অনেকগুলো বিষয় জমে গেছে। সবগুলোই গুরুত্বপূর্ণ। সবগুলোর ওপরে লেখা দরকার। কিন্তু সব বিষয়েই একদিনে লেখা সম্ভব না। কয়েকটি কিস্তির প্রয়োজন হবে। অন্যথায় এই পুরো পৃষ্ঠা জুড়েও হবে না। তাই ঠিক করেছি, সবগুলো বিষয়েই একটু একটু করে টাচ করবো। কথাগুলো একেবারে নতুন নয়। কিন্তু ব্যক্তি বিশেষ বললে বা প্রতিষ্ঠান বিশেষের তরফ থেকে বললে সেটি নতুন মনে হয়। প্রথমেই আসি, এই সরকার তথা এই পার্লামেন্ট বৈধ কি না। যখন বিরোধী দল বলে যে, এই পার্লামেন্ট বৈধ নয়, তাই এই সরকারও বৈধ নয়, তখন মনে হয় তারাতো বলবেই। কারণ তারাতো বিরোধী দলে আছে। কিন্তু সেই কথাই যখন শুধু বাংলাদেশের নয়, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বলেন, তখন সেটি বিশেষ গুরুত্ব লাভ করে। সেই কথাটিই বলেছেন ড. কামাল হোসেন এবং সেটি বলেছেন যেখানে সেখানে নয়, রীতিমত উচ্চ আদালতের এজলাশে এবং একজন এমিকাস কিউরী হিসাবে।
গত বৃহস্পতিবার, বিচারপতি মির্জা হোসেন হায়দার ও বিচারপতি খোরশেদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই বিষয়ে রিটের শুনানিকালে এমিকাস কিউরী হিসাবে বক্তব্য দেয়ার সময় ড. কামাল হোসেন বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত এমপিদেরকে জনগণের প্রতিনিধি বলা যাবে কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সংসদ নির্বাচনে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। আদালতে দেয়া বক্তব্যের সময় ড. কামাল হোসেন বলেন, সংবিধানের মূলনীতি গণতন্ত্র। সংবিধানে বলা আছে, জনগণ সব ক্ষমতার মালিক। সংবিধানের দেয়া এই ক্ষমতার প্রয়োগ করবে জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। কিন্তু যারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের কি জনপ্রতিনিধি বলা যাবে? বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত এমপিরা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন বলে আদালতে তার অভিমত প্রকাশ করেন ড. কামাল হোসেন। সংবিধান বিশেষজ্ঞ এই আইনজীবী বলেন, বাংলাদেশে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন থাকবে এবং জনপ্রতিনিধিরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন, এ বিষয়গুলো সংবিধানেই বলা আছে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন বুঝতে হবে, হোয়াট ইজ ইলেকশন, অর্থাৎ প্রতিনিধিরা কীভাবে নির্বাচিত হবেন। ড. কামাল বলেন, তারা জনগণের পছন্দ অনুযায়ী নির্বাচিত হবেন। সর্বোপরি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে এমপি নির্বাচিত হবেন। কিন্তু যে নির্বাচনে কোনো প্রতিযোগিতা নেই, প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই, সে নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীকে কীভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধি বলা যাবে? পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র ব্যতিক্রম বাংলাদেশ, যেখানে পাঁচ বছর পরে জনগণ একটি ভোট দেয়। তার সেই ভোট দেয়ার অধিকারও খর্ব করা হয়েছে। এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশনের কর্মকা- নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন থাকবে নিরপেক্ষ। সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দায়িত্ব কমিশনের। কিন্তু তারা সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ।
আবার একই বক্তব্য ভিন্নভাবে প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন। শাহ্ মোয়াজ্জেমও একজন আইনজীবী। কিন্তু আইন ব্যবসাকে তিনি সার্বক্ষণিক পেশা হিসাবে গ্রহণ করেননি। রাজনীতিকেই তিনি সার্বক্ষণিক কর্মের স্থল হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। গত বুধবার ২২শে মে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার ৩৩তম মৃত্যু বার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য র্যাবের অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন, আপনি ভোট পান নাই, আপনি জবর দখলকারী, র্যাব-পুলিশ ব্যবহার করে ক্ষমতায় এসেছেন। যাদের দায়িত্ব জানমাল রক্ষা করা, তাদের দিয়ে আপনি জনগণের জানমাল হরণ করেছেন। আপনি গণতন্ত্র কেড়ে নিয়ে জুলুমের রাজত্ব কায়েম করেছেন। (সংগ্রাম-২৩-০৫-২০১৪)। তিনি বলেন, সভা সমাবেশ করতে দিবেন না। রাস্তায় আন্দোলন-মিছিল করতে দিবেন না। এটা হতে পারে না। আপনার বাবা শেখ মুজিব, মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আমাদের শিখিয়ে গিয়েছেন গণতন্ত্রের জন্য রাজপথে থাকতে হবে। তিনি বলেন, এদেশে এখন চোর, গুন্ডা, বদমাশ, ঘুষখোরদের দেশ হয়ে গেছে।
দুই
যেসব পয়েন্ট এই নিবন্ধে উদ্ধৃত হয়েছে সেগুলো বাংলাদেশের মানুষ কম বেশি জানেন। কিন্তু কিছু কথা এখন আসছে যেগুলো চরম সত্যি কথা, কিন্তু আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কারণে হোক অথবা অন্য যেকোন কারণে হোক না কেন, সে কথাগুলো এখন বলা হয় না। বললে অনেকের কন্ঠ সংকুচিত হয়ে যায়। কিন্তু সে কথাই বলিষ্ঠভাবে বলেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। বলেছেন, ‘জয়বাংলা’ শ্লোগানটা আমি বুঝি না। জয়বাংলা কোন দেশ? আমার দেশ হলো বাংলাদেশ। আপনি ‘জয় বাংলাদেশ’ বলেন। ’৭১ সালে আমরা পাকিস্তানের বিরোধী অবস্থানে থেকে ‘জয়বাংলা’ বলেছি। এখন তো বাংলাদেশ হয়ে গেছে। এগুলো চালাকি করা হচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ যখন মার্কিন কূটনীতিককে বলে, ‘এটা আমাদের অঞ্চল, এই এলাকার ভালোমন্দ আমরাই বুঝি’, তখন কোথায় থাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? আজকে জামায়াতে ইসলামের ভয় দেখায়, পাকিস্তানের ভয় দেখায়। এগুলো বলে দেশকে একটি সিভিল ওয়ারের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। দেশে এখনো শান্তি আনা যায় একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে। গত বুধবার চ্যানেল আই এ টকশো ‘তৃতীয় মাত্রায়’ তিনি এসব কথা বলেন। জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় এ টকশোতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহবুবুল আলমও আলোচনায় অংশ নেন। যাই হোক, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের এই বক্তব্য অত্যন্ত পরিষ্কার। তাই এইগুলোর কোন ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়ে না। তবে আশার কথা হলো এই যে, এখনো ২/১ জন লোক খুঁজে পাওয়া যায় যারা বলিষ্ঠভাবে সত্যি কথা বলেন।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকি উপলক্ষ্যে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান লন্ডনের এক অনুষ্ঠানে গত ২৯শে মে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করেছেন। মন্তব্যগুলো অত্যন্ত দ্ব্যর্থহীন ও স্পষ্ট। তবে আমার কাছে অবাক লেগেছে এই যে, মাত্র ২/৩টি দৈনিক পত্রিকা তারেক রহমানের এই খবরটি ছাপিয়েছে। লন্ডনের এই অনুষ্ঠানে তারেক রহমান বলেছেন, শেখ মুজিব রাজনীতিক হিসেবে ব্যর্থ ছিলেন এবং জিয়া ছিলেন একজন সফল রাজনীতিক। একজন গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় বাকশাল করেছেন। আরেকজন জনগণকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছেন। প্রায় আধ ঘণ্টার বক্তৃতায় তারেক রহমান র্যাব, পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে শেখ মুজিবের ফিরে আসা, স্বাধীনতা-পরবর্তী শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলের সঙ্গে শেখ হাসিনার শাসনের চিত্র, ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন। তারেক রহমান বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনে জনগণের অবস্থা এতটাই ভয়ঙ্কর অবস্থায় পৌঁছেছে যে, জনগণ বলতে শুরু করেছে, ওরা মানুষ নয়, ওরা আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, এমন কোনো অপকর্ম নেই যা আওয়ামী লীগ করতে পারে না। যে আ’লীগ শেখ মুজিবকে নেতা বানিয়েছিল, সেই শেখ মুজিব ’৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করেননি। নারায়ণগঞ্জে ৭ জনকে গুম করার ঘটনা শেখ হাসিনা নাকি ৫ মিনিটের মধ্যে জেনে ছিলেন। জানলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। তিনি বলেন, ২৭ এপ্রিল না’গঞ্জে ৭ জনকে দিনে-দুপুরে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে দেয়া হয় নদীতে। ওই এলাকার আ’লীগেরই একজন অনির্বাচিত এমপি জানিয়েছেন, অপহরণের ৫ মিনিটের মধ্যেই তিনি শেখ হাসিনাকে ঘটনা জানিয়ে ছিলেন। এরপরও অপহৃতদের উদ্ধার করতে ব্যর্থ হওয়ায় এসব হত্যার দায় শেখ হাসিনা কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিব জনগণের লড়াই সংগ্রাম এবং কঠিন আত্মত্যাগ দেখেননি, অথচ স্বাধীনতার পর পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে তিনিই সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে এসে ক্ষমতায় বসেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে মা-ভাই কিংবা আত্মীয়-স্বজন হারানো যেসব মানুষ ’৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে শেখ মুজিবকে স্বাগত জানাতে এয়ারপোর্টে গিয়েছিলেন তাদের সামনে শেখ মুজিব আসেন পকেটে পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে। একটি সদ্য স্বাধীন দেশের নাগরিকদের সাথে এর চেয়ে বড় প্রতারণা আর কী হতে পারে? শেখ মুজিব ১৯৭৫ সালে মাত্র কয়েক মিনিটে গণতন্ত্রকে হত্যা করেন, নিজ দল আ’লীগকে বিলুপ্ত করেন, জনগণকে ’৭৪-এর দুর্ভিক্ষ উপহার দেন। তার শাসনামলে ঘরে-বাইরে জনগণকে অনিরাপদ করে তোলা হয়েছিল।
তিন
তারেক রহমান ১৯৭৩ সালের ৬ জুলাই জাতীয় সংসদে দেয়া তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি বিবৃতি তুলে ধরে বলেন, ১৯৭২ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৭৩ সালের জুন পর্যন্ত এই সময়কালে দেশে দুই হাজার ৩৫টি গুপ্তহত্যার ঘটনা ঘটেছে এবং দুষ্কৃতকারীদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ৯২৫ জন। তিনি বলেন, মুজিব কন্যা শেখ হাসিনার শাসনামলেও একইভাবে গুম-খুন-অপহরণ অব্যাহত রয়েছে। আ’লীগ এবং সন্ত্রাস যেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তারেক রহমান বলেন, গুম-খুন-অপহরণ এখন দেশের নিত্য দিনের চিত্র।
এবার একটি ভিন্ন প্রসঙ্গ দিয়ে আজকের লেখা শেষ করবো। এইতো কয়দিন আগে ছিলো ১১ জ্যৈষ্ঠ। জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী। অথচ কতই না হেলা ফেলা করে দিনটি উদযাপিত হলো। কিভাবে যে দিনটি এলো, আর কিভাবে যে গেলো, সেটি সচেতন মানুষ ছাড়া অনেকে টেরই পেলেন না। নজরুল আমাদের জাতীয় কবি বলে আমরা বড়াই করি। অথচ পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ, বিশেষ করে তার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, নজরুলের জন্য কি করেছেন দেখুন। গত ২৯শে মে ঢাকার একটি বাংলা দৈনিকে এ সম্পর্কে যে রিপোর্ট ছাপা হয়েছে সেটি নিচে উদ্ধৃত করছি। পত্রিকাটি লিখেছে, কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কলকাতায় সদ্যনির্মিত ‘নজরুল তীর্থ’ ভবন উদ্বোধনকালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, এই তীর্থ হয়ে উঠবে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের পিরামিড। তিনি বলেন, আমাদের স্বপ্ন ছিল নজরুলকে নিয়ে বহু ধরনের কাজ করার। ইতিমধ্যে চুরুলিয়ায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা হয়েছে। দুর্গাপুরে কবির নামে বিমানবন্দর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কলকাতার এই নজরুল একাডেমিও আজ সম্পূর্ণ। এখানে কবির জীবন ও কর্ম নিয়ে গবেষণা হবে।
গত সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতার রাজারহাটে কয়েক একর জমি নিয়ে নির্মিত প্রায় এক লাখ বর্গফুটের ওপর নির্মিত হয়েছে সুরম্য ভবন, যার নাম দেয়া হয়েছে নজরুল তীর্থ। এটি হলো নজরুল একাডেমি ভবন। ‘নজরুল তীর্থ’ উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, বাঙালি এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী। বিশ্বে বাংলা ভাষার স্থান ৫ম। অতএব, এই জাতিকে হেলাফেলা করা যাবে না। ‘নজরুল তীর্থ’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই একাডেমিতে জড়ো হবে অসংখ্য মেধাশক্তি এবং নজরুলের গানের ক্যাসেটে ভরে উঠবে আর্কাইভ। তিনি আরো বলেন, আমরা যখন এসব কর্মযজ্ঞ শুরু করি, কেউ কেউ তখন আড়চোখে তাকিয়েছেন। বলে বেড়িয়েছেন, সংখ্যালঘুদের টাকায় এসব হচ্ছে। কিন্তু এ ব্যাপারে আমাদের সাফ কথা-সংখ্যালঘুরাও তো মানুষ। নজরুল কবি, বড় কবি, কবিকে নিয়ে জাতের নামে এমন বজ্জাতি সহ্য করবো না। মুখ্যমন্ত্রী দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন, সব ভেদাভেদ আর সব ধরনের সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে কবি নজরুলের বসবাস। তাঁর নামে গড়ে উঠা এই তীর্থ হয়ে উঠবে দুই বাংলার সংস্কৃতিচর্চার আরেক উৎস।
রাজনৈতিকভাবে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের সাথে আমাদের মতভেদ থাকতে পারে। কিন্তু নজরুলকে নিয়ে তারা যা করছেন, সেখান থেকে কি আমরা কিছুই শিখবো না?
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন