রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনের বড় ফ্যাক্টর


গাজীপুর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তথা ১৪ দলীয় প্রার্থীর ভরাডুবি ও পরাজয়ের পর বোধগম্য কারণেই পত্র-পত্রিকায় এ সম্পর্কে নিয়মিত লেখা হয়েছে এবং টেলিভিশনের টকশোতে তার নিয়মিত আলোচনা হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এটাই স্বাভাবিক। তবে সমস্ত আলোচনাকে টেক্কা মেরেছে আওয়ামী লীগ দলীয় তরুণ এমপি গোলাম মাওলা রনির একটা মন্তব্য। তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “কোথায় আমাদের দলীয় আমলারা ও পুলিশ কর্মকর্তারা, যারা আমাদের জয়ের স্বপ্ন দেখাতো? কোথায় আমাদের তথাকথিত চামচারা, যারা বলতো সবকিছু ঠিক আছে? গাজীপুরে জয় নয়, সম্মানজনক পরাজয়টুকু কেন পেলাম না? প্রার্থী আজমত উল্লাহর কি দোষ ছিল? কেন গাজীপুরে গেলেন না ব্যবসায়ী নেতারা? যাদেরকে এতগুলো টেলিভিশন, কুইক রেন্টাল, ব্যাংক বীমা এবং শেয়ারবাজার দেয়া হলো, তারা আজ কোথায়? দেশপ্রেমিকদেরই বা কি হলো? যারা আগুন লাগালো তারা মীরজাফর না, যারা আগুনের ব্যাপারে সতর্ক করলো তারা দোষী। সেলুকাজ তুমি কোথায়! দেখ বঙ্গের মীরজাফররা কিভাবে মালয়েশিয়া ও কানাডা পালাচ্ছে।”
গাজীপুরের নির্বাচন সম্বন্ধে অনেক বিশ্লেষকই বলেছেন যে, গাজীপুরে আজমত উল্লাহ হারেননি হারছে আওয়ামী লীগ। তাদের এ কথাটিই যথার্থ বলে প্রতীয়মান হয়। এটা শুধু গাজীপুরের ওপরই প্রযোজ্য নয়Ñএর আগের চারটি সিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
আগামী নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি, মানবাধিকার ও আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি, বিরোধী মতাবলম্বীদের ওপর দমন-পীড়ন, দেশকে আস্তিক-নাস্তিকে বিভক্তি, মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, জনশক্তি রফতানিতে জটিলতা, শেয়ারবাজার, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লুটপাট এবং শেষ সময়ে জনমতে ধস নিয়ে এক কঠিন সময় পার করছে মহাজোট সরকার। রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে নির্বিচারে গুম, খুনের অনুমতি দেয়া, বিচার বিভাগের ওপর প্রভাব খাটানো, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উপেক্ষা করা, পররাষ্ট্রনীতিতে নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে বিচ্যুতসহ নানা কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সরকার। বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশের চরম অবনতিশীল এসব চিত্র সবিস্তার উঠে আসছে প্রতিনিয়ত। রাজনৈতিক সংকট সমাধানে উদ্যোগও নেই। একই সাথে দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত গ্রুপিং, কোন্দল, সংঘাত ও বিভক্তি এবং ঈদের পর বিরোধী দলের লাগাতার কঠোর আন্দোলনের হুমকিতে ঘরে-বাইরে চরম অস্বস্তিতে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। এসব ঘটনায় সরকার নিরুদ্বিগ্ন ভাব প্রকাশ করলেও বাস্তবতা একেবারে ভিন্ন। চাপ সইতে না পেরে দল ও সরকারের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের পদত্যাগের গুঞ্জন উঠেছে একাধিকবার। তাদের একেকজন একেকভাবে কথা বলছেন প্রতিদিন। তাদের কথা-বার্তায় ভারসাম্যহীনতাই বেশি প্রকাশ পাচ্ছে। সরকার এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজছে।
বিশ্লেষকদের মতে, দেশের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের কোন পরিস্থিতিই সামাল দিতে পারছে না সরকার। বিশেষ করে কয়েকটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের পর আরো ঘোলাটে হয়ে উঠছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা বাতিল করে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরিকল্পনায় রাজনৈতিক মাঠ আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেফতার করে, চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় নিয়ে চলছে রাজধানীসহ সারা দেশে জামায়াতে ইসলামীর সরব প্রতিবাদ। রায়ের পাশাপাশি জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার প্রয়াস চলছে সমান তালে। সরকারের মধ্যে সমন্বয়হীনতা এবং বিরোধী দল দমনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে যাচ্ছেতাইভাবে ব্যবহারে মানুষকে করে তুলেছে ক্ষুব্ধ। জনগণের মতো দলের ভেতরে ও বাইরে রয়েছে এ নিয়ে চরম ক্ষোভ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও অন্যান্য সংগঠনের লুটপাট, দুর্নীতি, আইন-শৃঙ্খলার বিপরীত কর্মকা- ইত্যাদি বিষয় মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারছেন না সরকারি দলের শীর্ষ নেতারা। সাম্প্রতিক স্থানীয় নির্বাচনের পর সরকারের অনেক মন্ত্রী-এমপি এলাকায় যেতে পারছেন না। গেলেও নানাভাবে তাদেরকে লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে। বিশ্ব মিডিয়ায় এখন সরব আলোচনা চলছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মাত্র ভারত ছাড়া তেমন কোন দেশকে পাশে পাচ্ছে না সরকার। এমন পরিস্থিতিতে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে সরকারের সবাইকে। সম্প্রতি লন্ডনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর ওপর আক্রমণ করেছে কতিপয় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশী। সরকারের প্রতি কত ক্ষোভ হলে দেশের বাইরে এক মন্ত্রীকে এভাবে হেনস্থা করা সরকারের প্রতি অনাস্থাই প্রকাশ পায়।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দেয়া হলেও আগামী নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার ১২ সেপ্টেম্বরের এক প্রতিবেদনে বলা হয় “আওয়ামী লীগের ৬২ ভাগ ভোটার তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের বিপক্ষে, ট্রাইব্যুনালের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ৬৩ ভাগের।” উচ্চ আদালতের রায়ের কথা বলে আওয়ামী লীগ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিলেও সরকারের এ কাজে খুশী নয় দেশের প্রায় ৮১ শতাংশ ভোটার। উক্ত রায়ে আরো দুই টার্ম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরামর্শ থাকলেও তাতে ভ্রুক্ষেপ না করে তড়িঘড়ি করে সরকার তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সংসদে ব্রুট মেজরিটির সুযোগ নিয়ে তা বাতিল করে আজ লেজেগোবর অবস্থায় ফেলেছে দেশের রাজনীতিকে। অন্যদিকে মাত্র ১৫ শতাংশ ভোটার তত্ত্বাবধায়ক সংক্রান্ত সাংবিধানিক পরিবর্তনের পক্ষে রয়েছে। এরা হার্ডলাইন আওয়ামী লীগার বলে জানা গেছে। এরা বিচার-আচার ছাড়াই নেত্রীকে বোঝে।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দেযা হলেও আগামী নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে হবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। দেশী-বিদেশী নানা চাপের মুখেও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যাপারে এখনো অনড় অবস্থানে রয়েছে সরকার। সময় দ্রুত বয়ে যাচ্ছে। সরকারের উচিত গোঁয়ার্তুমী ত্যাগ করে সমঝোতার ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা। বর্তমান অবস্থায় যদি আওয়ামী লীগ নির্বাচন করে তা দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। পুনরায় নির্বাচন করতে হবে। আর আওয়ামী লীগ ও মহাজোট চাইলেও শান্তিতে সে নির্বাচন হবে না তা বিলক্ষণ নিশ্চিত। ইতোমধ্যেই মহাজোটের কোন কোন দল সংলাপের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য উপায়ে নির্বাচন করার পরামর্শ দিয়েছে আওয়ামী লীগকে।  অন্যদিকে বিরোধীদলীয় জোটও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসার আরো কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে। ঈদের পরে চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণাও দিয়েছে তারা। দেশ অচল করে দেয়ার হুমকিও দিয়েছেন বিরোধীদলের নেতারা। পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামও তাদের ১৩ দফা দাবি আদায় কর্মসূচি নিয়ে সক্রিয়ভাবে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষ করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তাতে আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজনীতির মাঠ। এর আসল উদ্দেশ্য জঙ্গিবাদের ধুয়া তুলে ইসলামী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার পাঁয়তারা চলছে। আওয়ামী লীগ বিদেশীদের বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারতকে খুশী করতে চায় এই জঙ্গিবাদের কথা বলে। কিন্তু বিশ্বের কোন গণতান্ত্রিক সরকার আওয়ামী লীগের এ গোজামিলের রাজনীতি পছন্দ করে না। তা ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ অন্যান্য রাষ্ট্র তাদের কূটনীতিক চ্যানেলে হাসিনা সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে। হাসিনা সরকার ভালভাবে জানে ইসলামপন্থীরা তাদেরকে ভোট দেবে না। তাদের আক্রোশটা সেখানে।
বাংলাদেশ শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ। এখানকার লোক খোদাভক্ত ও ইসলামপ্রিয়। এখানকার অধিকাংশ মুসলমান ধর্মকর্ম নিষ্ঠার সাথে করে থাকে। সেই দেশে যখন আনইসলামিক কর্মকা- রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখে তখন তারা তা মেনে নিতে পারে না। সরকার শাহবাগে তথাকথিত জনগণের মঞ্চ বলে দীর্ঘ ৩ মাস যাবত যে নাটক করেছে তা বাংলার মানুষ ভোলে নাই। সেখানে ইসলামবিরোধী যেসব কর্মকা- হয়েছে তাকে ধিক্কার জানিয়েছে বাংলার আপামর জনগণ। ব্লগাররা ইসলাম ও রাসূলুল্লাহ্ (আ:) প্রতি যে কটূক্তি করেছে তার কঠোর প্রতিবাদ সারাদেশের মানুষ করেছে। নাস্তিক রাজীবকে সরকার শহীদ বলায় তার তীব্র প্রতিবাদও হয়েছে। তথাকথিত জনতার মঞ্চ সরকারের জন্য বুমেরাং হয়েছে। অথচ এই জনতার মঞ্চের নায়কদের সরকার জামাই আদরে দেশের নামী-দামী হোটেলে রেখেছে। জনতার মঞ্চের চারদিকে ও সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে তাঁবু খাটিয়ে যুবক-যুবতীর নিশিযাপনকে জনগণ ধিক্কার দিয়েছে। তাদেরকে সুরক্ষার জন্য তিনস্তরের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বেষ্টনী ছিলো। এতে মানুষের মনে জাগ্রত হয় যে, এই সরকার নৈতিকতা ধ্বংস করার তালে আছে। তারা শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলামী শিক্ষা উৎখাত করেছে।
 হেফাজতে ইসলামী একটি অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন। ইসলামের বাণী সাধারণ মুসলমানদের নিকট পৌঁছানো এবং কেউ ইসলামবিরোধী কাজ করলে তার প্রতিবাদ করা এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য। তাদের ১৩ দফাতে  তাই উল্লেখ আছে, দেশের সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে তারা কঠোর। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে ইসলামবিরোধী কাজের প্রতিবাদ করায় সারাদেশ থেকে তারা বিপুল সাড়া পায়। তারা এপ্রিল মাসে সারাদেশে সমাবেশ করে তা দেখিয়ে দেয়। ৫/৬ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে তারা যে মহাসমাবেশ করে তার নজীর বাংলাদেশে আর নাই। সরকার এতে ভীত হয়ে রাতের আঁধারে নিরীহ জনতার ওপর সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পাশবিক হামলা চালিয়ে শত শত লোক হত্যা করে এবং রক্তের বন্যা বইয়ে দেয়। এই নৃশংসতায় সারাদেশ স্তম্ভিত। মুসলমানরা বুঝতে পেরেছে হাসিনা সরকারের অধীনে ইসলাম নিরাপদ নয়।
সামনে যে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে তাতে ইসলামপ্রিয় জনগণ ভোটের ক্ষেত্রে নীরব বিপ্লব ঘটাবে। কারণ তারা দেখেছে হাসিনার সরকার ইসলামবিরোধী কাজই করে যাচ্ছে। অধিকন্তু তার দলের লোকেরা বিগত সাড়ে চার বছরে জাতীয় সম্পদ দেদারছে লুট করেছে। হাসিনা সরকার ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অন্যান্য সংগঠনকে দেশীয় সম্পদের লুটের পথ খোলাসা করে দেয়ায় দেশের অর্থনীতি আজ চরম বিপর্যয়ের মুখে। আওয়ামী লীগপন্থী সিন্ডিকেটের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য রসাতলে গেছে। মফস্বলের তরিতরকারিতেও সিন্ডিকেট ব্যবসা চলছে। তাই চাষী তার উৎপাদিত পণ্যের মূল্য না পেলেও শহরে এসে তার মূল্য হয়ে যায় ৩/৪ গুণ। তাই দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে মানুষ দিশেহারা। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারীতে ৩৩ লাখ ক্ষুদ্র শেয়ারব্যবসায়ী পথে বসেছে। তাদের পোষ্য দেড় কোটি মানুষ খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারী, হলমার্ক, ডেসটিনি ও অন্যান্য রক্তচোষা কোম্পানী সরকারি মদদে দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে ছাড়ছে। এতে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা কি আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে? হেফাজতে ইসলামের যে বিরাট জনসমর্থন আছে তারাও ইসলামী দলগুলোর রুট লেবেলের সমর্থকরা কেউ আওয়ামী লীগের পদপ্রার্থীকে ভোট দেবে বলে আশা করতে পারে? সবকিছু মিলিয়েও হাসিনা সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনায় চরম ব্যর্থতার জন্য আগামী নির্বাচনে তাকে মূল্য দিতেই হবে। এই পরিবর্তন আনবে এবার ইসলামী মনোভাবাপন্ন ভোটাররা।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads