সোমবার, ২২ জুলাই, ২০১৩

দেশ পরিচালনা ও ভোটারদের যোগ্যতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর রঙ্গরস


গত ১১ই জুলাই বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ১ম পাতার বাম কোনায় সিঙ্গেল কলামে অধ্যাপক ডেভিড লুডেন একটি চমকপ্রদ তথ্য পরিবেশন করেছেন। তিনি বলেছেন যে, শেখ হাসিনা নয়, বাংলাদেশ চালায় রাষ্ট্রদূতদের টুইসডে ক্লাব। তার ভাষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নন বহুজাতিক পুঁজির প্রতিনিধি প্রভাবশালী রাষ্ট্রদূতদের টুইসডে ক্লাবই বাংলাদেশ চালায়। তারা এদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করেন। সুতরাং তারাই বাংলাদেশের আর্থরাজনীতিক অবস্থার জন্য দায়ী। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক ড. ডেভিড লুডেন গত ৭ জুলাই জ্যাকসন হাইটস-এ এক প্রকাশনা অনুষ্ঠান ও সেমিনারে এ কথা বলেন। বাংলাদেশ কে চালায়-এ প্রশ্ন তুলে তিনি আরো বলেন, স্থানীয় রাজনীতি আবর্তিত হয় আন্তর্জাতিক রফতানী বাণিজ্যের ওপর নির্ভর করে। যেমন চিংড়ি চাষ, ঢাকার গার্মেন্টস শিল্প। শেখ হাসিনা এসব শিল্প নিয়ন্ত্রণ করেন না। বহুজাতিক স্বার্থই নিয়ন্ত্রণ করেন রফতানি বাণিজ্য। অধ্যাপক লুডেন মরহুম মওলানা ভাসানী সম্পর্কে বলেন, মওলানা যে জগতে বাস করতেন তা ছিল পরিবর্তন মুখর। তিনি নিজে ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখতেন, বুঝতে চেষ্টা করতেন এবং মানুষকে বুঝাতে চেষ্টা করতেন। তিনি দ্বিজাতিতত্ত্বে পাকিস্তান আন্দোলন করেছেন। কিন্তু দুই বাংলার বিভক্তি চাননি। তিনি বাংলার সঙ্গে আসামকেও চেয়েছিলেন। ভাসানী চেয়েছিলেন দেশটি হবে জনগণের, কিন্তু তা হয়নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হবে এটি তিনি মুক্তিযুদ্ধের ২০ বছর আগে বুঝতে পেরেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ায় ইতিহাস বিষয়ে বিশেষজ্ঞ লুডেনের মতে ভাসানীর রাজনৈতিক দর্শন ছিল ইসলামী পলিটিক্স। রানা প্লাজার ধস ও গার্মেন্টসে আগুনে যেসব শ্রমিক মারা যান- ভাসানীর রাজনীতি ছিল তার পক্ষে। গবেষক ও কলামিষ্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ রচিত ভাসানী কাহিনী বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এবং ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং দ্যা ক্রাইসিস ইন বাংলাদেশ ফ্রম ভাসানী পারসপেকটিভ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এইসব কথা বলেন।
ডঃ লুডেনের মন্তব্য প্রকাশিত হয়েছে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে। তিনি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র সম্পর্কে যে কথাগুলো বলেছেন বিশেষ করে আমাদের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী দেশ চালনায় অসামর্থ এবং পুঁজিবাদী রাষ্ট্রদূতদের প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তে দেশ চালনার যে তথ্য প্রকাশ করেছেন তা একটি স্বাধীন দেশের জন্য অপমানকর নয় বরং একটি নির্বাচিত সরকারের জন্যও লজ্জাজনক। আমাদের সরকার আজ পর্যন্ত ডঃ ডেভিড লুডেনের এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করেননি। এ থেকে ধরে নেয়া যায় যে অধ্যাপক লুডেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে যে কথা বলেছেন, তা সত্য বলেছেন এবং দেশ পরিচালনার যোগ্যতা যদি তার না থেকে থাকে তাহলে দেশবাসী তার সম্পর্কে অবশ্যই দ্বিতীয় চিন্তা করা দরকার। কেন না যে নির্বাচিত সরকার প্রধান দেশ চালাতে জানেন না স্বাধীন এবং  সার্বভৌম একটি দেশের সরকার পরিচালনা করেন বহুজাতিক কোম্পানীর প্রতিনিধি হিসেবে বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের একটি ক্লাব। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর অস্তিত্ব থাকার প্রশ্নই উঠে না এবং সাথে সাথে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। যে প্রধানমন্ত্রী নিজেকে সবচেয়ে বেশি দেশপ্রেমিক বলে দাবি করেন সেই প্রধানমন্ত্রী যদি বেনিয়াগোষ্ঠীর হাতে রাষ্ট্র পরিচালনা ছেড়ে দেন তাহলে দেশবাসীর ভাগ্য কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে তা সহজে অনুমেয়।
প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে ফিরে এসে কয়েকটা তাৎপর্যপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি এদেশের ভোটারদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং বলেছেন যে, তারা সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও উন্নয়নের পক্ষে ভোট না দিয়ে দুর্নীতি, দুঃশাসন, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও জঙ্গিবাদের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ফলে দেশের পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তার দল বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছে। তিনি দেশের মানুষের বিচার ক্ষমতা ও যোগ্যতার ওপর তীক্ষè শ্লেষ উচ্চারণ করে বলেছেন যে, তার দল কার জন্য এত কিছু করল? তিনি বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতের অবস্থা উল্লেখ করে বলেছেন যে, বিদ্যুতের যে অবকাঠামো তার আমলে তৈরী হয়েছে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে সাফল্য তিনি অর্জন করেছেন তা অসামান্য। এরপরও মানুষ তার দলকে ভোট দেয়নি এবং এটা পরিষ্কার অকৃতজ্ঞতা। তিনি শ্লেষের সুরে বলেছেন, এই অকৃতজ্ঞতার জন্য ঈদের পরে অন্তত চারদিন লোডশেডিং দিয়ে তিনি মানুষকে শাস্তি দিতে চান। অবশ্য আমার জানা মতে বাংলাদেশে শহরে, গ্রামে এখন এমন কোন দিন নেই যেদিন লোডশেডিং হচ্ছে না। তাহলে এত বিদ্যুৎ গেল কোথায়?
প্রধানমন্ত্রী মানুষকে দোষারোপ করার আগে যদি নিজস্ব সোর্স থেকে আসল তথ্য জেনে নেন তাহলে সম্ভবত খুবই ভাল হয়। প্রধানমন্ত্রী ভোটারদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ করেছেন এবং তার ভাষার তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, যে কোন মানুষ অপমান বোধ না করে পারেন না। অবশ্য তার এই স্বভাব আগেও পরিলক্ষিত হয়েছিল। নির্বাচনে হেরে গিয়ে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অস্থায়ী প্রেসিডেন্টকে বিশ্বাসঘাতক বলেছিলেন। তার কথাগুলো কিছুটা বিশ্লেষণ করা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী হয়তো ভুলে গেছেন যে, তিনি একজন আবুল হোসেনের জন্য এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম সেতু হিসেবে পরিচিত পদ্মাসেতু কুরবানী করেছিলেন। দুষ্ট লোকেরা বলে এই আবুল তার অন্যতম ক্যাশিয়ার ছিলেন, অন্য দুজন ছিলেন কর্নেল ফারুক খান ও শাহজাহান খান। পদ্মা ছাড়াও এই আবুলের ৬৫০ কোটি টাকার ডেমু এখন রেলের বোঝা। সুরঞ্জিত সেনের কথা যত কম বলা যায় ততই মঙ্গল। ঘুষ কেলেঙ্কারির দায় নিয়ে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে দফতরবিহীন মন্ত্রী বানিয়েছেন। বিনা শপথে মন্ত্রী হবার সৌভাগ্য তারই হয়েছিল। তার ঘুষের শাস্তি হয়নি। তার উদ্যোগে চালু ঢাকা-সিলেট রুটের কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন এখন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে লাঠি ভর করে চলে। বাস মালিকদের সাথে যোগসাজস করে ওবায়দুল কাদের ট্রেনের নতুন সময়সূচি চালু করায় উপকূল এক্সপ্রেসের যাত্রী কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। মুজিবুল হক চালু করেছেন আন্ত:নগর সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস, রেলের কর্মকর্তারা একে অপ্রয়োজনীয় বিলাসিতা বলেছেন, ৪৪টি স্টেশনে বিভিন্ন আন্ত:নগর ট্রেনের নতুন স্টপেজ চালু করা হয়েছে, জন চাহিদার ভিত্তিতে নয়, মন্ত্রী সংসদ সদস্য আর রাজনীতিকদের ইচ্ছায়। এতে রেলের কোনও উপকার হয়নি, খবর নিয়ে জানা গেছে যে সংশ্লিষ্ট কর্তারা এ থেকে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেছেন। এটা গেল একদিক। এখন অন্য দিক দেখুন।
সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল তাদের বৈশ্বিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাদের সমীক্ষায় তারা দেখিয়ে দিয়েছেন যে বাংলাদেশের ৯৩ শতাংশ মানুষের ধারণা এ দেশের বর্তমান সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে রাজনৈতিক দল ও পুলিশ ৮৯% মানুষ মনে করে বিচার ব্যবস্থা দুর্নীতিগ্রস্ত। আবার ৫৮% মানুষ মনে করে সেবা পাওয়ার একমাত্র পথ ঘুষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি এসব কিছুর খোঁজ-খবর রাখেন? না তার সাথে জড়িয়ে গেছেন?
এটা গেলো একদিক। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী ও তার দল ৫টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জেতার জন্য সম্ভাব্য এমন কিছু ছাড়েননি যা করা যায় না। তারা হেফাজতের পা ধরলেন, এরশাদের দোয়া নিলেন, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করলেন, নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীকে হাইজ্যাক করলেন, মান্নানের বিরুদ্ধে বিষোদগার করলেন। ২০০৭ সালে তৎকালীন কেয়ারটেকার সরকার তার বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করেছিল তা উঠিয়ে এনে দুদককে দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করলেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন যে, ঐ সময়ে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ তার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলাসহ তার দলীয় লোকদের প্রায় আট সহ¯্রাধিক মামলা ক্ষমতার বলে তিনি তুলে নিয়েছিলেন কিন্তু বিরোধী দলীয় নেতাদের কোন মামলা তোলা হয়নি। নিজের মামলা তুলে নিয়ে আওয়ামী লীগ সৎ ও পরিচ্ছন্ন হয়ে গেলেন আর বিরোধী দলীয় নেতাদের মামলা বহাল রেখে তাদের দুর্নীতিপরায়ণ বানালেন। মানুষ কি এতই বোকা যে তারা আওয়ামী লীগের কৌশল বুঝতে পারে না। আর এখন যা কিছু ঘটছে সারাদেশে তার খবরও মানুষ জানে এবং জানে বলেই কে দুর্নীতিপরায়ণ আর কে দুর্নীতিপরায়ণ নয় সে জ্ঞান তাদের আছে। হলমার্ক, ডেসটিনি, শেয়ার মার্কেট, আইটিসিএল, বেসিক ব্যাংকের ৪৫০০ কোটি টাকার জালিয়াতি, এগুলো এখন বিএনপি, জামায়াতের উপর আরোপ করা হচ্ছে। রানা প্লাজার মালিকও নাকি আওয়ামী লীগ, যুবলীগের লোক নন। একমাত্র ছাত্রলীগ, যুবলীগ সারা দেশে যা করেছে ও করছে তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার আর অধিকার থাকে না। কিন্তু তথাপিও মানুষ তাদের রাজনীতি করতে দিচ্ছে। তিনি কথায় কথায় বেগম জিয়ার দুই পুত্রের দুর্নীতির কথা বলেন। যদিও এখন পর্যন্ত তার কোন একটিও সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারেননি। দুষ্ট লোকদের অভিযোগ হচ্ছে তার রক্ত সম্পর্কীয় এক আত্মীয় ২০০৬ সালে ভার্জিনিয়ায় দশ লাখ ডলারে একটি বাড়ি কিনেছে। একই বছর একই অঙ্গরাজ্যের আলেকজান্দ্রিয়ায় তিনি দশ লাখ ডলার দিয়ে আরেকটি বাড়ি কিনেছেন। ২০০৭ সালে ফ্লোরিডায় ৬ লাখ ডলার দিয়ে আরেকটি বাড়ি কিনেছেন। ২০০৪ সালের ১৬ অক্টোবর সাড়ে ১৫ লাখ ডলারে ফ্লোরিডায় আরেকটি বাড়ি কিনেছেন। একই অঙ্গরাজ্যে তার আরও তিনটি বাড়ি আছে। এই অর্থ তিনি কোথায় পেয়েছেন? বেগম জিয়ার ছেলেরাতো ভাড়া বাড়িতেই থাকেন। মানুষের এই প্রশ্নগুলোর জবাব তিনি কিভাবে দেবেন? গত ১৩.০৬.২০১৩ ইংরেজি তারিখে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে একটি মজার খবর জানা গেছে। বেগম খালেদা জিয়ার আমলে তার আপ্যায়ন বিল বাবদ ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তিনি সেখান থেকে ৫ লাখ টাকা বাঁচিয়ে ৮০ লাখ টাকা ব্যয় করেছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে বরাদ্দ নিয়েছেন ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এর সম্পূর্ণ অর্থই তিনি ব্যয় করেছেন।
এসব দেখে আমার একটি কবিতার কয়েকটি লাইন মনে পড়ছে-
‘আমি আজ কাকে বলবো?
ভাইয়েরা মন্দ।
আজকের বন্ধুদের হৃদয়ে প্রেম নেই।
আমি আজ কাকে বলবো?
মানুষের হৃদয় তষ্করসুলভ।
প্রতিবেশীরা প্রতিবেশীদের মাল গ্রাস করছে।
আমি আজ কাকে বলবো?
সজ্জনেরা লোপ পাচ্ছে।
নির্লজ্জরা সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আমি আজ কাকে বলবো?
কেউ তার কুআচরণে অন্যের ক্রোধের উদ্রেক করলে সবাই হাসছে যদিও এই অন্যায় আচরণ আক্রোশপূর্ণ।’
ড. আকবর আলী খান একজন রসিক মানুষ। তিনি তার পরার্থপরতার অর্থনীতি পুস্তকে ‘শুয়োরের বাচ্চাদের অর্থনীতি প্রসঙ্গে একটি গল্প বলেছেন, এই গল্পটি দিয়েই আজকের লেখাটি আমি শেষ করতে চাই। গল্পটি মাইকেল ক্যারিট নামক আসানসোলের একজন মহকুমা প্রশাসক তার স্মৃতি কথায় লিপিবদ্ধ করেছেন। তিনি এই উপমহাদেশে তিন রকমের লোক দেখেছেন। এরা হচ্ছেন সজ্জন, বজ্জাত আর শুয়োরের বাচ্চা। তিনি তার স্মৃতিতে বলেছেন : : Meanwhile the Punjabi with assumed humility pleaded forgiveness and then, in quiet and dignified tones he recited his set piece... your honour is a noble man. In this sad country there are three sorts of man. These are the good men who take no bribes, of whom you are one; they are the bad man who take bribes; and (looking me in the eyes) they are the suer-ka batchhas (sons of Pig) who-take bribes but do not help the bribe-giver. Salam, your honour, Salam.
অর্থাৎ ইতোমধ্যে পাঞ্জাবী লোকটি কপট বিনয়ের সঙ্গে মাফ চাইল। তারপর সে শান্ত অথচ গম্ভীর কণ্ঠে তার মুখস্থ বক্তৃতা ঝাড়লো : হুজুর হচ্ছেন মহানুভব ব্যক্তি। এই দুর্ভাগা দেশে তিন কিসিমের লোক আছে। আছেন সজ্জন যারা ঘুষ খান না, যেমন আপনি। আছে বদলোক যারা ঘুষ খায় এবং (আমার চোখের দিকে চেয়ে) আছে শুয়রের বাচ্চারা যারা ঘুষ নেয় অথচ ঘুষ প্রদানকারীকে কোন সাহায্য করে না। সালাম। হুজুর সালাম।
আমরা বাংলাদেশে সজ্জনের শাসনই চাই বজ্জাত আর শুয়োরের বাচ্চারা এখানে অপাংক্তেয়। পাঠকরা কি বলেন?

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads