শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৩

সম্ভাবনাময় এ দেশটি যাচ্ছে কোথায় ?



আল মোকাদ্দিমা, অগ্নিবীণা, আমার দেখা রাজনীতির ৫০ বছর, বরফ গলা নদী, রাষ্ট্র নায়ক জিয়া, শেখ মুজিবের অসমাপ্ত আত্মজীবনী, বিভিন্নভাবে আপ্লুত করে বিভিন্নজনকে। উন্নত চিন্তার উৎকর্ষতা, বিশ্বাস ও উপলব্ধিতে পরিপূর্ণ ইসলামী জীবনবোধ সম্পন্ন সত্যিকারের মোমেন মানুষের পরিচিতিই আলাদা। ধর্মের পরশ পাথরের অপূর্ব ছোঁয়ায় সমৃদ্ধ মানুষেরা পরজগতের আশায় আত্মার মুক্তি, জীবন-জগৎ, মহান আল্লাহর সৃষ্টি জগৎ এবং মানব জন্মের সার্থকতা খুঁজতে মরিয়া সব সময়। আল্লাহর রাহে মেধা, প্রতিভা, ধন-দৌলত ইত্যাদি বিলিয়ে শান্তি পান আল্লাহর প্রিয় বান্দারা। আমাদের জীবনের গতিকে কেউ কেউ বাংলাদেশ কিংবা সাউথ এশিয়ার গন্ডিতে বন্দি না রেখে চলে যান দূর-দূরান্তে। চলার এ পথ কখনো কণ্টকাকীর্ণ আবার কখনো কুসুমাস্তীর্ণ। দেশ জাতি এবং ধর্ম রক্ষায় আল্লাহ এবং তার প্রিয় বন্ধু বিশ্ব নবীর প্রতি আস্থাশীলদের চরম বিপদে ধৈর্য্যরে পরিচয় দিতে হয়। কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীরা প্রতিনিয়ত জীবনের নজরানা পেশ করছেন অবলীলায়। মোঘল সম্রাট শাহজাহান কাশ্মীরের নৈসর্গিক সৌন্দর্যে অভিভূত হয়ে বলেছিলেন, “মর্ত্যে কোথাও যদি স্বর্গ বিরাজ করে তবে এখানে এবং এখানেই”। আল্লামা ইকবাল বলেছিলেন, মধ্য এশিয়ার দেশ কাশ্মীরে যখন জাগরণ সৃষ্টি হবে তখন কাশ্মীরের উত্থান সূচিত হবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে এক অপরূপ লীলাভূমির নামই কাশ্মীর। আধিপত্যবাদের কাছে কাশ্মীরের হাজার হাজার মুসলিম নর-নারীর সম্ভ্রম লুন্ঠিত হচ্ছে বহু কাল ধরে। হায়েনাদের নির্যাতনের সকল সীমা অতিক্রম করছে। স্বাধীনতার দাবিতে সুদীর্ঘ অর্ধ শতাব্দী ধরে কাশ্মীরের পবিত্র জমিনে হাজার হাজার শহীদের খুন চাপা পড়ে যাচ্ছে। বিশ্ব বিবেক মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে। সেই প্রাচীন যুগ থেকেই বিভিন্ন স্থানে মুসলমানরা শত্রুবেষ্টিত। প্রকৃত মুসলমানদের শত্রু চারিদিকেই। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না আমাদের গরীয়ান ইসলামি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও গর্বের কাছে বারবার পরাজিত হচ্ছে তাগুত শক্তি ও তার দোসররা। পাশ্চাত্য ইহুদীবাদী এবং ভারতীয় ব্রাহ্মণ্যবাদী তথা ধর্ম বিরোধীদের অপতৎপরতায় ক্ষিপ্ত হয়ে কবি ইকবাল বলেছিলেন, “তরবারির ছায়াতলে এসেছি আমরা পালনা হয়ে/নিশান মোদের চাঁদ সেতারা, হিম্মত মোদের অহংকার”। পৃথিবীতে সভ্যতা বিকাশের পর থেকেই প্যালেস্টাইন এক সভ্য জাতি। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ওখানের ৯০% মানুষ ছিলেন মুসলমান। বর্তমানে প্যালেস্টাইন নামের পবিত্র ভূমির ভাগ্য নির্মাতা হচ্ছে ইসরাইল এবং আমেরিকা। পৃথিবীতে আগত প্রায় সকল নবীগণের পদধুলিতে ধন্য এই প্যালেস্টাইন। হযরত ইব্রাহীম (আ.) ইরাক থেকে এসেছিলেন প্যালেস্টাইনের হেবরনে। মুসা (আ.) তাঁর গোত্র নিয়ে সিনাই অঞ্চলের কোন এক স্থানে কিংবা জেরুসালেমে বসতি স্থাপন করেছিলেন। হযরত ঈসা (আ.) এর জন্মস্থান হচ্ছে প্যালেস্টাইন। হযরত দাউদ (আ.) এর রাষ্ট্রের রাজধানী ছিল জেরুসালেম। জেরুসালেম অসংখ্য নবী রাসুল অলি আউলিয়া, বাদশা ও গুণীজণের স্মৃতি বিজড়িত এক সমৃদ্ধ জনপদ। পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীনতম এ শহরের জেরুসালেমের বায়তুল মোকাদ্দাসে বিশ্বনবী মেরাজ রজনীতে নামাজ পড়ে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। অর্বাচীনদের কারণেই প্যালেস্টাইনে আজ চরম দুর্দিন। পরাশক্তির কারণে মুসলমানদের  পরাজয়ের পথ প্রশস্ত হচ্ছে। ইরান, ইরাক, মিসরসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশের আকাশে আজ কালো মেঘের ঘনঘটা।
বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশগুলো আজ বিভিন্ন মোড়কে আক্রান্ত হচ্ছে। শাহজালাল, শাহপরান, নাসির উদ্দিন সিপাহসালার, আমানত শাহ, বায়েজিদ বোস্তামী, তিতুমীর, শাহ মাখদুম, শাহ সুলতান রুমী, হাজী শরীয়ত উল্লাহ, সিরাজ-উদ-দৌলা, খান জাহান আলী, বাবা আদম শহীদ, বুরহান উদ্দিন, আল্লামা ছাহেব কিবলা ফুলতলী এবং আল্লামা আহমদ শফী প্রমুখ ইসলামী সিপাহসালার, শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি, মাওলানা ভাসানী, শেখ মুজিব, শহীদ জিয়া, কর্নেল ওসমানী, হোসেইন মুহম্মদ এরশাদ, খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা প্রমুখ রাজনীতিবিদদের স্ব-স্ব স্মৃতি বিজড়িত এবং হাছন, লালন, আব্দুল করিম, রাধারমণ, দুরবীন শাহসহ অসংখ্য আউল-বাউলদের পূণ্যভূমি ইসলামী ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের মুসলমানরা আজ কি প্রত্যক্ষ করছে? সমসাময়িক হত্যা-রাহাজানিতে মনে হচ্ছে, রোম জ্বলছে আর নিরু বাঁশি বাজাচ্ছে’র মত অবস্থা চলছে। ইসলাম মানবতা তথা আমাদের জাতি সত্তার ওপর আঘাত আসছে বারবার। ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও আদর্শকে হৃদয়ে লালন করেই এর বিরুদ্ধে যুগে যুগে সৃষ্টি হয়েছে জাগরণ, মহাজাগরণ। মুসলিম অধ্যূষিত উজবেকিস্তান, স্পেন, বসনিয়া, চেচনিয়া, হার্জেগোভিনা, তুরস্ক এবং রোমের গৌরবোজ্জল ইতিহাস ঐতিহ্য ক্রমেই ম্লান হচ্ছে একের পর এক সুগভীর চক্রান্তের কারণে। কুটিল চক্রান্তের কারণে তুর্কি কলঙ্ক কামাল পাশা মুসলিম মহিলাদেরকে হিজাব খুলে বাহিরে যেতে বাধ্য করার পরিণাম বিশ্বব্যাপী আলোচিত। ইসলামই নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। নির্যাতিত, নিপীড়িত মজলুমদের কান্নায় আর শোকে বাংলাদেশের নীল আকাশ, স্নিগ্ধ বাতাস আজ প্রকম্পিত। খেলা চলছে আগুন নিয়ে। সময় এসেছে অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সীসা ঢালা প্রাচীরের মত দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করার, প্রতিরোধ গড়ার। মিশকাত শরীফে উল্লেখিত একটি হাদিসে বর্ণিত আছে-“কুল্লু মাওলুদু ইউলাদু আলা ফিতরাতুল ইসলাম”। প্রত্যেক মানুষই জন্মগতভাবে মুসলমান। তৎপর কেউ হিন্দু কেউ খ্রিস্টান কেউ বৌদ্ধ কেউবা নাস্তিক হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। কাজে কর্মে কিংবা আভাস ইঙ্গিতে মহান আল্লাহ কিংবা তার বন্ধু বিশ্বনবী মুহাম্মদ (স.)-এর আদর্শ উদ্দেশ্য ও চিন্তা চেতনার বিরোধিরা ইহজগতে অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয় এবং পরজগতে জাহান্নামী।
বৃটিশ শাসন শোষণ, পাকিস্তানী অত্যাচার অনাচার পরবর্তী অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ১৯৭১-এর ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের উৎপত্তি। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র নির্বাচন পরবর্তী ১১ দফা, ৬ দফা অতঃপর ৬৯’র গণঅভ্যূত্থান, ৭০’র নির্বাচন সর্বোপরি ১০ এপ্রিল ৭১ মুজিব নগর সরকার কর্তৃক গৃহীত ঘোষণা পত্রের কোথাও ধর্ম নিরপেক্ষতার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। সোনার বাংলা শ্মশান কেন শিরোনামে প্রকাশিত দৃষ্টি নন্দন সেই পোস্টারটিও নজর কেড়েছিল পূর্ব পাকিস্তানীদের। পশ্চিমাদের চরম বিমাতাসুলভ আচরণে জাতি যখন একেবারে অতিষ্ঠ ঠিক সেই সময়ের রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলো। শেখ মুজিব কোন অবস্থাতেই বাংলাদেশকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চাননি। ২৫ মার্চ পাক-বাহিনীর বর্বরতায় গোটা জাতি যখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় ঠিক সেই সময়ে জাতির চরম ক্রান্তিকালে ৭১’র ২৬ মার্চ প্রবাদ প্রতিম, সততার অগ্রসৈনিক, অসম্ভব কর্মঠ, দুর্দান্ত সাহসী, খাঁটি দেশপ্রেমিক মেজর জিয়ার কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে সাড়ে সাত কোটি স্বাধীনতাকামী জনতার মাঝে আশার সঞ্চার হলো। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের স্বপক্ষে বিশ্ববাসী এগিয়ে এলো। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে ধর্মনিরপেক্ষতার কোন সম্পর্কই নেই। স্বাধীনতা পরবর্তী কেন এক দলীয় সরকার গঠন হলো এবং ৭২ সনের সংবিধানে কেন এবং কিভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র সংযোজিত হয়েছিল সে  ইতিহাস অত্যন্ত করুণ। পশ্চিমা তাত্ত্বিক, সাম্রাজ্যবাদী এবং আধিপত্যবাদীদের কাছে ইসলাম বরাবরই ভয়ংকর। মুসলিম বিদ্বেষী বার্নার্ড লুইস ৯০ সনে তার লিখা ‘দি রুটস অব মুসলিম বেইজ’-এ মুসলমানদের চিত্রিত করেছেন অত্যন্ত জঘন্যভাবে। স্যামুয়েল হান্টিংটন তার ‘দি ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশন’- এ মুসলিম সম্পর্কে একই মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। আবু জেহেল, উৎবা, সায়বা, সাদ্দাদ, ফেরাউন, হিটলার, মুসোলিনী, দাউদ হায়দার, সালমান রুশদি, তাসলিমা নাসরিনদের সুযোগ্য প্রতিনিধিরা যুগে যুগে বেঁচে থাকবেই। আবু বকর, উমর, শেখ সাদী, রুমী, শাহজালাল, সিরাজ-উদ-দৌলার উত্তরসূরীরা সগৌরবে  বেঁচে থাকবে অনাদিকাল। স্বাধীনতার একক দাবিদার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্মকে রাজনৈতিক কর্মকা-ে ব্যবহার না করতে সর্বদাই সোচ্চার। কিন্তু হিজাব পরিহিত অবস্থায় তসবিহ হাতে নিয়ে জায়নামাজে বসা শেখ হাসিনার ছবিটি এবং লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, নৌকার মালিক তুই আল্লাহ ইত্যাদি বলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া কিসের ইঙ্গিত বহন করেছিল? পঞ্চদশ সংশোধনীতে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বহাল রেখেছে এ সরকারই। বর্তমান সময়ে মহল বিশেষ কর্তৃক বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের দাবি উঠছে। কিছুদিন পূর্বে দেশে ফসল ভাল হওয়ায় দুর্গা দেবীকে সাধুবাদ জানানো হয়েছিল। হেফাজতে ইসলাম সরকার বরাবরে ১৩ দফা দাবি জানিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, ‘দেশ চলবে মদিনা সনদ অনুযায়ী এবং বিশ্বনবীর বিদায় হজ্জের ভাষণের রূপরেখা অনুযায়ী’। সরকার দুই নৌকায় পা দিয়েছে। ফলাফল অত্যন্ত ভয়াবহ।
মদিনায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৬২৪ খ্রিস্টাব্দে ৫৩টি শর্তে প্রণীত ঐতিহাসিক মদিনা সনদটি জাতিসংঘ, চার্টার অব হিউম্যান বা জেনেভা কনভেনশনের চেয়েও শক্তিশালী ও সুদূরপ্রসারী। এ সনদে সকল প্রকার হত্যা নির্যাতনসহ অপরাপর সকল অপরাধসমূহ চিরতরে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, মদিনা রাষ্ট্রে বিরোধ দেখা দিলে বিশ্বনবী ‘আল্লাহর বিধান’ অনুযায়ী তাহা মীমাংসার সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সনদের শর্ত ভঙ্গকারীর উপর আল্লাহর অভিসম্পাত পড়বে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।  প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রেক্ষিতে মদিনা সনদ অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হলে নতুন করে  ১৩ দফা বাস্তবায়নের প্রয়োজন পড়বে কি না জানি না। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ডঃ মিজানুর রহমান ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের চরম অবমাননা করে বলেছেন আগামী ২০ বছর পরে এ দেশে হিন্দুর অস্তিত্বই থাকবে না। ধর্ম, ধর্মীয় অনুভূতিতে সুড়সুড়ি প্রদান করে মারাত্মক ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি সূচক এহেন বক্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে সদাশয় সরকার কি কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন? শেখ মুজিব বিদ্বেষী শাহরিয়ার কবিররা আজ করছেনটা কি? ২০০১ সনের নির্বাচন পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে যাবার বিষয়টি তিনিই ভাল বলতে পারেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানী, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা এবং বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ দেশ ভারতে বিজেপি, শিবসেনা, মুসলিম লীগ, হিন্দু মহাসভা, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দল বিদ্যমান রয়েছে। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের গুলবাগ এই বাংলাদেশে রয়েছে সম্প্রীতির সুদৃঢ় বন্ধন। আমাদের পবিত্র সংবিধানে ৩৯ (১) বিধান মতে মত প্রকাশে প্রত্যেক নাগরিকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ৪১ (ক) মতে প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মপালন, চর্চা, অনুশীলন ও প্রচারের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। এ অবস্থায় ৯০% মুসলমানের দেশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি জাতিকে চমকে দিচ্ছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় শাহবাগের জাগরণ মঞ্চের কিছু ব্লগাররা যখন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করতে এবং আল্লাহ, বিশ্বনবী কোরআন হাদিস নিয়ে মারাত্মক কটূক্তি করতে থাকলো তখন ইসলামপ্রিয় জনতা নিমিষেই জ্বলে উঠল। সরকারের কণ্টকাকীর্ণ বাধার বৃত্ত, গুলী, কারা শৃঙ্খলার রক্ত চক্ষুসহ অসংখ্য বাধার প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে ৬ এপ্রিল ঢাকা মুখী ইসলামপ্রিয় জনতার স্রোত ঢাকার শাপলা চত্বরে মিলিত হলো- মহাসাগরের উর্মিতে আসমুদ্রহিমাচলে বিশ্ব নবীর শত্রুদের বিরুদ্ধে এক মহাজাগরণের সৃষ্টি করেছিল। ইসলাম বিদ্বেষী দালাল চক্র এ গণজাগরণে বিচলিত ও আতংকিত। ৮৫ কোটি টাকার বিনিময়ে ৬ তারিখের লং মার্চ হয়েছে এবং আমার দেশ পত্রিকা অফিসে টাকা লেনদেনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের বক্তব্যটি অবশ্যই প্রমাণের দাবি রাখে। সুরঞ্জিত বাবু পাকা রাজনীতিবিদ হয়েও সরকারের বুদ্ধিমত্তায় মাত্র ৭০ লাখ টাকা লুকিয়ে রাখতে পারলেন না। এত পুলিশি নজরদারীর মাঝে মাহমুদুর রহমান এত টাকা নিলেন কিভাবে? আলেম ওলামারা পাঞ্জাবি এবং পায়জামার ছোট্ট পকেটগুলোতে এত টাকা রাখবেনই বা কিভাবে? জনাব হানিফের বক্তব্য অসত্য প্রমাণিত হলে বিচারের ভার জনতার হাতেই অর্পিত হবে। সরকার এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিলে জাতি উপকৃত হবে।  দেশের বরেণ্য আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে এহেন উক্তির প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অত্যন্ত চতুরতার সাথে শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, পহেলা বৈশাখ, পহেলা মে সহ বিভিন্ন জাতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ দিবসে জাগরণ মঞ্চের সভা সমাবেশ নিয়ে তাদের দেউলিয়াত্ব পরিস্ফূটিত হওয়ায় প্রতিনিয়ত নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে।
রাজনৈতিক কারণেই সরকার জামায়াতে ইসলামীকে বাতিল করবে না বলে ধারণা করছে অনেকেই। যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে সরকারের আচরণে শঙ্কাতো আছেই। হেফাজতে ইসলামকে লক্ষ্য করে যখন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিড়ালের মতো লেঙ্গুড় গুটিয়ে তারা চট্টগ্রাম চলে গেছেন তখন স্বাভাবিকভাবেই  প্রশ্ন জাগে তাহলে তিনি কি হেফাজতে ইসলাম কিংবা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সিংহের মতো গর্জন দেয়ার উস্কানি দিচ্ছেন? পত্রিকা এবং টক শো দৃষ্টে মনে হচ্ছে হেফাজতে ইসলাম আর যাই করুক না কেন বিজাতীয় চেতনায় লালিত চেনা জানা চিহ্নিত কিছু বুদ্ধিজীবীদের পবিত্র কোরআন দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। নিজেদের চরিত্র আড়াল করতে তারা এখন দ্বারস্থ হচ্ছেন পবিত্র কোরআনের। উর্বর মস্তিষ্কের অনেক মুসলিম বুদ্ধিজীবী আছেন যাদের দুর্গাপূজা কিংবা স্বরস্বতী পূজার অনুষ্ঠানে পাওয়া গেলেও ঈদে মিলাদুন্নবী, শবেবরাত, শবেকদর কিংবা আখেরি চাহার শম্বার কোন অনুষ্ঠানে তাদের দেখা মিলেনি হারিকেন জ্বালিয়েও। দেশকে অরাজকতার দিকে ধাবিত করে এবং অনেক কিছু হাসিল করে সৈয়দ আশরাফদের এখন বোধোদয় হলো রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আদালতে যাওয়া মোটেই ঠিক নয়। বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা, জাতির জনক ও স্বাধীনতার ঘোষক নির্ধারণ করা, জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ করা, দুই নেত্রীকে একত্রে আলোচনায় বসার ব্যাপারে আদালতের আশ্রয় নিয়ে কারা সুফল ভোগ করছেন। জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবে আজ এ কথা স্বীকৃত যে, বাংলাদেশ আজ কঠিন সংকটকাল অতিক্রম করছে। মানবতা, গণতন্ত্র আজ চরম ভাবে বিপন্ন। সরকারের বিভিন্ন গণবিরোধী কর্মকা- এবং ইসলাম বিরোধী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের এক কিংবদন্তির নাম মাহমুদুর রহমান। দেশ বিদেশে এক অকুতোভয় সাহসী বীর মুজাহিদের নামই মাহমুদুর রহমান। গুঞ্জন আজ শঙ্কা ছিল যেকোন মুহূর্তে মাহমুদুর রহমান গ্রেফতার হচ্ছেন। প্রায় ৩ মাস তিনি আমার দেশ অফিসে অঘোষিতভাবে বন্দী ছিলেন। শাহবাগ তথা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অনেকেই তাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন অত্যন্ত জোরালোভাবে। ২০১০ সনের ১ জুন মধ্যরাত্রে মাহমুদুর রহমান গ্রেফতার হয়েছিলেন। মেরুদ- সোজা রেখেই ৯ মাস কারা ভোগের পর বিজয়ীর বেশে খোলা আকাশের নিচে মুক্ত বিহঙ্গের মতো  বিচরণ করছিলেন। কোন বাধাই তাকে আটকে রাখতে পারেনি। সত্য প্রকাশের দায়ে ১১ এপ্রিল সকাল ৮.৫০ মিনিটে পুলিশ আমার দেশ কার্যালয়ে হানা দিয়ে মাত্র ১৩ মিনিটেই রতœগর্ভা মায়ের সন্তান মাহমুদুর রহমানের গ্রেফতার কার্য সম্পন্ন করল। দু’রাকাত নফল নামাজ পড়ার এবং পাজামা পরিধানের সুযোগ পাননি বাংলাদেশের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব মাহমুদুর রহমান। লুঙ্গি পরেই অফিস থেকে বের হতে বাধ্য হলেন। একের পর এক নিত্য নতুন মামলা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে। তার মুক্তির দাবিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পালিত হচ্ছে অসংখ্য কর্মসূচি। ১৩ দিনের রিমা-ে আছেন মাহমুদুর রহমান। অত্যন্ত আশংকাজনক অবস্থায় তাকে ১৮ এপ্রিল বিএসএমএমইউর কার্ডিয়াক ইমার্জেন্সীতে ভর্তি করা হয়েছে। রিমান্ড এবং অজ্ঞাত আসামীর নামে পুলিশি বাণিজ্য আজ অত্যন্ত রমরমা। মাহমুদুর রহমানের বৃদ্ধা মায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সরকার জনগণের কাছে কি বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে? কেউ কেউ আশংকা করছেন মাহমুদুর রহমান হয়তো  খোলা আকাশের নিচে আর সুস্থ অবস্থায় ফিরে নাও আসতে পারেন। এ সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকা আমার দেশ অফিসে তালা ঝুলছে। বিকল্প ব্যবস্থায় পত্রিকা প্রকাশের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। এ সরকারের অতীতের ধারাবাহিকতায় গর্বিত এ জাতির জন্য এটা সত্যিই অশনি সংকেত। দেশের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন বিএনপির অফিস আজ অবরুদ্ধ। কেন্দ্রীয় প্রায় সকল নেতৃবৃন্দ কারাগারে বন্দি। টপ টেরর বিকাশরা আজ জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছে। পরিচ্ছন্ন রাজনীতির অহংকার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রিজভী আহমদের প্রতিনিয়ত ঢুকানো হচ্ছে ঢাকা সেন্ট্রাল জেল কিংবা কাশিমপুর কারাগারে। ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ার বলেছিলেন, আমি কারো মতের সাথে একমত না-ও হতে পারি তবে তার মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত। ডঃ ইউনূস পৃথিবীর প্রথম মুসলমান যিনি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানসূচক প্রেসিডেন্সিয়াল ফ্রিডম ও কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেলে ভূষিত হয়ে পুনরায় বিশ্বের দরবারে আমাদেরকে সম্মানিত করলেও তারা দেশে উপেক্ষিত, অপমানিত। ৭৩ সনে তৎকালীন সরকার ন্যাপ নেত্রী মতিয়া চৌধুরীদের দলীয় অফিস জ্বালিয়ে দেয়ার স্মৃতি অনেকেই ভুলেনি। হাসান হাফিজুর রহমান দৈনিক বাংলার প্রধান সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত হওয়ার বিষয়টি ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ আছে। অতি সম্প্রতি সংগ্রাম সম্পাদক বৃদ্ধ আবুল আসাদ কারাভোগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে আবারও নতুন মামলা হয়েছে। কিউবার অবিসংবাদিত নেতার আসনে অধিষ্ঠিত বিপ্লবের এক মহানায়ক রাষ্ট্রপতি ফিদেল ক্যাস্ট্রোকে কেন এবং কারা বার বার হত্যার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল তাহা সচেতন রাজনীতিবিদদের মনোমন্দিরে চির জাগরুক থাকবে। অহিংস আন্দোলনের নামে পুলিশ প্রহরায় শাহবাগীরা আজ লাঠি মিছিল করছে। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা আমাদের ঠিকানা হলেও সেখান থেকে গাওয়া হচ্ছে অজয় নদীর পাড়ের গান। আমির ফতেহ উল্লাহ সিরাজী বাংলা সনের জনক। সম্রাট শাহজাহান বাংলা সনের স্মৃতিতে অমর অক্ষয়। ডঃ শহীদুল্লাহ, কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল। ময়ূর ভারতের জাতীয় পাখি আর দোয়েল হচ্ছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় পাখি। এ মাটির গর্বিত কৃষক শ্রমিকের শ্রম ঘাম তথা দেশের অগণিত শেকড় সন্ধানী মানুষের সংস্কৃতিতে জড়িয়ে থাকা ফসলীসন বা বাংলা সনের র‌্যালী কিংবা অনুষ্ঠানাদিতে বিজাতীয় সংস্কৃতিতে আতংকের শেষ নেই। র‌্যালীতে গণেশের ভাই কার্তিকের বাহন ময়ূর শোভা পেলেও আমার দেশের দোয়েল শ্যামা শালিক কোথায়? ফতেহ উল্লাহ সিরাজী, সম্রাট শাহজাহান, ডঃ শহীদুল্লাহরা বুঝি বিজাতীয় সংস্কৃতির দাপটে আজ উপেক্ষিত। নজরুলের অগ্নিবীণার, “ঐ নতুনের কেতন উড়ে, কাল বোশেখীর ঝড়, তোরা সব জয় ধ্বনিকর”- এগুলো যেন মঙ্গল শোভা যাত্রার ঠেলায় একেবারেই হারিয়ে যাচ্ছে। আম, কদম, হিজল, কিংবা জারুল গাছের নিচে না হয়েও বিভিন্ন পূজার সাথে সংশ্লিষ্ট বটগাছের নিচে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানাদি নিয়ে রয়েছে ভিন্ন জনের ভিন্ন অভিমত। অযুত সম্ভাবনার দেশটা যাচ্ছে কোথায়? ১২ এপ্রিল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কুকুরের কয়টি দাঁত আছে প্রশ্নটি দেশের তথাকথিত প্রশ্নপ্রণেতা শিক্ষাবিদদের নীতি নৈতিকতা ও বিচক্ষণতায় ধিক্কার জানাতেই হয়। আমি প্রথমত মুসলমান। তৎপর বাংলাদেশী। ইসলামী ইতিহাস-ঐতিহ্য, ভাষা আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। ইসলামী চেতনায় সমৃদ্ধ হেফাজতে ইসলামকে অচল করে দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা আলমগীরের হুমকী সত্যিই আশংকাজনক।
দেশ ক্রমেই ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে অস্থিরতা। বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ। বিশ্বনবীর সুন্নত নিয়ে দাড়ি টুপিওয়ালারা বিভিন্ন ভাবে বিপদগ্রস্ত। সরকারবিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ঠাসাঠাসিতে কারাগারে জায়গার সংকুলান হচ্ছে না। সরকারি তুঘলকি কর্মকা-ে প্রতিনিয়ত আশংকা ও নানাবিধ শঙ্কার মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সত্যের সন্ধানে সাহসীদের আজ বড়ই প্রয়োজন। গণতন্ত্র ও দেশের স্থিতিশীলতার জন্য পারস্পরিক আলাপ আলোচনার বিকল্প নেই। কারাবন্দী নেতৃবৃন্দের এবং মাহমুদুর রহমানের মুক্তি আজ সময়ের দাবি। আমাদের সকলেরই মনে রাখা প্রয়োজন যে, “এই সরকারই বাংলাদেশের শেষ সরকার নয়”। পবিত্র ধর্ম ইসলাম নিয়ে লুকোচুরি খেলার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। একজন স্বাধীনচেতা সাংবাদিক কিংবা বরেণ্য ব্যক্তির ক্ষুরধার মসির আঘাতে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় মাকড়সার জালের মতো অত্যাচারী স্বৈরাচারী শাসকদের সকল নীল নকশা। নিরপেক্ষ নিঃস্বার্থ আদর্শবান কলম সৈনিকদের ধারালো কলমের ফলা শানিত তরবারি কিংবা বুলেটের চেয়েও ক্ষমতাধর এবং প্রলয়ঙ্করী। বর্তমান প্রেক্ষাপটে পিচ্ছিল ও দুর্গম পথ চলতে দেশ প্রেমিকদের থাকতে হবে সদা জাগ্রত। অতন্দ্র প্রহরীর মতো অত্যন্ত ধীর-স্থির ভাবে তীক্ষè বিচক্ষণতায় মহান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রেখে ঈমানী চেতনাকে বুকে লালন করে দেশপ্রেমিকদের অপ্রতিরোধ্য দুর্বার গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। চারিদিকে জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা। সরকারি নির্যাতন নিপীড়নের মাত্রা অতিক্রান্ত হচ্ছে। টিআইবিসহ সকল মহলের সমর্থনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে এর কোন বিকল্প নেই। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনিসহ সরকারের অনেকেই বলছেন জাতি আজ দুভাগে বিভক্ত। আর তাই যদি সত্য হয় তবে এর একদিকে রয়েছেন ইসলামী চিন্তা চেতনায় উদ্ভুদ্ধ, ৫২’র ভাষা আন্দোলন ও ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে লালিত দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ। উপদেষ্টা মশিউর রহমান, আবুল হোসেন, আবুল হাসান গংদের সম্পৃক্ততায় পদ্মার দুর্নীতিতে লাভালিন নিষিদ্ধের পর সরকার এখন আর কিই বা বলবে? জীবন চাঞ্চল্যের সত্য ও সুন্দরতা বুকে ধারণ করে শান্তিপূর্ণভাবে সকল অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে আজ এক কাতারে আসতে হবে। দেশটাকে বাঁচিয়ে রাখতেই হবে। আধিপত্যবাদী চক্রান্ত এবং অনেক পরাশক্তির লোভ প্রতিহত করতে, দেশে হত্যা নির্যাতন বন্ধ করতে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধ্বংসপ্রায় দেশটাকে বাঁচাতে এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আহবানে সাড়া দিয়ে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। তার সময়োপযোগী সাহসী পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। দেশের বাস্তবতায় বারবার মনে পড়ছে মানবতার কবি নজরুলের কবিতার,
“বাজিছে দামামা, বাঁধরে আমামা/শির উঁচু করে মুসলমান
দাওয়াত এসেছে নয়া জামানার/ভাঙ্গা কেল্লায় উড়াও নিশান”॥

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads