শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৩

সমাধানের পথ আগের মতোই কণ্টকাকীর্ণ

ভুক্তভোগী নিজেই অনেক সময় বোঝে না, কী দুরারোগ্য প্রাণঘাতী ব্যাধিতে সে আক্রান্ত, যে কারণে সে নিরুদ্বেগ ও নিশ্চিন্ত মনে দিন যাপন করতে পারে। এ কথা ব্যক্তিমানুষের ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য, দেশ, জাতি ও রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ব্যক্তিজীবনের ক্ষেত্রে অপর একটি বড় সমস্যা হলো, অনেকেই বুঝতে পারেন না, কোনটা আত্মবিশ্বাস আর কোনটা অহঙ্কার, সঠিক অনুধাবন করতে পারেন না অজ্ঞতা ও প্রাজ্ঞতার প্রভেদরেখা; ফলে সে ঋভু (দেবতা) নাকি ঋষভ (বলদ) সেটা তার কাছে সম্যক বোধগম্য হয় না। এ ধরনের ব্যক্তি কখনো কখনো অনেক ওপরে ওঠে সত্য, কিন্তু তারা কখনোই আপন স্বার্থচিন্তা ও প্রবৃত্তির লঘুবিলাসকে অতিক্রম করতে পারে না। বলা বাহুল্য, এমন মানুষ যদি কোনো দেশের নেতৃত্বে ব্রত হন, যদি রাষ্ট্রক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান নেন, তাহলে বুঝতে হবে, কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করেও সেই দেশ ও রাষ্ট্রকে কাক্সিত মর্যাদা ও মহিমায় অধিষ্ঠিত করা সম্ভব হবে না। সম্ভব তো হবেই না, বরং এর অস্তিত্বই চরম সঙ্কটের মধ্যে বিপন্ন হয়ে উঠবে। এটা আমাদের মস্তিষ্কপ্রসূত বা আবেগতাড়িত কথা নয়, এটাই অলঙ্ঘ্য বাস্তবতা। বিদগ্ধ পাঠক সমীপে উপক্রমণিকাস্বরূপ কথাগুলো বলতে হলো এ জন্য যে, দেশ আজ এক কঠিন ও সঙ্কটে আপাদমস্তক নিমজ্জিত। এ অবস্থা থেকে উত্তরাণের উপায় নিয়ে বহুভাবে বহু উৎকৃষ্ট আলোচনা করা যায়, বহু অব্যর্থ ব্যবস্থাপত্রও দেয়া যায়, কিন্তু তা দিয়ে প্রকৃত কোনো কাজ হওয়ার কথা নয়। কারণ সমস্যার প্রকৃত কারণ যেখানে নিহিত, সেই স্থানটিকে চিহ্নিত না করে শুধু চিত্তাকর্ষক আলোচনা নিয়ে পাণ্ডিত্য প্রমাণ করা যায়, ব্যাধিমুক্ত করা যায় না। সবাই দেখছেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে একটি প্রায় অনতিক্রম্য পরস্পরবিরোধী সাংঘর্ষিক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে; কিন্তু আমরা ভেবে দেখেছি, এটা বস্তুত কোনো সমস্যা নয়, মূল সমস্যার দৃশ্যমান বহিঃপ্রকাশ মাত্র। তাহলে প্রকৃত সমস্যাটা কী এবং তা কোথায় নিহিত? আমরা এই বিষয়েই কিছু আলোচনা তুলে ধরার আশা রাখি; এবং সেই সাথে এই আশাও পোষণ করি যে, পাঠক আমাদের কথা নিশ্চয়ই কিছুটা ভেবে দেখবেন। বাংলাদেশ নামের আমাদের এই স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রটির যে কিছু অবশ্যস্বীকার্য উপাদান আছে, তার মধ্যে প্রধানতম হলো, এই দেশ ৯০ শতাংশ ধর্মপ্রাণ তাওহিদি মুসলমানের দেশ। ধর্মনিরপেক্ষতা ও অন্য নানা মতবাদের প্রতি কোনোরূপ প্রীতি ও দুর্বলতার কারণে বিষয়টি ভুলে থাকা অবশ্যই স্বেচ্ছাবৃত আত্মঘাত। বাহ্যত যা-ই মনে হোক, এই আত্মঘাতী প্রবণতা যদি প্রবল হয়ে ওঠে, তখন নানাবিধ অনুচিত উপসর্গ রাজনীতিকে বিপন্ন ও প্রীতিপ্রদ করে তুলবেই। কারণ একটি জাতির ধমনী ও শিরায়-উপশিরায় বিশ্বাস ও আত্মপরিচয়ের যে প্রাণস্রোত প্রবাহিত, তাকে অস্বীকার করার চেয়ে বড় আর কোনো মূঢ়তা হয় না। এ জন্যই প্রগতি ও আধুনিকতার পথে কুণ্ঠাহীন অগ্রযাত্রা সত্ত্বেও পৃথিবীর ুদ্র-বৃহৎ কোনো দেশই স্বধর্মকে হেয় ও প্রশ্নবিদ্ধ করে না, করার কথা ভাবতেও পারে না। আর এই হেতুই মুখে যা-ই বলুক, কোনো দেশ আপন ধর্ম ও পরিচয়কে ভুলক্রমেও বিসর্জন দেয়ার কথা ভাবে না। কারণ তারা জানে, ধর্ম ও ধর্মীয় অনুরাগ শুধু অপ্রয়োজনীয় সংস্কার মাত্র নয়; ধর্ম একটি শক্তি, একটি আত্মিক ও নৈতিক সম্পদ, জীবনের সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে সংলগ্ন ও অন্তরঙ্গ এক মহার্ঘ অভিজ্ঞান। কিন্তু এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান খুবই আপত্তিকরপর্যায়ে অবস্থিত, যা আমাদের রাজনৈতিক বিশ্বাস ও দর্শনকে মারাত্মকভাবে অসার ও ন্যুব্জ ও হীনবল করে তুলছে। বলা আবশ্যক, এই অসার আত্মদর্শনের পথ ধরেই আমরা আজ ঘোরতরভাবে আত্মবিভক্ত এবং রাজনীতিও বহুমুখী ও বহুমাত্রিক বিভাজনের করুণ শিকার। প্রত্যক্ষ রাজনীতির সাথে এই আলোচকের কোনো সম্পর্ক ও সংলগ্নতা নেই; কিন্তু এটুকু অনুধাবন করতে পারি, আলোচ্য ব্যাধি নিরাময় না-হওয়া পর্যন্ত আমাদের রুগ্ণ ও ব্যক্তিসর্বস্ব রাজনীতির স্বাস্থ্যে এবং চরিত্রে ইতিবাচক সুষমা সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ ধারণা হয়, রাজনীতির যে কুৎসিত চেহারা দেখছি, তা আরো অনেক দিন অক্ষত থাকবে, আরো অনেক দিন আমাদের বিপদাপন্ন করে রাখবে। অবশ্য যদি কোনো অলৌকিক কারণে রাজনীতিকদের মধ্যে উপযুক্ত বোধোদয় ঘটে, তাহলে অন্য কথা। অপর একটি বিষয়ও মনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। অনেকে স্বীকার করবেন, আমাদের রাজনীতির অন্তর্নিহিত অসঙ্গতি ও দুর্বলতার কারণে দেশের অভ্যন্তরে একটি বিশাল ও পরাক্রান্ত পঞ্চম বাহিনী গড়ে উঠেছে। তাদের চেনা খুব কষ্টসাধ্য নয়, কিন্তু তাদের পরিচয় জনসমক্ষে তুলে ধরা নানা কারণে কঠিন। তাদের কাজ হলো অনৈক্যতাড়িত রাজনীতিকদের মধ্যে আরো বেশি ফাটল ও অবিশ্বাস এবং প্রতিহিংসা সৃষ্টি করা। অনুমান করা যায়, কিছুটা অনুভবও করা যায়, প্রকৃতিগতভাবে অত্যন্ত শঠ ও চতুর এই ধূর্ত পঞ্চমবাহিনীর লক্ষ্য অনেক দূর প্রসারিত; যাদের বর্তমান কাজ হলো মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিভেদ ঘনিয়ে তোলা এবং ইসলামকে লোকচক্ষে হেয়প্রতিপন্ন করা। এরা এই কাজটি প্রথমে রাজনীতিকদের মধ্যে সক্রিয় রাখাই অধিক ফলপ্রসূ বিবেচনা করে। দেশ যদি এদের ব্যাপারে নিষ্ক্রিয় ও উদাসীন হয়ে কালক্ষেপণ করে চলে, তাহলে বর্তমান সমস্যা তো সামান্য, আশঙ্কা হয়, একদিন আরো কোনো শোচনীয় পরিণতিকে বরণ করে নিতে হবে। সংস্কৃতি একটি জাতির সৌন্দর্যবোধের স্বাক্ষর; কিন্তু এটাও মনে রাখা প্রয়োজন যে, সংস্কৃতি সর্বনাশসাধনের একটি অব্যর্থ হাতিয়ারও হয়ে উঠতে পারে এবং ওঠে। আর এ কারণেই কখনো কখনো কোনো দেশ ও জাতি সংস্কৃতিমনস্ক হতে গিয়ে নিজের অজান্তেই গভীর গহ্বরে নিপতিত হয়। বাংলাদেশকে যারা আপন অভিজ্ঞানে শক্ত পায়ে দাঁড়াতে দিতে চায় না, সেই মতলবি বন্ধুদের কাছে সংস্কৃতি চর্চা একটি মনোরম অস্ত্র। অস্ত্রই বটে, কারণ সংস্কৃতির মধুর ও মনোরম মুখচ্ছবি দেখে প্রথমে বোঝাই যায় না, কী হতে পারে এই সুষমাজড়িত মুখশ্রীর আকর্ষণে জড়িয়ে গেলে! সংস্কৃতির প্রকৃত লক্ষ্য হওয়া উচিত, কোনো জাতির নিজস্ব অভিজ্ঞানের মধ্যে দৃঢ়তা সৃষ্টি করা, সত্য ন্যায় ও শুভত্বকে বাঙ্ময় করে তোলা। কিন্তু এখানেও সেই একই কথা, কপট-বন্ধুদের কারণে সংস্কৃতি এমন এক অপরিহার্য নিয়ামকে পরিণত হয়েছে, যা শুধু সংস্কৃতিসেবীদের নয়, আমাদের বুদ্ধিদীপ্ত বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিকদেরও যথেষ্ট পরিমাণে আত্মভ্রষ্ট করে তুলেছে। অথচ বিষয়টি এমন স্পর্শকাতর যে, তা নিয়ে সুস্পষ্টরূপে কিছু বলাও কঠিন। তবে এটুকু বলা যায়, আমাদের যে রাজনৈতিক সঙ্কট নানা দিক থেকে মাঝে মধ্যেই প্রবল হয়ে ওঠে, তা শুধু ক্ষমতালিপ্সার কারণে নয়, তার সাথে সংস্কৃতি-চেতনারও অল্পাধিক যোগ আছে। আর এটা তো সত্য যে, মানুষ যদি সংস্কৃতির মায়াবী স্রোতের টানে আত্মভ্রষ্ট ও দিগ্ভ্রান্ত হয়ে পড়ে, তার প্রভাব রাজনীতির অঙ্গনেও অবধারিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের যে রাজনীতি অনেক দিন ধরেই প্রবহমান, সেই প্রবাহে অনেক বর্জ ও আবর্জনা এসে মিলেছে। কিন্তু এই বর্জ ও আবর্জনাগুলো কী? এগুলো হচ্ছে পশ্চিমা উৎকট বস্তুবাদ, মেকিয়াভেলির কপট রাষ্ট্রদর্শন, গোয়েবলসীয় মিথ্যাচার, মৃতবৎ সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির প্রতি মোহাবেশ, শিরকপ্রীতি, ইসলামবিদ্বেষ ইত্যাদি। এই বর্জদুষ্ট দূষিত প্রবাহে সর্বদা জন্ম নিচ্ছে ঈর্ষা ও অহঙ্কার, আত্মবিলাস ও প্রতিহিংসা এবং পেশিশক্তি। এই কারণেই আমাদের রাজনীতিস্রোতে মানবপ্রেম ও মানবিক দায়িত্ববোধ, ইনসাফ ও আদল, বিবেক ও আত্মজিজ্ঞাসা, দেশপ্রেম ও সততা এবং মনুষ্যত্বনিষ্ঠা কিছুই আর স্বাভাবিক নিয়মে গড়ে উঠতে পারছে না। নিশ্চয়ই দেশের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ খুবই সৎ ও শ্রমনির্ভর, ধর্মভীরু, সিদ্ধ-নিষিদ্ধের প্রশ্নে খুবই সজাগ ও আত্মরক্ষায় বদ্ধপরিকর। কিন্তু তাতে কী এসে যায়; রাষ্ট্রপরিচালনার শীর্ষে শীর্ষে ও শাখায়-প্রশাখায় যারা অবস্থানরত, তাদের মধ্যে যদি ন্যায়বোধ ও কল্যাণচিন্তা জাগ্রত না হয়, দেশের বিপর্যয় রোধ করা অসম্ভব। অতএব, এমতাবস্থায় এটুকু বলাই যথেষ্ট যে, সুষ্ঠু ভোটাভুটি বা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন তো একেবারেই লঘু প্রশ্ন, দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়েও যদি বাজি ধরা হয়, আমরা আদৌ বিস্মিত হবো না। আমাদের রাজনীতিজ্ঞান খুবই কম, আর যে কূটকৌশলে দেশে রাজনীতিচর্চা হয় সে বিষয়ে আমাদের জ্ঞান আরো কম। অতএব আমাদের পক্ষে সঙ্কটমোচনের কোনো উপায় নির্দেশ করা সম্ভব নয়। শুধু এইটুকু বলতে পারি, বড় দুই দলই আজ এক কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন। এক দিকে ক্ষমতার মসনদ অন্য দিকে দেশপ্রেম; কোন্টা জয়ী হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়। জনগণ উৎসুক নেত্রে চেয়ে আছে, অন্ধ অহংবোধ পরিত্যাগ করে দেশের প্রতি ভালোবাসায় কে কতখানি নিজেকে তুলে ধরতে পারে; শুধু স্তাবকদের স্তুতিবাক্য দিয়ে বিমোহিত না হয়ে কে কতখানি জনগণের আকাক্সা ও প্রত্যাশার কাছাকাছি আসতে পারে। এই পরীক্ষার ফলাফলই বলে দেবে কার কতখানি মূল্য ও মহিমা; প্রমাণিত হবে, কে বাকসর্বস্ব নকল জনদরদি আর কে রাষ্ট্রনায়কোচিত্র গুণের অধিকারী। একটা সময় ছিল যখন রাজনীতিকদের মূল্য নিরূপিত হতো সততা ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা দিয়ে, শিক্ষা রুচি ও সংগ্রামঋদ্ধ আত্মত্যাগ দিয়ে। সেই মানদণ্ড এখন পরিত্যক্ত, সেই দিনও অস্তমিত। এখন রাজনীতিবিদদের মূল্যমান নির্ধারিত হয় অর্থবল ও পেশিশক্তি দ্বারা। কিন্তু খুবই সত্য কথা যে, অর্থ ও পেশিবল চালিত রাজনীতি দেশ ও জনগণের জন্য কখনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। কখনোই পারে না, বরং তার কাজ হলো নিত্যনতুন সঙ্কট ও দুর্ভোগ সৃষ্টি করা; কারণ সঙ্কট ও সমস্যাই হলো এ ধরনের রাজনীতির প্রধান অবলম্বন, প্রধান উপজীবিকা ও জীবনীশক্তি। উদ্বিগ্ন হই, শঙ্কাগ্রস্তও হই, যে সঙ্কট প্রবল রূপ ধারণ করতে যাচ্ছে, তাকি এভাবেই আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে এবং পরিশেষে বহুমুখী সর্বনাশসাধন ছাড়া কিছুতেই ক্ষান্ত হবে না! অবস্থাদৃষ্টে এ রকমই মনে হচ্ছে। আমাদের আরো মনে হচ্ছে, দেশের রাজনীতি এমন এক অনির্দেশ্য রোগে আক্রান্ত যার কোনো চিকিৎসা নেই। সর্বমহল থেকেই প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে, কিন্তু কোনোভাবেই রোগের কোনোরূপ উপশমের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। লৌকিক সব চিকিৎসাই যেহেতু একরকম নিষ্ফল প্রমাণিত হলো, এখন বাধ্য হয়ে ভাবতে হচ্ছে, নিশ্চয়ই কোনো অশরীরী উপচ্ছায়া এসে আমাদের রাজনীতির ধমনীতে কঠিন কোনো ব্যাধির সৃষ্টি করেছে, যাকে গ্রামবাংলায় বলে জিনে ধরা। অনমীয় অবস্থান সত্ত্বেও দুই পক্ষেরই হঠাৎ হঠাৎ পার্শ্বপরিবর্তন ও অসংলগ্ন কথাবার্তা থেকে আমাদের এই আশঙ্কা খুব যথার্থ বলেই মনে হচ্ছে যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুষ্টমতি কোনো জিনের আছর লেগেছে। অনেকের কাছেই আমাদের এই ধারণা হাস্যকর ও গ্রাম্য-সংস্কার বলে মনে হতে পারে; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা নয়। আসলে এ ধরনের উপচ্ছায়া সৃষ্ট রোগের অস্তিত্ব আছে এবং তার ফলদায়ক চিকিৎসাও আছে। সূরা জিন (৮২ নম্বর সূরা) এবং তৎসঙ্গে সূরা ফালাক ও সূরা নাস (নম্বর ১১৩, ১১৪) একত্রে পাঠকরত কোনো হাক্কানি পীর যদি রাসূল সা:-এর সুন্নাহ মোতাবেক যথানিয়মে তদবির করেন, আশা করা যায়, ইনশাআল্লাহ সঙ্কটের নিরসন ঘটবে। আর যদি না ঘটে, বুঝতে হবে আল্লাহপাকের অভিপ্রায় অন্য রকম। তিনি চান না, আমাদের নিজেদের সৃষ্ট এই সঙ্কট সহজে তিরোহিত হোক। মনে রাখা আবশ্যক, ‘আল্লাহর নির্দেশ ছাড়া কোনো বিপদই আসে না এবং যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী, আল্লাহ তার অন্তরকে সুপথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক অবগত’ (সূরা তাগাবুন, আয়াত ১১)


0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads