শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৩

ছায়াযুদ্ধ এবং নির্বাচন


দেশের তৎকালীন সংবিধান অনুযায়ী ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। বেগম খালেদা জিয়া তৃতীয় মেয়াদ শেষে দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের হাতে মতা হস্তান্তর করেন। সংবিধান অনুযায়ী তৎকালীন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে বিএনপির প থেকে মনোনয়ন দেয়ার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। প্রবল বাধার মুখে পড়ে সেদিন বেগম জিয়া বাধ্য হয়ে ড. ইয়াজউদ্দিনকে রাষ্ট্রপতির অতিরিক্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের দায়িত্বও দেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন বিচারপতি এম এ আজিজ। মহাজোট রাষ্ট্রপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে মানতে নারাজ; প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অধীনে নির্বাচনে যেতেও সায় দিচ্ছিল না। মানা না মানার দোদুল্যমানতার পরও মহাজোট ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য নিজেদের মনোনয়নপত্র নির্বাচন কমিশনে দাখিল করে দেশজুড়ে পূর্ণ নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েছিল। মহাজোটের দ্বিতীয় বৃহত্তর দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে আদালতের এক রায়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অযোগ্য ঘোষণার সাথে সাথেই তৎকালীন মহাজোট প্রার্থীরা একযোগে নির্বাচন কমিশন থেকে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নির্বাচন বর্জনে রাজপথের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর পরই তারা এম এ আজিজের নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে এবং ড. ইয়াজউদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবিতে রাজপথে অবস্থান জোরদার করতে থাকে। বঙ্গভবনের পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস সরবরাহ এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের খাদ্য সরবরাহ বন্ধে দুটি অফিসই ঘেরাও করে। ড. ইয়াজউদ্দিনের অধীনে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে এক চরম বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ঠেলে দিয়ে ঘোষিত নির্বাচন ভণ্ডুল করে দেয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়। বিরোধী জোটের সব বাধা উপো করেও ড. ইয়াজউদ্দিন এবং নির্বাচন কমিশন মাহাজোটকে বাইরে রেখেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। এমনতর পরিস্থিতিতে ঢাকার রাজপথে প্রকাশ্য দিবালোকে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে পৈশাচিক কায়দায় মানুষ খুন করে লাশের ওপর নৃত্য করা হয়। অব্যাহত অবরোধের মাধ্যমে জনগণকে জিম্মি এবং দেশের অর্থনীতির অপরিসীম তি সাধন করে তাদের আন্দোলনের ফসল ওয়ান-ইলেভেনসৃষ্টির মাধ্যমে অন্তত দুবছরের জন্য দেশের রাজনীতিকে হিমাগারেপাঠিয়ে ছদ্মবেশী সেনাশাসন কায়েম করা হয়। তাদের দুবছরের জুলুম, নির্যাতন আর তত্ত্বাবধায়কের ছদ্মাবরণে অবৈধ সেনাশাসনের সব অপকর্মের বৈধতা দেয়ার আগাম গ্যারান্টির বিনিময়ে ২০০৮-এর ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে মহাজোটদিনবদলের সরকার গঠন করে। তৎকালীন সেনাপ্রধান কুখ্যাত মইন ইউ আহমেদের দিল্লির দরবার থেকে ছয়টি অশ্ব উপহারপ্রাপ্তির ঘটনাকে তৎকালীন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বাংলাদেশের রাজনীতিতে অশ্ব মেধযজ্ঞএর সূচনা বলে ধরে নিয়েছিলেন। বেগম জিয়ার দৃষ্টিতে ২০০৮-এর নির্বাচন ৮ ডিসেম্বর ২০০৯ বিএনপির পঞ্চম কাউন্সিল ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘জানুয়ারি ২০০৭ সালে নির্ধারিত সাধারণ নির্বাচন বন্ধ করে যে অবৈধ সরকার মতায় এসেছিল বেগতিক দেখে তারাই আবার ২০০৮ সালের শেষ দিকে সাধারণ নির্বাচন দেয়ার জন্য অস্থির হয়ে পড়ে। গণবিরোধী একটি অবৈধ সরকারের অধীনে এবং পপাতমূলক এক নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না, এটা আমরা জানতাম। কিন্তু দেশ ও জনগণের কিছু বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা করে আমরা সেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। আপনারা জানেন যে, একটি প্রধান দল ও তার সহযোগীরা জরুরি অবস্থার মধ্যেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের দৃঢ়তার কারণে নির্বাচনের আগেই সরকার দেশ থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল। অর্থাৎ এবারো আমরাই জনগণকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছি।তিনি আরো বলেছিলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, কোনো অনির্বাচিত ও জনগণের কাছে জবাবদিহি ছাড়া এ সরকারের চেয়ে একটি নির্বাচিত সরকার ভালো। কারণ গণতান্ত্রিক পরিবেশে অন্তত জনগণ কথা বলতে পারে, প্রতিবাদ জানাতে পারে এবং প্রয়োজনে আন্দোলন করে সরকার বদলাতে পারে। এটাও ছিল আমাদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার আরেকটি কারণ। আমাদের বিশ্বাস ছিল, নির্বাচন কমিশন যদি পপাতিত্ব ছেড়ে নিরপে অবস্থান নেয়, সরকার যদি সত্যিকারের দলনিরপে ভূমিকা বজায় রাখে এবং জনগণ যদি নির্বিঘেœ তার ভোট দেয়ার সুযোগ পান তাহলে অবশ্যই আমরা নির্বাচনে বিজয়ী হব। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তা হয়নি। বরং এক সাজানো-পাতানো নির্বাচনী প্রহসনে বিএনপিকে হারিয়ে দেয়া হয়। ঘোষিত এই ফলাফল ছিল অস্বাভাবিক, অবিশ্বাস্য ও অপ্রত্যাশিত।গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতি বেগম খালেদা জিয়ার অগাধ শ্রদ্ধার কারণে হয়তো তিনি ভেবেছিলেন, অনির্বাচিত সামরিক শাসনের চেয়ে নির্বাচিত সরকার উত্তম। বিগত পৌনে পাঁচ বছরের নির্বাচিত স্বৈরচারের অপশাসনে তিনি, তার পরিবার, তার দল, ইসলামি মূল্যবোধ ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ব্যক্তি, সংগঠন এবং প্রচারমাধ্যমের ওপর যে জুলুম নির্যাতন, নিপীড়নের ঝড় বয়ে চলেছে, এ দেশের মাটিতে ইতঃপূর্বে কখনো কেউ প্রত্য করেছে কি না, জানা নেই। লুকিং ফর শত্র? বেগম জিয়ার শেষ মেয়াদে এমন ভাষা ব্যবহার করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছিলেন। মহাজোট সরকারের অনেক ডাকসাঁইটে মন্ত্রীর বিরুদ্ধমতের প্রতি হুমকি-ধমকি মহামারী আকার ধারণ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও কম যান কিসে? সর্বশেষ পাবনার জনসভায় তিনি বললেন, ‘বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাকে মতায় দেখতে চান না। আমাকে হত্যা করতে চান। আর এ জন্যই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা করেছিলেন।’ (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ৩ অক্টোবর ২০১৩)। কী গুরুতর অভিযোগ! ইতঃপূর্বে তার দলের ডাকসাঁইটে নেত্রী বেগম সাজেদা চৌধুরীও দাবি করেছিলেন সেনাসমর্থিত তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভিআইপি জেলের অভ্যন্তরে আওয়ামী লীগের শীর্ষনেত্রীকে খাদ্যের সাথে বিষ মিশিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল। এখন সে অভিযোগ ফাটা বেলুনের মতো চুপসে গেছে। গ্রেনেড হামলা-মামলা চলমান। এ মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সম্পূরক চার্জশিটের মাধ্যমে অন্যতম আসামি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরেকটি সম্পূরক চার্জশিটের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকেও সেই হত্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়া যায় কি না এ লিপ প্র্যাকটিস কি তারই মুখবন্ধ রচনা করছে কি না, ভাবার অবকাশ থেকে যায়। সম্প্রতি জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণে তিনি গ্রেনেড হামলার বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন ঠিক এভাবে, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সন্ত্রাসী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি একত্রে এক সন্ত্রাসী চক্র গড়ে তোলে। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াতের সাথে কোয়ালিশন করে মতায় গিয়েছিল। এই চক্র তাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করেছে।তিনি আরো বলেন, ‘ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তারা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি ১৩টি গ্রেনেড হামলা চালায়। এতে ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত এবং পাঁচ শতাধিক আহত হন। এ হামলায় অলৌকিকভাবে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও দলের সিনিয়র ও নিবেদিত নারীনেত্রী আইভী রহমানসহ নিরপরাধ মানুষ ও অসাম্প্রদায়িক নেতা নিহত হন। এসব ভয়াবহ সন্ত্রাসী ঘটনার পরিপ্রেেিত বর্তমান সরকার সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে কঠোর পদপে গ্রহণ ও জঙ্গিবাদবিরোধী ও অর্থপাচারবিরোধী আইন প্রণয়ন করেছে।জাতিসঙ্ঘে এ ভাষণের পর থেকে তিনি বিরামহীনভাবে প্রতিটি দলীয় বৈঠকে কিংবা জনসমাবেশে গ্রেনেড হামলায় বেগম জিয়ার সম্পৃক্ততার অভিযোগ করে আসছেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার যেখানে কোনো নামগন্ধ নেই, সেখানে মহাজোটের দুই শরিক দল আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি রীতিমতো মার্কানিয়ে ভোট ভিায় নেমে গেছেন। প্রার্থী তালিকাও ঠিকঠাক করে রাখছেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রশাসনকে ব্যবহার করে সরকারি অর্থে দিব্যি নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতকে জঙ্গি, স্বাধীনতাবিরোধী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তি হিসেবে জনসভায় উপস্থাপন করে চলেছেন। এমন ধারণাও দিচ্ছেন, এরা আবার মতায় এলে দেশ জঙ্গি আস্তানা হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নরকবাস হবে, এরা শুধু দেশের সম্পদ চুরি করবে, অসাম্প্রদায়িক চেতনা লয়প্রাপ্ত হবে, তার সময়ে অর্জিত জনগণের ভোট এবং ভাতের অধিকার হারাবে। তিনি বাংলার (বাংলাদেশের নয়) মানুষের কাছে আবারো তাকে নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আগামী ২০২১ সাল পর্যন্ত তার দলকে মতায় আসীন রাখার প্রচ্ছন্ন ইচ্ছার কথাও ব্যক্ত করছেন। মতাসীন ১৪ দলীয় জোটের বেশির ভাগ নেতাকেই তিনি জাতিসঙ্ঘ অধিবেশনে যোগদানের নাম করে নিউ ইয়র্কে নিয়ে বিদেশী এবং প্রবাসী বাঙালীদের কাছে এ বার্তাটিই পৌঁছাতে চেয়েছেন দেখো, সব দলের নেতারাই আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে প্রত্যাশী। ওরা সব আমার সাথেই আছে।রাজনৈতিক প্রতিপরা শুধু যে তার শত্রতা নয়, ওরা জঙ্গি, দেশের শত্র“, সাম্প্রদায়িক শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনাশক এমন বক্তব্যই দিলেন তিনি জাতিসঙ্ঘে। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী কেমন করে নিজেই বিশ্বসমাজের প্রতিনিধিদের সামনে দেশটাকে পুরোদস্তুর জঙ্গি রাষ্ট্র বলে স্যা দিয়ে এলেন? তা নিয়ে দেশপ্রেমিক জনগণের ভাবার কি কিছুই নেই? তবে কি প্রধানমন্ত্রী নিজের ছায়ার সাথেই যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন? নির্বাচন হবে, তবে... দেশের আবালবৃদ্ধবনিতা এখন নির্বাচন আতঙ্কে ভুগছেন। নির্বাচনী প্রচারণার জ্বরের পরিবর্তে জনগণের মনে একটি শঙ্কাই কাজ করছে, ‘২৪ অক্টোবরের পরে দেশে কী ঘটতে যাচ্ছে?’ বিরোধী দল এ টাইম লাইনের পরে সরকার হটিয়ে নির্দলীয় নিরপে সরকারের অধীনে নির্বাচনের আশায় রয়েছে। মহাজোট সংশোধিত সংবিধানের অধীনে একদলীয় আদলে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে আবারো মতায় থাকার সিদ্ধান্তে অটল। এ সিদ্ধান্ত থেকে একচুলও যে সরকার নড়ছে না তা এখন দিবালোকের মতো পরিষ্কার। জনাব নাসিম বলছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তখন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের ক্যাবিনেট থাকবে। তারা সরকার পরিচালনা করবেন। আর নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন।তিনি আরো বলেন, ২৪ অক্টোবর কিছু হবে না। বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে দেশের জনগণ ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ মিলে খালেদা জিয়াকে দেশের রাজনীতি থেকে আনলোড করে দেবে। অতীতেও আমরা তাদের বড় বড় আলটিমেটাম আস্ফালন দেখেছি।সরকারি দল গদি পুনর্দখলে নিতে নির্বাচনকালীন দলীয়করণকৃত প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং অফিসার, আদালত এবং স্থানীয় দলীয় মাস্তানদের সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামাবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নিরপে নির্বাচন এখন দিল্লি দূর অস্ত! নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড এখন এক আকাশকুসুম কল্পনা। জাতীয় পার্টির এরশাদ যতই বলছেন, সবদল অংশ না নিলে তিনি অংশ নিয়ে সরকারের দালাল হবেন নাÑ জনগণের সন্দেহ তার দিকেই বেশি। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি যে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসবেন তাতে সন্দেহ নেই। এ মুহূর্তে সব জাতীয়তাবাদী শক্তি এবং ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী সব দলকে নিয়ে ১৮ দলীয় জোট মহাঐক্য গঠন করে একজোটে একই কর্মসূচির অধীনে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া ছাড়া বিরোধী জোটের সামনে বিকল্প আর কোনো কিছুরই ভাবার অবকাশ নেই। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী মুক্তচিন্তার জনগণ এখন মজলুমের পে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। 


0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads