শুক্রবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৩

শাহবাগের দাবি পূরণের সিদ্ধান্ত!


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং ব্লগে ইসলাম ও মহানবী সা:কে অবমাননাকারীদের চিহ্নিত ও শাস্তি নিশ্চিত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল সরকারি উদ্যোগে। তবে ধর্ম অবমাননাকারীদের চিহ্নিত করার পরিবর্তে সরকার গঠিত এই কমিটি অদ্ভুত এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ফেসবুকে লেখা কোনো কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে লেখকের অনুমতি লাগবে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কার্যত ফেসবুক ও ব্লগে যা খুশি তা-ই লেখার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হলো। এ অবস্থায় এটাই প্রতীয়মান হয়, কমিটির এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শাহবাগের আন্দোলনকারীদের দাবি কৌশলে মেনে নেয়া হলো। শাহবাগের আন্দোলনকারীরা এত দিন বলে আসছিল ফেসবুক বা ব্লগে ধর্মবিরোধী যা কিছু লেখা হয়েছে তা ‘একান্ত ব্যক্তিগত’, বরং সংবাদপত্রে এসব প্রকাশ করার মাধ্যমে কয়েকটি সংবাদপত্র অপরাধ করেছে।

উল্লিখিত কমিটি ‘নূরানী চাপা সমগ্র’ নামে একটি ব্লগ ও ‘বাঁশের কেল্লা’ নামে ফেসবুক ফ্যান পেজ বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে। ‘নূরানীচাপা সমগ্র’ একটি অশ্লীল ও ধর্মবিরোধী ব্লগ, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কমিটির এই ব্লগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত সঠিক ও যথার্থ। কিন্তু ‘বাঁশের কেল্লা’ কোনো ধর্মবিরোধী ফ্যান পেজ নয়, বরং এতে সরকারবিরোধী নানা প্রচারণা চালানো হয়। বিস্ময়কর হলো, সেটিকে একই পাল্লায় ফেলে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ সরকারবিরোধী প্রচারণা ও ধর্মবিরোধী প্রচারণা একইভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এর আগে ‘সোনার বাংলাদেশ’ নামে একটি প্রতিবাদী ব্লগ বন্ধ করা হয়েছিল। এই ব্লগটিতে সরকারবিরোধী নানা ধরনের মতামত প্রকাশ করা হতো। শাহবাগের আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বারবার সোনার বাংলা ও বাঁশের কেল্লা বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রেও শাহবাগের আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে।
ব্লগ ও ফেসবুকে মহানবী সা:-এর অবমাননার প্রতিবাদে দেশের মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। শাহবাগের আন্দোলনকারী কিছু ব্লগার যে এই অবমাননাকর লেখালেখির সাথে জড়িত, এটা ইতোমধ্যে প্রমাণিত। এখন সরকার পরোক্ষভাবে এদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের এসব পদক্ষেপ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। আমরা মনে করি, বিভ্রান্তিকর এসব পদক্ষেপের চেয়ে সরকারের উচিত ইসলাম ও মহানবী সা:কে নিয়ে অবমাননাকর ও অশালীন লেখার সাথে জড়িত ব্লগারদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া। তা ছাড়া ব্লগ ও ফেসবুকে ধর্মবিরোধী লেখা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আইন প্রণয়ন করা হোক।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads