মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৩

চুল তত্ত্ব থেকে ফোন তত্ত্ব : দুই নেত্রী নয় সংকটের স্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী


বছর দুই আগে জনৈক অবসরপ্রাপ্ত আমলার বাসায় চা’এর আসরে বসেছিলাম। আলোচনার এক পর্যায়ে রাজনীতি এসে যায়। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃদু সমালোচনা করছিলাম। ভদ্রলোক শেখ হাসিনার সমালোচনায় তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন। বুঝলাম ভদ্রলোক শেখ হাসিনার চাইতে বড় আওয়ামী লীগার। দুই বছর পর পরস্পরে শুনলাম তিনি নাকি সেই অবস্থানে আর নেই। তিনি এখন শেখ হাসিনার একজন কড়া সমালোচক। এই খবর শুনে আমি মাস কয়েক আগে আবার সেই আমলার বাসায় গেলাম পরিস্থিতি জানার জন্য। গিয়ে দেখলাম সত্যি সত্যি তিনি শেখ হাসিনার একজন কড়া সমালোচকে পরিণত হয়েছেন। আমাকে দেখে তিনি নিজেই শেখ হাসিনার সমালোচনা শুরু করলেন। আমাকে আর শুড়শুড়ি দিতে হয় নাই। আমি বরাবরই শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের একজন সমালোচক। কিন্তু আজকে আমি তার কাছে হেরে গেলাম। আমার সামনেই অত্যন্ত অশ্লীল ভাষায় তিনি শেখ হাসিনাকে এক হাত লইলেন। আমি কিন্তু সমালোচনা করলেও সব সময় শালীনতা বজায় রেখেই তা করি।
দুই তিন দিন আগের কথা জনৈক স্বাচিপ নেতার বাসায় এক বন্ধুর সাথে গিয়েছিলাম। আমার মনমানসিকতা জেনেই সচেতন বন্ধু আমাকে আগেভাগেই সতর্ক করেছিলেন যে, বন্ধুবর স্বাচিপ নেতা। কাজেই সতর্কতার সাথে কথা বলতে হবে। কোনভাবেই মেজবানকে বিব্রত করা যাবে না। স্বাচিপ নেতার বাসায় গিয়ে দেখলাম বিশাল বাড়ি। পশ্চিমা কায়দায় সব কিছু সাজানো গোছানো। আমাদের আপ্যায়নও করলেন পশ্চিমা স্টাইলে। ঈদের পর পর গেলেও আপ্যায়নের তালিকায় ঈদের কোন আইটেমই ছিল না। তার আপ্যায়নে আমরাও মুগ্ধ হলাম। তারপর ভদ্রলোক নিজেই রাজনীতিতে প্রবেশ করলেন। আমরা ছিলাম দর্শক শ্রোতামাত্র। ভদ্রলোক শুধু হাসিনা নয় তার বাপকেও সমালোচনা করতে ছাড়লেন না। শেখ হাসিনার পিতা সম্পর্কে আমরা একটু নরম ভাষায় সমালোচনার কথা বললে তিনি বরং উত্তেজিত হয়ে উঠলেন। আমরা বাকশালকে সাময়িক পদক্ষেপ বলে আখ্যায়িত করলে তিনি বলে উঠলেন, না তিনি আজীবন দেশের মালিক হতে চেয়েছিলেন।
এই দুই ব্যক্তি দেশের অতিউচ্চ স্তরের সুশিক্ষিত লোক। দুই জনই সাচ্চা আওয়ামী লীগার। শেখ হাসিনার কার্যক্রমে তাদের মোহমুক্তি ঘটেছে। এই দুইজন ব্যক্তি বাস্তব রূপক মাত্র। শেখ হাসিনার আশেপাশের পদপদবির লোভে ঘুর ঘুর করা কয়েকজন আর হালুয়া রুটির অংশীদার ব্যতীত আওয়ামী ঘরানার সব লোকেরই মোহমুক্তি ঘটেছে। ঘরোয়া আলোচনায় তা বোঝা যায়।
০                                                        ০                                     ০        ০
“উদ্ভূত সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে করণীয়” শীর্ষক এক নাগরিক সংলাপে বিশিষ্টজনরা বলেছেন, বর্তমান রাজনৈতিক সংকট ও অস্থিতিশীলতার জন্য সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীই দায়ী। তারা বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনী সংবিধান সংশোধন  সংক্রান্ত বিশেষ কমিটির সুপারিশে হয়নি। এটি হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মনগড়া সিদ্ধান্তে। তাই এই সংশোধনী অসাংবিধানিক ও অবৈধ। গত ২৬ অক্টোবর শনিবার সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তাগণ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন টিআইবি ট্রাস্ট্রি  বোর্ডের চেয়ারম্যান  এম হাফিজ উদ্দিন খান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলি খান, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সুজন সম্পাদক ডঃ বদিউল আলম মজুমদার, সমকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবু সায়ীদ খান, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জাফর, বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, সাবেক সচিব আলী ইমাম মজুমদার, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রমুখ। সেমিনারে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কট ও অস্থিতিশীলতার জন্য সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধনী সংক্রান্ত সংসদীয় বিশেষ কমিটির সুপারিশে সংশোধন হয়নি। এটি হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মনগড়া সিদ্ধান্তে। তাই এই সংশোধনী অসাংবিধানিক ও অবৈধ।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা সম্মিলিতভাবে আত্মহত্যার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের গণতন্ত্র খাদে পড়তে যাচ্ছে। আমাদের অর্থনীতি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যদি এর কারণ খুঁজতে যাই তাহলে পাবো এর জন্য দায়ী নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দুই দলের অনড় অবস্থান। এই অনড় অবস্থানের জন্য দায়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। পঞ্চদশ সংশোধনীর বিভিন্ন পর্যায় ব্যাখ্যা করে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ২০১০ সালের ২১ জুলাই প্রথম ১৫ জন সদস্য নিয়ে সংবিধান সংশোধনী কমিটি গঠন করা হয়। তারা ২৭টি মিটিং করে। মিটিং শেষে ২০১১ সালের ২৯ মার্চ বিদ্যমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রাখার সুপারিশ করা হয়।
তিনি সংবিধান সংশোধনী কমিটির সদস্যদের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, তোফায়েল আহমদ বলেছিলেন এটা সেটলড ইস্যু, এটা পরিবর্তন করার দরকার নেই। আমির হোসেন আমু বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেভাবে আছে সেভাবেই রাখা উচিত। ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছিলেন সংবিধানে তিন মাস নির্দিষ্ট করে দেয়া যেতে পারে। রাশেদ খান মেনন বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি পরিবর্তনের দরকার নেই। বর্তমান স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সংশোধনের দরকার নেই। কমিটির কো-চেয়ারম্যান প্রস্তাব করে বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার দরকার নেই।
ড. বদিউল আলম বলেন, কিন্তু ২৭ এপ্রিল ২০১১ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংবিধান সংশোধন কমিটি দেখা করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী বলেন জনগণ আর অনির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা দেখতে চায় না। ১০ মে কমিটি আবার বলে শর্ত সাপেক্ষে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। ২৯ মে সংবিধান সংশোধনী কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখার পক্ষে সুপারিশ করে। ৩০ মে কমিটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে সব কিছু উল্টে যায়, সব কিছু বদলে যায়। ২০ জুন কমিটি নতুন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের সুপারিশ করে।
ড. বদিউল আলম বলেন, এটা আমার বক্তব্য নয়, এটা সঙ্কটের ধারাবাহিক সৃষ্টির প্রক্রিয়া। এটা স্পষ্ট সংকট এক ব্যক্তির মনগড়া সিদ্ধান্তে হয়েছে, তাই এই সংশোধনী অবৈধ। উপরোক্ত বক্তব্যে ২৭ অক্টোবরের দৈনিক সংগ্রামের রিপোর্টের অংশবিশেষ।
সরকার কর্তৃক বাতিলকৃত তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলে বিরোধী দলের কোন মতামত নেয়া হয় নাই। পেশাজীবীসহ সুশীল সমাজ জাতীয় দৈনিকসমূহের সম্পাদকগণও তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা রাখার পক্ষে সুপারিশ করেছিলেন। বিরোধী দলসহ দেশের সকল স্তরের মানুষ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বহাল করার জন্য বিভিন্নভাবে মতপ্রকাশ করেছে। বিভিন্ন জনমত জরিপে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বহাল রাখার পক্ষে মতপ্রকাশ করেছে। তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বহাল করার দাবি এখন গণদাবি।
এমনি অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী কয়দিন আগে বললেন তার মনগড়া পঞ্চদশ সংশোধনী থেকে এক চুলও নড়বেন না। প্রধানমন্ত্রীর এই উক্তির জবাবে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা বললেন এক চুল নয় আন্দোলনের তোড়ে সব চুল নড়বে। চুলতত্ত্ব নিয়ে পত্রপত্রিকায় টকশোতে রসালো আলোচনা অব্যাহত আছে।
যাহোক আশা বা নিরাশা যাই হোক আন্দোলনের তোড়ে হোক বা বিদেশী বন্ধুদের তাগিদে হোক চুল নড়তে শুরু করেছে। গত ১৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রধান জাতির উদ্দেশে এক বক্তৃতায় নির্বাচনকালে সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়ে বিরোধী দলের নাম চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতাকে জাতির উদ্দেশে বলা যায় না। কারণ বক্তৃতার ধরন থেকে মনে হয় যেন তিনি আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বক্তৃতা করতে গিয়ে বিরোধী দলকে ইচ্ছামত গালমন্দ করতে গিয়ে হঠাৎই যেন সর্বদলীয় সরকারের কথা মনে পড়ে গেল। তাই কিছু একটা বললেন আর কি। গ্রাম বাংলার সেই পুরানো কথার মত “ওঠ ছেরি তোর বিয়া”। বলা নাই কওয়া নাই আলাপ নাই আলোচনা নাই তিনি বিরোধী দলের নাম চাইলেন।
যাহোক তার এই প্রস্তাব হালে পানি পায় নাই। তার বড় ইচ্ছা একটা একতরফা নির্বাচন। মন্ত্রী অমাত্য সকলের একই উক্তি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একতরফা নির্বাচন হবেই। বিরোধী দল ঠেকায় যেন। সকলেই যেন মাদকাসক্ত হয়ে আবোল তাবোল বলছে।
এদিকে বিরোধী দল একতরফা নির্বাচন করতে দেয়া হবে না বলে নির্বাচন ঠেকাবার হুমকি দিয়েছে। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজ জিলায় অবস্থান করে ৫ জনকে হত্যা করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। বিরোধী দলকে শারাবান তহুরা খাইয়ে ঘরে আবদ্ধ করে এক তরফা নির্বাচনের খোয়াব দেখছেন।
যা হোক স্বপ্ন যাই দেখেন না কেন চুল তো নড়ছেই বিরোধী নেতাকে টেলিফোনও করতে হয়েছে। বিরোধী নেতাকে সারা দুপুর রেড টেলিফোনে খোঁজাখুঁজি করে অবশেষে অন্যজনের মোবাইল ফোনে কথা বলতে হয়েছে। নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানাতে হয়েছে।
বিরোধী নেতা ঘোষিত কর্মসূচি শেষে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন এবং তিনি যাবেনও। নৈশভোজে যাওয়ার আগে বিরোধী নেতাকে স্মরণ রাখতে হবে তার নেতা-কর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বহু নেতা জেলে মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ১৮ দলের নেতা কাদের মোল্লা, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী জেলখানার কনডেম সেলে আছেন। বিশ্বখ্যাত আলেমে দ্বীন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীও জেলে। বিএনপি নেতা আঃ সালাম পিন্টু, নাসির উদ্দিন পিন্টুসহ হাজার হাজার নেতা-কর্মী জেলে অন্তরীণ। লাখ লাখ নেতা-কর্মী মিথ্যা মামলার আসামী। শিবির প্রেসিডেন্ট দেলাওয়ার হোসেনকে ইতোমধ্যে পঙ্গু করা হয়েছে। শুধু তাই নয় শিবিরের হাজার হাজার কর্মীকে জেলে নিয়ে হাড়গোড় ভেঙ্গে পঙ্গু করা হয়েছে। মাত্র দুইদিন আগে বিরোধীদলীয় নেত্রীর গাড়িবহর থেকে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে গাড়ির কাচ ভেঙ্গে গ্রেফতার করে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই পরিবেশে এক টেলিফোনে গণভবনে নৈশভোজে যাওয়া যায় কিনা? সরকার আগে সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি করুক তারপর সংলাপ। আমরা সংলাপের বিরোধী নই। সংলাপ ডিনার, অবশ্যই হবে, তার আগে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তাছাড়া আলোচনা হতে পারে মহাসচিব পর্যায়েও। চূড়ান্ত আলোচনা হতে পারে শীর্ষ পর্যায়ে। এ যেন ঘোড়ার আগে গাড়ি। প্রসঙ্গক্রমে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে শেখ মুজিবের ভাষণ অনুসরণযোগ্য। তিনি আলোচনার জন্য ৪ দফা শর্ত দিয়ে বলেছিলেন আমার সন্তানদের রক্ত মাড়িয়ে আমি সংলাপে যেতে পারি না। যা হোক সংলাপ হবে নৈশভোজ হবে সবই হবে তার আগে অর্থবহ সংলাপের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এরশাদের মত ফোনে নৈশভোজের দাওয়াত পেলেই দৌড় মারা যাবে না।
বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা সৃষ্টি একটি সুষ্ঠু অবাধ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরন্তর চেষ্টা প্রশংসনীয় বললে কম বলা হবে। ভদ্রলোক দিল্লী পর্যন্ত গেছেন শুধু বাংলাদেশে একটা সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করার জন্য। শোনা যায়, তিনি চীনও যাবেন একই উদ্দেশে। আমাদের জন্য বিদেশী বন্ধুদের এই দৌড়ঝাঁপকে কেউ কেউ আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ বলে মনে করেন। হস্তক্ষেপ বলেন আর যাই বলেন তারা তো আমাদের জন্য দৌড়াদৌড়ি করছেন। এজন্য তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। ড. বদিউল আলমের ভাষায় সংকটের সৃষ্টি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার মধ্যে শুভ বুদ্ধির উদয় হলে এত আন্দোলন, এত দৌড়ঝাঁপ, এত উৎকণ্ঠা, কোনটারই প্রয়োজন হয় না। দুই নেত্রী নয় আসুন সংকট সমাধানকল্পে সকলে মিলে প্রধানমন্ত্রীর উপর চাপ সৃষ্টি করি।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads