শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

সংবিধানের ভেতরে-বাইরে সমাধান


নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে এক রকম গায়ের জোরে নয়টি বছর সরকার পরিচালনা করেছিলেন স্বৈরাচারী শাসক হিসেবে খ্যাত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার সময়কালে দেশে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আন্দোলন ত্যাগ করে অংশ নিয়েছিল। সে সময় কখনো আন্দোলন, কখনো আঁতাতÑ এমনটিই চলছিল আওয়ামী লীগ এবং এরশাদের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক। অবশেষে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দেশের সংগ্রামী মানুষের জয় হয়েছে, জয় হয় রাজনীতির। ৯০-এ স্বৈরাচারের পতনের সময় দেশে সরকার ছিল না। আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়ে সে দিন নির্বাচনকালীন সরকারের একটি রূপরেখা তৈরি করেছিল। নির্বাচনকালীন সরকারের জন্য তখন কোনো আইনও ছিল না। নির্বাচিত সংসদ ছিল না দেশে। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধানের দায়িত্ব অর্পণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের নেতৃত্বে ১৯৯১ সালে একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে। সরকার গঠনের পর বিএনপি একটি সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতি সাহাবুদ্দীনকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এভাবে শুরু হয় নির্বাচনকালীন অরাজনৈতিক অনানুষ্ঠানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার প্রবর্তন। বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের ওই সরকার ছিল ঐকমত্যের সরকার’ (Government of Consensus))তখন ওই সরকারের জন্মের পেছনে ছিল রাজনৈতিক সেই ডকট্রিন অব নেসেসিটির দর্শন । সংবিধানে কী আছে সেটি সে সময় গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। তখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে জনস্বার্থে সংবিধানে নতুন কী সংযোজন বা বিয়োজন করা দরকার সে পদক্ষেপ নেয়া। সম্ভবত সে কারণে দেশের মানুষের মুখে মুখে ফিরেছেÑ ‘মানুষের জন্য সংবিধান, সংবিধানের জন্য মানুষ নয়। ঠিক এভাবেই মানুষের প্রয়োজনে সংবিধানে সংযোজন হয়েছিল ৫৮(খ) ধারার। সংবিধানের ৫৮(খ) অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সৃষ্ট কেয়ারটেকার সরকার বেশ কটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করে। হঠাৎ করেই বর্তমান সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান থেকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা তুলে দেয়। তার পরিবর্তে সংযোজন করা হয় ১২৩(৩)(ক)(খ) অনুচ্ছেদ। জন্ম হয় তথাকথিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দর্শন। সংসদ না ভেঙে সংসদ নির্বাচনের দর্শন। এ নিয়ম মাথায় রেখে বর্তমান সরকারের (যারা মেয়াদান্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হবেন) অধীনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হচ্ছে। বিরোধী দলের দাবি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে হবে। বিভিন্ন জরিপে দেখা যায় দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ এখন বিরোধী দলের এ দাবি সমর্থন করে। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সরকার পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের পক্ষে জনগণের কোনো পূর্ব অনুমোদন নেয়নি। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঘোষিত আওয়ামী লীগের দলীয় ইশতেহারেও সংবিধানের ৫৮(খ) অনুচ্ছেদ বাতিল করার জন্য জনসাধারণের ম্যান্ডেট চায়নি। এমনকি রেফারেন্ডামের মাধ্যমে নির্বাচন-পরবর্তীকালেও জনসাধারণের মতামত নেয়া হয়নি। জনমতের কোনো তোয়াক্কা না করে এ ক্ষেত্রে পছন্দের প্রধান বিচারপতি দিয়ে একটি রায় নিজেদের অনুকূলে লিখিয়ে নেয়া হয়েছে। আর ওই রায়কে সংশোধনের অসত্য ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করেছে। রায় ঘোষণার আগে তখনকার ওই প্রধান বিচারপতি সরকারের দান-অনুদান গ্রহণ করেন, এমন কথা এখন দেশের সবারই জানা। দেশের উচ্চ আদালতকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে বর্তমান সরকারের জুড়ি নেই। বর্তমান সরকারপ্রধান একেক সময় একেক কথা বলার কারণে জনগণ তাকে আর আস্থায় আনতে চায় না। এর পরও মানুষ আশা করতে চায় প্রধানমন্ত্রী অচিরেই জনগণের মনোভাবের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন, জনগণের দাবি মেনে নেবেন। কারণ সমস্যা যিনি তৈরি করেছেন, সমাধান তাকেই করতে হবে। অন্য কেউ সমাধান দিলে ক্ষতির পরিমাণ আরো বেশি হবে। সার্বিক বিবেচনায় জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনই বর্তমান সঙ্কট উত্তরণের একমাত্র উপায়। সংবিধানের ১২৩(৩)(ক)(খ) অনুচ্ছেদ মতে, সংসদের বর্তমান নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা স্বপদে বহাল থেকে দশম সংসদের নির্বাচনে অংশ নেবেন। পঞ্চদশ সংশোধনীর ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও সংসদ ভাঙা হবে না। সংসদ ভেঙে দেয়া না হলে, সদস্যপদ শূন্য না হলে, নির্বাচন কোথায় কিভাবে হবে? বিশ্বব্যাপী নির্বাচনের দর্শনই হলো, আসন শূন্য হলে নির্বাচন হবে। আসন শূন্য নেই, নির্বাচন নেই। কিছু দিন আগে বেশ কটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনের আগে কয়েকজন মেয়র পদত্যাগ করে আসন শূন্য ঘোষণা করান। তার পরই ওই সব সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সুতরাং আসন শূন্য হলে নির্বাচন হবে, এটাই সর্বজনগৃহীত নিয়ম। তা জাতীয় হোক বা স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হোক, সব ক্ষেত্রে একই বিধান প্রযোজ্য। সংবিধানের ১২৩(৩)(ক)(খ) অনুচ্ছেদটি অস্পষ্ট ও অসম্পন্ন। আইনটির ভাব পরিষ্কার করার জন্য এর সংশোধনের বিকল্প নেই। সংসদ মেয়াদের শেষপর্যায়ে এসে গেলেও বহাল আছে এখনো। কালবিলম্ব না করে করণীয় কাজগুলো সরকারের জরুরি ভিত্তিতে সম্পন্ন করা উচিত। ৫৮(খ) অনুচ্ছেদ সংবিধানে পুনঃসংযোজন করতে হবে। আর তাতে জনগণ ও বিরোধী দলের আস্থার সম্পর্ক ফিরে আসবে। সাধারণ নির্বাচনের পরিবেশ দ্রুত অনুকূলে আসবে। আন্দোলন সংগ্রাম বন্ধ হয়ে যাবে। সুশীলসমাজের সাথে সৃষ্ট সমস্যারও সমাধান হবে। সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়টি সংবিধান থেকে বাদ দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভাঙার যে ঘোষণা দিয়েছেন, সংসদ ভাঙার সে ক্ষমতা সংশোধনী দ্বারা প্রধানমন্ত্রীকে অর্জন করতে হবে। এর জন্য দরকার গুড সেনস প্রিভেইল করা। সংবিধানের ভেতরে-বাইরে সঙ্কটের সমাধান আছে। ভেতরে সমাধান খুঁজলে ছোট্ট একটা সংশোধনী লাগবে মাত্র। বাইরে খুঁজলে সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য একজনকে বেছে নিতে হবে। সংসদ ভাঙার পর সংসদ সদস্য না থাকলে নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। সরকারকে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। বিরোধী দলের চরিত্র হনন, জোর করে মামলায় আসামি বানানো, শাস্তি দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার প্রবণতা পরিহার করতে হবে। গুণী মানুষকে অপমান করা বাদ দিতে হবে। বিদেশীদের চোখে দেশটাকে তালেবান রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে হবে। তারপর সরকারের প্রতি আবার মানুষের আস্থা ফিরে আসতে শুরু করবে। সময় অতি দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। দেরি করলে যে ফাঁদ বিরোধী দলের জন্য পাতা হয়েছে সেই ফাঁদে আটকা পড়বে সরকার। বিরোধী দলের চেয়ে এতে সরকারি দলের অনেক বেশি ক্ষতি হবে। অস্বীকার করার উপায় নেই যে, সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। জনগণ সরকারের প্রতি আস্থা আনতে পারছে না। এ অবস্থায় সরকারের সাথে সংলাপে বসে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়াও সম্ভব নয়। সংলাপে বসার পূর্বশর্ত হলো বিশ্বাস আর শ্রদ্ধাবোধ। বর্তমান সরকারের শাসনামলে শ্রদ্ধাবোধ আর বিশ্বাস নির্বাসনে গেছে। সরকারি দলের প্রবীণদের সম্মান দেখিয়ে তাদের পরামর্শ চাইতে পারে হাইকমান্ড। নিশ্চয়ই তারাও এ ব্যাপারে সৎ পরামর্শ দেবেন। তবে কচিকাঁচাদের আপাতত মুখ বন্ধ রাখতে হবে। নিজেদের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের স্বার্থেই করণীয় কাজটি সম্পন্ন করতে হবে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত চারদলীয় জোট সরকারের আইনমন্ত্রী ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। বিচারপতিদের চাকরির বয়স তখন দুই বছর বৃদ্ধি করা হয়। এই দুই বছর বৃদ্ধি করার ফলে সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসান হন অবসরপ্রাপ্ত সর্বশেষ প্রধান বিচারপতি। সংবিধানের ৫৮(খ) অনুচ্ছেদ মতে, কে এম হাসানের ২০০৬ সালে হওয়ার কথা ছিল নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারপ্রধান। কিন্তু তখনকার বিরোধী দল সহিংস আন্দোলন করায় কে এম হাসান কেয়ারটেকার সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। অভিযোগ করা হয়, কে এম হাসান দলীয় লোক। তিনি দায়িত্ব না নেয়ায় দেশ আকস্মিক গভীর সঙ্কটে পড়ে যায়। অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ হন কেয়ারটেকার সরকারপ্রধান। আন্দোলনের আগুনে ঘি ঢেলে দেয়া হয় আর জন্ম হয় ১/১১ সরকারের। সরকারপ্রধান বা তার দল যদি সে কথা ভুলে গিয়ে থাকেন, তাহলে ফল কোনোক্রমেই ভালো হবে না। মইন ইউ/মাসুদ ইউ সি/ফখরুদ্দীনের কারণেই ১/১১ সরকারের আয়ু ৯০ দিন থেকে দুই বছর লম্বা হয়ে যায়। আর সে জন্য দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকেই দায়ী করে। আওয়ামী লীগ মইন ইউ/ফখর ইউ ও মাসুদ ইউর অবৈধ প্রভাবে ক্ষমতায় আসীন হয়। প্রতিদান হিসেবে তাদের সব অবৈধ কিছু বৈধ করে দেয়া হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে চারদলীয় জোট অংশগ্রহণ করে মারাত্মক ভুল করেছিল। জনগণ ভোট দিয়েছে, ফলাফল নির্ধারণ করেছেন মইন-মাসুদ আর ফখরুদ্দীন। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সব কিছু জানার পরও সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। আশা ছিল, গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসবে। এবার অবশ্য বিএনপি এবং জোট নির্বাচনের ব্যাপারে অনেক সতর্ক। ভয় দেখিয়ে বা ফুঁসলিয়ে এবার বৈধতা আদায়ের নির্বাচনে রাজি করানো যাবে না বিএনপিকে। কানাঘুষা শোনা যায়, প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভেঙে দেবেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতি বা স্পিকারের নাম প্রস্তাব করতে পারেন। যদি বিএনপি বা ১৮ দলীয় জোট নীতিগতভাবে মেনে নেয় তাহলে এই দুজনের কোনো একজন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হতে পারেন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য। কে কী মনে করেন জানি না। যদি এমন প্রস্তাব আসে এবং বিএনপি বা ১৮ দলীয় জোট তা মেনে নেয়, তাহলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট এবারো আরেকটি বড় ভুল করবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে শুধু আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনের বৈধতাই দেয়া হবে, অন্য কিছু হবে না। রাষ্ট্রপতি ও স্পিকারের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রকারান্তের আওয়ামী লীগ সরকারই বলতে হবে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ একজন অতি পুরনো আওয়ামী লীগ নেতা। রাষ্ট্রপতি হয়েছেন বলে আওয়ামী লীগার না থেকে অন্য কিছু হয়ে গেছেনÑ এমন কথা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। শিরীন শারমিন চৌধুরী অত্যন্ত মেধাবী মহিলা। নব্য আওয়ামী লীগার, বয়সেও তরুণ। অনেক গুণের অধিকারী। স্পিকার হওয়ার পর আওয়ামী লীগে না থাকার মতো তার কোনো গুণ আছে কি না দেশবাসী এখনো তা জানতে পারেনি। সুতরাং নির্বাচিত প্রতিনিধির দ্বারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি আওয়ামী লীগ গঠন করে (বেআইনি হবে) এবং রাষ্ট্রপতি বা স্পিকারদের মধ্য থেকে কাউকে সরকারপ্রধান করেন, তাহলে সে সরকারকেও যুক্তিসঙ্গত কারণে আওয়ামী লীগ সরকারই বলতে হবে। আওয়ামী লীগ যে অভিযোগে কে এম হাসান বা ইয়াজউদ্দিনের দ্বারা গঠিত সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে রাজি হয়নি, সেই একই কারণে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বা স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কারো দ্বারা গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে বিএনপি বা ১৮ দলের নির্বাচনে যেতে সম্মত হওয়া উচিত হবে না। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে আওয়ামী লীগ বিএনপির কাছ থেকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সার্টিফিকেট আদায় করে নেবে। বিএনপি নিশ্চয়ই এটা উপলব্ধি করতে পারবে। একই ভুল দ্বিতীয়বার আর করবে না। 


0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads