মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৩

শির দেগা নেহী দেগা আমামা



জনতার বাঁধ ভাঙ্গা  জোয়ার, মিছিলের পর মিছিল আসছে, বজ্রকণ্ঠী স্লোগান, দৃষ্টি সম্মুখপানে কি এক ঘনঘোর নেশায় তারা ছুটে চলছেন! জনতার এই ¯্রােত রুধিবে সাধ্য কার! কেউ তাঁদের কোন ক্ষমতার মোহ দেখায়নি। আগামীতে তার দল ৩০০ আসনে বিজয়ী হলে তাকে ক্ষমতার ভাগ দেয়া হবে এমন কোন প্রুতিশ্রুতি তাদের শোনানো হয়নি। ঘরে ঘরে চাকরির প্রলোভন নেই, বিনামূল্যে সার পাবার আশ্বাসও নেই। দুনিয়ার অন্য কোন মোহ নেই, জনতা এসেছে তাদের হৃদয়ের টানে। হৃদয় কোণে লালিত আদর্শ, বিশ্বাস ও ভালবাসার বুকে যারা ছুরি বসিয়েছে, তাদের সেই মানবতা বিরোধী কর্মকা-ের প্রতিবাদ জানানোর জন্য। পথ তাদের ছিল না কুসুমাস্তীর্ণ, ছিল না পুলিশ, র‌্যাবের তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বরং ছিল বাধা প্রতিবন্ধকতা, হামলা, গুলী ও লাঠির আঘাত। গাড়ি, লঞ্চ, ট্রেন সব বন্ধ। এরপরও জনতা এসেছে। প্রখর রৌদ্র, মাথার উপর কোন ছায়া নেই। রাতে তারা এসেছেন এখনো আছেন, বসে থাকবেন যতক্ষণ না তাদের যেতে বলা হয়। তারা বসে আছেন সব জায়গায় মাইকের আওয়াজ যাচ্ছে না। সরকার নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কতটুকু জায়গায় মাইক দেয়া যাবে। এরপরও তারা গণগণে রোদের মধ্যে বসে আছেন। মাথায় টুপি, হাতে তসবিহ, মুখে নারায়ে তাকবীর স্লোগান। মতিঝিলগামী কাফেলা একের পর এক শুধু ছুটে আসছে। একটি বড় মিছিল আসার পর দেখা যাচ্ছে পরবর্তী মিছিলটি আরো বড়। ঈমানীদীপ্ত এ কাফেলার ছুটে চলা দেখে মনে হয় যেন এরা আর থামবে না, কুমিল্লা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ থেকে পায়ে হেঁটে মিছিল করেই জনতা চলে এসেছে মতিঝিলে, তাদের মনে ক্ষোভ যারা আমাদের প্রিয় নবীকে নিয়ে জঘন্য ভাষায় গালি দিয়েছে, আল্লাহ ও কুরআন, হাদীসকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছে। ব্যঙ্গ করেছে নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত, ঈদ ও কুরবানী নিয়ে। জনতা এসেছে তাদের সেই জঘন্য অপকর্মের প্রতিবাদ জানাতে। তাদের এ প্রতিবাদী মিছিলকে স্বাগত জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। সফেদ পাঞ্জাবী পরা মানুষগুলোকে মনে হয়েছে জান্নাতী কোন কাফেলা সম্মুখপানে ছুটে চলছে। শাহবাগ চত্বরের মত এখানে রজনীগন্ধা হাতে প্রিয়ার হাত ধরে ছুটে চলা কোন কপোত কপোতীর দৃশ্য ছিল না। রমনীর হাত থেকে সুগন্ধী রুমালের খুশবু গ্রহণের ব্যবস্থা ছিল না। প্রিয়ার বাহুর মাঝে নিজেকে সঁপে দেয়ার পরিবর্তে এখানে শংকা ছিল আশংকা ছিল সরকারি দলীয় কর্মী বাহিনী এবং পেটুয়া বাহিনীর লাঠি, গুলীর। সরকার এবং মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে গাওয়া ঘিয়ের বিরিয়ানীর ব্যবস্থা ছিল না। তবে গ্রামীণ যে মানুষগুলো রাজধানীতে ছুটে এসেছে ঈমান ও বিবেকের টানে। তাদেরকে শহরবাসী আপ্যায়িত করেছে হৃদয়ের সবটুকু ভালবাসা দিয়ে। সে ভালবাসা হৃদয়ের গহীনের। তাতে কোন কৃত্রিমতা ছিল না। এ ভালবাসা ছিল সব কিছু উজাড় করে দেবার। কারো হাতে পানির বোতল, কারো হাতে টিস্যু পেপার, কারো হাতে শরবতের গ্লাস, কেউ আপ্যায়িত করছেন শসা, তরমুজ, কলা দিয়ে। কেউবা বাসা থেকে তৈরি করে এনেছেন রুটি, অনেকেই দোকান থেকে কিনে এনেছেন পাউরুটি, বিস্কুট, যে যেভাবে পারছেন আগত মানুষগুলোকে আপ্যায়ন করানোর চেষ্টা করেছেন। কে কার আগে আপ্যায়ন করাবেন তার প্রতিযোগিতা চলেছে। যেন আপ্যায়ন করানোর মধ্যেই মহাতৃপ্তি। নরসিংদী থেকে এসেছেন রবিউল নামে একজন কাপড়ের দোকানদার, তার পকেটে আট হাজার টাকা ছিল, নিজের যাতায়াতের জন্য এক হাজার টাকা রেখে বাকি সাত হাজার টাকার কলা কিনে ইত্তেফাক মোড়ে দাঁড়িয়ে মিছিলকারীদের মাঝে বিতরণ করেছেন। একজন রিকশা শ্রমিক বিশ টাকা দিয়ে এক বোতল পানি কিনেছেন, পানির বোতল নিয়ে বলছেন ভাই আমি একজন রিকশা চালক তারপরও আপনাদের জন্য এই এক বোতল পানি কিনেছি এই পানিটুক রাখলে খুশি হবো। নটরডেম কলেজের ছাত্র আদনান পঞ্চাশ টাকা দিয়ে এক প্যাকেট টিস্যু কিনেছে এবং রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে মিছিলকারীদের ঘাম মোছার জন্য টিস্যু পেপার বিতরণ করেছে। সারাদেশ থেকে ছুটে আসা মানুষগুলো হৃদয় মথিত ভালবাসায় এভাবেই সিক্ত হয়েছে। কোন এক কবির কবিতার লাইন ‘ইটের পরে ইট তারই মাঝে বাস করে মানুষ নামের কীট’ এ উক্তি ঐ দিন ঢাকার মানুষের জন্য প্রযোজ্য ছিল না। নাম না জানা হাজারো জনতা পানি, জুস, রুটি, কলা নিয়ে আসছে আপ্যায়িত করার জন্য। যারা আপ্যায়ন করাচ্ছেন তাদের মধ্যে কোন প্রচারের মানসিকতা কাজ করেনি, কোন মিডিয়ায় নাম প্রচারের জন্য তারা এ কাজ করেনি। অজানা অখ্যাত মানুষগুলো প্রকৃত মানুষ এবং মানবিকতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। যারা আপ্যায়ন করেছেন এবং যারা মিছিল নিয়ে এসেছেন সবারই একটাই দাবি, আমাদেরকে আমাদের বিশ্বাস ও আদর্শ নিযে বাঁচতে দাও, আমার নবীর শানে বেয়াদবী বন্ধ কর, আল্লাহ, কুরআন, হাদীস, নামাজ, রোজা নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রƒপ বন্ধ কর। মুসলমানদের কাছে তার ইমান সবচেয়ে বড় সম্পদ। সেই সম্পদের উপর যখন কেউ ছুরি চালায় ঈমানদাররা আর তখন ঘরে বসে থাকতে পারে না। জনতার এ ¯্রােত প্রমাণ করেছে আমাদের চিরায়ত বিশ্বাসগুলোর ভিত্তিমূলে আঘাত করে কেউ টিকতে পারবে না। যখন পরিবেশ এমন দাঁড়িয়েছিল দাড়ি, টুপি নিয়ে রাস্তায় চলাচল নিরাপদ নয়, ইসলামের পক্ষে কথা বললে মৌলবাদী, যুদ্ধাপরাধী, ইসলামী রাজনীতিবিদরা কোনঠাসা, ইসলামের নামে সভা-সমিতি বা সংঘ করলে তা বড় অপরাধ, ইসলাম মানেই ভয়ঙ্কর কিছু। ইসলামপন্থী জনতার মাঝে ভয়-শংকা, তাদের মধ্যে আত্মগোপন থাকার একটি পলায়নপর মনোবৃত্তি। সাধারণ জনতার মনে এই চিন্তা ইসলাম ও ইসলামী আদর্শ নিয়ে বুঝি এই দেশে আর বসবাস করা যাবে না। সেই জনতার মাঝে নতুন করে আশা জাগিয়েছে ৬ এপ্রিলের লংমার্চ। ৬ এপ্রিল বাংলাদেশে ইসলাম যেন নতুনভাবে আবির্ভূত হলো। নারায়ে তাকবীর স্লোগানে মুখরিত হলো রাজপথ। যেই মানুষগুলো কখনো জনসভায় বক্তব্য দেননি ঐদিন তারা ছিলেন রাজপথের জনসভার মধ্যমণি। যারা কখনো মিছিলে যোগদান করেননি তারাই মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই লংমার্চ, এই মিছিল এর মাধ্যমে জনতা প্রমাণ করেছে (শির দেগা নেহী দেগা আমামা) জীবন দিতে প্রস্তুত কিন্তু ইমান দিতে প্রস্তুত নই। মানুষ এ দিন তাদের হৃদয়ের কোণের জমাট ব্যথাগুলো উপশমের সুযোগ পেয়েছেন, সচিবালয়ে চাকরি করেন এমন একজন ভদ্রলোক বললেন, ভাই শাহবাগের ফ্যাসিবাদী যন্ত্রণায় মনের মাঝে অনেক ব্যথা জমাট হয়ে আছে তা উপশমের জন্য আজ মতিঝিলে এসেছি। কুমিল্লা থেকে অর্ধেক পথ পায়ে হেঁটে অর্ধেক পথ ট্রাকে করে আসা এক ভদ্রলোক বললেন, বিবেকের তাড়নায় এবং মনের ব্যথা হালকা করার জন্য এসেছি। এভাবেই নিজেদের অব্যক্ত বেদনাভরা কথাগুলো প্রকাশ করেছেন অনেকে। সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণ, ইসলাম নির্মূলের ষড়যন্ত্র, ইসলামী নেতাদের ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জুডিশিয়াল কিলিংয়ের পথে অগ্রসর হওয়া, দেশব্যাপী গণহত্যা, গণগ্রেফতার, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা সংস্কৃতির ক্ষেত্রে নাস্তিকতার প্রসার ও পৃষ্ঠপোষকতা সবকিছু দেখে মনে হচ্ছিল এ দেশে বুঝি আর ইসলাম নিয়ে বসবাস করা যাবে না। সেই হতাশার মাঝে আশার প্রদীপ জালিয়েছে এই লংমার্চ। বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ নয় বরং ইসলামের বিরোধিতা করে কেউ টিকতে পারবে কি না সেই প্রশ্ন নতুন করে সামনে চলে এসেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আগামী দিনের বাংলাদেশে কে কতটুকু ইসলামকে মূল্যায়ন করবে। রাজনীতিতে ইসলাম আজ এক অনিবার্য বাস্তবতা। আজ বড় প্রশ্ন আগামীর বাংলাদেশে কেউ জনতার আবেগ অনুভূতির বিপক্ষে গিয়ে ধর্মহীন রাজনীতি করে টিকতে পারবে কি-না?
৬ এপ্রিল লংমার্চ ব্যাহত করার জন্য সরকারের এমন কোন পন্থা বা অপকৌশল নেই যা প্রয়োগ করেনি। কিন্তু সরকারের সব ষড়যন্ত্র শাহবাগী এবং শাহরিয়ার কবির গংদের সকল রণহুংকার আর তর্জন গর্জনকে ধূলোয় মিশিয়ে দিয়ে জনতা প্রমাণ করেছে তারা শাহবাগী নাস্তিকদের পক্ষে নয়। তারা ধর্মহীনতাকে পছন্দ করে না। সরকারের চতুর্মুখী বাধার কারণে বড়জোর এক চতুর্থাংশ মানুষ ঢাকায় আসতে পেরেছে। তাতেই বোদ্ধামহল বলেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এত বড় সমাবেশ আর কখনো হয়নি। একজন অশীতিপর বৃদ্ধের ডাকে সাড়া দিয়েছে দেশের অধিকাংশ মানুষ। যিনি বয়সের ভারে ন্যূব্জ, একা চলতে পারেন না, হুইল চেয়ারে চলাফেরা করতে হয়। দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে পারেন না, চেয়ারে বসে নামাজ পড়তে হয়্ তাঁর ডাকে মানুষ এভাবে কেন সাড়া দিল? তার মাঝে কি কোন ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব আছে? তাঁর হাতে কি কোন জাদুর কাঠি আছে? না এসব কিছুই নেই, তবে কেন জনতার ঢল? তিনি জনতার হৃদয়ের কথা বলেছেন। তাই জনগণ তার ডাকে সাড়া দিয়েছে। এর বাইরে যে বিষয়টি কাজ করেছে তিনি লাখো ওস্তাদের ওস্তাদ। যদিও তথ্যমন্ত্রী ইনু সাহেব বলেছেন শফি সাহেবদের কাছে ইসলাম শিখতে হবে না। ইনু সাহেব কতটুকু ইসলাম শিখেছেন তা ওনার রাজনৈতিক দর্শন দেখলেই বোঝা যায়। যে রাজনীতির মূল লক্ষ্য ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে বিতাড়িত করা। তিনি যে সমাজতান্ত্রিক রাজনীতি করেন তার তাত্ত্বিক গুরু ধর্মকে আফিমের সাথে তুলনা করেছেন। অপরদিকে শাহরিয়ার কবির যিনি আপাদমস্তক একজন ইসলাম বিদ্বেষী ব্যক্তি, মুসলমানদের ঈমানী চেতনার দুশমন কাদিয়ানীদের যে কোন সমাবেশে যাকে সর্বাগ্রে দেখা যায়, তিনি বলেছেন কাঠমোল্লাদের কাছ থেকে ইসলাম শিখতে হবে না। সমগ্র বাংলাদেশের কওমী মাদরাসার ছাত্রশিক্ষক, আলিয়া মাদরাসার ছাত্রশিক্ষক, প্রায় সব মসজিদের ইমাম যে আন্দোলনের সাথে তাদের কাছ থেকে ইসলাম শিখবেন না তো ইনু-মেনন-শাহরিয়ার কবির সাহেবরা ইসলাম শিখবেন কার কাছে? মূলতঃ ওনারা কখনো ইসলাম শিখেননি এবং শিখবেন কার কাছে? মূলতঃ ওনারা কখনো ইসলাম শিখেননি এবং শিখবেন বলে কোন সম্ভাবনাও নেই। ওনাদের কাজই হচ্ছে ইসলাম, ইসলামী আদর্শ, ইসলামী রাজনীতি, ইসলামী ব্যক্তিত্বদের চরিত্র হনন করা। শাহবাগের তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চ-এর মাধ্যমে এটার চূড়ান্ত ফলাফল ঘরে তুলতে চেয়েছিলেন। এ জন্য সরকার, সরকারি মহল, সরকার সমর্থক মিডিয়াগুলো সবাই শাহবাগকে নিয়ে যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। শাহবাগের সবচেয়ে বড় সমাবেশে সর্বসাকুল্যে হাজার দশেক মানুষ হয়েছে তাকেই মিডিয়াগুলো বলেছে গণজাগরণ। এমনকি যেদিন মতিঝিলে মহাগণজাগরণ হলো সেদিন বেশ কয়েকটি দালাল মিডিয়া শাহবাগের দুই-তিনশ লোকের সমাবেশকে লাইভ টেলিকাস্ট করেছে। অথচ তাদের টেলিভিশনে মতিঝিলের মহাগণজাগরণের খবর ছিল গৌণ। এর চেয়ে নীচু মানসিকতা, এর চেয়ে হীনমন্যতা আর কিছু হতে পারে না। মিডিয়াগুলো শাহবাগের জমায়েতকে নিয়ে সে কি উচ্ছ্বাসই-না প্রকাশ, করেছে। তারা প্রচার করেছে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। কিন্তু জনগণ সাক্ষী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস, কল-কারখানা, গার্মেন্টস থেকে জোরপূর্বক লোক এনে শাহবাগের জমায়েতকে ভারী করার চেষ্টা করা হয়েছে। অধিকাংশ মিডিয়া বলেছে অহিংস আন্দোলন, যেখানে স্লোগান দেয়া হলো জবাই করো, মারো, কাটো, ফাঁসি দাও, চামড়া তুলে নেবো, হামলা করো, আগুন দাও, জ্বালিয়ে দাও, গুঁড়িয়ে দাও আর এর প্রেক্ষিতে সারাদেশে ব্যাংক বীমা, হাসপাতাল, পত্রিকা অফিসে হামলা হলো আগুন দেয়া হলো এরপরও যদি কেউ বলে অহিংস আন্দোলন তবে তাকে কি বলা যায়! অথচ ৬ এপ্রিলের লংমার্চে বাধা, প্রতিবন্ধকতা, হামলা ও আক্রমণ করা হলো এরপরও জনতা সর্বোচ্চ ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়েছে। অহিংস এবং সফল গণজাগরণ বললে কেবলমাত্র মতিঝিলের মহাগণজাগরণকেই বলা যায়।
আজ সরকারের উচিত জনতার মনের ভাষাকে বুঝতে চেষ্টা করার। সরকার কি গুটিকয়েক নাস্তিককে তোষামোদ করবে নাকি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চেতনাকে ধারণ করবে। শাহবাগের তথাকথিত জাগরণ বাংলাদেশের মানুষকে দুইভাগে ভাগ করে ফেলেছে। একদিকে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মবিশ্বাসী মানুষ অপরদিকে গণবিচ্ছিন্ন গুটিকয়েক বাম নাস্তিক গোষ্ঠী। এখন সরকারের সিদ্ধান্ত নেবার পালা তারা কোন পক্ষে অবস্থান নেবেন। জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেÑ আর তা হচ্ছে শির দেগা নেহী দেগা আমামা।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads