ভারতের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের
চূড়ান্ত ভরাডুবি হয়েছে। এই নির্বাচনে ৫৪৩টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৪৪টি
আসন। বিজেপি জোট ৩৩৭টি। আম আদমি ৫, তৃণমূল ৩৪। অন্যান্য ১১৩। কংগ্রেস
যে এবার ‘ডুববে’, এ বিষয়ে ভারতবাসী বা দুনিয়াবাসী কারো কোনো সন্দেহ
ছিল না। সবাই প্রায় নিশ্চিত ছিলেন যে, এবার কংগ্রেস শোচনীয় পরাজয় বরণ
করবে। কংগ্রেস নিজেও তা জানত। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পর কংগ্রেস আর কখনো
এত বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়নি। ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক, মাত্র ৬০টি আসনে কংগ্রেস জোট জিতবে, এটা বোধ করি ওই দলের নেতাদের
কেউই ভাবতে পারেননি। তবে নির্বাচনে যে ভরাডুবি হচ্ছে, সেটি তারা আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন। আর তাই প্রার্থনা করছিলেন, অন্তত ১১০টি আসন যেন তারা পান। তাহলেও ভারতের আঞ্চলিক দলগুলো মিলে বিজেপিকে
ঠেকিয়ে দেয়া যাবে।
বিজেপিকে
ঠেকাতে হবে কেন? ভারতে বিজেপিও (ভারতীয় জনতা পার্টি) বৈধ রাজনৈতিক দল। তারা তো
ক্ষমতায় আসতেই পারে। এর আগেও বিজেপি ভারতে সরকার গঠন করেছিল। তাতে কোনো মহাভারত অশুদ্ধ
হয়ে যায়নি। বিজেপির নিজেরও কোনো রাখঢাক নেই। তারা ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল। ভারতে হিন্দুত্ববাদ
প্রতিষ্ঠা করা তাদের লক্ষ্য। এ জন্য বিজেপিকে নিষিদ্ধ করার দাবি কেউ কোনো দিন তোলেনি।
ভারতের মানুষ যদি চায়, ভারতে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত করবে, তাহলে বাইরের দুনিয়ার মানুষের তাতে কী করার আছে? সে দেশের জনগণ যাকে চাইবে, তারাই নির্বাচিত হবেন এবং রাষ্ট্র
পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
কিন্তু
ক্ষমতায় যাওয়া ও থাকা যেন কংগ্রেসের জন্য ভারতের সমার্থক হয়ে উঠেছিল। জওয়াহের লাল নেহরুর
পর ক্ষমতায় এসেছিলেন তার কন্যা ইন্দিরা গান্ধী। মাঝখানে কিছুকাল ব্যতিক্রম ছাড়া তিনিও
দীর্ঘকাল ভারতে ক্ষমতাসীন ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী হত্যাকাণ্ডের পর তার ছেলে রাজীব গান্ধী
ভারতের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয়েছেন। তিনিও আততায়ীর বোমায় নিহত হলেন। অনেক পরেই কংগ্রেসের
পক্ষে ভারতে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন ড. মনমোহন সিং। তিনি প্রধানমন্ত্রীর
দায়িত্বে থাকলেও ভারতের রাষ্ট্রক্ষমতা কার্যত কুক্ষিগত ছিল রাজীব গান্ধীর স্ত্রী, ইতালীয় বংশোদ্ভূত সোনিয়া গান্ধীর হাতে। সোনিয়া গান্ধী ঠিক কাজই করেছিলেন। তিনি
ক্ষমতার কলকাঠি নাড়লেও নিজে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। প্রধানমন্ত্রীর পদে
অধিষ্ঠিত হতে পারেন, এমন গুজবেই সরব হয়ে উঠেছিল গোটা ভারত। কোনো ‘বিদেশিনী’ কেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন? এটা ওই দেশের সাধারণ মানুষ সহজভাবে
গ্রহণ করছিল না। আর তাই সামনে এসেছিলেন মনমোহন সিং।
তবে ভেতরে
ভেতরে রাজীব গান্ধীর ছেলে রাহুল গান্ধীকে ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গড়ে
তোলার চেষ্টায় ত্রুটি করেননি সোনিয়া গান্ধী। রাজীব বিমানের পাইলট ছিলেন। কিন্তু যখন
বিমানবন্দরে তাকে দেখা গেল, তিনি দুই কানে আঙুল ঢুকিয়ে প্লেনে উঠছেন, তখনই সারা পৃথিবীতে হাসির রোল পড়ে গিয়েছিল। যিনি বিমান চালান, তিনিই যদি বিমানে উঠতে কানে আঙুল দেন, তাহলে রাষ্ট্র চালাতে গিয়ে তিনি
কী করবেনÑ সে কথা ভবিতব্যই বলতে পারে। রাজীব গান্ধীর সরকার দেশে কংগ্রেস
নেতাদের দুর্নীতি তো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেইনি, বরং নিজেও জড়িয়ে পড়েছিলেন ভয়াবহ
দুর্নীতিতে। বোফোর্সের অস্ত্র ক্রয় দুর্নীতি ছিল এর মধ্যে সবচেয়ে বড়। রাজীব গান্ধীর
দুর্নীতির কী প্রয়োজন ছিল, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। যতটুকু করেছিলেন, হয়তো প্রচার হয়েছিল তার চেয়ে বেশি। ভারতজুড়ে তার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা হয়েছিল।
গলিতে গলিতে, দেয়ালে দেয়ালে লেখা ফুটে উঠছিলÑ ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, রাজীব গান্ধী চোর হ্যায়।’ এই অপবাদ তিনি মুছে যেতে পারেননি। মৃত্যুর সময় তার
সন্তানেরা কম বয়সী ছিল। ফলে সহানুভূতিসূচক ভোটে রাহুল বা প্রিয়াঙ্কাকে ক্ষমতায় বসানো
সম্ভব হতো না।
তাই ভালো
কাজই করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। হাল ধরেছিলেন কংগ্রেসের। ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন মনমোহন সিংকে।
তার সাবেক ব্যক্তিগত সচিব এক গ্রন্থ লিখে জানিয়ে দিয়েছেন, মনমোহন সিং ক্ষমতায় ছিলেন নামমাত্র। প্রকৃত ক্ষমতা ছিল সোনিয়া ও রাহুলের হাতে।
মনমোহন সিংয়ের ব্যক্তিগত দুর্নীতির কথা খুব একটা শোনা যায় না, কিন্তু মন্ত্রিসভা ও কংগ্রেসের লোকদের দুর্নীতি সব মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
আর তা কারো কাছে অজানাও ছিল না। সে কারণে প্রায় নাম না জানা, বছরখানেক আগে গড়ে ওঠা আম আদমি পার্টি দিল্লিতে কিছুকালের জন্য হলেও ক্ষমতায়
এসেছিল। কংগ্রেস সেখানে পাত্তা পায়নি। এ অবস্থা তৈরি হয়েছিল গোটা ভারতজুড়েই। সেটি সম্ভবত
সোনিয়া গান্ধী বা মনমোহন সিং কেউই উপলব্ধি করতে পারেননি। ক্ষমতায় থাকলে সেটি উপলব্ধি
না করা বোধ করি সবার জন্যই সত্য।
কিন্তু
নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসতে থাকে, ততই কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ উপলব্ধি করতে থাকেন যে, এবার ভোটে জেতা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। সর্বভারতীয় দল হিসেবে কংগ্রেসের
যে নেতৃত্বের প্রয়োজন ছিল, সে নেতৃত্ব বা ক্যারিশমা কোনোটাই রাহুল গান্ধীর
ছিল না। তার একমাত্র পরিচয় ছিল, তিনি ইন্দিরা গান্ধীর নাতি বা জওয়াহের লাল নেহরুর
প্রদৌহিত্র। এছাড়া ভারতব্যাপী জনগণের মধ্যে কাজ করা, তাদের ভেতর থেকে উঠে আসা কোনোটাই
রাহুলের ছিল না। ফলে রাজনীতিবিদ নয়, তার পরিচয় সীমাবদ্ধ ছিল ইন্দিরা
গান্ধীর নাতি হওয়ার মধ্যে। ১২৫ কোটি লোকসংখ্যার দেশে এ পরিচয়ের মূল্য অতি সামান্যই।
তা ছাড়া ভারতে আছে ভয়াবহ দারিদ্র্য। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের দারুণ অভাব। সেখানে গড়পড়তা ৭০ কোটি মানুষের দৈনিক আয় বাংলাদেশী
টাকায় মাত্র ৩০ টাকার মতো। ৭০ কোটি মানুষের স্থায়ী কোনো পায়খানা নেই। নেই পায়ে জুতা।
নেই ঊর্ধ্বাঙ্গে বস্ত্র। কিন্তু সেখানে টাটা বিড়লা আছে। হাজার হাজার কোটি টাকার প্রতারণার
সাহারা গ্রুপ আছে। ভারতের রাজনীতির নিয়ন্তা এরাই। সাধারণ দরিদ্র মানুষ সেখানে সাঙ্ঘাতিক
উপেক্ষিত। তারা এই বিত্তবানদের দ্বারা নির্যাতিত, অবহেলিত ও দমিত। এখনো ভারতে জাতিভেদ
প্রথা প্রকট।
ফলে কে
ইন্দিরা গান্ধীর নাতি বা রাজীব গান্ধীর ছেলে, সেটি সাধারণ মানুষের কাছে প্রধান
বিষয় থাকেনি। তাদের কাছে প্রাধান্য পেয়েছে কে তাদের দুঃখ-দুর্দশায় পাশে দাঁড়াতে পারে, তেমন ব্যক্তি। ভারতের সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে মাওবাদী সংগঠন। ফলে
দেখা যায়, সেখানকার ২৯ রাজ্যের প্রায় ২১টিতে মাওবাদীরা তৎপর। তারা সরকারি
বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে সাধারণ মানুষের অধিকার সংরক্ষণ করছে। তাদের সাথে লাখ লাখ
সাধারণ মানুষ যোগ দিচ্ছে।
এই বাস্তবতার
দিকে সম্ভবত চোখ বন্ধ করেই ছিলেন কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ। এখনো প্রতিদিন খবর আসছে, মাওবাদীরা কোথায় কতজন সরকারি বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করল। সে খবর কংগ্রেস সরকারের
জন্য আনন্দের ছিল না। সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের দুর্দশা দূর করার চেয়ে তাদের দমন
করার প্রতিই অধিক মনোযোগী দেখা গেছে কংগ্রেস সরকারকে। তারা বিত্তশালী ও বিত্তবান্ধব।
ফলে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের জমাট বাঁধা ক্ষোভ ক্রমেই প্রকট হয়ে ওঠে। আর
তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটল এবার মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে।
প্রথম
থেকেই কংগ্রেস সরকার যা করেছে তা হলো, তাদের আগ্রাসী বিদেশনীতি। ১৯৪৭
সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই কংগ্রেসের লক্ষ্য ছিল কিভাবে প্রতিবেশী দেশগুলোকে গ্রাস
করে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা যায় বা তাদের তাঁবেদার হিসেবে রাখা যায়। ভারতের এই বিদেশনীতি
খুব যে সফল হয়েছে, সে কথা বলা যায় না। শ্রীলঙ্কা বহুদিন ভারতকে তোয়াজ করে চলার চেষ্টা
করেছে। শ্রীলঙ্কা যত ছাড় দিয়েছে, ভারত আরো চেপে বসেছে। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ভারতের
বিদেশনীতির বিপরীতে দাঁড়িয়ে নিজেরাই স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সফলভাবে তামিল
বিদ্রোহ দমন করেছে। এই তামিলদের মদদদাতা, অস্ত্র-প্রশিক্ষণদাতা ছিল ভারত।
মালদ্বীপে ভারতের তাঁবেদার বলে কুখ্যাত মোহাম্মদ নাশিদকে জিতিয়ে আনার জন্য কত কীর্তিই
না ভারত করেছে। কিন্তু নাশিদ শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে হেরেছেন। নেপালে ভারতীয় তাঁবেদারদের
ক্ষমতায় রাখার চেষ্টা অব্যাহত আছে বটে, তবে বারবার তা হোঁচট খেয়েছে।
এ নিয়ে পাকিস্তানকে ভারত খুব একটা ঘাঁটায় না। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার শুধু ক্ষমতায় থাকার
জন্য দেশ, জনগণ ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে ভারতের স্বার্থ রক্ষা করছে।
শেখ হাসিনার
সরকারের পৃষ্ঠপোষক ও মিত্র সারা বিশ্বে একমাত্র ভারতীয় কংগ্রেস। শেখ হাসিনার সরকার
হয়তো ভেবেছিল, কংগ্রেসই চিরদিন ভারতে ক্ষমতাসীন থাকবে। ফলে নির্বাচনের শেষ দিকে
শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সম্পর্কে এক বেফাঁস কথা বলে
ফেলেছেন। শেখ হাসিনা সম্ভবত তখনো ভেবেছিলেন, যে করেই হোক ভারতে কংগ্রেসই বোধকরি
ফের ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে। আর তাই তিনি বলে ফেললেন, মমতা ব্যানার্জির জন্যই তিস্তার
পানি পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ এখানে কংগ্রেসের কোনো দোষ নেই। যেন কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশকে
পানির ন্যায্য হিস্যা দেয়ার জন্য একেবারে মুখিয়ে রয়েছেন। তাই যদি হতো, তাহলে ভারত ৫৪টি অভিন্ন নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার করে নিত না। গঙ্গায়
পানির ন্যায্য হিস্যা দিত বাংলাদেশকে। আমাদের নদীগুলোকে শুকিয়ে মেরে ফেলত না। মমতার
সাথে বিরোধ কংগ্রেসের। সে বিরোধে কংগ্রেসের পক্ষ নিয়ে মমতা ব্যানার্জিকে বকা দেয়া কূটনীতিসম্মত
হয়নি। এটা বোঝার ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর আছে বলে মনে হয় না; কিংবা তাকে বোঝানোর কারো ক্ষমতা আছে কি না, সেটিও স্পষ্ট নয়।
বাংলাদেশে
নিযুুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ কিছুকাল ধরে খুব বড় বড় উক্তি করছিলেন। তিনি বলছিলেন, ভারতের সরকার পরিবর্তন হলেও তার বিদেশনীতি বা প্রতিবেশী নীতিতে কোনো পরিবর্তন
হবে না। ভারতের সরকার পরিবর্তন হচ্ছে। বিজেপির নরেন্দ্র মোদি সম্ভবত হচ্ছেন ভারতের
পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসের কফিনে পেরেক পড়েছে। শিগগির এখান থেকে উঠে দাঁড়ানো
কংগ্রেসের পক্ষে সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। আবার সর্বভারতীয় দল হিসেবে কংগ্রেসকে প্রতিষ্ঠা
করার মতো নেতৃত্বেরও অভাব আছে। সেটি রাতারাতি গড়ে উঠবে না। এখন ভারতে আঞ্চলিক দলগুলোরই
প্রাধান্য।
পঙ্কজ
শরণ দুই-তিন দিন আগে তার বোল পাল্টে ফেলেছেন। মোদি সরকার ক্ষমতায় এলে তিনিও আর বাংলাদেশে
হাইকমিশনার থাকবেন কি না সেটি নিশ্চিত নয়। তিনি আভাস দেন, নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এলে তার গৃহীত বিদেশনীতি অনুযায়ী প্রতিবেশীদের সাথে
সম্পর্ক পুনর্বিন্যস্ত হতে পারে। আমাদের খেয়াল থাকা উচিত সেদিকে। মোদি ক্ষমতায় এলেন
বলে আসমান ভেঙে পড়েছে, এমন ভাবা কিছুতেই যৌক্তিক হতে পারে না। আমরা পারস্পারিক
সমতার ভিত্তিতে সবার সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক চাই। কংগ্রেস বিদায় নিয়েছে বলে সরকারের
যেন পায়ের তলার মাটি সরে গেছে, এমন মনে করা নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছু হতে পারে
না।
ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন