শুক্রবার, ১৬ মে, ২০১৪
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল ও প্রভাব
Posted on ৫:৪০ PM by Abul Bashar Manik
ভারতের নির্বাচনে মিডিয়ার পরিচালিত
সবগুলো ওপিনিয়ন পোল আর পরে ভোটের বুথফেরত পোল ফলাফলের ইঙ্গিতকে সত্যি প্রমাণ করেছে
আসল নির্বাচনী ফলাফল। লোকসভা নির্বাচনে এই লেখা পর্যন্ত বিজেপি সরকার গঠনের জন্য একক
সংখ্যাগরিষ্ঠতা ২৭২ আসনের বেশি অর্জন করেছে। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের মিলিত
আসনসংখ্যা ৩৪৬ আসনের দিকে ধাবমান। বহু রাজ্যেই লোকসভা আসনের সবগুলোই বিজেপি নিজের ব্যাগে
ঢুকাতে সক্ষম হয়েছে। ইতোমধ্যে ভারতের মিডিয়ার আলোচনায় এমন বিজেপির এমন সংখ্যাগরিষ্ঠতা
পাওয়ার পেছনের কারণ খুঁজতে ‘মোদি আসছে’ এই ঝড় একটা প্রধান কারণ বলে সবাই
একবাক্যে স্বীকার করতে শুরু করেছে। অন্যান্য কারণের মধ্যে কংগ্রেসের দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি আর কুশাসনকে বলা হচ্ছে। মোদি-ঝড় কথাটার অর্থ কী সে দিকে
আমাদের মনোযোগ দিতে হবে।
ভারতের রাজনীতি আর মানুষের প্রধান
আকাক্সার অভিমুখ হলো কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানো। মানে বিনিয়োগ ব্যবসায়ের মাধ্যমে কাজ
সৃষ্টি, রাইজিং ইকোনমির দিকে দেশকে নেয়া। ভারত যে সম্ভাবনার মধ্যে দাঁড়িয়ে
আছে, এতে যে অভিমুখ তৈরি হয়েছে এক কথায় সেটাকে বলা হয় ‘রাইজিং ইকোনমির’ দেশ হওয়ার সম্ভাবনাকে বাস্তব করে তোলার বাসনা। যদিও
এটা এখনো সম্ভাবনা। করে দেখানো হয়ে গেছে এমন নয়। সে জন্য একে বাস্তব করে দেখাতে এই
সম্ভাবনার ইঙ্গিতের রাজনৈতিক অর্থ-তাৎপর্য বুঝবার মতো রাজনীতি, তা পরিচালনার জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব, করণীয় কাজের হোম ওয়ার্ক বা প্রস্তুতি, দতা যোগ্য হয়ে ওঠা এই সব মিলিয়ে এক শব্দে বললে দরকার এক যোগ্য রাজনীতি
ও নেতৃত্ব।
গত নির্বাচনে ২০০৯ সালের সময়
ভারত ছিল ‘রাইজিং ইকোনমি’ হয়ে ওঠার উত্থানের পর্বে। কংগ্রেস
জনগণের মধ্যে এই উত্থানের আস্থা সৃষ্টি করতে পেরেছিল, তাই জিতেছিল। কিন্তু গত পাঁচ বছরে এটা সবার কাছে প্রকাশিত হয়ে পড়ে যে কংগ্রেস
এ কাজের অযোগ্য। বড় বিদেশী বিনিয়োগ, যা ভারতে এসেছিল, সেগুলোকে কাজের কনট্রাক্ট দেয়ার েেত্র রাষ্ট্রের শক্ত নীতিগত নিরপেতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার ওপর দাঁড়িয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও উপযুক্ত আইনকানুন তৈরি
আর এর অধীনে কাজ দেয়ার ব্যবস্থা হাজির করতে কংগ্রেস সরকার সীমাহীনভাবে ব্যর্থ বলে প্রমাণিত
হয়েছে। প্রমাণ হয়েছে কংগ্রেস বিনিয়োগ সামলানোর অযোগ্য। মোবাইল ফোনের লাইসেন্স দেয়া, কয়লা তোলার কন্ট্যাক্ট দেয়ার েেত্র বড় দুর্নীতি এগুলো এর প্রমাণ। আবার বিদেশী
বিনিয়োগ আসার পর সেগুলো ভারতে কেমন করে কাজ করবে রাষ্ট্র কতটা কিভাবে তা নিয়ন্ত্রণ
করবে এই প্রশ্নে কংগ্রেস প্রধাণত মনমোহনমুখী। বিশ্বব্যাংকের অনুসৃত
কাছাখোলা নীতিতে ছিলেন মনমোহন। তেল ঘি সব একদর করে ফেলার মতো অবস্থা। ইন্সুরেন্স ব্যবসা
(বিশেষ করে মেডিক্যাল ইন্সুরেন্স), শেয়ারবাজার, রিটেইল চেইন শপ ইত্যাদির উৎপাদন নয় টাকায় টাকা আনার মতো ব্যবসার জায়গায় বিদেশী
বিনিয়োগকে প্রবেশাধিকার দিতে তিনি কসুর করেননি। কারখানা বা উৎপাদক পুঁজি আর ব্যাংকের
মতো টাকার ব্যবসায় পুঁজি পুঁজির এই দুই চরিত্রের মধ্যেও মোটাদাগের কোনো ভাগ-বাছবিচার
তিনি আরোপ করেননি। দিনের শেষে যখন টের পেয়েছেন পুঁজির এমন বিচলনে ভারতের ভাগে কিছু
জোটেনি, বরং মুনাফাসহ পুঁজি ভেগে গেছে তখন খুদে দোকানদারের চোখে দেখার
মতো স্বভাবে ট্যাক্স আরোপ করতে গেছেন। বিয়ে শেষে বাজনার মতো শেষবেলার এই আচমকা ঝটকায়
এতে বাকি যারা বিনিয়োগকারী ছিল, এবার তারাও ভেগে যাওয়া শুরু করেছিল। সামগ্রিক ফলাফল
রুপির মারাত্মক দরপতন সম্পদ পাচার বা বের হয়ে যাওয়া। ‘রাইজিং ইকোনমির’ রাইজিংয়ে ছেদ পড়া। সাধারণ জনগণের দিক থেকে দেখা
দৃষ্টিতে এগুলোই দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি আর কুশাসন ইত্যাদি শব্দগুলোর
অর্থ এটাই।
বিপরীতে মোদি সারা ভারতের তুলনায়
ছোট আর রাজ্যগুলোর তুলনায় এক মধ্যম সাইজের রাজ্য সফলভাবে চালিয়েছেন। তাঁর প্রশাসন মানে
তাঁর রাজ্যে ‘কাজ সৃষ্টি’ এ কাজে তিনি সফল। সারা ভারতব্যাপী ব্যবসা-বিনিয়োগসহায়ক
ও উপযোগী হিসেবে কে কেমন সে বিষয়ে এক গবেষণায় মোদির রাজ্য প্রশংসিত। ফলে মোদির সফলতা
কেবল রাজনৈতিক প্রচারণা নয়। এসব কারণে হতাশগ্রস্ত আকাক্সা মার খাওয়া জনগণ এবার মোদির
ওপর বাজি ধরতে ছুটে এসেছেন। ইলেকশন কৌশলের দিক থেকে মোদিকে আগেই হবু প্রধানমন্ত্রী
প্রার্থী হিসেবে বিজেপির সভায় আগাম অনুমোদন করিয়ে নেয়া এবং জনগণের সামনে উপস্থাপন করা
খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এটা হতাশ জনগণের কাছে প্রধান বার্তা বা আশার আলো
হিসেবে খুবই কাজ করেছে। এ বিষয়কেই মোদি-জ্বর বা মোদি-ঝড় বা মোদি-ফ্যাক্টর বলে চেনানো
হচ্ছে।
গত ২০০৯ সালের নির্বাচনে বিজেপির
মোট ভোট ছিল ২০%। এবার এ পর্যন্ত গণনায় এটা ৫৩%, বিপরীতে কংগ্রেসের জোটসহ হিসাবে
এবার সম্ভাব্য ৬১ আসন বা ২৩% ভোট। আবার যেগুলো ছোট এবং নতুন গঠন করা রাজ্য (যার আসল
অর্থ এগুলো সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া অঞ্চল, ফলে তাদের প্রতিবাদ-চিৎকারের
ফলে প্রথম অর্জন আলাদা রাজ্য মানে আলাদা করে কেন্দ্রীয় রিসোর্স অ্যালোকেশন বা
কেন্দ্রের হাতে থাকা সম্পদের ভাগ নেয়ার উদ্যোগ) সেসব রাজ্যে দেখা গেছে, সবগুলো আসন একচেটিয়া বিজেপির পকেটে। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল এই লেখার সময় পর্যন্ত
আসেনি। তবে ফলাফলের যে ধারা দেখা যাচ্ছে তাতে উত্তরাঞ্চল সাতটির মধ্যে সাতটিতে বা ছত্তিশগড়ে
১১টির মধ্যে নয়টি, ঝাড়খন্ডে ১৪টির মধ্যে ১২টি। এর অর্থ মোদি-উত্থান বা ব্যবসা-বিনিয়োগের
প্রতীক মোদির উঠে আসার অর্থ তাৎপর্য তারাও বুঝেছে। তাই ঢেলে জিতিয়েছে। বিজেপির সবসময়ের
খারাপ অবস্থার জায়গাগুলোর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও দেিণর কেরালা বা তামিলনাড়ু অন্যতম। এক
পশ্চিমবঙ্গে তুলনামূলক ভালো বলতে হবে এই প্রথম এক আসনের বদলে বিজেপির
অর্জন দুই আসন। আর মমতার তৃণমূল কংগ্রেস খুবই ভালো করেছে। তাঁর মুসলিম নির্বাচনী আসন
দখলের নীতি-কৌশল কাজ করেছে এবং ফলও দিয়েছে; মোট ৪২ আসনের মধ্যে একাই ৩৪ আসন
পকেটে পুরতে পেরেছেন তিনি। ওদিকে কেরালায় বিজেপি শূন্য আসনেই থেকে গেছে। আর তামিলনাডুতে
গত ২৫ বছরের ধারাবাহিকতায় বিজেপি বা কংগ্রেস-ধরনের কোনো সর্বভারতীয় দলের স্থান সেখানে
নেই, সেটাই বজায় থেকেছে। দুই ডিএমকে দলের পাল্টাপাল্টি সব আসন পাওয়ার
রেওয়াজে এবার পালা জয়ললিতার আন্না-ডিএমকের। তার পকেটে ৩৭ আসন, মোট ৩৯ আসনের মধ্যে। আর বাকি দুটো বিজেপির। তবে এবার অন্য ডিএমকের (নেতা করুণানিধির)
ভরাডুবির েেত্র এক বিশেষ ইস্যু ছিল। কারণ থ্রিজি বা মোবাইল লাইসেন্স বিতরণে অর্থ-দুর্নীতি
আদালতে প্রমাণিত হওয়ায় করুণানিধির মন্ত্রী এখন জেলখানায়। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ফলাফল
এসেছে উত্তর প্রদেশে। মোট ৮০ আসনের মধ্যে ৭৩ আসন বিজেপি জোটের
পকেটে। শুধু এতটুকুই নয়, এর আর একটি বিশেষ অর্থ আছে। মায়াবতীর বিএসপি কোনো
আসন পায়নি, আর সমাজবাদী দল, যারা রাজ্য সরকারে আছে, তারা পেয়েছে মাত্র পাঁচ আসন। এই দুই দলকে পরাজিত করার তাৎপর্য হলো এরাই কংগ্রেসের সাথে হর্স টেডিংয়ে জোট করার হুমকি দিত। অথবা তৃতীয় জোটের মূল
উপাদান হতো। ফলে সবচেয়ে বেশি আসনের রাজ্য, উত্তর প্রদেশে ৭৩ আসন মোদির জয়লাভের
জন্য নির্ধারক। অন্য দিকে বিহার। বিহারে মতাসীন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের আঞ্চলিক
দল জেডিইউ নির্বাচনের আগে বিজেপি জোট ত্যাগ করেছিল। কিন্তু ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, নীতিশ কুমারের ১৮ আসন নিয়ে গেছে বিজেপি। বিহারের মোট ৪০ আসনের ৩১ আসন লাভ করেছে
বিজেপি।
পুঁজিতন্ত্রের জমজমাট বিকাশ উত্থানের
এক বিশেষ স্বভাব হলো এই উত্থান এক মেল্টিং পট হয়ে হাজির হয়। মেল্টিং
পট মানে নানান ধাতুর মিশ্রণ এক পাত্রে রেখে সবাইকে গলিয়ে দেয়া। পুরানা ধরনের সব সামাজিক
বিরোধ (যেমন ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকভাবে উত্থিত বিরোধ) এক পাত্রে রেখে ঘুঁটা দিয়ে মিলিয়ে
দেয়া বা কম প্রভাবের করে ফেলা এসব মতা পুঁজিতন্ত্রের জমজমাট বিকাশ উত্থানে আছে।
এতে সব বিরোধ মিলিয়ে যায় না তবে পুরানা বিরোধ এবং এর প্রকাশগুলো মিটে যায় আর নতুন নতুন
সামাজিক বিরোধ নতুন রূপে হাজির হয়।
পপুলার ধারণা হলো কংগ্রেস অসাম্প্রদায়িক দল আর বিজেপি সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্বের দল এই ধারণা ভিত্তিহীন। মূলত দুটোই হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল। তফাত শুধু এটুকু, হিন্দুত্বের ভিত্তিতে সংগঠিত ভারতরাষ্ট্র খাড়া করার উভয় দলের ইচ্ছাটাই কংগ্রেস
লুকিয়ে হাজির করে সেকুলারিজমের মোড়কে আর বিজেপি কোনো লুকানোর ধার ধারে না। তফাত এতটুকুই।
জন্মভিত্তির দিক থেকে ও জন্মাবধি বিজেপি হিন্দুত্ব না-লুকানো এক রাজনৈতিক দল। এবারের
নির্বাচনে মোদির উত্থান মূলত অর্থনীতি বা ব্যবসাকে মুখ্য করা মোদির উত্থান, যদিও দল হিসেবে এটা সেই হিন্দুত্ব না-লুকানো বিজেপিই। হিন্দুত্ব না-লুকানো
আসল এই ধারার প্রতীকী নেতা আদভানি। মোদির উত্থানের আগে পর্যন্ত তিনিই প্রধানমন্ত্রী
প্রার্থী ছিলেন। এর অর্থ, ব্যবসায়ী মোদির উত্থান বিজেপির ভেতর নতুন মাত্রা
সৃষ্টি করেছে। এখন ব্যবসা-অভিমুখী মোদি কি ব্যবসা-বিনিয়োগে রাইজিং অর্থনীতির ইন্ডিয়ার
নেতৃত্ব দিতে এই নতুন পরিচয়কে প্রধান করে হিন্দুত্বের রাজনীতিকে গৌণ করে পেছনে ফেলে
হাজির হতে পারবেন? দলকে নতুন মুখ্যভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে পারবেন? কথাটা পড়তে হবে হিন্দুত্ব মুখ্য না গৌণ হবে এ দিক থেকে, হিন্দুত্ব এই ভিত্তি বাদ দেয়া অর্থে নয়। সেটা ফ্যান্টাসির আশা হয়ে যাবে। তাহলে
আদভানির বদলে মোদির উত্থানের পে ম্যান্ডেট বা জনগণের রায় কথার অর্থ-তাৎপর্য হলো, রায়ের দিক থেকে ইঙ্গিত হলো, হিন্দুত্ব গৌণ করে ব্যবসা-বিনিয়োগের
দিক মুখ্য করে কাজ সৃষ্টির রাইজিং অর্থনীতির ইন্ডিয়ার নেতা হিসেবে দেখতে মোদিকে জনগণ
রায় দিয়েছে। এই অর্থে বিজেপির নয়, মোদির জয় হয়েছে। এখন দেখার বিষয় মোদি জনগণের রায়ের
অর্থ-তাৎপর্য রা কতটুকু করতে পারেন।
মোদির নিজেকে প্রার্থী ঘোষণার
পরে আজ থেকে দুই মাসের বেশ আগে আমেরিকান নিশা দেশাইয়ের সাথে মোদির আলোচনার বিস্তারিত
কখনো মিডিয়ায় আসেনি। মোদির রাইজিং ইন্ডিয়ার নেতা হয়ে হাজির হবার েেত্র আমেরিকার সাথে
নীতি-কৌশলগত আলাপরফা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কী রূপ নেয় তা গুরুত্বপূর্ণ।
এটা মনে করার কারণ নেই যে, এ বিষয়ে তারা ইতোমধ্যে যথেষ্ট আলাপ-আলোচনা করেনি, যদিও মিডিয়ায় এর প্রকাশ নেই। সুনির্দিষ্টভাবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে, কংগ্রেস সরকারের ‘আমার হাসিনা সরকারই চাই’ এমন অবস্থান এটা আমেরিকার সাথে কংগ্রেসের ভারতের মুখ্য সঙ্ঘাতের পয়েন্ট ছিল।
মোদির বিজেপির জয়লাভের সাথে সাথে অন্তত শেখ হাসিনার সাথে কংগ্রেস সরকার বিশেষ সম্পর্কের
দিন গত হলো; কারণ কংগ্রেস সরকারই গত হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক নেতৃত্ব অর্থে ভারত
রাষ্ট্রের বদল ঘটেছে, তবে আমলা গোয়েন্দা ইত্যাদির প্রশাসন অর্থে ভারত
রাষ্ট্র একই আছে। বাংলাদেশে ‘আমার হাসিনা সরকারই চাই’ এমন অবস্থান ধরে রাখার পে মোদির কোনো দৃশ্যমান বিশেষ আগ্রহ বা কারণ এখনো জানা
যায়নি। ফলে ‘বাংলাদেশের জনগণ যাকেই তাদের প্রতিনিধি বা নেতা নির্বাচিত করুক
আমরা তার সাথেই কাজ করতে চাই’ এমন কমন এক অবস্থানে আমেরিকা ও মোদির সরকারকে আগামীতে
দেখতে পাওয়া কঠিন কিছু নয়।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন