সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৩

রাজনীতির জন্য ভোট, নাকি ভোটের জন্য রাজনীতি


রাজনীতি’ অর্থ রাজনৈতিক কাজকর্ম। রাজকার্য পরিচালনাও রাজনীতির অন্তর্ভুক্ত। তবে সাধারণ অর্থে আমরা ‘রাজনীতি’ বলতে বুঝি রাজার নীতি। ভারত বিভাগ-পূর্ববর্তী ঔপনিবেশিক শাসনামলে আমাদের উপমহাদেশের রাজ্যগুলো বিভিন্ন মহারাজা, রাজা ও সামন্ত রাজা দ্বারা শাসিত হতো। এর আগে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন সম্রাট ও নবাবেরা। মূলত উভয়ই মহারাজা বা রাজার সমার্থক। মহারাজা বা রাজা বংশানুক্রমিকভাবে ক্ষমতায় আরোহণ করায় তার প্রতি জনসমর্থন আছে কি না সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভোটগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় না। রাজা দুই ধরনের। একটি হচ্ছে নামমাত্র বা আলঙ্কারিক এবং অপরটি রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী বা সাংবিধানিক প্রধান। যুক্তরাজ্য, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস প্রভৃতি রাষ্ট্রে রাজা নামমাত্র বা আলঙ্কারিক। অপর দিকে সৌদি আরব, জর্ডান, মরক্কো, ব্রুনাই প্রভৃতি রাষ্ট্রে রাজা প্রধান নির্বাহী বা সাংবিধানিক প্রধান। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রতিটি স্বীকৃত রাজনৈতিক দল গঠনতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হয়। গঠনতন্ত্রে দলের গঠন কাঠামো, অভ্যন্তরীণ নির্বাচনপদ্ধতি, রাজনৈতিক মতাদর্শ, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রভৃতির উল্লেখ থাকে। প্রতিটি দলের নিজস্ব ঘোষণাপত্র থাকে। ঘোষণাপত্রে রাষ্ট্রের তিনটি প্রধান বিভাগ যথা আইন, বিচার ও শাসন বিভাগ, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শ্রমনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস নির্মূল, দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকি মোকাবেলাসহ বিভিন্ন আনুষঙ্গিক বিষয়ে সবিস্তারে উল্লেখ থাকে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, তারা সাধারণত নির্বাচনের আগে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কী ধরনের জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপ নিলে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা যায়, তা বিবেচনায় নিয়ে দলগুলো নিজ নিজ নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করে থাকে। এই ইশতেহার ঘোষণাপত্রের সমরূপ হয়ে থাকে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে একটি দল নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেলে চার বা পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনার দায়িত্ব লাভ করে থাকে। প্রকৃত রাজনীতিবিদেরা অর্থাৎ পেশাগতভাবে যারা রাজনীতিবিদ তারা তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে ভোট প্রার্থনা করে থাকেন। পেশাগত রাজনীতিবিদেরা সাধারণত ছাত্র ও যুব সংগঠনের কর্মতৎপরতায় সম্পৃক্ততার মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক ধাপ অতিক্রম করা এবং অতঃপর রাজনৈতিক দলের সদস্য হওয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক জীবনে পদার্পণ করেন। রাজনৈতিক নেতা দুই ধরনের। একটি হচ্ছে সাধারণ কর্মী থেকে ধীরে ধীরে যোগ্যতা প্রমাণের মাধ্যমে নেতৃত্বের আসনে আসীন হওয়া এবং অপরটি হচ্ছে, ঘটনার আকস্মিকতায় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ। পেশাগত রাজনীতিবিদেরা যে দলের মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশ করেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তারা আমৃত্যু সে দলের নীতি ও আদর্শের প্রতি অবিচল থাকেন। আমাদের দেশে নানামুখী লোভ, মোহ ও প্রলোভনে পড়ে কিছু পেশাগত রাজনীতিবিদকে এক বা একাধিকবার দল পরিবর্তন করতে দেখা যায়। আবার দেখা যায়, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও দলে সঠিকভাবে মূল্যায়িত না হওয়ার কারণে অথবা অবমূল্যায়িত হওয়ায় দল পরিবর্তন করছেন। এমনও দেখা যায়, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরাগভাজন হয়ে দল ত্যাগ করে নতুন দল গঠন করছেন। আমাদের দেশের মতো পাশ্চাত্যে এবং উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দল ত্যাগের ঘটনা বিরল। যখন কোনো রাজনৈতিক দল বা রাজনীতিবিদ নিজ নীতি ও আদর্শের আলোকে নির্বাচনের আগে জনগণের কাছে ভোটের জন্য আবেদন জানায়, তাকে বলা হয় ‘রাজনীতির জন্য ভোট’। অপর দিকে কোনো রাজনৈতিক দল বা রাজনীতিবিদ দলের ও নিজের নীতি ও আদর্শের জলাঞ্জলি দিয়ে শুধু ভোটপ্রাপ্তির আশায় যখন কোনো দল বা গোষ্ঠীকে সমর্থন করে তাকে বলা হয় ‘ভোটের জন্য রাজনীতি’। এরূপ সমর্থনের মূল উদ্দেশ্য, নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া।Ñ আমাদের দেশে ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের প্রতি জনসমর্থন প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য দলের তুলনায় অনেক বেশি থাকায় তখন দল ও দলের নেতারা রাজনীতির জন্য ভোটÑ এ মূলমন্ত্রে বিশ্বাসী হয়ে জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা করে অভূতপূর্ব বিজয় অর্জন করেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। ১৯৭৩ এর নির্বাচনে তাদের ভোটের একটা বড় অংশ তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ভোটবাক্সে পড়েছিল বলে মনে করা হয়। ১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে দেখা যায়Ñ বিএনপি দুই তৃতীয়াংশের অধিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে এবং সে নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বনকারী মুসলিম লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর সমর্থনপুষ্ট ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক লীগ ২০টি আসন লাভ করেছিল। ১৯৭৯ সালে স্বতন্ত্র রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচন এবং বাংলাদেশ অভ্যুদয়-পরবর্তী ১৯৭৩ ও ১৯৭৯ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী ও বিজিত দলগুলো আক্ষরিক অর্থে রাজনীতির জন্য ভোটÑ এটিকে মুখ্য বিবেচনায় নিজ নিজ নীতি ও আদর্শ জনগণের সামনে উপস্থাপন করে ভোট প্রার্থনা করেছিল। ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে। এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ১৫৩টি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭৬টি আসন লাভ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে এবার সর্বপ্রথম জামায়াতে ইসলামী নিজ পরিচয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ১০টি আসন লাভ করে। চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী অংশগ্রহণ না করায় এ নির্বাচন অনেকটা একতরফা ছিল এবং জন-আকাক্সার প্রতিফলন না হওয়ায় নির্ধারিত মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার অনেক আগেই এ সংসদকে অবলুপ্ত করতে হয়েছিল। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত, যথাক্রমে ৫ম, ৭ম, ৮ম ও ৯ম সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যথাক্রমে ৮৮, ১৪৬, ৬২ ও ২৩০টি আসন পেয়েছিল। উপরিউক্ত চারটি নির্বাচনে বিএনপি যথাক্রমে ১৪০, ১১৬, ১৯৩ ও ৩০টি আসন পেয়েছিল। এ চারটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রাপ্ত আসনসংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৩৫, ৩২, ১৪ ও ২৭। অপর দিকে ওই চারটি নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী প্রাপ্ত আসন সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৮, ০৩, ১৭ ও ০২। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত এসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মোট প্রদত্ত ভোটের যথাক্রমে শতকরা ৩০.০৮, ৩৭.৪৪, ৪০.১৩ ও ৪৮.০৪ ভাগ ভোট পেয়েছিল। উপরিউক্ত চারটি নির্বাচনে বিএনপির ভোটপ্রাপ্তির হার ছিল যথাক্রমে ৩০.৮১, ৩৩.৬০, ৪০.৯৭ ও ৩২.৫০ শতাংশ। এ চারটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভোটপ্রাপ্তির হার ছিল যথাক্রমে ১১.৯২, ১৬.৪০, ০৭.২৫ ও ০৭.০৪ শতাংশ। ওই চারটি নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের ভোটপ্রাপ্তির হার ছিল যথাক্রমে ১২.১৩, ০৮.৬১, ০৪.২৮ ও ০৪.৭০ শতাংশ। উপরিউক্ত চারটি নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, অষ্টম ও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের ভোটপ্রাপ্তি বহুলাংশে হ্রাস পায়। শেষোক্ত দু’টি নির্বাচনে জামায়াত যথাক্রমে ৩১টি ও ৩৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল এবং অবশিষ্ট আসনে জামায়াত বিএনপিকে সমর্থন দিয়েছিল। বিশ্লেষকদের মতে, শেষোক্ত দু’টি নির্বাচনে জামায়াতের শতকরা ভোটপ্রাপ্তির হার হ্রাসের এটিই মূল কারণ। অনুরূপভাবে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৪৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং অবশিষ্ট আসনে তারা আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেয়। বিশ্লেষকেরা সীমিত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে জাতীয় পার্টির ভোটপ্রাপ্তির হ্রাসের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আলোচ্য চারটি নির্বাচনের প্রতিটিতে দেখা গেছে, সামগ্রিক জনমতের প্রেক্ষাপটে জামায়াতের প্রতি নির্দিষ্ট সমর্থনের হার দেশের বৃহৎ দু’টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জন্য নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে জামায়াত একবার আওয়ামী লীগের সাথে সহাবস্থান করে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলনে অবতীর্ণ হয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। অপর তিনটি নির্বাচনের একটিতে জামায়াত বিএনপির সাথে জোটবদ্ধ না হলেও আওয়ামী লীগকে ঠেকানোর মানসে যেসব আসনে তাদের প্রার্থীর বিজয় অনিশ্চিত ছিল সেসব আসনে নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে বিএনপির প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে সর্বাধিক আসন প্রাপ্তিতে সহায়তা করে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, জামায়াত দেশের দু’টি বৃহৎ দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কখনো মিত্র আবার কখনোবা শত্রু। কোনো কোনো নির্বাচনে দেখা গেছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট জামায়াতের ভোটের চেয়ে বেশি, আবার কোনো কোনো নির্বাচনে জামায়াতের ভোটের চেয়ে কম। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র ও নির্বাচনী ইশতেহারের সাথে অনেক ক্ষেত্রেই জামায়াতের বৈপরীত্য পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু উভয় দলকে দেখা গেছে, নির্বাচনে নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জামায়াতের সাথে সমঝোতায় উপনীত হয়েছে। শুধু নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করে ক্ষমতাসীন হওয়ার জন্য এ ধরনের সমঝোতা ‘ভোটের জন্য রাজনীতি’ হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের রাজনীতিতে হেফাজতে ইসলাম নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন সম্প্রতি ঢাকায় নানামুখী প্রতিকূলতা সত্ত্বেও এ দেশের স্মরণকালের ইতিহাসের বৃহত্তম গণসমাবেশ করায় এই সংগঠনটির জনসমর্থনকে মাথায় রেখে নতুন করে হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হলে সম্মিলিতভাবে জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামের সমর্থন যেকোনো দলের বিজয় নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অপরিহার্য হিসেবে দেখা দেবে। এ কারণেই বর্তমানে হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে নতুন ভাবনা। হেফাজতে ইসলামের সমর্থন পাওয়ার দৌড়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সাথে জাতীয় পার্টিও পিছিয়ে নেই। হেফাজতে ইসলাম যে ১৩ দফা সরকারের কাছে দিয়েছে, তার সাথে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির আদর্শে কোনো মিল নেই। কিন্তু মিল এখানে গৌণ, মুখ্য হচ্ছে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন। তাই অতীতের মতো আবারো দেখা গেল রাজনীতির জন্য ভোট নয়, ভোটের জন্য রাজনীতি। আর ভোটের জন্য রাজনীতির এ ধারা অব্যাহত থাকলে এ দেশে সুষ্ঠু রাজনীতির বিকাশ ঘটবে কি-না সে সংশয় থেকেই যায়। 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads