শনিবার, ২০ জুলাই, ২০১৩

ইতিহাসচেতনা ও বাংলাদেশ


আজ প্রযুক্তির যুগ। সন্দেহ নেই প্রযুক্তি এই দুনিয়াকে অনেক বেশি গতিশীল করেছে। ১৯৮৮ সালে মিসেস আনোয়ার জাহিদ একটি পাক্ষিক পত্রিকা বের করেছিলেন। তার নাম যোগাযোগ বার্তা। তিনি এক দিন আমাকে ডেকে বললেন, তুমি আমার পত্রিকা বের করতে সহায়তা করতে পারো। তখন ২৪ ঘণ্টা পরিশ্রম করতে প্রস্তুত। ভাবী নিজেই বললেন টাকা পাবে আট হাজার। তখন আমি দৈনিক বাংলায়ও এর কাছাকাছি বেতন পাই। ফলে একেবারে চনমন হয়ে উঠলাম। এ লাফে ডাবল আয়। তার ওপর গণকণ্ঠ, ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলা ও আরো ছোটখাটো কাগজে লিখে দু-এক হাজার উপার্জন করি। গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য অকারণেই বললাম, ভাবী আপনি টাকা না দিলেও আমি আপনার কাগজ বের করে দেবো। তবে আমাকে কয়েকটা দিন সময় দিন অন্য দিকটা গুছিয়ে নিই। ভাবীর ছিল একটিমাত্র কম্পিউটার। একজন কম্পিউটার অপারেটরও ছিলেন। আমি সাধারণত মেকআপের দায়িত্ব পালন করতাম। পত্রিকা প্রকাশের দায়দায়িত্ব কার্যত আমার ওপরই ছিল। সাবজেক্ট নির্ধারণ, মডেল নির্ধারণ এসব কিছুই চূড়ান্ত করে ভাবীর সাথে বসে আলাপ করতাম। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তিনি সম্পূর্ণ অনুমোদন করতেন। কখনো কোনো আইটেম আগের সংখ্যায় বা পরের সংখ্যায় দিতে বলতেন। আমি তখন ধূমপান করতাম। শুনেছিলাম কম্পিউটার রুমে ধূমপান করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ফলে সব পরিকল্পনা বাইরে বসে করতাম। অপারেটরকে মেকআপের ধারণা দিতাম। তাতে দেখা যেত এক কাজ দু’বার করতে হচ্ছে। ভাবী বিষয়টি খেয়াল করলেন। বললেন, তুমি এক কাজ দু’বার করে সময় নষ্ট করছ কেন। এই যে, ছবি বসিয়ে ছবির পাশ দিয়ে মেটার টেনে নিলে এটি তুমি একবার করলে বুঝে এসে কম্পিউটার অপারেটর আর একবার করল। আমি তোমার সময় কিনেছি, অপচয় করতে দেবো না। আমি বললাম, ‘কিন্তু আমি যে সিগারেট খাই। তিনি বললেন, তাতে কী? বললাম, কম্পিউটার যদি নষ্ট হয়ে যায়। ভাবী কষে বকা দিলেন। সিগারেট খেলে কম্পিউটার নষ্ট হয় এমন অশিক্ষিত লোকের মতো কথা কার কাছে শিখছ। ঢোকো সিগারেট নিয়ে। বসো অপারেটরের পাশে। মেকআপ একবারে হবে। সময় নষ্ট করা চলবে না।’ আমি বললাম, আমার তো আরো একটি অসুবিধা আছে। সেটি হলো আমি কম্পিউটার টাইপ করতে জানি না। একটু-আধটু টাইপ করতে তো লাগবে। তিনি বললেন, আজকে কাজ শেষে এক ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকবে। আর কম্পিউটারের যেকোনো বাটন নিয়ে যা খুশি তাই করবে। হাত বন্ধ থাকবে না। ড্রয়ার টান দিয়ে দেখো ইংরেজি কোন অক্ষরের ঘরে বাংলা কোন অক্ষর সেটি ওতে লেখা আছে। দেখে দেখে গোটা বিশেক নাম লিখে চলে যাবে। আমার তো ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা। তার পর বিসমিল্লাহ বলে, মনে হয় আধা ঘণ্টাখানেক কসরত করে নিজের নাম, ভাবীর নাম, হুমায়ূন ভাই আর জাহিদ ভাইয়ের নাম লিখলাম। তিনি এসে চেক করলেন। বললেন, কালকে কাজ শেষে ওই কাগজ দেখে এক প্যারাগ্রাফ টাইপ করে যাবে। করলাম। তার পর দেখলাম যে, দিন সাতেকের মধ্যে আমি যথারীতি কম্পিউটার টাইপে অভ্যস্ত হয়ে পড়লাম। যে টুকু বুঝতে পারছিলাম ভাবী ও অপারেটর আমাকে সাহায্য করছিলেন। বছরখানেক ধরে সেই কাগজে কাজ করেছি। তখন কম্পিউটার ছাড়া ভাবতেও পারিনি। অর্থাৎ কোনো প্রযুক্তি যখন আসে সে প্রযুক্তিকে অস্বীকার করা যায় না। প্রযুক্তি সময় বাঁচায়, আনন্দ দেয়। এক সময় ভিসিপি বলে এক ধরনের প্রযুক্তি এসেছিল। বছরখানেক টিকে ছিল কি না সন্দেহ। তার পর এলো সিডি প্লেয়ার। সেও দ্রুত বিদায় নিয়েছিল। যোগাযোগ বার্তা ছেড়ে দেয়ার পর আমি আবার কম্পিউটার জগৎ থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লাম। দৈনিক বাংলায় কম্পিউটার ছিল না। ছিল লাডলো সিস্টেম। সে ছিল জবরজম ব্যবস্থা। বাংলাদেশে কম্পিউটার ব্যবহারের অগ্রপথিক মোস্তাফা জব্বার ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের সামান্য সিনিয়র ছিলেন। দৈনিক গণকণ্ঠে রিপোর্টারের কাজ করতেন। তার পর দীর্ঘকাল রাস্তাঘাটে দেখা হলে শুধু কুশলবিনিময় হতো। জব্বার ভাই বললেন, রেজোয়ান এই কালি ঝুলির লাডলো সিস্টেম বাদ দিয়ে কম্পিউটার সিস্টেম চালু করো। উনি একেবারে অফিসে এসে মাঝে মধ্যেই আমাকে এ বিষয়ে জ্ঞান দিতেন। এর কী কী সুবিধা, এর কী কী সাশ্রয় এর সব কিছু বলতেন। তখন আমাদের সম্পাদক ছিলেন আহমেদ হুমায়ূন। হুমায়ূন ভাইকে জব্বার ভাইয়ের প্রস্তাবটা জানালাম। এবং বলতে বলতে লাডলো সিস্টেমের বদলে কম্পিউটার সিস্টেম পত্রিকা প্রকাশে রাজি করালাম। সামনেই ছিল দৈনিক বাংলার ২৫ বছরপূর্তি। হুমায়ূন ভাই আমাকে বললেন, এখানে তো আর কেউ কম্পিউটার জানে না আপনিই বৃহদায়তন দৈনিক বাংলা ২৫ বছরপূর্তি সংখ্যা বের করতে পারবেন? আমি তো মহাখুশি। আমি বললাম, হুমায়ূন ভাই পারব। তবে এই সময় আবার সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় খানিকটা অনিয়মিতও হতে পারে। দৈনিক বাংলার তো কম্পিউটার নেই। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করলাম। তারা কম্পোজ করে দিতে রাজি হলো। প্রুফরিডার আমি একা। কারণ কাজ দ্রুত করার জন্য প্রিন্ট আউট বের করে হাতে কেটে তা আবার কারেকশন করা এমন ধারণা পরিত্যাগ করলাম। ওখানেই ফরমা বানিয়ে দৈনিক প্লেট করে ছাপা হতে শুরু করল। ইতোমধ্যে মোস্তাফা জব্বার ভাই বললেন, তোমার লাডলো অপারেটরদের কারোরই চাকরি যাবে না। আমি এমন ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। বললাম, কিভাবে? তিনি বললেন, সবাইকে আমি বিনা মূল্যে কম্পিউটার অপারেটর করে দেবো। জব্বার ভাই ছাড়া সেই সময় বাংলাদেশে কম্পিউটার উদ্ভাবন ও বিক্রেতা আর কেউ ছিল না। সেটিও কাজে লাগতে শুরু করল। দৈনিক বাংলা ২৫ বছরপূর্তি সংখ্যা সাফল্যের সাথে প্রকাশ করল। সবাই তাজ্জব হলেন, এ কী করে সম্ভব! তার পর হঠাৎ এক দিন দৈনিক বাংলা লাডলো সিস্টেম থেকে কম্পিউটার সিস্টেমে প্রকাশিত হতে শুরু করল। আমি একটি ভিসিপি কিনেছিলাম। সেটি অল্প দিনেই খাটের নিচে চলে গেল। তার পর কিনলাম ভিসিডি। সেটিও বেশি দিন কেউ দেখল না। দৈনিক বাংলা কম্পিউটার সিস্টেম চালু হলো বটে, কিন্তু আমাকে তো আর কম্পোজ করতে হতো না। ফলে কম্পোজ করার কাজটি ধীরে ধীরে ভুলে গেলাম। এর পরের বছর ডাচ সরকারের বৃত্তি নিয়ে হল্যান্ডে পড়তে গেলাম। গিয়ে দেখি ফের কম্পিউটার। এবার নিজে টাইপ করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। সুতরাং আবার শিখতে বসতে হলো। এবার ভাগ্য ভালো এই যে, কোনো কিছুই বাংলায় লিখতে হয়নি। ইংরেজি কি-বোর্ড, ইংরেজিতে নোট লেখা, চিঠিপত্রও ইংরেজিতেÑ ঠেলার নাম বাবাজি। কম্পিউটার প্রযুক্তি আমার কাছে জীবনের স্বাভাবিক অনুষঙ্গে পরিণত হলো। লেখাপড়া শিখে ফের ঢাকায়। তার পর ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমাকে আর কম্পিউটার নিয়ে ভাবতে হয়নি। এর পর যেসব চাকরি করেছি সব জায়গায় আমার কাজ করার জন্য নির্ধারিত কম্পিউটার অপারেটর ছিল। চাকরি শেষ হলো ২০০৬ সালে। তার পর বেকার। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি। সে ব্যাপারে কম্পিউটার-নির্ভর ছিলাম না। ঘরে কম্পিউটার ছিল। সেগুলো ছেলেমেয়েদের জন্য। নিজে আর ধরতে ইচ্ছে করত না। ফলে হাতে লিখে ফ্যাক্স করে বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা পাঠাতাম। তা নিয়ে দিকদারির অন্ত ছিল না। শেষে একটি যন্ত্র কিনলাম ফোরা থেকে। সে যন্ত্র ফ্যাক্স পাঠায়। কম্পিউটারে টাইপ করলে লেখা পাঠায়। কোনো কিছুকে স্ক্যান করা যায়। তার পর ফটোকপিও করা যায়। ভাবলাম এবার আর চিন্তা নেই। হাতে লিখে ফ্যাক্স করে পত্রিকা অফিসে লেখা পাঠাব। কিন্তু লেখা এই যায়, এই মেশিনে জড়িয়ে যায়। সেটি আবার নিজে খুলতে পারি না। ছেলেমেয়েরা বাসায় না থাকলে লেখা পাঠানো হয় না। সম্পাদকরা তাগাদা দিতে থাকেন, ভাই লেখা কই? আমি এর কী জবাব দেবো। বলি লেখা আটকে গেছে। এভাবে কি আর চলা যায়? শেষ পর্যন্ত ফের কম্পিউটারে হাত লাগালাম। ওই যে চার কাজের যন্ত্র কিনেছিলাম, সেটি অচল হয়ে গেল। কেউই কোনো কারণে ব্যবহার করে না। সম্ভবত এখন ব্যবহারের উপযুক্তও নেই। কম্পিউটারে টাইপ করো। যেখানে পাঠাব মডেম লাগিয়ে ফুঁ দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া। অতএব আমাকে ফের কম্পিউটার প্রযুক্তিতেই ফিরতে হলো। ছেলেপেলে প্রযুক্তি বহুমুখী। ফেসবুক, টুইটার, স্কাইপ, ইয়াহু, গুগল প্রভৃতি এসে গেল। যে কোনো কাজের জন্য নিজেকেও এসব প্রযুক্তিতে ঢুকতে হয়। ক’দিন আগে একজন খ্যাতিমান ডাক্তারকে দেখাতে গিয়েছিলাম, আমার নিউরোলজিক্যাল সমস্যার জন্য। বয়স হয়েছে তাই শরীরের ক্ষয় তো কিছু হবেই। অপর একজন চিকিৎসক বলেছিলেন, একটি সুনির্দিষ্ট ওষুধ আমার গ্রহণ করা উচিত নয়। সে কথা শুনে চিন্তিত নিউরোলজিস্ট। বললেন, উনি যখন প্রশ্নটা করেই ফেলেছেন তাহলে একটু দেখে নিই। এই বলে তিনি, কোমরে গোঁজা আই ফোন বের করে গুগলে গিয়ে আমার অসুখ, বয়স ও ওষুধÑ এ বিষয় নিয়ে সার্চ দিলেন। এবং আমাকে স্বচক্ষে দেখিয়ে দিলেন, তার দেয়া ওষুধটি আমি সেবন করতে পারি। এই দীর্ঘ ভূমিকা প্রযুক্তির প্রশংসার জন্য আমরা প্রযুক্তিনির্ভর। আমাদের সন্তানেরা প্রযুক্তিনির্ভর, দুনিয়া প্রযুক্তিনির্ভর। সেই প্রযুক্তি আবার এমন যে, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মতো অতি আধুনিক প্রযুক্তিবিদেরও আবির্ভাব ঘটায়। সেটি ঘটালে ঘটাক। কিন্তু আমাদের সঙ্কট ঘরের ভেতরে। আমাদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গামী সন্তানদের হাতেও আছে স্মার্ট কিংবা আইফোন। সারাক্ষণ এই ফোনের গুঁতাগুঁতি আছে। কিন্তু যা নেই তা এই ফোনের মাধ্যমে শিক্ষার চেষ্টা ও জানার অভিপ্রায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেটি ব্যবহৃত হচ্ছে বিনোদোনে। একটু বয়স্ক সন্তান-সন্ততিতে রাতভর টেলিফোনে কথা বলতে দেখবেন। কিন্তু তা জ্ঞানার্জনের জন্য নয়। ওই প্রান্তে কারোর সাথে অনর্গল কথা বলার জন্য। সঙ্কট সেখানেই। ওই সব টেলিফোনে নেই হেন কোনো জ্ঞান বা বিদ্যা নেই। আমরা যা কল্পনা করতে পারি তার সব প্রায় সব কিছুরই সমাধান ওই টেলিফোনের মাধ্যমে লাভ করা যায়। কিন্তু আমাদের সন্তানেরা সে কাজটি করছে না। না করুক, কিন্তু যারা রাষ্ট্রপরিচালনা করেন তাদের দায়িত্ব কী? এ প্রযুক্তি যে শিক্ষার বিস্তার ঘটাবে না সেটি আমাদের সরকারগুলোর উপলব্ধি করার দরকার ছিল। যিনি শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনিই যে বিষয়টি কতটা উপলব্ধি করেন তাতে আমাদের সংশয় রয়েছে। অবস্থা দৃষ্টিতে এখন তার জ্ঞানের মাত্রা নিয়েও প্রশ্ন করা যায়। সঙ্কীর্ণ স্বার্থবুদ্ধি, সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক ইচ্ছা তাদের এতটা অধপতিত করেছে যে, নিজেরা না জানুক যারা দুই-চার কলম লেখাপড়া জানেন তাদের সহায়তা নিতে পারেন তারা। কিন্তু ইজ্জত যে থাকে না। আমি মন্ত্রী হয়েছি। আমি সব বুঝি। ওই ব্যাটা আবার কে? এমন শিক্ষাবঞ্চিত লোকদের নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা। আমি বারবার বলেছি, এই শিক্ষাব্যবস্থার ঢেলে সাজানো দরকার প্রযুক্তি আসায় সে প্রয়োজন বরং আরো বেশি বেড়ে গেছে। প্রযুক্তি বিকাশের সাথে সাথে আমাদের কাসরুম শিক্ষাব্যবস্থায় যে পরিবর্তন আনা দরকার ছিল সে পরিবর্তনের কথা কেউ ভাবেনি কিংবা ভাবার মতো শিক্ষাদীক্ষার দারুণ অভাব রয়েছে। কিংবা আছে ভয়ঙ্কর কুমতলব। এগুলো ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছে। আমরা আমাদের দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য আমাদের পূর্বপুরুষদের ধারাবাহিক লড়াই সংগ্রাম, আমাদের দৃশ্যমান সভ্যতা সব কিছু থেকেই ঠেলে তরুণসমাজকে দূরে সরিয়ে দিয়েছি। প্রযুক্তি তাকে যে বঞ্চনা দিয়েছে কাসরুম শিক্ষায় পাঠ্যতালিকা পুনর্বিন্যাস করে আমরা সে ঘাটটি পুষিয়ে নিয়ে বরং তরুণসমাজকে আরো উন্নততর এক জনগোষ্ঠীতে পরিণত করতে পারতাম। কিন্তু সে দিকে আমরা মোটেও নজর দিইনি। নজর দিইনি বলেই এখনকার তরুণসমাজ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের আগে দুই-আড়াই হাজার বছর ধরে আমাদের পূর্বপুরুষেরা যে শিক্ষা-সভ্যতা-সংস্কৃতি নির্মাণ করেছিলেন, সেটি তারা জানতে পারছেন না। অথচ সেটি তাদের জানতে দিলে জাতিগত অহঙ্কার সৃষ্টি হতো। সেসব কথা আমরা পাঠ্যপুস্তকে স্থান করে দিইনি। আমার এ নিবন্ধে আমি আসলে বাংলাদেশের মানুষের স্বতন্ত্র জাতি হয়ে ওঠার ইতিহাস বিবৃত করতে চেয়েছি। সে ইতিহাস দীর্ঘ। কিন্তু তরুণসমাজের তা জানা অত্যাবশ্যকীয়। 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads