রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৩

মন্ত্রীর ঝাঁকিতত্ত্ব এবং সাভার বিপর্যয়ের বিষয়-আসয়



শিল্পী সুলতানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের মানুষ হবে অমিত শক্তিধর, একদিন। তাই তার প্রতিটি চিত্রেই দেখা যায় মানুষগুলো পেশিবহুল, বলশালী, কি পুরুষ কি মহিলা। শত শিল্পকর্মের মাঝখানেও সুলতানের চিত্র শনাক্ত করতে অসুবিধা হয় না। সম্প্রতি শিল্পীর স্বপ্নের মানুষগুলো আবিষ্কৃত হয়েছে ঢাকার সাভারে। আবিষ্কারক আর কেউ নন, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা আলমগীর। কতকজন মৌলবাদী এবং হরতাল সমর্থক লোক নাকি সাভারের রানা প্লাজা নামক আটতলা দালানটি ঝাঁকি দিয়ে ধসিয়ে দিয়েছে। চমৎকার আবিষ্কার। শিল্পী সুলতান জীবিত থাকলে হয়তো মখাকে জড়িয়ে ধরতো তার স্বপ্নের মানবগুলোকে চিহ্নিত করার বাহাদুর মনে করে। আধুনিক বিশ্বে যেখানে এমন বিশাল দালান ধ্বংস করতে প্রয়োজন হয় ডিনামাইট বা আধুনিক প্রযুক্তির, সেখানে কয়েকজন মৌলবাদীই যথেষ্ট। এমন সংবাদ বিদেশীদের প্রলুব্ধ করাটাই স্বাভাবিক। এই অপরিমেয় শক্তির মানুষগুলো তারা ধার চাইতেও পারে। এতে করে বাংলাদেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি নতুন দরজা খুলে যাবে হয়তো। তাছাড়া আবিষ্কারক হিসাবে ম খা আলমগীরের নামটি গ্রিনিজবুকে স্থান করে নেয়াটাও অস্বাভাবিক নয়। নব আবিষ্কৃত তত্ত্বটি ‘ঝাঁকিতত্ত্ব’ রূপেই বিবেচিত হবে ভবিষ্যৎ মানবকুলের তত্ত্ব-তালাশিতে। যদিও দেশের জনগণ বলছেন এটি একজন অপ্রকৃতিস্থ মানুষের প্রলাপ বৈ কিছু নয়। এমন ‘উন্মাদ’ লোক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো দায়িত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারে না। তার অপসারণ জরুরী। অবশ্য তাকে যারা এই পদে নিয়োগ দিয়েছেন সেটি তাদের বিবেচনার বিষয়। তবে প্রবাদ আছে রতনে রতন চেনে।
খ. যে দিনটিতে সাভারের রানা প্লাজার উপর কিয়ামত ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেদিনটি ছিল পঁচিশ এপ্রিল। মুহূর্তে থেমে গেল শত শত ফুঁসফুঁস। হাজার হাজার মানুষ আটকা পড়লো মরণকূপে। চিৎকার আর বাঁচার আহাজারিতে বাতাস ভারি হলো সে এলাকার। এই হত্যার জন্য দায়ী কে বা কারা ইতোমধ্যে দেশবাসী জেনে গেছে। এই জানা পর্যন্তই বুঝি শেষ। নানা কায়দা কৌশলে হত্যাকারীদের মুক্তি মিলবে।
অপরাধ চাপা দেয়ার প্রধান এবং প্রথম বিবেচনার নাম তদন্ত কমিটি। যে কমিটির সুপারিশ বা তদন্তের মর্ম কোনদিন আলোর মুখ দেখে না। কোনদিন দেখলেও তা হয় প্রশ্নবিদ্ধ। মূল অপরাধী থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে, প্রায়শই। যদি সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ শাসক দলের আশ্রয় বা প্রশ্রয়ভুক্ত হয় তখন তার জন্য সাত খুন মাফ। বিশ্বজিৎ হত্যাকারীরা এখন জামিনে অর্থাৎ কাহিনী খতম। পরাগ অপহরণকারীর মূল ব্যক্তি চার্জশিটের বাইরে। কারণ দলের আশীর্বাদপুষ্ট। সাভারের রানা প্লাজার মালিক রানাও সেই রকমেরই এক শক্তিধর ব্যক্তি। তাই হম্বিতম্বি যে যাই শোনাক না কেন আখেরে সব পরিষ্কার। তাছাড়া এই রানার মুরুব্বী স্থানীয় সরকারি দলের এমপি মুরাদ জং। যদিও তিনি জোরের সাথে এই খবর অস্বীকার করেছেন। তবে তার সাথে রানার সখ্যের চিত্র পত্রিকাগুলো ছেপে দিয়েছে। রানার কপালে সোহাগের চুম্বন দিচ্ছেন এমপি সাহেব। পত্রিকাগুলো কাহিনী ছেপেছে তার আশ্রয়-প্রশ্রয়ের। এই প্রশ্রয়ই সামান্য কলু থেকে শত কোটি টাকার মালিক রানা। পত্রিকার হেডিং  এসেছে এমপি সাহেব রানাকে কোথায় নিয়ে গেলেন। রানাও আটকা পড়েছিল, উদ্ধারের পরপরই সে লাপাত্তা। এভাবেই পার পেয়ে গেছে অনেক সোহেল রানা, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিক। এই তো কদিন আগে তাজরীন গার্মেন্টসে আগুনে মারা গেল দুশ’র মতো মানুষ। সে জন্য দায়ী ছিল ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ। তার প্রমাণও পাওয়া গেছে। এরপরও তাজরীনের মালিককে শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। এমনটাই ঘটছে হামেশা। বিজিএমইএ বক্তৃতা-ভাষণ এবং আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস বা ব্যবস্থা করেই খালাস। বিপর্যয় রোধ করতে চাইলে প্রয়োজন সুষ্ঠু তদারকী এবং অপরাধীর যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা। পঁচিশ এপ্রিল আরো একটি কারণে স্মরণীয়। সে দিনটিতে বাংলাদেশের নতুন প্রেসিডেন্ট এডভোকেট আবদুল হামিদ শপথ গ্রহণ করছিলেন। একদিকে আনন্দ উচ্ছ্বাস অন্যদিকে বিপর্যয়, হাজারো মানুষের বাঁচার আকুতি। এই শপথ অনুষ্ঠানটি আপাত স্থগিত করলে জনস্বস্তিতে তেমন কোন ব্যাঘাত ঘটতো বলে মনে হয় না। শত শত মানুষের মৃত্যু এবং হাজারো মানুষের জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এমন অনুষ্ঠান কোনভাবেই বিবেচনাপ্রসূত হয়েছে কি না তা ভবিষ্যতই চিহ্নিত করবে। নতুন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিলেন এখন থেকে তিনি আর কোন দলের লোক নন। তিনি দেশবাসীর সবার। কিন্তু তিনি যখন হাতাকাটা কালো কোট পরে শপথবাক্য পাঠ করছিলেন তখনই প্রকাশিত হয়ে গিয়েছিল তিনি ‘কাহাদের’ ‘লোক’। নতুন প্রেসিডেন্ট উড়ে গেলেন মালা হাতে টুঙ্গিপাড়ায়। পেছনে রেখে গেলেন শত শত লাশ, তাদের স্বজনদের আহাজারি, দুঃখ-বেদনা আর কান্নার বিশাল সাগর। সাভারে না এসে টুঙ্গিপাড়া যাওয়াটা কি এতটাই জরুরি ছিল। এইসব বিপর্যস্ত মানুষজন গরীব-শ্রমিক শ্রেণীর, এটাই কি তাদের অপরাধ? নাস্তিক ব্লগার রাজিবের আকস্মিক দুর্ঘটনায় উড়ে এসেছিল প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং সমবেদনা জানাতে, রাজিবের স্বজনদের কাছে। সাভারের বিধ্বস্ত মানুষগুলো কি সমবেদনা পাবারও যোগ্য নয় দেশের প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে। হয়তো একেই বলে রাজনীতির জিলিপি। একে বলে জনগণের দুর্ভাগ্য।
(গ) বুদ্ধির জাহাজ যারা নিজেদের ভাবেন বুদ্ধিজীবী পরিচয়ে, যারা দেশের কোণাকামছায় মৌলবাদী আর সাম্প্রদায়িক শক্তি খুঁজে বেড়ান, তারা বর্তমানে কোথায়। এমন প্রশ্ন দেশবাসীর। সাভারে এত লাশ এত কান্না কিন্তু এমন দৃশ্যে এরা কুলুপ এঁটেছে ঠোঁটে। এখানে রাজনীতি থাকলেও তা বিপরীতে যেতে পারে। অর্থের খবরাখবর শূন্য ডিগ্রিতে। তাই স্বঘোষিত বুদ্ধিবিক্রেতারা ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে রাস্তায় নয়, ঘরে। কথিত নারী বুদ্ধিজীবীরাও নিরাবেগ। যদিও সাভারের অসহায় মানুষের অধিকাংশই নারী। তাছাড়া সড়কে শুধু শুধু অসহায় দাঁড়িয়ে থেকে কি ফায়দা, রাজনীতিও যেমন জমবে না পাশাপাশি অর্থকড়ির বিষয়টিও ঝুটঝামেলায় নিপতিত। তাই নীরব থাকাই বেহতের। প্রশ্ন উঠেছে শাহবাগী এবং তাদের সাথে যে সব চিহ্নিত ব্যক্তি সংহতি জানাতে আসতো দেশবাসির বিভেদ-বিভাজনের ক্ষতটিকে প্রশস্ত করতে, অহরাত্রি কুসল্লায় মশগুল থাকতো নানান কিসিমের সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে, তারা কোথায়? মানুষের কান্না-আহাজারী বিপদগ্রস্ত মানুষের হৃদয়ভরা বেদনা প্রশমিত করার ব্যাপারে শাহবাগীদের উপস্থিতি তো অনুবীক্ষণীকও নাই সাভারে। শাহবাগী এবং তাদের নেপথ্য শক্তি তাহলে এরা কারা! তারাযে বেগানা কোন শক্তির বরকন্দদাজ এই সত্যটি আবার নতুনভাবে প্রকাশিত হলো। বিপদগ্রস্ত মানুষের বেদনা এদেরকে স্পর্শ করে না। কারণ এরা নিয়োজিত দেশ এবং জাতির অবনতিকে তরান্বিত করার কর্মে। বিদ্বেষ-বিভক্তিকে জাগরুক রাখার আয়োজনে। নানা ব্যানারে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বা প্রেস কনফারেন্সে একে কতল কর, ওমুককে নিষিদ্ধ কর এসব বলনেওয়ালারা হয়তো ভেবে নিয়েছে লাশের পাশে দাঁড়িয়ে লাভ কি। পচাগন্ধ আর রোদের ঝাঁঝ; অর্থকড়ির বিষয়টিও লবডঙ্কা। কথায় আছে বুদ্ধি থাকলে নাকি হাত পাততে হয় না, ঘরেই চলে আসে। বাংলাদেশে তো এমন রেওয়াজই চালু হয়ে গেছে এরি মধ্যে। শাহবাগের চেয়ে সাভারের দূরত্বটা অতিরিক্তই বটে।
(ঘ) সাভার বিপর্যয় বোধ হয় স্মরণকালের সবচেয়ে বড় বিপর্যয়, বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য। কোন কোন পত্রিকায় এসেছে ভারতের ভুপালের পর সাভারই বেদনাদায়ক পরিস্থিতির শিকার যা এলাকার আলোচিত এবং আলোড়ন সৃষ্টিকারি ঘটনা। তাই বিদেশী গণমাধ্যমগুলোও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তা প্রচার করছে। ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশ। সেসব চ্যানেলগুলোর মালিক-কর্মকর্তাদের হৃদয়ে এতটাই আনন্দ উছলে পড়ছে যে তারা তাদের চ্যানেলের পর্দায় আমোদফূর্তি জমজমাট রেখেছে। কেউ সিনেমা, তাও বেশির ভাগ অশ্লীল, নাটকে প্রেমের পেনপেনানি, কোন কোন চ্যানেলে নারী উপস্থাপিকার হাস্য এবং লাস্যময়ী চেহারা, এদের আচরণে কেউ ভাবতে পারবে না দেশ একটা ভয়ানক দুর্যোগের ভেতর দিয়ে হাঁটছে। চ্যানেলগুলোর উচিত ছিল তাদের সব বিনোদন  প্রোগ্রাম বাতিল করে সেখানে বিষয়ভিত্তিক আয়োজন এবং এই আকস্মিক বিপদের জন্য আল্লাহর কাছে মাগফেরাত কামনা করা। অতীতে দেশবাসী দেখেছে ঝড়-ঝঞ্ঝা বা জলোচ্ছ্বাসের মতো বিপদের সময় সব আয়োজন বাতিল করে কুরআন তেলাওয়াত এবং হামদ নাত চলত অবিরত। আর প্রতিমুহূর্তে থাকতো সাম্প্রতিক খবর। এখনতো দেশে বেশুমার চ্যানেল। যেখানে উচিত ছিল বিপর্যয়ের দৃশ্যের সাথে দেশবাসীকে একাত্ম করা, সেখানে দেখা গেছে কোন কোন টিভি এমন ধুমধারাক্কা নৃত্য দৃশ্য উপস্থাপন করছে নাচনেওয়ালীর অঙ্গভঙ্গি এবং পদভারে টিভি পর্দা ফেটে যাবার যোগাড়। কোন কোন টিভি মালিক এবং কর্মকর্তা সাভারের দৃশ্য সরাসরি না দেখালেও তারা তাদের দর্শকদের ব্যাডমিন্টন খেলার দৃশ্য সরাসরি দেখাতে ভুল করেনি। কি চমৎকার বদান্যতা। কি চমৎকার বুদ্ধি বিবেচনা। তবে তারিফ করতেই হয় হাতেগোনা তিন থেকে চারটি টিভির। তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে সাভার ট্রাজিডিকে সরাসরি সম্প্রচার করে দেশবাসীর সাথে নিজেদেরকেও একাত্ম করেছেন। প্রতিটি মুহূর্ত এবং প্রতিটি উদ্ধার কর্ম, ব্যথিতের বেদনার সাথে নিজেদের বেদনাকে মিশিয়ে দিয়ে তারা মহীয়ান হয়েছেন। মিডিয়ার কাছে জনগণের প্রত্যাশা এমনটাই। যেসব টিভি সরাসরি প্রচার করেছে, মৃত এবং উদ্ধারকৃত ব্যক্তির প্রতিটি ক্ষণ, রোদ এবং অন্ধকার কোনটাই তাদের দায়িত্বকে বাধাগ্রস্ত করতে পারেনি। তাদের সেই সাহসিকতা, কর্তব্যপরায়ণতা, দায়িত্ববোধ প্রতিটি দর্শককেই মুগ্ধ করেছে। কৃতজ্ঞতায় করেছে আপ্লুত। বাংলাদেশের মানুষ সেসব টিভি এবং টিভি সাংবাদিকদের স্মরণ রাখবে দীর্ঘ সময়।
যেসব টিভি মালিক এবং কর্মকর্তা বাংলাদেশের সকল বিপর্যয়ের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে স্বইচ্ছায়, অবশ্যই দেশবাসী এবং বেদনাযুক্ত মানুষগুলোর ঘৃণা তাদেরকে বহন করতে হবে বহুকাল। সরাসরি প্রচার না করতে পারলেও এত মানুষের দুঃখবোধটিকেও কি ধরা সম্ভব ছিল না? খবরে দুএকটি দৃশ্যের বয়ান এরা প্রচার করেছে অবশ্য। এতেই বোধ হয় তারা ভাবছে বাপের কাজ করে ফেললাম। তাছাড়া বিটিভি তো মাশাআল্লাহ। শাসকদের পুঁথিপাঠ করতে করতেই এরা ঘর্মাক্ত কলেবর।
উল্লেখ্য পত্রিকায় একজন কিশোরীর পায়ের পাতা দেখা যাচ্ছে এমন একটি ছবি। কিশোরীর এই উদ্ধত পায়ের পাতাটি কি সেইসব টিভি মালিক এবং কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যেই তাক করা আছে যারা এতবড় বেদনাকে অবজ্ঞা করল। অর্থ কামাইয়ের স্বপ্নে থাকল বিভোর।
(ঙ) হয়তো লাশের সংখ্যা বাড়বে, আরো নিখোঁজের তালিকাও দীর্ঘ হবে, সাথে স্বজনদের বিলাপ ভারি করবে কেবল সাভার নয় সমগ্র দেশের বাতাস, পরিবেশ। মা হারা, সন্তান হারা, স্বামী হারা, স্ত্রী হারার কান্না দীর্ঘ সময় ধরে অনুরণিত হবে। কিন্তু কান্নার এই অনুরণন কি ভাঙ্গতে পারবে গার্মেন্টস মালিকদের পাষাণ হৃদয়ের দেয়াল? শাসকশ্রেণীর কূটকৌশলের জঞ্জাল। তাই বিপদগ্রস্ত অভাজনদের একমাত্র ভরসা সেই সর্বশক্তিমান। এমন বিপদে নজরুলের ভাষায় উচ্চারণ করতে হয় ‘দাও শৌর্য, দাও ধৈর্য, হে উদার নাথ। দাও অমৃত জনে/ দাও ভীত চিত জনে/ শক্তি অপরিমাণ/ হে সর্বশক্তিমান।’
শেষ কথা : খবর এসেছে রানা প্লাজার রানা বেনাপোল সীমান্তে ধরা পড়েছে। ধরাতো অনেকেই পড়ে। ক’জনেরই অপরাধ পরিমাপ করা হয়। যদি সেই অপরাধীর পরিচয় থাকে যুবলীগ বা আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত; স্মরণযোগ্য ধৃত এই সোহেল রানা সাভার যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক। এমনটাই পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads