মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৩

সক্রেটিস থেকে কাদের মোল্লার বিচার প্রক্রিয়া একই রকম!


ফেলানী নামের বাংলাদেশের এক নাগরিকের হত্যার প্রহসনের বিচারের প্রতিবাদে যাদের মুখর হতে দেখা যায় না! বাংলাদেশকে যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বের প্রায় একশত দেশে গ্রামীণ ব্যাংক মডেল হিসেবেই শুধু বিবেচিত করে নাই বরং নোবেল প্রাইজ অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আত্মমর্যাদার আসনে বসিয়েছে।  তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের সকল শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে।  তিনি কোথাও গিয়ে ন্যায়বিচার পেয়েছেন এমন দৃষ্টান্ত যেখানে অনুপস্থিত সেখানে  গণজাগরণ মঞ্চ নামের রাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার এক ভাগেরও কম জনসংখ্যার সমর্থন না থাকলেও তাদের প্রতিবাদ নিন্দা না থাকায় স্বাভাবিকই প্রশ্ন উঠে তারা কি করতে চায়? আর সরকার ও প্রতিবেশী দেশই বা কেন তা সমর্থন করে। ১৭৫৭ সালের আগে  ভারত বর্ষের উত্থান, সামাজিক সম্প্রীতি বজায় ছিল মুসলিম শাসকদের কারণেই। তাদের  শাসনের মূল লক্ষ্য ছিল ধর্ম, বর্ণ ভাষার মধ্যে যাতে কোন বৈষম্য সৃষ্টি না হয় যা ইসলামের নির্দেশনা! কিন্তু ইংরেজ বেনিয়ারা ২৩ জুন ১৭৫৭ সালের পলাশীর প্রান্তরে  ভারতবর্ষের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের চক্রান্তের একমাত্র প্রতিরোধ করতে পারে এমন মনে করতো মুসলিম শাসকদের। তাই তারা ক্ষমতালোভী  ব্রাহ্মণবাদীদের ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার  চরিত্র হননের কাজে লাগায়। স্বাধীনতা জাতিকে যখন জিঞ্জির পরায় ইস্ট ইন্ডিয়ান  কোম্পানি তখন বাংলার সার্বভৌমত্ব দখলদারিত্ব নিয়ন্ত্রণের সময় বাংলার জনগণ নীরব দর্শকের মতোই দাঁড়িয়ে দেখেছে। মিথ্যাচারের কারণেই সেদিন দেশপ্রেমিকদের  পাশে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে দাঁড়ায় নাই। তার আগেই উপনেবিশক শোষকরা বিষিয়ে তুলেছিল তাদের নবাবের বিরুদ্ধে। ইংরেজ ফিরিঙ্গীদের তাড়াতে সময় লেগেছে ২০০ বছর। ভারতবর্ষের সামাজিক সম্প্রীতি ধ্বংস করেই তারা ক্ষান্ত হয় নাই। ফিরিঙ্গীরা দেশ ত্যাগের সময় ভারতবর্ষকে তিন খ- করে দ্বিজাতি তত্ত্বের সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাদী নেতাদের মাধ্যমে নিম্নবর্ণের হিন্দু সম্প্রদায় লেলিয়ে দিয়ে মুসলিম হত্যা করায়। ১৯৩৭ সালে ব্রাহ্মণবাদী নেতারা বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করতে থাকে ভারত বর্ষে মুসলমানরা হবে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। তারই ধারাবাহিকতায় পূর্ব বাংলাকে পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি না দিয়ে ১৪শ’ মাইল দূরে পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে সংযুক্ত করে অসম বিভক্তি করে দিয়ে যায়। আর সেখানে থেকে সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদ মহল চক্রান্তের জাল বিস্তার করে। যা স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ মুহূর্তে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে প্রথম পর্যায়ে বিজয়ী হয়।  মুসলিম গণহত্যার  মাধ্যমে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তির উপর ভারতবর্ষ বিভক্তি হয়। তারপর বাংলাদেশ নামের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার লক্ষ্য নিয়ে  ধর্ম নিরপেক্ষ শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ব্রাহ্মণবাদী নেতারা কাজ করতে শুরু করে। এরপরই বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকা-ের সাথে লিপ্ত মোড়লরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের তাঁবেদার শাসকদের মুখ দিয়ে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী জঙ্গি বিরোধী অভিযান করতে বাধ্য করে। যে সকল দেশে অস্ত্র উৎপাদন হয় এবং বিক্রির জন্য বাজার তৈরিতে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালায়। তাদের মানবতাবিরোধী কর্মকা-ের প্রতিবাদ করার সৎ সাহসের অভাব সব দেশেই রয়েছে। আর যে কারণে  বিশ্বের সকল প্রাকৃতিক সম্পদশালী দেশগুলোর দেশপ্রেমিক ও আদর্শবান  ব্যক্তিরা টার্গেটে পরিণত হয়েছে। সক্রেটিস শোষণ, জুলুম ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তার লিখনীর মাধ্যমে তার দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে জালেম সরকারের রোষানলে পড়ে। বিচারের নামে প্রহসনের শিকারে পরিণত হয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে নিতে হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বিশিষ্ট সাংবাদিক আব্দুল কাদের মোল্লার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল  (২) কর্তৃক গত ৫ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ১৭ সেপ্টেম্বর নজিরবিহীন রায় দেয় সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদ- দেয়। প্রসঙ্গক্রমে বলতে হয় মিরপুরের ঘাতক কাদের মোল্লা ছিল কসাই। স্বাধীনতা পরবর্তী  ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কর্তৃক হত্যা করেছে বলে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঐ সমালোচনাও শোনা যায়। তাদের ২/১ জনকে বলেছিলাম আদালতে একথা বলতে পারবেন তো? তার জবাবে তারা বলেছিল- সত্য কথা বলার পর তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কে নেবে? এ সময় অনেকেই মন্তব্য করেছে বিচারকের মর্যাদা থাক আর নাই থাক সাম্রাজ্যবাদ ও  আধিপত্যবাদের চারণভূমিতে পরিণত করতে এদের লাশ প্রয়োজন। আদর্শবান নেতারা হয়তো এক দিন সক্রেটিসের মতোই বিশ্বজুড়ে  অনুকরণ হবে। আর ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে পরশ্রীকাতররা।  কিন্তু  জাতি কার্যত আগ্রাসনের কবলে পরে ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পর একদিন প্রতিবাদী হয়ে উঠবে। সেই দিন পর্যন্ত লুটেরাদের শোষণ-নিপীড়ন নির্যাতন সহ্য করতেই হবে। এমন মন্তব্য সর্বত্র! আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের জনসভায় বলেছেন আমরা অঙ্গীকার করেছিলাম-  ক্ষমতায় এলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবো। সেই বিচার শুরু হয়েছে। এখন রায় হচ্ছে, ইনশাআল্লাহ সেই  রায় বাস্তবায়নও হয়ে যাবে। এই বিচার কেউ বন্ধ করতে পারবে না। জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউয়ের সুযোগ নাই।  বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। আপিল বিভাগ মৃত্যুদ-াদেশ দেয়ার পর এটর্নি জেনারেল মাহবুব আলম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে আমাদের দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, জাতির কলংক মোচন হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক আব্দুল কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদ-ের রায়কে একটি  নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা তাদের মতে বিচারিক আদালতের  সাজা সর্বোচ্চ আদালতে সাধারণত বহাল রাখা হয় অথবা কমানো হয়। সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিশিষ্ট আইনজীবী বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন বিচারিক আদালত কর্তৃক সামান্য প্রমাণের ভিত্তিতে আমাদের উচ্চ আদালত তাকে মৃত্যুদ- দিলেন। মানুষ  উচ্চ আদালতে যায় বিচার পাওয়ার জন্য এবং সবসময় একটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। তিনি আরো বলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আসামীকে সাজা দেয়ার পর ট্রাইব্যুনাল আইন পরিবর্তন করে সাজার বিরুদ্ধে সরকার পক্ষকে আপিল করার সুযোগ দিয়ে বিধান করা  হয়েছে। এই মৃত্যুদ-ের বিরুদ্ধে আসামীর অবশ্যই ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য রায় রিভিউ করার অধিকার আছে বলে আমি মনে করি। তিনি আরো বলেন আন্তর্জাতিক  অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আসামীকে সাজা দেয়ার পর ট্রাইব্যুনাল আইন পরিবর্তন করে সাজার বিরুদ্ধে  সরকার পক্ষকে আপিল করার সুযোগ দিয়ে বিধান করা হয়েছে। ঐ সংশোধন অনুযায়ী সাজা বৃদ্ধি করার জন্য সরকার পক্ষ থেকে আপিল করা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ যাবজ্জীবন সাজা বাতিল করে আসামীর মৃত্যুদ- দিয়েছেন। ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন বিচারের পর আইন সংশোধন করে আপিলের সুযোগ করে দেয়ার ঘটনা পৃথিবীর  (১-এর কলামে দেখুন)
একই রকম!
(৮-এর কলামের পর)
অন্য কোন দেশে আছে বলে জানা নাই। সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও  বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন,  যে অভিযোগে তাকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে তাতে তাকে খালাস দেয়া উচিৎ ছিল। যে অভিযোগগুলো আমরা দেখেছি এবং যেভাবে সাক্ষীদের আনা হয়েছে সেই ক্ষেত্রে এ ধরনের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদ- আমরা আশা করিনি। সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার  বদরুদ্দোজা বাদল বলেছেন সর্বশেষ আদালত হিসাবে আপিল বিভাগ মৃত্যুদ-  দেয়ায় আসামীর আর আপিলের সুযোগ নেই। এরপর আসামী রিভিউ করার অধিকার পাবেন। এটা আসামীর সাংবিধানিক অধিকার। এদিকে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ বিচারের প্রতি স্পষ্ট সমর্থন ব্যক্ত করেছে ভারত। বুধবার ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সমর্থন ব্যক্ত করেন। বিবিসি বাংলা জানিয়েছে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে যে  নানা ধরনের বিতর্ক চলছে সেই পটভুমিতে প্রতিবেশী দেশ ভারত স্পষ্ট করে এই বিচারের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। এর  আগে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ঢাকার শাহবাগে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তার প্রতি প্রকাশ্যেই সংহতি  জানিয়েছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ কিংবা ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শংকর মেনন।  অপরদিকে  তিস্তা নদীর পানি বণ্টন কিংবা স্থল সীমান্ত চুক্তি এসব গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও ভারত যে তার রূপায়নে এতটুকুও এগোতে পারেনি সেই বিষয়টি দুই দেশের সম্পর্কে এখন প্রবল  অস্বস্তির কারণ হয়ে রয়েছে। এই  পরিস্থিতিতে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়ায় ভারতের সরব  সমর্থন বাংলাদেশের বর্তমানে সরকারকে  কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে ও  ভরসা জোগাবে। দিল্লীর এখন সেটাই আশা এ সমর্থনের প্রতিদানে বিএসএফ-র গুলীতে নিহত বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী  খাতুনের মৃত্যুর জন্য ভারতের সুপ্রিম কোর্ট  জনস্বার্থ মামলা করতে বলেছেন যে, দু’জন মানবাধিকার কর্মী তাদের ভিসা দিতে ভারতের বাংলাদেশ হাইকমিশন অস্বীকার করে।  সীমান্ত হত্যা নিয়ে সরব এমন একটি ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠন  মাসুমের প্রধান কিরীটি রায় ও প্রাক্তন বিচারপতি মালয় সেনগুপ্ত দুইজনকে ভিসা দেওয়া হলো না।  গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মৃত্যুদ-াদেশ দেয়ার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নিজেদের ওয়েব সাইটে পোস্ট করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই আহ্বান জানিয়েছেন।  অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর বাংলাদেশ গবেষক আব্বাস ফয়েজ বলেন আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং মোল্লাকে মৃত্যুদ- প্রদান নিশ্চিত করতে সরকারের  দৃশ্যমান নিরন্তর উদ্যোগে খুবই উদ্বিগ্ন। আমরা তার মৃত্যুদ-াদেশ হ্রাস করার জন্য এবং মৃত্যুদ-াদেশ বিলুপ্ত করার প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে দ- কার্যকর বিলম্বিত করার জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায় বাংলাদেশের  সর্বোচ্চ আদালত কাদের মোল্লার যে মৃত্যুদ-াদেশ দিয়েছেন তাতে আপিল করার কোন সুযোগ নেই। আপীলের সুযোগ ছাড়া মৃত্যুদ-াদেশ আরোপ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের আওতায় বাংলাদেশের বাধ্যবাধকতার সাথে সাংঘর্ষিক। ফয়েজ বলেন, বিচারিক আপিলের অধিকার ছাড়া মৃত্যুদ-াদেশ আরোপ মানবাধিকার আইনের লংঘন। বাংলাদেশের  স্বাধীনতা যুদ্ধে ক্ষতির শিকার ব্যক্তিদের বিচার পাওয়ার যে অধিকার রয়েছে  তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে একটি মানবাধিকার লংঘন, আরেকটি মানবাধিকার লংঘনের অজুহাত হতে পারে না। ফাঁসি  সহিংসতার সংস্কৃতির আলামত এর সমাধান নয়। তিনি বলেন এই প্রথম বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত কারাদ- প্রাপ্ত কোনো আসামীকে সরাসরি মৃত্যুদ-াদেশ দিলো। বাংলাদেশে এটিই প্রথম কোনো  মৃত্যুদ-াদেশ, যেখানে আপীলের কোনো অধিকার নাই। এ  রায়ের পর আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় গত মঙ্গলবার রায়টি বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় আব্দুল কাদের মোল্লার অন্যতম আন্তর্জাতিক আইনজীবী  টবি ক্যাডম্যানের উদ্ধতি দিয়ে জানায়  বিচারিক রায়ের ভাষা স্পষ্টভাবেই প্রমাণ করছে যে, এটি ব্যক্তিগত অপরাধ দায়-দায়িত্বের প্রতি সামান্যই নজর দিয়েছে বরং রাজনৈতিক বিরোধীদের অশুভ শক্তি হিসাবে ধরার কাজে মনোনিবেশ করেছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রধান বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদ- দেয়ার প্রসিকিউশনের দাবি গ্রহণ করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল  গঠন করার পর থেকে এখন পর্যন্ত  ছয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেয়া হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত সবাই জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান বা সাবেক নেতা। শেখ হাসিনার সমর্থকরা এই বিচারে হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। (চলবে)

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads