রবিবার, ৪ মে, ২০১৪

গণতন্ত্রের বধ্যভূমিতে লাঞ্ছিত মানবতা

বাংলাদেশে এখন কোন কিসিমের শাসন চলছে, তার চটজলদি জবাব দেয়া প্রায় অসম্ভব। ঝানু রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের কাছেও বাংলাদেশে বিদ্যমান শাসন ব্যবস্থাকে সংজ্ঞায়িত করা রীতিমত গবেষণার বিষয়। স্বৈরতন্ত্রের জামানায় Democracy বা গণতন্ত্রকে Mobocracy বলে ব্যঙ্গ করা হতো। বলা হতো ‘মব’ মানে ইতর, হুজুগে জনসাধারণ, যাদের অনেক মাথা আছে; কিন্তু মগজ বলে কিছু নেই। এই মস্তিষ্কবিহীন মুণ্ডওয়ালাদের শাসনই তো গণতন্ত্র! মব বা পাবলিক প্রভাবিত দেশ আর কেমন চলবে? এসব তথাকথিত মগজওয়ালা স্বৈরাচারীদের এমন দম্ভোক্তি অবশ্য গণতন্ত্রের আবির্ভাবকে বেশিদিন ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। বেশ চড়ামূল্যের কষ্টসাধ্য হলেও গণতন্ত্র বা জনগণের শাসন পদ্ধতিই আখেরে জয়ী হয়েছে। 
গেল ৫ জানুয়ারি-পরবর্তী বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অনেকে বলেন বিপন্ন বা সংকটাপন্ন। শুধু কি বিপন্ন? গণতন্ত্রের দাফন কি বাকি আছে? খুন করে গণতন্ত্রকে কবরস্থ করার পরিকল্পিত উদ্যোগ আয়োজন তো শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় থেকে। তত্কালীন প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের ধারালো ছুরিকাঘাতে গণতন্ত্র যায় লাইফ সাপোর্টে। পরে বিরোধী দলহীন সংসদে কয়েক মিনিটে পঞ্চদশ সংশোধনী পাসের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সেই লাইফ সাপোর্ট খুলে নিয়ে পাঠানো হয় হিমঘরে। আর ফ্যাসিবাদী শাসকগোষ্ঠীর বশংবদ রকিব কমিশন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের কাফন-দাফন সম্পন্ন করে। 
নব্বই সালে স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের পর গত ২৩ বছরে দাঁড় করানো নির্বাচন ব্যবস্থা বর্তমান সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন তছনছ করে দিয়েছে। গত ৫ জানুয়ারির প্রার্থীবিহীন, ভোটারবিহীন তামাশার নির্বাচন আর সর্বশেষ অনুষ্ঠিত পাঁচ দফার উপজেলা নির্বচনে কেন্দ্র দখল, ব্যালটে গণহারে সিলমারা এমনকি ভোটের আগের রাতেই বাক্স ভরে ফেলার মতো অবিশ্বাস্য ঘটনা দেশের গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাকে খেলো ও পর্যুদস্ত করে ফেলেছে। এতে করে যে শুধু নির্বাচনসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সম্ভ্রম হারিয়েছে তা নয়, গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেকটিও ঠুকে দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনে শাসক শ্রেণীর নগ্ন ভোটলুট দশম জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি-জোটের অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতাকেই সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। দলীয় সরকারের অধীনে যে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বাংলাদেশে অবশিষ্ট নেই তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে ১৬ কোটি মানুষকে দেখিয়ে দিয়েছে।
এটা ঠিক যে কেবল নির্বাচনই গণতন্ত্র নয়; কিন্তু এও ঠিক যে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের বড় অর্জন ছিল মোটামুটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ পালাবদল। কিন্তু ৫ জানুয়ারির আজব নির্বাচন আর উপজেলায় ভোট লুটের মধ্য দিয়ে আজ বেশ জোর দিয়েই বলা যায় আমরা আবার নব্বই-পূর্ববর্তী গণতন্ত্রহীন স্বৈরশাসনে ফিরেছি।
আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে জননিরাপত্তা, মানবতা, মৌলিক অধিকার অনেক আগেই সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। ভিন্নমত দমনে পৈশাচিকতা ও নিষ্ঠুরতাই শাসকগোষ্ঠীর প্রথম পছন্দ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা, বিশেষত গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। এ ধরনের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা এখন প্রতিদিন নয়, প্রতি ঘন্টায় ঘটছে। অপহৃত ও গুম হওয়া লোকের সংখ্যা গণনা চলছে; কিন্তু প্রতিকার মিলছে না। দেশজুড়ে ভয়ানক আতঙ্ক বিরাজ করলেও সরকার নির্বিকার। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলছেন, আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু ঘটছে না। সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল মানবাধিকার সংগঠনের হিসাবেই গত চার বছরে গুম হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ ২৭৪ নাগরিক। প্রতিনিয়ত নদ-নদী, ডোবা-নালায় লাশ মিলছে নিখোঁজ বিরোধী নেতাকর্মীদের। অনেকের আবার লাশও মিলছে না। সর্বশেষ ঝড়তোলা নারায়ণগঞ্জের ৭ অপহরণ ও পরে শীতলক্ষ্যায় গলিত লাশ উদ্ধারের পরও বেলাজ সরকার বড় গলায় কথা বলছে। বিরোধী নেত্রীকে দুষছে। পরিবেশ আন্দোলনের নেত্রী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী অপহৃত হলে তোলপাড় হয়, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে (?) তিনি রহস্যময় মুক্তিও পান। কিন্তু বিরোধী নেতা ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম কিংবা অন্য শত শত নাগরিক অপহৃত বা গুম হলে প্রধানমন্ত্রী অজানা কারণে হস্তক্ষেপ করেন না। সেসব পরিবারে স্বজনদের অপেক্ষায় আহাজারি থামে না। স্বজন ফিরে পেতে হলে যেন সবাইকে ভাগ্যবতী সুশীল রিজওয়ানা হওয়া চাই। 
রাজনৈতিক নিপীড়ন সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। বানোয়াট মিথ্যা মামলা দিয়ে যখন-তখন বিরোধী শীর্ষ নেতাদের পর্যন্ত জেলবন্দি করা হচ্ছে। বিরোধী নেতাকর্মী হত্যা করে আবার বিরোধীদলীয় নেতাদের হত্যা মামলার আসামি করার নিকৃষ্ট উদাহরণও সৃষ্টি হচ্ছে। সুবিচার নির্বাসনে গেছে অনেক আগেই। ঠুনকো মামলায়ও জামিন মেলে না ইশারা-ইঙ্গিত ছাড়া। উচ্চ আদালত বিব্রত হন বিরোধী শীর্ষস্থানীয় নেতার জামিন শুনানিতে। যারা জামিনে মুক্তি পান তাদের এমন দাওয়াই দিয়ে ছাড়া হয় যেন স্বেচ্ছাগৃহবন্দিত্ব বরণ করেন, বোবা হয়ে যান।
গণতন্ত্রের প্রবক্তাদের অকাট্য যুক্তি—জনগণ দেশের মালিক। দেশ শাসনের অধিকারও তাদেরই। যেমনটি প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন বলেছেন : Democracy is government of the people, by the people, for the people. এখন বিবর্তন ঘটে হয়েছে : Democracy is government of the Awami League, by the Awami League, for the Awami League. আবার অনেকে Awami League-এর স্থলে India শব্দ ব্যবহার সমীচীন মনে করছেন। 
প্রেসিডেন্ট কেলভিন কুলিজ অকপটে স্বীকার করেছেন, রাজনীতি চর্চায় জনগণের ভুল-ভ্রান্তি হয় না তা বলা বোকামি হবে। তারা ভুল করে এবং বেশ বড় রকমের ভুলও করে। তবে তারা তা জানে এবং সেজন্য দণ্ডও দিয়ে থাকে। কিন্তু স্বৈরাচারীদের স্বেচ্ছাচারিতা ও ভুলভ্রান্তির তুলনায় জনগণের ত্রুটি-বিচ্যুতি খুবই সামান্য। গণতন্ত্রের ভুল স্বীকার ও সংশোধনের সত্ সাহস আছে। ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণের সাধুতাও আছে। রাজতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রে ভুল স্বীকারের নজির নেই। তাদের কৃত ভুলের মাশুল দিতে হয় অন্যকে। 
ফ্যাসিবাদ অধিকৃত বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কার্যকর আন্দোলন নিয়ে বিরোধী বিএনপি-জামায়াত জোট দৃশ্যত দ্বিধাগ্রস্ত। এমনকি পাইকারি হারে অপহরণ, গুম, খুন, অসহনীয় লোডশেডিংয়ের মধ্যে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, গ্যাসের দাম বাড়ানোর তোড়জোড়, নিত্যপণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, রাজধানীজুড়ে পানির জন্য হাহাকার প্রভৃতি জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুতেও বিরোধী শিবির কার্যকর আন্দোলন গড়তে পারছে না। জাতীয় প্রেস ক্লাবের চার দেয়ালে বন্দি বিরোধী দলের কর্মসূচি নিয়ে অনেকে ঠাট্টা-তামাশা করছেন। গৃহপালিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কর্ণধার এরশাদ এখন হত্যা ও দুর্নীতি মামলায় প্রায় অবধারিত সাজা থেকে নিজেকে রক্ষায় সরকারের অনুকম্পা ভিক্ষারত। তার পক্ষে অদূরভবিষ্যতে প্রতিবাদী হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এ সুযোগে সরকার যা খুশি তা-ই করছে। স্বৈরাচারী সরকার একই সঙ্গে যখন স্বেচ্ছাচারী ও ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে, তখন সাধারণ মানুষের বোবাকান্না ছাড়া আর কোনো পথ থাকে না। তেমন পরিস্থিতিই বিরাজমান দেশে। তিস্তার পানি প্রবাহ ১০ শতাংশে নামার খবরে বিএনপি লংমার্চ কর্মসূচি পালন করেছে। সরকার তাতে যতই নাখোশ হোক, জনগণ বিরোধী শিবিরের কাছে এমন ভূমিকা প্রত্যাশী।
শাসকগোষ্ঠী জনদাবি উপেক্ষা করে কার্যত কোনো নির্বাচন ছাড়াই ২০১৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করছে। এর লক্ষণও দেখছেন কেউ কেউ। বিরোধী শক্তিকে কোণঠাসা শুধু নয়, নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে সব ধরনের নিষ্ঠুরতা চালাতেও পিছপা হচ্ছে না সরকার। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে দিচ্ছে না। প্রতিবাদী গণমাধ্যমের কণ্ঠ আগেই স্তব্ধ করে দেয়া হয়েছে। দলদাস ও নতজানু গণমাধ্যম উটপাখির ভূমিকায়। ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভোগী বুদ্ধিজীবীরা গণতান্ত্রিক একনায়কত্বের সুর তুলছেন। 
বলা হয়, All the ills of democracy can be cured by more democracy. অর্থাত্ গণতন্ত্রের যাবতীয় রোগবালাই সারানোর জন্য দরকার অধিকতর গণতন্ত্র। শুধু তা-ই নয়, সব ধরনের রাজনৈতিক ব্যাধিরও একমাত্র অমোঘ ওষুধ হচ্ছে নিখাদ, নিখুঁত গণতন্ত্র। কিন্তু এটাও অপ্রিয় সত্য যে, স্বৈরতন্ত্র, একনায়কত্ব, জাহেলিয়াত মরিয়াও মরে না। সহিংস ক্ষমতা-অভিলাষ পরাস্ত হলেও নিশ্চিহ্ন হয় না। স্বৈরাচারী-একনায়কেরা গণতন্ত্রের রূপসজ্জা করে গণতন্ত্রের গুণকীর্তনের আড়ালে থেকে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করে। তাই অনেক তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশে, বিশেষ করে পশ্চিমা উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর আর্থিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে গণতন্ত্রের ইমিটেশন বা অনুকৃতি চালু আছে। গণতন্ত্রের মন্ত্রপাঠ করে ফ্যাসিস্ট ডিকটেটররা গণতন্ত্রের পিঠে ছুরিকাঘাত করে চলেছে। গণতন্ত্রের রক্ষক বলে দাবিদাররাই গণতন্ত্র বিনাশে তত্পর। স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের সোল এজেন্টরা বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের বধ্যভূমিতে রূপান্তর করছে। সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদ দমনের ভুয়া অজুহাতে গণহত্যা চালিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে। সবক্ষেত্রে চরম রূঢ় আচরণ করছে। এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত আমেরিকান লেখক এরিক হোফারের একটি মন্তব্য স্মরণ করা যেতে পারে। তার মতে, ‘রূঢ়তা হলো দুর্বল ব্যক্তির নিজেকে শক্তিমান দেখানোর ছল।’
বোদ্ধা রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগ যে পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে তা বাস্তবায়নে সফল হলে এবং ২০১৯ সাল পর্যন্ত টিকে যেতে পারলে বিরোধী দলের নাম-নিশানা মুছে একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা পাকাপোক্ত করবে। অনেকেরই স্মরণ থাকার কথা, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে কেউ আর কোনোদিন নির্বাচনে পরাজিত করতে পারবে না।’ এর অর্থ নির্বাচনের নামে তামাশা করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার সব অপকৌশল আওয়ামী লীগ রপ্ত করেছে। শুধু তা-ই নয়, কখনো নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে হারানো গেলেও যাতে বিজয়ী দল ক্ষমতায় বসতে না পারে, সে ব্যবস্থাও হয়তো তারা করে রেখেছেন। 
অবশ্য চতুর্দশ লুইয়ের I am the state ধরনের রূঢ়, রুক্ষ বাক্যস্বৈরিতা ও যথেচ্ছাচারের উলঙ্গ ঔদ্ধত্যের অশ্লীল প্রকাশ বিশ্ব দেখেছে। এ ধরনের শক্তির ধৃষ্টতায় জনগণের ব্যক্তিস্বাধীনতা, মর্যাদা, স্বার্থ ও অধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়। ক্ষমতাদর্পী একনায়কদের সহিংস শাসনে-শোষণে, দলনে-দমনে দুর্বল জনগণ সাময়িক নির্জীব হয়ে পড়ে। আবার ঘুরে দাঁড়াতে খুব বেশি সময় নেয় না। অচিরেই জনজাগরণ, গণবিদ্রোহ, মুক্তিসংগ্রাম শুরু হয়। জনগণ আত্মসচেতন হয়ে ওঠে। তারা আত্মআবিষ্কার ও আত্মপ্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ হয়। নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠরা মুখর হয়। ম্যাগনা কার্টারের মতো মুক্তি সনদ রচিত হয়। শ্রেষ্ঠ, শ্রেয়, সর্বোত্তম শাসনব্যবস্থা হিসেবে গণতন্ত্র স্বীকৃত হয়। জনগণের সার্বভৌম কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।

এম আবদুল্লাহ
সিনিয়র সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads