এরকম পয়েন্টের উপর লিখতে গেলে লক্ষ লক্ষ পৃস্ঠা লেখা সম্ভব।যারা জিয়াউর রহমানকে দেখেছেন এবং তার সংস্পর্শে এসেছেন এরকম লাখ লাখ মানুষ আজো বেঁচে আছেন।তাদের প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু স্মৃতি আছে।কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের প্রজন্ম তাঁকে দেখার সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত।তাই আজ আমি এমন একজনের স্মৃতির পাতা থেকে কিছু উঠিয়ে আনার চেষ্টা করছি যার সান্নিধ্যে এসেই আমি মূলত বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী হয়েছি।হৃদয়ের মণিকোঠায় ধারন করতে পেরেছি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে।তিনি আমার একজন পরম আত্মীয় ও গুরু।আসুন তার মুখেই শুনি কিছু কথা।
“জেলাশহর পটুয়াখালীর উত্তরে ৪নং লাউকাঠী ইউনিয়নের মৌকরণ গ্রামের কাজীবাড়িতে আমার জন্ম।কাজীবাড়ি উক্ত জেলার একটি প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ বাড়ি।আমাদের বাড়িকে বাড়ি না বলে বরং পাড়া বললে ভালো বোঝানো যায়।প্রধান বড় বাড়িসহ পাশাপাশি অনেকগুলো বাড়ি নিয়ে আমাদের বিস্তৃত বংশ।যে সময়ের কথা বলছি তখন সারা জেলার মত আমাদের বাড়িরও সবাই আওয়ামী ভাবাপন্ন।১৯৭৭ কি ৭৮ সাল। আমি তখন ২য় কি ৩য় শ্রেণীতে পড়ি।মৌকরণ হাইস্কুল ও তৎসংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে আমাদের বিশাল বিদ্যায়তন।মৌকরণ হাইস্কুল শহর ছাড়া গ্রামের মধ্যে তখন শ্রেষ্ঠ স্কুল।আমাদের স্কুলের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে একটি বড় খাল।আমাদের শহরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ঐ খাল এবং তাতে চলাচলকারী নৌকা।এছাড়া খালের পাশ দিয়ে পাকিস্তান বা বৃটিশ আমলে তৈরি একটি ইট বিছানো বড় রাস্তা। যার মাঝে মাঝে খানাখন্দ আর গর্তে ভরা। যেটা দিয়ে পায়ে হেটে শহরে যাওয়া যেত।দিনে দিনে খাল শুকিয়ে এক সময় নৌচলাচল একেবারে বন্ধ হতে বসেছে।এমন সময় হঠাৎ খাল শুকিয়ে একেবারে বালি!বড়রা বলছেন খালে বাঁধ দিয়ে শুকানো হয়েছে। কাটা হবে।সবাই আওয়ামী ভাবাপন্ন হওয়ায় জিয়াউর রহমানকে এই খার কাটা নিয়ে বিভিন্নভাবে কটাক্ষকরে কথা বলত।কেউ কেউ এভাবে ছড়া কাটত,
'আইলোরে কলির কাল
ছাগলে চাটে বাঘের হাল
জিয়া কাটে গোদার খাল।'
গোদার খাল আমাদের খালটিকে বলা হতো না।ঐ নামে আরও একটি খাল আমাদের এলাকায় ছিল এবং সেটিও কাটার কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল।তো যা বলছিলাম, একদিন হঠাৎ স্কুলের মাঠে পুলিশসহ অন্যান্য লোকজনের তৎপরতা শুরু হলো। চক পাউডার দিয়ে মাঠের মাঝখানে বড় বড় H অক্ষর লেখা হলো। বড়রা বললেন ওখানে হেলিকপ্টার নামবে।জিয়াউর রহমান আসতেছে।পরদিন পুরো স্কুল লোকে লোকারণ্য।আমার এক বড়ভাই স্কুলের শিক্ষক হওয়ায় মাইকে ঘোষনা দিচ্ছিলেন।আমি ও আমার দুতিনজন সহপাঠী আগে থেকেই বড়ভাইয়ার কাছাকাছি ছিলাম। আমরা একটি বেঞ্চের উপর দাড়িয়ে ছিলাম।এক সময় আকাশ থেকে হেলিকপ্টার নামল।তিনি বের হয়ে আসলেন।লম্বা পা ফেলে চলে আসলেন মাইকের কাছে। বড়ভাই জোরে জোরে শ্লোগান ধরছেন,
’প্রেসিডেন্ট জিয়া, চেয়ারম্যান জিয়া,
জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ।।’
এক সময় শ্লোগান থামল। তিনি বললেন, “চলো”।সবাই চলল খালের দিকে।তিনি পায়ে হেটে নেমে গেলেন খালে।হাতে কোদাল নিয়ে মাটি কেটে ওড়ায় রাখলেন।তুলে দিলেন তখনকার চেয়ারম্যান আমার আরেক চাচাত ভাই কাজী আবদুল মতলেবের মাথায়।শুভ উদ্বোধন হলো নতুন খালকাটা কর্মসূচীর।একই সাথে হৃদয়ের গভীরে রোপিত হলো বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের বীজ।শুধু আমি নই বাড়ির ছোট বড় সবাই ধারন করল বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের পতাকা।বড়রা বলতে লাগল যেই মানুষটি দেশের প্রধান হয়েও নিজ হাতে কোদাল ধরতে পারে দেশের দুঃখ ঘোচানোর সামর্থ একমাত্র তারই আছে।তখন থেকেই ভালোবেসেছি মানুষটারে। সেই ভালোবাসা আজ মহীরুহ।"
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ
শহীদ জিয়া অমর হোক।
“জেলাশহর পটুয়াখালীর উত্তরে ৪নং লাউকাঠী ইউনিয়নের মৌকরণ গ্রামের কাজীবাড়িতে আমার জন্ম।কাজীবাড়ি উক্ত জেলার একটি প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ বাড়ি।আমাদের বাড়িকে বাড়ি না বলে বরং পাড়া বললে ভালো বোঝানো যায়।প্রধান বড় বাড়িসহ পাশাপাশি অনেকগুলো বাড়ি নিয়ে আমাদের বিস্তৃত বংশ।যে সময়ের কথা বলছি তখন সারা জেলার মত আমাদের বাড়িরও সবাই আওয়ামী ভাবাপন্ন।১৯৭৭ কি ৭৮ সাল। আমি তখন ২য় কি ৩য় শ্রেণীতে পড়ি।মৌকরণ হাইস্কুল ও তৎসংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে আমাদের বিশাল বিদ্যায়তন।মৌকরণ হাইস্কুল শহর ছাড়া গ্রামের মধ্যে তখন শ্রেষ্ঠ স্কুল।আমাদের স্কুলের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে একটি বড় খাল।আমাদের শহরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ঐ খাল এবং তাতে চলাচলকারী নৌকা।এছাড়া খালের পাশ দিয়ে পাকিস্তান বা বৃটিশ আমলে তৈরি একটি ইট বিছানো বড় রাস্তা। যার মাঝে মাঝে খানাখন্দ আর গর্তে ভরা। যেটা দিয়ে পায়ে হেটে শহরে যাওয়া যেত।দিনে দিনে খাল শুকিয়ে এক সময় নৌচলাচল একেবারে বন্ধ হতে বসেছে।এমন সময় হঠাৎ খাল শুকিয়ে একেবারে বালি!বড়রা বলছেন খালে বাঁধ দিয়ে শুকানো হয়েছে। কাটা হবে।সবাই আওয়ামী ভাবাপন্ন হওয়ায় জিয়াউর রহমানকে এই খার কাটা নিয়ে বিভিন্নভাবে কটাক্ষকরে কথা বলত।কেউ কেউ এভাবে ছড়া কাটত,
'আইলোরে কলির কাল
ছাগলে চাটে বাঘের হাল
জিয়া কাটে গোদার খাল।'
গোদার খাল আমাদের খালটিকে বলা হতো না।ঐ নামে আরও একটি খাল আমাদের এলাকায় ছিল এবং সেটিও কাটার কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল।তো যা বলছিলাম, একদিন হঠাৎ স্কুলের মাঠে পুলিশসহ অন্যান্য লোকজনের তৎপরতা শুরু হলো। চক পাউডার দিয়ে মাঠের মাঝখানে বড় বড় H অক্ষর লেখা হলো। বড়রা বললেন ওখানে হেলিকপ্টার নামবে।জিয়াউর রহমান আসতেছে।পরদিন পুরো স্কুল লোকে লোকারণ্য।আমার এক বড়ভাই স্কুলের শিক্ষক হওয়ায় মাইকে ঘোষনা দিচ্ছিলেন।আমি ও আমার দুতিনজন সহপাঠী আগে থেকেই বড়ভাইয়ার কাছাকাছি ছিলাম। আমরা একটি বেঞ্চের উপর দাড়িয়ে ছিলাম।এক সময় আকাশ থেকে হেলিকপ্টার নামল।তিনি বের হয়ে আসলেন।লম্বা পা ফেলে চলে আসলেন মাইকের কাছে। বড়ভাই জোরে জোরে শ্লোগান ধরছেন,
’প্রেসিডেন্ট জিয়া, চেয়ারম্যান জিয়া,
জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ।।’
এক সময় শ্লোগান থামল। তিনি বললেন, “চলো”।সবাই চলল খালের দিকে।তিনি পায়ে হেটে নেমে গেলেন খালে।হাতে কোদাল নিয়ে মাটি কেটে ওড়ায় রাখলেন।তুলে দিলেন তখনকার চেয়ারম্যান আমার আরেক চাচাত ভাই কাজী আবদুল মতলেবের মাথায়।শুভ উদ্বোধন হলো নতুন খালকাটা কর্মসূচীর।একই সাথে হৃদয়ের গভীরে রোপিত হলো বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের বীজ।শুধু আমি নই বাড়ির ছোট বড় সবাই ধারন করল বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের পতাকা।বড়রা বলতে লাগল যেই মানুষটি দেশের প্রধান হয়েও নিজ হাতে কোদাল ধরতে পারে দেশের দুঃখ ঘোচানোর সামর্থ একমাত্র তারই আছে।তখন থেকেই ভালোবেসেছি মানুষটারে। সেই ভালোবাসা আজ মহীরুহ।"
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ
শহীদ জিয়া অমর হোক।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন