বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৩

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যত ভয়


স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসন পায়। শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তার দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ওই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বরং ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগের সাবেক প্রভাবশালী নেতা ও ভাষাসৈনিক, রাজনীতিবিদ অলি আহাদ তার রচিত জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫ থেকে ৭৫ গ্রন্থে নির্বাচনটিকে মূল্যায়ন করেছেন এভাবেÑ ‘‘নির্বাচন পরিচালনায় পর্তুগালের সালজার, স্পেনের ফ্রাঙ্কো আর বাংলাদেশের শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে কোনো পার্থক্য পরিদৃষ্ট হয় নাই। ৭৩-এর মার্চের এই সাধারণ নির্বাচনে প্রশাসনিক ক্ষমতার মারাত্মক অপব্যবহার, চরম দুর্নীতি, মিডিয়া ক্যু, দলীয় ক্যাডার বাহিনীর আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও ঢালাও হুমকির সহায়তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসন দখল করেন। সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল জঘন্য কারসাজি, কারচুপি আর মিডিয়া ক্যুর মাধ্যমে উলটপালট করিয়া তাহাদের অনুকূলে কব্জা করে। আমি যেখানে ২৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে নিশ্চিত জয়ের পথে তখন বেতার ও টেলিভিশনের মাধ্যমে আমাকে ১০ হাজার ভোটে পরাজিত ঘোষণা করা হয়। আমি ঢাকায় ফিরে এলে শেখ মুজিব টেলিফোনে আমাকে বলেন কিরে অলি আহাদ ইলেকশনে পাস করলি না?’’ (জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫-৭৫)। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে দুটি আসনের ফলাফল বিরোধী প্রার্থীর জয়লাভ নিশ্চিত হলে হেলিকপ্টারে করে ব্যালট বাক্স গণভবনে এনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা দেয়া হয়। অর্থাৎ সদ্য স্বাধীন দেশটির প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে যে কারচুপি, ভোট জালিয়াতির শুভসূচনা হয়েছিল সেটি স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের দীর্ঘ নয় বছরের শাসনকালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে প্রায়োগিক ও প্রযুক্তিগতভাবে যুগের পরিবর্তনের সাথে আরো পাকাপোক্ত হয়েছিল। ইতিহাসের কাসুন্দি ঘাঁটলে এ কথাই প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির সূচনা হয়েছিল স্বাধীনতার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ শাসন থেকে। ১৯৮১-র ৩০ মে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবরণের পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিচারপতি আবদুস সাত্তার বিপুল ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন। নির্বাচনের ১০ মাসের মধ্যে তদানীন্তন সেনাপ্রধান জেনারেল এরশাদ বন্দুকের নলে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারকে অপসারিত করে ক্ষমতা দখল করে নেন। এরশাদ তার অবৈধ ক্ষমতা দখলকে বৈধ করতে এবং তার প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখতে অনেকগুলো প্রহসনের নির্বাচন করেছিলেন। সেই নির্বাচনগুলো বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিকাশের ক্ষেত্রে চরম লজ্জাকর ও খারাপ নজির হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ৮২ সালে রাজনীতিতে পদার্পণের শুরুতেই বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে, জনগণের ভোটাধিকার আদায়ে সাতদলীয় জোট গঠন করে স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে নামতে হয়েছিল। দেরিতে হলেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ১৫ দলীয় জোটের নেত্রী হিসেবে আন্দোলনে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। দুই নেত্রীর এই সংগ্রামের মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, এরশাদ তার অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তার শাসনামলে অনুষ্ঠিত সব কটি নির্বাচনই ছিল চরম বিতর্কিত। নিজ দলের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিরোধী প্রার্থীকে অপহরণ, মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করা, সবশেষে মিডিয়া ক্যুর মাধ্যমে ফলাফল পাল্টানোসহ সব ধরনের অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে নিজের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করেছিলেন এই স্বৈরশাসক। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্তপর্যায়ে ৮৬তে তিন জোটের রূপরেখার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত এরশাদের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নিয়ে গণ-আন্দোলনের পৃষ্ঠে ছুরিকাঘাত করে গণতন্ত্র হত্যাকারীদের সহযোগী হিসেবে স্বৈরাচারের দুঃসময়ে এরশাদের ক্ষমতা দীর্ঘায়নে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে ইতিহাসের এই কালো অধ্যায়টির সংযোজন আমাদের অর্জনকে কলঙ্কিত করেছে। অর্থাৎ ২০০৬ সালে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর শেষে গোটা রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অশান্ত করার যে ষড়যন্ত্র রচিত হয়েছিল তার পরের দুই বছর বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ওপর প্রবাহিত সুনামির বেশির ভাগ দায় মহাজোটের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগ নেতাদের। ইতিহাসের এই কলঙ্কজনক অধ্যায়ের জন্য আওয়ামী লীগকে একদিন জনগণের কাঠগোড়ায় দাঁড়াতেই হবে। বর্তমান সরকারের মেয়াদ প্রায় অতিবাহিত হলেও বিএনপি ও নিজ দলের শীর্ষ নেতাদের দাবির মুখেও সেনাসমর্থিত মইন-ফখরুদ্দীনের সরকারের অন্যায়-অপকর্মের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিকে উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার নির্বিকার নির্লপ্ততা ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণটি দেশবাসীর কাছে স্পষ্ট। যেভাবেই হোক না কেন ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে মহাজোটের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ক্ষমতা গ্রহণের দেড় বছরের মাথায় শেখ হাসিনার নির্দেশে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করতে একটি প্রস্তাব সংসদে এনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে অপপ্রয়োগ করে সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান থেকে তা বাতিল করা হয়েছে। দোহাই দেয়া হলো তাদেরই সমর্থক সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল ইসলামের একটি বিতর্কিত রায়ের অংশবিশেষের। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলটি বাতিলের আগে সংলাপের নাটক সাজানো হলো। যদিও ওই সংলাপে অংশগ্রহণকারী দেশের সর্বস্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শতকরা ৯০ ভাগই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে মতামত দেন। এমনকি আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ সিনিয়র নেতার মতামতও ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতিহারের কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রথা বাতিলের কথা বলেনি মহাজোট বা এর প্রধান শরিক আওয়ামী লীগ। দেশে এখন যে রাজনৈতিক সঙ্কট চলছে সেটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালকে কেন্দ্র করে। পূর্বনির্ধারিত সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত স্পর্শকাতর জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তকে বাতিল করার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা অসততা-কপটতার আশ্রয় নিয়ে দেশে একটি অশান্ত ও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন। ১৯৯৬ ও ২০০৬ সালে অবাধ সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে তিনি আন্দোলন করলেন, দাবি আদায় করলেন। হঠাৎ এমন কী হলো যে, সেটি তিনি তড়িঘড়ি বাতিল করলেন? এই সঙ্কট সৃষ্টি করেছেন তিনি সমাধান করার দায়িত্ব তারই। তবে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে তিনি আমলে নিচ্ছেন না। দেশের ৯০ ভাগ মানুষ একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় এটাও হয়তো তার কাছে গৌণ। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার অহঙ্কারে তিনি ধরাকে সরা জ্ঞানকরছেন। তার এবং তার দলের শীর্ষনেতাদের কাছে অতীত ও সাম্প্রতিক বক্তব্যগুলো তাই প্রমাণ করে। শেখ হাসিনা বলেছেন কোনো অনির্বাচিত সরকারের কাছে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন না। অনির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতেই ৯৬ সালে তিনি জামায়াতকে সাথে নিয়ে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে দাবি আদায় করেছিলেন। ৯১, ’৯৬, ২০০১ ও ২০০৮-এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল তার ভাষায় অবৈধ সরকারের অধীনে। ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে এই অবৈধ সরকারের অধীনে নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হয়ে ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণ করেছিলেন। আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনার সমস্যা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়। তাদের সমস্যা আবার ক্ষমতায় যেতে প্রধান অন্তরায় হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা। আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় কোনো সরকারের অধীনে হলে আওয়ামী লীগের করুণ ভরাডুবি এক প্রকার নিশ্চিত। এই তথ্য শেখ হাসিনার কাছেও আছে। তা ছাড়া সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের গ্লানি তাদের আরো শঙ্কিত করে তুলেছে। বাংলাদেশের নির্বাচনের রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন দলের আবার ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো নজির নেই। তাই ক্ষমতায় যেতে হলে নিজেদের অধীনে প্রহসনের নির্বাচন করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। সেই অনৈতিক উপলব্ধি থেকেই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছে। তা ছাড়া বিগত সাড়ে চার বছরের অধিক ক্ষমতাকালীন বিরোধী দল দমন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারব্যবস্থার অস্বচ্ছতা, দুর্নীতি, দলীয়করণ, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন, হামলা, মামলা, গ্রেফতারসহ যে অপকর্মগুলো তারা করেছে তা থেকেই তাদের ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যেকোনো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের বিশাল পরাজয় অনিবার্য। তাই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে। শেখ হাসিনার দল ও সরকার জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগকে তাদের জন্য মহাবিপদ সঙ্কেতহিসেবে দেখছে। তা না হলে তাদের আন্দোলনের ফসল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করবে কেন? বিগত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার অহঙ্কারে বিএনপি-জামায়াতকে দমনে অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী ভূমিকার কারণে তাদের এখন ৯০ শতাংশ মানুষের প্রাণের দাবির বিপরীতে অবস্থান নিতে হয়েছে। নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণের মুখোমুখি হতে এরা এখন ভয় পাচ্ছে। তা ছাড়া সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল ইসলামের বিএনপির বিরুদ্ধে বিতর্কিত রায়গুলো স্বাভাবিক কারণেই পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তার ভাবমূর্তি ইতোমধ্যে বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। সে কারণে বিএনপি ইতোমধ্যে তাকে একটি দলের সমর্থক বলে অভিযুক্ত করে তার অধীনে নির্বাচনে যেতে অস্বীকার করেছে। এ কারণে পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন না হলে ভবিষ্যৎ বিপর্যয়ের আশঙ্কা থেকে শেখ হাসিনাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে। তিনি যা-ই ভাবুন না কেন, দেশের মানুষ তত্ত্বাধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের পক্ষে। মানুষ শঙ্কিত ২৫ অক্টোবরের পরের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার মতামত উপেক্ষা করে এখনো অনড় অবিচল। তার এই হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে যদি কোনো অপশক্তির আবার আবির্ভাব ঘটে তাহলে দেশের গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ ও বিপদগ্রস্ত করার জন্য তিনি আরো একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করতে চলেছেন। আমাদের কাছে আপাত দৃষ্টিতে তাই মনে হচ্ছে। গণতন্ত্রের মানসকন্যার বিশেষণে ভূষিত শেখ হাসিনার এই একগুঁয়েমি স্বৈরাচারী মনোভাবের ফলে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার ব্যত্যয় ঘটলে গণতন্ত্রের ঘাতক হিসেবে চিহ্নিত হতে সময় লাগবে না। নির্বাচনে পরাজয়ের শঙ্কায় দেশকে অশান্ত, অরাজক পরিস্থিতির দিকে ধাবিত করা থেকে বিরত হওয়ার এখনই সময়। সময় থাকতে সাবধান না হলে এর সুদূরপ্রসারী ফলাফল থেকে শিক্ষা না নিলে জনবিমুখতার ধারাবাহিকতার ফল ক্ষমতার রাজনীতি থেকে দীর্ঘকালের অপেক্ষা যে কত যন্ত্রণাদায়ক সেই অভিজ্ঞতা তো আওয়ামী লীগের রয়েছে। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারণে ক্ষমতায় ফিরতে তাদের ২২ বছরঅপেক্ষা করতে হয়েছিল। অতীত ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা চাইতে হয়েছিল দীর্ঘ ২২ বছর ধরে। আশা করি, ইতিহাসের সেই শিক্ষা তারা এখনো মনে রেখেছেন।


0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads