। আবেগের ক্লাইমেক্স সৃষ্টি করার জন্য বলেননি যে, ‘আমার স্বামী ও আপন ভাই ছিল আপনাদেরই সহকর্মী। সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের পারিবারিক ভালোবাসা প্রদর্শনের নিমিত্তে আমার দুই ছেলেকেও সেনাবাহিনীতে পাঠাতে চেয়েছিলাম।’
অথচ বার বার ‘দুই ভাই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন এবং আরেক ভাই সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন’—এসব আবেগে সেনাবাহিনীর সদস্যদের ভাসাতে চেয়েছেন। সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী কোনো সরকারপ্রধানের পুত্ররা যখন সিরিয়ালি এভাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন, তখন সেই পরিবারের বিশেষ ‘খোয়াব’ পূরণ হওয়া ছাড়া সেই দেশের কিংবা সেই সেনাবাহিনীর কোনো মঙ্গল হয়নি। বরং এ ধরনের মহত্ যোগদানের মাধ্যমে অনেক জাতির ভাগ্যাকাশ দুঃস্বপ্নে ছেয়ে গেছে।
কথা দিয়ে চিঁড়া ভেজানো সম্ভব হলেও সেই ভেজা চিঁড়া সব জায়গায় ছড়ানো যায় না। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন জায়গায় ছড়ানো-ছিটানো চৌকস অফিসারদের মালাকুল মওত হঠাত্ বিডিআরে ট্রান্সফার করার ব্যবস্থা করেছিল। ৫৭ জন সেরা অফিসার বিডিআর বিদ্রোহে নির্মমভাবে নিহত হলেন। কমান্ডার ইন চিফ তখন ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এবং লেফটেনেন্ট শেখ জামালের বোন। ভাইয়ের সাথীদের এই করুণ পরিণতির সময় বোন হিসেবে ক’ফোটা চোখের জল ফেলা ছাড়া আর কিছুই করতে পারলেন না। এ ধরনের মিলিটারি ইমার্জেন্সি ট্যাকল করার কর্তব্য কাজটি মিলিটারি শাস্ত্রে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় চিন্তা করার অবকাশ নেই। ভুল হোক শুদ্ধ হোক, মিলিটারি শাস্ত্রের সেই অমোঘ নির্দেশটি পালন ছিল ওই মুহূর্তে বাধ্যতামূলক। কোনো দেশের সামরিক কমান্ড কখনোই সামরিক শাস্ত্রের এই নির্দেশের বাইরে যেতে পারে না। অথচ বিডিআর বিদ্রোহের সময়ে তাই করা হয়েছিল।
এই মারাত্মক ব্যত্যয়টির কারণে দু’দিনে যতজন সেনাবাহিনীর চৌকস অফিসারকে হারিয়েছি, পুরো স্বাধীনতা যুদ্ধের নয় মাসে এত সংখ্যক অফিসার হারাইনি। জেনারেল শাকিলের ছেলে এ ব্যাপারে জাতির কাছে তিনটি প্রশ্ন রেখেছেন। শেখ কামাল ও শেখ জামালের সাথীদের বোন হিসেবেই নয়—জেনারেল শাকিলের ছেলের ফুফু হিসেবে ওর এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার দায়ও সম্ভবত বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এড়াতে পারেন না।
বগুড়ার জনসমাবেশে বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যটিকে আওয়ামী মিডিয়া ও আওয়ামী মহল গ্রামবাংলার সেই পরিচিত গল্প ‘আই ডোন্ট নো’ স্টাইলে প্রচার করে চলছে। বিএনপির রাজনৈতিক দর্শনটিই সামরিক শাসনের বিরোধী। সেই দর্শনটি হলো, উদার গণতন্ত্রের অধীনে একটি শক্তিশালী ও প্রফেশনাল সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠা করা। ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে বিএনপির রাজনীতি এমনভাবে সেট করা হয়েছে যাতে সেনাবাহিনী তাদের প্রফেশনাল দায়িত্ব পালন করলেই বিএনপির রাজনীতি পরিপুষ্ট হয়।
বিপরীতক্রমে আওয়ামী দর্শনে সেনাবাহিনীর প্রতি শুরু থেকেই একটা সন্দেহ ও ভীতি কাজ করে এসেছে। এদেশে একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা তারা অনুভব করে না। তবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে সামাল দিতে ও নিজেদের রক্ষা করতে একটা রক্ষীবাহিনীর মতো ধর্মনিরপেক্ষ ফোর্সই যথেষ্ট বলে মনে করে। কারণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় মনে করতেন, আমাদের সেনাবাহিনীর ত্রিশ ভাগ সদস্য মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত। ধর্মনিরপেক্ষ হসপিটাল প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ধর্মনিরপেক্ষ সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠার পরামর্শও রেখেছিলেন। ক্ষমতা হাতে পেয়ে ধর্মনিরপেক্ষ হসপিটাল কীভাবে প্রতিষ্ঠা করছেন তা মালুম করা সম্ভব না হলেও ধর্মনিরপেক্ষ সেনাবাহিনী সৃজনের প্রক্রিয়াটি ভালোভাবেই এখন জাতির উপলব্ধিতে আসছে।
কিছু মানুষকে অল্প সময়ের জন্য বোকা বানিয়ে রাখা যায়। কিন্তু অনেক মানুষকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বোকা বানিয়ে রাখা যায় না। এ কথাটি আওয়ামী মহল বুঝতে পারলে এই দেশটি অনেক আগেই সোনার দেশ হয়ে পড়ত। এদেশের সাধারণ মানুষ যে অনেক কিছু বুঝতে পেরেছে সে কথাটি আওয়ামী লীগ বুঝতে চাচ্ছে না।
সেনাবাহিনীর প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোটি পিরামিড আকৃতির। এই পিরামিডের উপরের স্তরগুলোকে প্রভাবিত করা যত সহজ, পিরামিডের বেইজটিকে টলানো তত সহজ নয়। এই বেইজটি সর্বদা মুভ করে দেশ ও জাতির হৃদকম্পন অনুসরণ করে। এই পর্যায়ে কোনো ষড়ডন্ত্র বা বাইরের কোনো সুপার ব্রেইন কার্যকর হতে পারে না। আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমেই মূলত পিরামিডের এই বেইজটি তৈরি হয়েছে।
এই পিরামিডের উপরের স্তরগুলোকে প্রভাবিত করতে আওয়ামী লীগ এযাবত যত চেষ্টা করেছে, নিচের বেইজগুলোকে ঠিক ততটুকুই কম বোঝার চেষ্টা করেছে। তাদের এই প্রচেষ্টার কারণে রাজনীতিতে আগ্রহ দেখানো প্রাক্তন জেনারেল বা সেনাপ্রধানদের অধিকাংশই আওয়ামী মানসিকতার হয়েছে। কিন্তু দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হলেও এই বেইজটির নার্ভগুলো কখনোই স্পর্শ করতে পারেনি।
এখন নিজেদের সীমাবদ্ধতায় নিজেরাই আটকে পড়েছে। সরকার তার কৃতকর্মের মাধ্যমে একটি গণ অভ্যুত্থানের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছে। এক কুকর্ম ঢাকতে গিয়ে আরও বড় কুকর্মে জড়িয়েছে। নিজের এই ভয়টিকেই এখন এই ভঙ্গিমায় প্রকাশ করছে। এখন নিজের দোষ অপরের কাঁধে চাপানোর চেষ্টা করছে। অভিযোগ তুলছেন, ‘একটা মহল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সেনাবাহিনীর দূরত্ব সৃষ্টির চেষ্টা করছে।’ আসল কথাটি হলো, সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর সেনাবাহিনী এই জনগণ থেকে কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপে বাস করে না। দেশ ধ্বংসের প্রান্তে চলে গেলে সেনাবাহিনীর পিরামিডের এই বেইজটি কখনও কারও নির্দেশের অপেক্ষায় বসে থাকে না। চেইন অব কমান্ড ঠিক রাখতে উপরের স্তরগলো এই বেইজের ইচ্ছার বাইরে যেতে পারে না।
আমরা যারা জাহাজের ইঞ্জিনিয়ার তাদের লক্ষ্য থাকে যে কোনো উপায়ে জাহাজের ইঞ্জিনটি সচল রাখা। কিন্তু যখন জাহাজের সেফটি এবং ইঞ্জিনের সেফটি মুখোমুখি হয়ে পড়ে তখন ইঞ্জিনের সেফটিকে জলাঞ্জলি দিয়ে হলেও জাহাজটিকে রক্ষা করতে হয়। আবার জাহাজের জীবন এবং মানুষের জীবন মুখোমুখি হয়ে পড়লে মানুষের জীবন বাঁচানোকে অগ্রাধিকার দিতে হয়। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের জাহাজের চেয়ে তখন একজন মানুষের জীবনই বড় হয়ে দাঁড়ায়।
তেমনি গণতন্ত্র হলো একটা জাতির জন্য ইঞ্জিনস্বরূপ। এটি ছাড়া কোনো জাতি সঠিকভাবে চলতে পারে না। কিন্তু স্বয়ং দেশ কিংবা দেশের জনগণ অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়ে গেলে গণতন্ত্রের কথা ভাবার অবকাশ থাকে না। ওইসব মুহূর্তে গণতন্ত্র রক্ষা নয়—দেশ রক্ষাই বড় কাজ হয়ে দাঁড়ায়। তখন দেশ রক্ষাকারী বাহিনী এগিয়ে আসবেই। এটা শুধু আমাদের দেশের সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। বরং পৃথিবীর সব দেশের সব সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য।
কাজেই শত শত মানুষকে পাখির মতো গুলি করার পরিণামটিই বেগম খালেদা জিয়া তার বেখেয়াল রাজনৈতিক সহকর্মীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এখানে সামরিক শাসনের আহ্বান জানাননি। সম্ভাব্য পরিণতির কথাটি জানিয়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে এবিএম মূসা সঠিক ব্যাখ্যাটি করেছেন। তিনি বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া সরকারকে সতর্ক করার জন্যই এ কথাটি বলেছেন।
এক-এগারোর জরুরি সরকারকে আওয়ামী লীগ তাদের আন্দোলনের ফসল হিসেবে উল্লেখ করেছিল। কিন্তু তখন তাদেরই দলের এক নেতা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন, এটা তাদের আন্দোলনের ফসল নয়—এটা তাদের আন্দোলনের পরিণতি।
যে কোনো চিন্তাশীল ব্যক্তি এই সতর্কীকরণটির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছেন। কারণ সরকার আগুন নিয়ে খেলছে। গত চল্লিশ বছরের মধ্যে এই জাতির সবচেয়ে বড় অর্জনটি হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। আজ পাকিস্তান ও নেপাল এই পদ্ধতিটি গ্রহণ করেছে। পৃথিবীর অন্যান্য ভঙ্গুর গণতন্ত্রের জন্য এই পদ্ধতিটি একটি রক্ষাকবচ হতে পারে। কাজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই দাবি থেকে জাতির পিছিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এই জাতির দুর্ভাগ্যটি হলো, দেশের জন্ম প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত এদেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দলটি অন্য কোনো দলকে এই দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় সহ্য করতে পারে না। তারা মনে করে, পাঞ্জাবের খান বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলার মসনদটি দখল করেছে আওয়ামী বাহিনী। কাজেই এই সিংহাসনের একমাত্র হকদার আওয়ামী লীগ।
এই সিংহাসনে আরোহণ করতে গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা দরকার হয়ে পড়েছিল। আজ আবার এই সিংহাসনে টিকে থাকতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করার দরকার হয়ে পড়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নামক মহানাটকের মূল্য উদ্দেশ্যটি ছিল একটি ‘শাহবাগ চত্বর’। যে চত্বরের মাধ্যমে খান বাহিনীর কাছ থেকে দখল করা সেই সিংহাসনটি ধরে রাখা সহজ হতো।
আমাদের সব সমস্যার মূলে রয়েছে আওয়ামী লীগের এই মানসিক ব্যারামটি। এই ব্যারামটির কারণেই সব বিরোধী শক্তিকে রাজাকার ও পাকিস্তানের পেয়ার বলে ঠাহর হয়। এই সিংহাসনটি ধরে রাখতে যাদেরই হুমকি বলে মনে হয় তাদেরই পাকিস্তানে বা কবরে পাঠাতে ইচ্ছে করে।
এই মাটির সবাইকে মিলেই এই ব্যারামটির ওষুধ খুঁজে বের করতে হবে। সৌভাগ্যের কথা হলো, ওষুধটি খুঁজে পাওয়া গেছে। তার নাম হলো, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা।
minarrashid@yahoo.com

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads