আমরা শক্তি আমরা বল
আমরা ছাত্রদল।
মোদের পায়ের তলায় মুর্সে তুফান
উর্ধ্বে বিমান ঝড়-বাদল।
আমরা ছাত্রদল।।
ছোট বেলায় বিদ্রোহী কবি নজরুলের এই কবিতা পড়তে পড়তেই ছাত্রদল মাথার ভেতর গেথে গিয়েছিল । জানি না কেন, ছাত্রদল শব্দটি আমার বুকে এক ধরনের ভাল লাগার সৃষ্টি করেছিল। এর সুত্র ধরেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কে চিনে ছিলাম। আব্বার মুখে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কথা শুনতাম। বলতেন এই মানুষটা খুব সাহসী ছিলেন। মুজিব যখন ৭ই মার্চে কিছুই বলল না, এমনকি ২৫শে মার্চ স্বেচ্ছায় বন্দি হলেন ওই মুহূর্তে জিয়ার কালুরঘাট থেকে দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণাই মুজিবের দিক-নির্দেশনা হীন অবস্থা থেকে মুক্তি পাগল জনতাকে মুক্তির পথে ধাবিত করে ।
জিয়াকে নিজে দেখি নাই। শুনে আর বই পরে জেনেছি।
যুদ্ধোত্তর সময়ের জিয়াকে একজন সাংবাদিক ও লেখকের অভিজ্ঞতা থেকে তুলে ধরলাম।
আমি জেড ফোর্সঃ
পূর্বপাকিস্তানের ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বর হামলা হয় একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে। সে খবর লন্ডনে এসে পৌঁছায় পরদিন দুপুরে। ফ্লিট স্ট্রিটের সাংবাদিকরা এবং লন্ডনেনিযুক্ত কয়েকজন ভিন্ন দেশি সাংবাদিক খবরের সত্যতা যাচাই এবং বিস্তারিত বিবরণসংগ্রহের আশায় বিবিসি বাংলা বিভাগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কয়েকজন সশরীরেওএসেছিলেন আমার অফিসে। বিবিসি বাংলা বিভাগ তখন পূর্ব পাকিস্তান সম্পর্কে খবরেরনির্ভরযোগ্য উত্স বলে সম্মানিত ছিল। তাছাড়া ১৯৭০ সালের নভেম্বরের সাইক্লোনের সময়থেকে পূর্ব পাকিস্তান সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য খবরের জন্য আমার ওপর নির্ভর করতে শিখেছিলেনএই সাংবাদিকরা।
তাদের প্রায় সবার একটা প্রশ্নে আমরা খুবই বিব্রতবোধ করছিলাম।পাকিস্তান থেকে প্রচার করা হচ্ছিল যে শেখ মুজিবুর রহমান পশ্চিম পাকিস্তানে এসেছেন।এ প্রচারণা দিয়ে তারা ধারণা সৃষ্টির চেষ্টা করছিল যে মুজিব মুক্তিযুদ্ধের পক্ষেছিলেন না।
বিশ্বাসযোগ্য খবর আমরা পেলাম চার কিংবা পাঁচ দিনের মধ্যেই। শেখমুজিবুর রহমানের নামে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে কালুরঘাট রিলে স্টেশন থেকেজনৈক মেজর জিয়াউর রহমান যে ঘোষণা প্রচার করেন, ফরাসি রেডিও তার একটা রেকর্ডিং ঘুরপথেসংগ্রহ করে প্রচার করেছিল। তারপর থেকে আর আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ন্যায্যতা এবং সেযুদ্ধে দেশবাসীর সর্বাত্মক সমর্থন সম্পর্কে সাংবাদিকদের বিশ্বাস করাতে কোনো সমস্যাহয়নি।
মেজর জিয়াউর রহমানের নাম আমি সে-ই প্রথম শুনেছিলাম। আরও পরে মুক্তিযুদ্ধে তার শৌর্য-বীর্যের আর তার সংগঠনী প্রতিভার খবর ধীরে ধীরে চুইয়ে চুইয়েআসতে থাকে। বাহাত্তরের ফেব্রুয়ারি মাসে আমি প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশে যাই। দেশেরবিভিন্ন শহর-নগরে গেছি তখন।
সর্বত্রই একটা নাম শুনেছি কিংবদন্তির মতোন —মেজর জিয়া, আর তার জেড ফোর্স। **কিশোর ছেলেরা বিশেষকরে ধাঁচে চুল ছেঁটে বুক ফুলিয়ে বলে বেড়াত : ‘আমি জেড ফোর্স’।**
__সাংবাদিক ও লেখক সিরাজুর রহমান
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান............
একটি নাম, একটি প্রতিষ্ঠান, একটি ইতিহাস, একজন কিংবদন্তি । সাধারন মানুষের মতই একজন অতি সাধারন মানুষ। অনেক মেধাবী সেনা অফিসারের মতই একজন সাধারন মেধাবী সেনা অফিসার। কোন দাম্ভিকতা ছিল না তার মধ্যে, চাকচিক্যময় জীবন যাপনের লেশমাত্রও ছিলনা । দেশকে ভালবাসতেন , ভালবাসতেন দেশের আপামর জনসাধারনকে। সাধারন মানুষের সাথে তার কোনই পার্থক্য ছিল না।
স্বাধীন বাংলাদেশে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় দল মত নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছাকাছি হতে পেরেছিলেন। মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছিলেন।
শহীদ জিয়া অমর হোক।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
আইজুদ্দিনের দেয়াল।
(মিশন পোস্ট)
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন