সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

দুঃশাসন নৈরাজ্য ও ক্ষমতাসীনদের জন্য প্রাঞ্জল ব্যবহারের নমুনা


বাংলাদেশ এখন খুনী, সন্ত্রাসী ও দাগী আসামীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে বলে মনে হয়। পত্র-পত্রিকার পাতা উল্টালে প্রতিদিন খুন, গুম, ছিনতাই, রাহাজানি নারী নির্যাতন প্রভৃতির খবর দেখে শিউরে উঠতে হয়। প্রকাশ্যে গুলী করে, কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটছে। ঘরে ঢুকে গুলী করে হত্যা করা হচ্ছে। রাস্তার ধারে, বাজারে, খালে-বিলে, আবর্জনার স্তূপে লাশ, মানুষের হাড়-গোড় ও কঙ্কাল পাওয়া যাচ্ছে। পেশাদার অপরাধী, খুন ডাকাতির দায়ে ফাঁসির দ-াদেশপ্রাপ্ত আসামীরা জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছে। সরকার তাদের মাফ করে দিচ্ছে। তারা জনপদে ফিরে এসে নতুন উদ্যমে অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ কিছুই করছে না। এদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহ বিশেষ করে জামায়াত-শিবির প্রকাশ্যে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারছে না। তারা চার দেয়ালের মধ্যে সম্মেলন কেন্দ্র, কমিউিনিটি সেন্টার, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মিটিং রুম অথবা তাদের অফিস কক্ষে সাংগঠনিক সভা-সমাবেশ করতে গেলে নাশকতার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। দু’বছরের বেশি সময় ধরে জামায়াত অফিস বন্ধ করে রাখা হয়েছে। পুলিশকে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমনে অতিমাত্রায় ব্যবহারের ফলে পেশাদার অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে এবং রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দেশকে নরকে পরিণত করেছে। সরকারের তরফ থেকে এর কোন প্রতিকার নেই। গত কয়েকদিনের পত্রিকার পাতা উল্টালে দেখা যায়, একদিকে অভাব ও মাদকের  অর্থ চাহিদা পূরণের জন্য কেউ তিন হাজার টাকায় সন্তান বিক্রি করছে, কেউ ত্রিশ হাজার টাকায় স্ত্রীকে বিক্রি করে দিচ্ছে। দেশে বাকশালের অবস্থা ফিরে এসেছে। তখন সন্তান বিক্রি হয়েছে, এখন বউ বিক্রি হচ্ছে। সারা দেশে মাদক ছড়িয়ে পড়েছে এবং যুবসমাজসহ উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নি¤œবিত্ত সকল স্তরের মানুষকে গিলে ফেলছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ যেমন নমনীয়, তেমনি যারা দেশে সুকৃতি প্রতিষ্ঠা করতে চান তাদের দমনে সরকার তেমনি কঠোর। মাদকাসক্ত ও উচ্ছৃঙ্খল সন্তান কর্তৃক পুলিশ দম্পতির হত্যার ঘটনা মাদকের ছোবল ও ভয়াবহতা সম্পর্কে আমাদের পুলিশ বাহিনীকে যেমন সজাগ করতে পারেনি, তেমনি সরকারের নির্লিপ্ত অবস্থারও কোন পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। ক্ষমতাসীন দল ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মাদক ব্যবসার সাথে এত ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছেন যে, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সহযোগীতে পরিণত হয়েছেন। মাঝে মধ্যে দু’একটি গ্রেফতারের ঘটনার নাটক সাজিয়ে তারা তাদের অবস্থানের জানান দিচ্ছেন মাত্র। এতে দেশ ও দেশের ভবিষ্যৎ বংশধররা উচ্ছন্নে যাচ্ছে। এতে সরকারি দল যে খুব লাভবান হচ্ছে তা নয়। তারাও স্বার্থের দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়ে নতুন নতুন দৃষ্টান্তের সৃষ্টি করছে। গত সাড়ে চার বছরের ঘটনা বাদ দিলেও গত কয়েকদিনের ঘটনা উদ্বেগের সৃষ্টি করছে। মেয়াদের শেষদিকে এসে লুটপাটের বাণিজ্যে তারা একে অপরের প্রতি হিং¯্র হয়ে উঠছেন। পল্লবীতে যুবলীগ নেতা রকিকে কুপিয়ে হত্যা এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার, ধোবাউড়ায় ক্ষমতাসীন দলের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে দুই গ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান ফুরকান উদ্দিন সেলিমের নিহত হবার ঘটনা, যাত্রাবাড়ীতে ড্রামের ভেতরে হাত-পা বাঁধা যুবকের লাশ উদ্ধার, মতিঝিলে প্রবাসী সাব্বিরকে গুলী করে হত্যা, নলছিটিতে যুবলীগ নেতা কর্তৃক যুবলীগ নেতা মামুনের রগকর্তন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতার উপর ছাত্রলীগ নেতার হামলা, ভিসির গাড়ি ভাংচুর, নোয়াখালীতে গণপিটুনিতে ছয় ব্যক্তির প্রাণহানি, নারায়ণগঞ্জে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, সেনবাগে রিকশাচালক খুন, জামালপুরে দুই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার; রামপুরায় প্রকাশ্য দিবালোকে ঘরে ঢুকে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা প্রভৃতি হচ্ছে বাংলাদেশের অপরাধ জগতের খ- চিত্র মাত্র। এখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের ডাবল প্রটেকশন নিয়ে থাকেন। তিনি যখন সফরে যান, অভিযোগ রয়েছে যে দুই মাইল রেডিয়ামের মধ্যে পুলিশ, বিজিবি তথা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কারো কাছেই অস্ত্র রাখা নিষিদ্ধ। এটা তার এসএসএফ নিরাপত্তার বাইরে অতিরিক্ত সতর্কতা। পক্ষান্তরে তার দেশের মানুষ, যারা তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করে তাদের কোন নিরাপত্তা নেই। না জীবনের, না সম্পত্তির, না মান-মর্যাদার। তিনি বলেছিলেন যে, বাসাবাড়িতে নিরাপত্তা দেয়া তার সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকা-ের প্রেক্ষিতে তিনি এ কথাটি বলেছিলেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে  শুধু বাসাবাড়ি নয়, বাংলাদেশ ভূখ-ের কোন জায়গাতেই তার সরকার নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। শুধু তাই নয় সমাজে এখন ভাল লোকদের ঠাঁই নেই। সত্য কথা বলা একটি অপরাধ। সরকারের মিথ্যাচার অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস মানুষের মৌলিক অধিকারকে পদদলিত করেছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে, নারায়ণগঞ্জে ক্ষমতাসীন দলের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী শীতলক্ষ্যা নদীতে নৌ-অবরোধে নৌকায় দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা শামীম ওসমানকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গড ফাদার বলে ঘোষণা করেছেন এবং তার ফাঁসি দাবি করেছেন। এদিকে সরকারের শেষ সময়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে সারাদেশে অস্ত্র ও মাদক ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে। পেশাদার অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তাদের হাত থেকে কেউই নিস্তার পাচ্ছে না। র‌্যাবের একজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে যে, সারাদেশেই এখন অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানী চলছে। বিশেষ করে ক্ষুদ্রাস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে আশঙ্কাজনকহারে। তুচ্ছ ঘটনাতেই সন্ত্রাসীরা অস্ত্র ব্যবহার করছে। পুলিশের তথ্যমতে গত ১ সপ্তাহে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ২৮টি হত্যাকা- ঘটেছে। বেসরকারি তথ্যে এ সংখ্যা আরো বেশি। রামপুরায় যেদিন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন সেদিনই ক্যান্টনমেন্ট থানার মাটিকাটা থেকে বস্তাবন্দী এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। একইদিন কুষ্টিয়ার ভেড়ামাড়ায় এক অটোরিকশা চালকের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। পাশের জেলা ঝিনাইদহ থেকে মনজের আলী নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার হয়। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় এক তরুণীকে হত্যার পর তার লাশ ডোবায় নিক্ষেপ করা হয়। দিনাজপুরে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ ও মানবাধিকার কমিশনের তথ্যমতে চলতি বছরের আট মাসে সারাদেশে দুই সহ¯্রাধিক মানুষ হত্যাকা-ের শিকার হয়েছেন। দেশের সড়ক পরিবহনের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এই নাজুক সড়ক এবং ড্রাইভারদের বেপরোয়া মনোভাবের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ জন প্রাণ হারাচ্ছেন। এসব ঘটনা দুর্ঘটনার কোনও বিচার নেই। বিচার করতে গেলে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা নৌপরিবহন মন্ত্রীর তরফ থেকে হুমকি আসে। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ, টেন্ডারবাজি, ভর্তি বাণিজ্য, সীট বাণিজ্য, দখলদারীসহ সরকারি দুঃশাসন, নৈরাজ্য এখন সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
দেশের যখন এই অবস্থা তখন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কথাবার্তা চলছে। নির্বাচন পদ্ধতি কি হবে, কে নির্বাচন পরিচালনা করবেন এ প্রশ্নটি রাজনৈতিক অঙ্গনকে উত্তপ্ত করে তুলেছে। কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন ও হাজার হাজার কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি জ্বালিয়ে গুড়িয়ে ক্ষমতায় গিয়ে আওয়ামী লীগ সংবিধান সংশোধন করে কেয়ারটেকার পদ্ধতির অবসান ঘটিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে একদিকে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে অন্যদিকে জামায়াতকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করেছে। বিএনপিকে পঙ্গু করে এখন দলটি তার ক্ষমতা ও দুঃশাসন টিকিয়ে রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত। সারাদেশের মানুষ তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতির পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী তার দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যাপারে তার অবস্থানে অনড়। তার অবস্থান সারাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে। তার অবস্থা দেখে একটি ঘটনা মনে পড়ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. আবদুল্লাহ ফারুক আমাদের মার্কেটিং পড়াতেন। একদিন তিনি কথা প্রসংগে শ্রেণীকক্ষে আমাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘটনা শুনিয়েছিলেন। সে দেশের একটি বেসরকারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান একবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, তারা তাদের পুরাতন স্বাস্থ্যবীমা ব্যবস্থা বাতিল করে নতুন ব্যবস্থা প্রবর্তন করবেন। এ প্রেক্ষিতে নতুন স্বাস্থ্যবীমার জন্য নির্ধারিত কোম্পানী কর্মচারীদের একই বীমার হারে অনেক নতুন সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব দেয়। তবে তাদের দু’টো শর্ত ছিল। প্রথমটি হলো: তাদের সকল কর্মচারীকে এই বীমাতে অংশগ্রহণের জন্য দরখাস্ত করতে হবে। দ্বিতীয়ত: প্রস্তাবটি ৩০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত করতে হবে। একজন ছাড়া কোম্পানীর কয়েক হাজার কর্মচারী এই শর্ত মেনে নেয়। শুধু একজন কর্মচারী বেঁকে বসেন। প্রথমে বীমা কোম্পানীর বিশেষজ্ঞদের পাঠানো হলো তাকে বোঝানোর জন্য। কিন্তু তিনি কোনমতেই রাজী হলেন না। তারপর তার বিভাগের সকল কর্মকর্তা চেষ্টা করলেন। কিন্তু তার অনঢ় মনোভাবের পরিবর্তন ঘটেনি। এরপর ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের পাঠানো হলো। কিন্তু সে তার অবস্থানে অটল রইল। ত্রিশ দিন শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে কোম্পানীর প্রেসিডেন্টকে এ সমস্যার কথা জানানো হলো। তিনি সুঠাম দেহের লম্বা, চওড়া একজন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি কর্মচারীটিকে তার কক্ষে ডেকে পাঠালেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন কোম্পানীর সবাই যা চায় সে কেন তা চায় না? উত্তরে কর্মচারীটি বললেন, এ ব্যবস্থা তার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কোম্পানীর প্রধান রেগে বললেন, ‘হারামজাদা! সবাই যা চায় তুই তা চাস না। তোকে জানালা দিয়ে নিচে ফেলে দিলে কেউ তোর জন্যে এগিয়ে আসবে না। এক্ষণি তুই কাগজে স্বাক্ষর করবি, অন্যথায় এই মুহূর্তে তোকে আমি জানালা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলব। কর্মচারীটি সুড় সুড় করে সব কাগজপত্র সই করে দিলেন। কোম্পানীর প্রেসিডেন্ট তখন তাকে জিজ্ঞেস করলেন এবার কিভাবে সই করলি? কর্মচারীটি জবাব দিলেন, ‘হুজুর আপনি যত প্রাঞ্জল ভাষায় বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন কেউ তা এর আগে করতে পারেনি। সুশাসন এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বহালের জন্যে কায়েমী স্বার্থবাদীদের বিরুদ্ধে অনেক সময় শুধু প্রাঞ্জল ভাষায়ই নয়, প্রাঞ্জল ব্যবহারেরও প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের দেশে বর্তমানে ক্ষমতাসীনরা রাজনীতিকে যে পর্যায়ে নিয়ে গেছেন এবং দেশকে নিজেদের ‘পৈত্রিক সম্পত্তিতে’ রূপান্তরিত করেছেন তাতে এই প্রাঞ্জল ভাষা ব্যবহার করা ছাড়া দেশকে রক্ষা করার বিকল্প কোন পন্থা আছে বলে মনে হয় না। এই প্রাঞ্জল ভাষা হচ্ছে জনগণের দুর্বার আন্দোলন। বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী জোট যদি এই ‘প্রাঞ্জল ভাষা’ ব্যবহারে ব্যর্থতার পরিচয় দেন তাহলে তারা রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে যেতে পারেন।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads