রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৩

এক পেশে মিডিয়া : সুবিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অন্তরায়


অনেকের জানা আছে, সাম্প্রতিককালে বিবিসিতে একজন প্রভাবশালী বৃটিশ রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর পরিবেশন করার কারণে তাদের ডিজি পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন। ঐ রিপোর্টটি নিয়ে তখন ইংল্যান্ডসহ সারা দুনিয়ায় দস্তুরমত হৈ-চৈ পড়ে গিয়েছিল। আসল কথা হলো পাশ্চাত্য জনগণ ও মিডিয়া তাদের নিজেদের ব্যাপারে কোন মিথ্যা সংবাদ কিংবা রিপোর্ট পছন্দ করেন না। এ ব্যাপারে অন্তত বলা যায় যে, সততার দিক থেকে পাশ্চাত্য মিডিয়া বাংলাদেশের মিডিয়া থেকে অনেক দূর এগিয়ে। এ কথাগুলো বলার কারণ হলো বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিরোধী দলের ওপর বিশেষ করে জামায়াত-শিবিরের ওপর যেভাবে ক্র্যাকডাউন চালানো হচ্ছে তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। অথচ বাংলাদেশী অধিকাংশ মিডিয়া এর ছিঁটে ফোঁটাও প্রচার করেনি বরং মিথ্যা বানোয়াট, বিকৃত ও একপেশে খবর পরিবেশন করে দেশবাসীকে ও বিশ্ব মতামতকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতারোহণের পর থেকে জামায়াত-শিবির কর্তৃক আয়োজিত সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান, তাফসীর মাহফিল, মিছিল-মিটিং ও সমাবেশ ঘোষিত-অঘোষিত ভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। এ সময় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে, মেসে, বাসা-বাড়ীতে রাস্তা-ঘাটে জামায়াত-শিবির করার কারণে অথবা সন্দেহজনক ভাবে হাজার হাজার ছেলে মেয়েকে গ্রেফতার, নির্যাতন, হত্যা, গুম, জখম, অঙ্গহানি ও বহিষ্কার করে গায়ের জ্বালা মিটিয়েছে এবং এখনও মিটাচ্ছে সরকারি মদদপুষ্ট ক্যাডার, বিজিবি ও র‌্যাব-পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। আর এ সকল অন্যায় আচরণের পক্ষে সমর্থন দিচ্ছে মিডিয়া ও সরকারপন্থী বুদ্ধিজীবি মহল। যার ফলৈ ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে অবলীলাক্রমে। এজন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছেও এসব নৃশংসতার খবর তেমন একটা প্রচার পাচ্ছে না। দীর্ঘদিন থেকে এ দলটির নেতা কর্মীদের সহায় সম্পদে, স্থাপনায় লুটপাট, হামলা চালিযে, ভাঙচুর করে ও আগুন লাগিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করছে ও সবকিছু তছনছ করে দিচ্ছে আর এভাবে এহেন কোন বর্বরতা বাকী নেই যা সরকারী দলের লোকেরা ও পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সদস্যরা জামায়াত-শিবিরের ওপর চালিয়ে আসছে না।
এত কিছুর পরও দলটি সব কিছু নীরবে সহ্য করে গেছে দীর্ঘদিন থেকে। সর্বশেষ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র নিহতের জের ধরে চলতে থাকে রণ হুংকার। রাজশাহীর ঘটনায় সরকার দলীয় মন্ত্রীরা তাদের নিজেদের দলীয় লোকদের অপরাধ চোখ বুজে দেখেও না দেখার ভান করে। পরিকল্পিতভাবে সব দোষ জামায়াত-শিবিরের ওপর চাপিয়ে দিয়ে তাদের ওপর পুলিশ ও পেটুয়া বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে লোমহর্ষক ঘটনা সংঘটিত করেছে। এতসব নির্যাতন-নিপীড়নের পরও জামায়াত-শিবিরকে শান্তিপূর্ণভাবে ন্যূনতম প্রতিবাদ জানাতেও দেয়নি সরকার। রাস্তায় নামলেই গ্রেনেড, গুলী, টিয়ারশেল ও লাঠি চার্জের শিকার হতে হয়েছে। এরপরও এরা পুলিশের ওপর কোনো হামলা সংঘটিত করেনি। এভাবে একটি আদর্শবাদী দলকে যাদের সন্ত্রাসের কোন রেকর্ড কেউ ইতোপূর্বে তাদের বিশাল কর্মীবাহিনী চরম হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের কর্মীবাহিনী নেতৃবৃন্দের কথায় আর ধৈর্য ধরতে পারছিল না। কেন না নিরীহ কর্মীদের ওপর চরম নির্যাতন নিপীড়ন সহ্যের সকল সীমা ছাড়িয়ে যায়। এভাবে তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যায়।
বলতে গেলে উচ্চ মহলের মদদে সন্ত্রাসী বাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠন মিলে গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে ফ্যাসিবাদী কায়দায় জামায়াত-শিবিরকে তাদের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা করতে দিতেও নারাজ। অতঃপর জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের প্রতি নেমে আসে অমানবিক অত্যাচার ও নিপীড়ন। তাদের বিচারের জন্য তৈরী হলো ট্রাইব্যুনাল। ৭৩ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নিমিত্তে তৈরী করা আইন দিয়ে উক্ত ট্রাইব্যুনাল নতুন করে তৈরী করা হলো। এ নিয়ে দেশে বিদেশে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেল। সরকার তাতে ভ্রƒক্ষেপ করলো না। সরকারের এত আত্মবিশ্বাসের কারণ হিসাবে সমালোচকরা অনেক কথাই বলছেন। তাদের কথা হলো কে কি বললো বড় কথা নয়, বিচার চলবে ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী। উক্ত ট্রাইব্যুনালে এমন বিচারপতিকেও নিয়োগ দেয়া হয়েছিল যে নিজেই গণ আদালত তৈরী করে ঐসব লোকদের প্রতীকি ফাঁসির রায় ঘোষণা করেছিল। বিচারক, সাক্ষী, এমন কি পুলিশ অফিসাররা পর্যন্ত পছন্দের ও দলীয় লোক বলে সমালোচনা আছে। পুলিশের লোকদের নৈতিক চরিত্র সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। এমন কি উকিল-মোক্তারও নিজেদের লোক। এত সমস্যার পর এটা কি করে আন্তর্জাতিক আদালত হতে পারে জানি না।
অবাক ব্যাপার হলো জামায়াতের বড় বড় নেতা গ্রেফতার হলো, কেন গ্রেফতার হলো তা তখনও কেউ জানতো না। এক উদ্দেশ্যে গ্রেফতার করে পরে যুদ্ধাপরাধের মামলায় ঢুকিয়ে দেয়ার বিষয়টি বিশ্ববাসী দেখতে পেয়েছে। এরকম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গ্রেফতারের পরও লাখ লাখ জনতার সামনে থেকে তাদেরকে জেলে নিয়ে যাওয়া হলো একটি ঢিলও ছুঁড়লো না জামায়াত-শিবির, একটু ধস্তাধস্তিও হলো না পুলিশের সাথে। কি রকম সন্ত্রাসীদের দল! বরং এটা কি তাদের আদর্শিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ নয়। একটু চিন্তা করে দেখুন না ঢাকায় বা দেশের কোথাও আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগের অপরাধীকে সুনির্দিষ্ট মামলায় আটকের পর অথবা নিজেরা নিজেরা মারামারি করার পর কত শত অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর, ঘেরাও এবং হত্যাকা- সংঘটিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তার কি কোনো সীমা-পরিসীমা আছে? আর যদি মিডিয়া কর্মীরা এ সব নারকীয় ঘটনা জোর করে, ইচ্ছা করে ভুলে গিয়ে একপেশে ও পক্ষপাতদুষ্ট রিপোর্ট করেন তাহলে কার কি বলার আছে। একজন মহিউদ্দীনকে চট্টগ্রামে আটকের পর শত কোটি টাকার সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি জ্বালিযে পুড়িয়ে ছার-খার করে দেয়নি আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ কর্মীরা? এভাবে বাংলাদেশের সর্বত্র টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া একজন শামীম ওসমান, জয়নাল হাজারী, তাহের, মামুন, সীমান্ত তালুকদার কিংবা অন্য কেউ যে সব নৈরাজ্য সংঘটিত করেছে তা কি বলে ও লিখে শেষ করা যাবে?
সাম্প্রতিক সময়ে নীরবে প্রকাশ্যে যত অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে তা কারা করছে তা কি সংবাদ কর্মীরা বা প্রশাসন জানে না? গার্মেন্টস এ আগুন, বস্তিতে আগুন, হত্যা ও গুমসহ লোমহর্ষক যত সব ঘটনায় চোখ বন্ধ করে দোষ চাপানো হয় জামায়াত-শিবিরের ওপর। এ নিয়ে মিডিয়ায় সুনামী বয়ে যায় অথচ এ পর্যন্ত একটি ঘটনাও প্রমাণ করতে পারেনি যে ওসব কাজে ওরা জড়িত। কিন্তু নির্লজ্জের মত মিডিয়া জামায়াত-শিবিরের ওপর দোষ চাপিয়েছে বার বার। আমরা বুঝতে পারছি না রাজনৈতিক উত্তেজনা ও প্রকাশ্য মারামারিকে কেন সন্ত্রাসী কর্মকা- বলা হচ্ছে? এ সমস্ত মারামারি তো আজকে হচ্ছে না বরং বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে যুগ যুগ ধরে হচ্ছে, সারা পৃথিবীতে হচ্ছে। সমস্যা তো সরকারি দল সৃষ্টি করছে। সরকার জামায়াত-শিবিরকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার মিছিল-মিটিং করতে দিচ্ছে না কেন? ওদেরকে আগের মত সভা সমাবেশ করার অধিকার ফিরিয়ে দিন তখন দেখবেন ওরা পুলিশের গায়ে একটু বালিও মারছে না। আর আপনাদের কথামত যদি এদের রাজনীতি করার অধিকার না থাকে আর এরা যদি এদেশের নাগরিকই না হয়ে থাকে তাহলে সংবিধান পরিবর্তন করে সেটা বাস্তবায়ন করছেন না কেন? ওদের ভোটাধিকার দ্রুত বন্ধ করে দিন। আপনাদেরকে তো বাধা দেয়ার কেউ নেই। এ সুযোগ আর কখনও পাবেন না, তাড়াতাড়ি কাজে লাগান না কেন?
দুর্ভাগ্যের বিষয় প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার বড় অংশ পুলিশ ও সরকারি দলের লোকদের হাজারো অপকর্ম ও প্রকৃত সন্ত্রাসগুলো বেমালুম চেপে যাচ্ছে। সাংবাদিক বন্ধুরা কিভাবে সরকারি দলের ক্যাডারদের হাতে বিভিন্ন সময় নির্যাতিত হয়েছেন তার কি হিসাব আছে? হিসাব থাকলেও বলবেন না। আপনি সেই দল করেন বলে হয়তো বেঁচে গেছেন তাই বলে কি সতীর্থদের ওপর অকথ্য নির্যাতন নিপীড়ন বেমালুম ভুলে যাবেন? এটা তো অন্যায় মহাপাপ বরং সাংবাদিকদের মুখে কালিমা লেপনের শামিল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের সেঞ্চুরী উদযাপন করে কারা আপনারা জানেন না? এভাবে সারা বাংলাদেশে বর্তমানে যত ধর্ষক আছে, ইভটিজার আছে, মদখোর, হেরোইন সেবী, গাঁজাখোর, হুন্ডি ব্যবসায়ী, জুয়াড়ী, ডাকাত, চোর, বদমায়েশ, ত্যাজ্যপুত্র, নাস্তিক ব্লগার, টেন্ডারবাজ, ভূমিদস্যু, নদী-দখলবাজ, জলমহাল খেকো, এসিড নিক্ষেপকারী, চামার, লুচ্চা, গুন্ডা, ঘুষখোর, ব্যাংক লোপাটকারী, ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎকারী, নারী-শিশু অপহরণকারী, পাচারকারী, খুনী, অস্ত্রধারী, ধর্ম-অবমাননাকারী কারা, আজ তাদের দলীয় পরিচয় প্রকাশ করা হোক আর এদের মধ্যে জামায়াত শিবিরের কত লোক আছে তাও প্রকাশ করা হোক।
এভাবে বলতে থাকলে হাজার, লাখ উদাহরণ দেয়া যাবে। বিগত বছরে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে যত সব ঘটনা ঘটেছে তারও কোন সীমা-পরিসীমা নেই আর তার নেপথ্যে কারা তাও খুঁজে বের করা দরকার। নিজ দলের লোকদের সাথেও অমানবিক আচরণের রেকর্ড রয়েছে। তার অসংখ্য ঘটনা, আন্তঃকোন্দলে নিহত, আহতদের বক্তব্য থেকেই তা সহজে অনুমেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সন্ত্রাসী ছাত্র-অছাত্র কারা সবাই জানে, আর এই সন্ত্রাসীরা দেশটাকে নরক কু-ে পরিণত করেছে। দুঃখের বিষয় আমাদের বিবেকহীন মিডিয়া কর্মীরা খেয়ে না খেয়ে ঐ সমস্ত সন্ত্রাসীদের পক্ষাবলম্বন করছে, আর জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে বিষোদগার ছড়াচ্ছে অহরহ। আমরা আবার বলছি সারা দেশের অপরাধীদের মধ্যে কতভাগ জামায়াত-শিবিরের লোক চিহ্নিত করা হোক ও জনসমক্ষে তা প্রকাশ করা হোক। এ দাবি সরকারের কাছে নয়, মিডিয়া কর্মীদের কাছে, যারা সারাদিন, মাস, বছর জামায়াত-শিবির বিরোধিতায় আকণ্ঠ নিমজ্জিত, তাদের উদ্দেশ্যেই বলছি। তারা যদি সত্যবাদী হয়, তাহলে এর একটা বিহিত ব্যবস্থা করবে। সততার স্বার্থে সত্য প্রকাশ করবে। নতুবা তারা ভ- হিসাবে পরিচিত হবে।
জামায়াত-শিবির কি আদর্শ বাস্তবায়ন করতে চায় তা মিডিয়া বলে না। আর সেসব বিষয়ে পত্র-পত্রিকা কিংবা টিভি চ্যানেলগুলো জামায়াত-শিবিরের কাছ থেকে জানবে এটাই তো স্বাভাবিক। যাদের বিরুদ্ধে এত কথা, আসমান জমিন বরাবর সমালোচনা, বিষোদগার, ঘৃণা তাদের প্রিয়ভাজনদের একটি কথাও শুনবেন না এটি তো হয় না। অপরাধীদেরও দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সনদ অনুযায়ী বক্তব্য দেয়ার অধিকার রয়েছে অথচ এর ন্যূনতম অধিকার, ন্যূনতম আইন, মানবতা, সততার দৃষ্টান্ত দেখাতে কিংবা মেনে নিতে আপনারা নারাজ। এখানেই তো বুঝা যাচ্ছে আপনারা একপেশে, আপনাদের কর্মকা-, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বিভ্রান্তিমূলক ও অজ্ঞানতাবশত আর মিথ্যা-বানোয়াট খবর ছড়াচ্ছেন প্রতিনিয়ত। দয়া করে সত্য প্রকাশ করুন আর বন্ধ করুন আপনাদের অমানবিক প্রচার-প্রচারণা ও মিথ্যা-ভিত্তিহীন কল্পকাহিনী।
জামায়াত-শিবিরের হাতে এ পর্যন্ত একটি অবৈধ অস্ত্রও কেউ দেখেছে কি? অথচ সরকারি দলের ক্যাডারদের হাতে অনবরত আগ্নেয়াস্ত্রের সচিত্র প্রতিবেদন কিছু কিছু পত্র-পত্রিকায় ও টেলিভিশনে প্রচারিত ও প্রকাশিত হচ্ছে। আবার এরকম ছবির আক্রান্তরা যদি জামায়াত-শিবিরের লোক হয় তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মিডিয়া চেপে যাচ্ছে, পত্রিকায় ছাপছেন না বা টিভিতে দেখাচ্ছেন না বরং বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণায় মেতে উঠেন। দুষ্কৃতকারীদের কেমন করে বাঁচাবেন তার ফন্দি-ফিকির করতে থাকেন আর সিন্ডিকেটেড ভুয়া খবর প্রচার করেন অনবরত। এ কেমন সাংবাদিকতা? সেদিন বিশ্বজিৎকে শিবির কর্মী মনে করে হত্যা করা হয়েছিল আর যদি রহিম-করিম হতো কিংবা জামায়াত-শিবিরের লোক হতো তাহলে কি আপনারা এভাবে প্রচার করতেন? মোটেই করতেন না। এটি শতভাগ সত্য। আসল কথা হলো, বাস্তবে আপনাদের বিবেক বলতে, সততা বলতে, মনুষ্যত্ব বলতে, মানবতাবোধ বলতে কিছুই নেই।
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর সারাদেশে যে উত্তাল গণবিস্ফোরণ হলো, তা কেন বুলেট দিয়ে মোকাবিলা করতে হলো? বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি তো রাস্তায় নামতেই পারে, এটা সারাবিশ্বে স্বীকৃত ও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। এদেশেও এরকম কত গণবিস্ফোরণ ঘটেছে ইতোপূর্বে। অথচ জামায়াত-শিবিরের অধিকার আপনারা মানতে নারাজ আর এখানেই মূল সমস্যা। 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads