শনিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১২

‘গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া তারা একটা রায় চায়’



অলিউল্লাহ নোমান
,আমারদেশ   
মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক (নাসিম) নিয়মিত বিচারের নানাদিক নিয়ে বিদেশে অবস্থানরত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে স্কাইপি কথোপকথন করেন। গত আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে বিভিন্ন দিনে মোট ১৭ ঘণ্টার কথোপকথনের রেকর্ড আমাদের কাছে একটি সূত্র থেকে এসেছে। বিদেশের একটি সূত্র থেকে পাওয়া কথোপকথনে রয়েছে বিস্তারিত তথ্য। মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের যাবতীয় বিষয় নিয়ে পরামর্শ করেন তাদের সঙ্গে। কোন কেসটা কীভাবে আগাবে, কোনটার রায় কখন দিলে ভালো হবে, কতজন সাক্ষী নিলে সুবিধা—সবকিছু নিয়ে সংলাপ হয়। এছাড়া যাদের সঙ্গে কথোপকথন হয় তাদের একজন রায় ও আদেশের স্ট্রাকচার লিখে পাঠান বলে এই স্কাইপি আলোচনায় উঠে আসে। তাদের এই কথোপকথন থেকে জানা যায়, সরকার ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রায়ের জন্য চাপ দিচ্ছে ট্রাইব্যুনালকে। বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম স্কাইপি কথোপকথনে জানান, সরকার রায়ের জন্য পাগল হয়ে গেছে। সরকার শুধু একটা রায় চায়।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর রুল জারি করে এক আদেশে তিনি উল্লেখ করেছেন, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন ও অন্যদের সঙ্গে আধুনিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্কাইপি আলোচনা করেন। তাদের কাছ থেকে এই আইনের বিষয়ে পরামর্শ নেন।
আমাদের কাছে আসা রেকর্ড থেকেও জানা গেছে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে প্রায় নিয়মিত এবং রায়হান রশিদ নামে অপর আরেকজনের সঙ্গে কথোপকথন হয়। ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন হলেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ল’ইয়ার এবং ‘সেন্টার ফর বাংলাদেশ জেনোসাইড স্টাডিজ ইন বেলজিয়াম’-এর পরিচালক। তিনি ব্রাসেলস ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষকতাও করেন। গত ২৯ নভেম্বর হেগে ‘নো পিস উইদাউট জাস্টিজ’ নামক একটি সংগঠনের উদ্যোগে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক সেমিনারে তিনি যোগ। এ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম তারেক যোগ দেন। এছাড়া যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত রায়হান রশিদ নামে একজন যোগ দেন। বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম প্রায় নিয়মিতই সন্ধ্যার পর স্কাইপি আলোচনা করেন তাদের সঙ্গে। ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন এবং রায়হান রশিদের সঙ্গে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তাদের স্কাইপি আলোচনা থেকেও এটা স্পষ্ট। বিচারপতি নিজমুল হক নাসিম স্কাইপি আলোচনার বিষয়টি স্বীকার করে দ্য ইকোনমিস্টের বিরুদ্ধে রুল জারির পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বিচারপতি কোর্টের বাইরে মামলা নিয়ে কারও সঙ্গে বিশেষ আলোচনা করতে পারেন কিনা—এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আইনজীবী মহলে।
ইকনোমিস্টকে জারি করা রুলের আদেশে বিচারপতি নিজামুল হক বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনটি নতুন ধারণা। এজন্য তিনি বিশেষজ্ঞ হিসেবে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন ও অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে পরামর্শ নেন। আমাদের কাছে আসা স্কাইপি আলোচনার তথ্যে বিচারপতির মুখে শোনা যায় বিভিন্ন কথা। তিনি ১৪ অক্টোবরের কথোপকথনে আহমদ জিয়াউদ্দিনকে বলেন, গভর্নমেন্ট রায়ের জন্য পাগল হইয়া গেছে। সাঈদীরটা হলে ডিসেম্বরের মধ্যে রায় দেতে পারবো। গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া। তারা একটা রায় চায়।’ ১৫ অক্টোবরের কথোপকথনের এক পর্যায়ে তিনি ড. আহমদ জিয়াউদ্দিনকে বলেন, ‘আমাদের তো স্টেট মিনিস্টার যাচ্ছে হজে। আজকে আসছিল আমার লগে দেখা করতে সন্ধ্যায়। ওনি বললেন যে রায়টা তাড়াতাড়ি দেবেন।’ ২৭ আগস্টের কথোপকথনে দেখা যায় ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি একেএম জহির পদত্যাগের বিষয়ে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন জানতে চান। এবং নতুন যাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তার সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। এর জবাবে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম জানান, ‘আমাদের চয়েসও না, আমার জানা মতে ল’ মিনিস্টারের চয়েসও না। কিন্তু তার নাম আইস্যা চিফ জাস্টিসের রিকমান্ডেশনও হইয়া গেছে। সে হলো জজকোর্টের ল’ইয়ার ছিল। জজকোর্টের লেভেল থেকে মনে হয় হইছে। কামরুল-টামরুল করছে আর কি। যাই হোক, মনে হচ্ছে আমার। জজকোর্টের ল’ইয়ার ছিল। আপনার অ্যা.. স্মাগলিং কোর্টের পিপি আছিলে, তার নাম হইল সোনা জাহাঙ্গীর।’ ৬ সেপ্টেম্বরের কথোপকথনে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন, ‘সিনহা বাবু কইছে-ডিসম্বরের মধ্যে তিনডা দিয়া লন, তারপর আমরা আপনারে এহানে নিয়া আসি।’ এছাড়াও বহু রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে কথোপকথনে। গত আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বিভিন্ন দিনের কথোপকথন পর্যালোচনা করে ২৭ আগস্ট, ৬ সেপ্টেম্বর, ৮ সেপ্টেম্বর, ১৪ অক্টোবর ও ১৫ অক্টোবরের স্কাইপি কথোপকথনের বিস্তারিত হুবহু পাঠকের সামনে তুল ধরা হলো।
গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া তারা একটা রায় চায়
পরিচালক। তিনি ব্রাসেলস ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষকতাও করেন। গত ২৯ নভেম্বর হেগে ‘নো পিস উইদাউট জাস্টিস’ নামক একটি সংগঠনের উদ্যোগে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক সেমিনারে তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন। এ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম তারেক এবং যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত রায়হান রশিদ নামে একজন যোগ দেন। বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম প্রায় নিয়মিতই সন্ধ্যার পর স্কাইপি আলোচনা করেন তাদের সঙ্গে। ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন এবং রায়হান রশিদের সঙ্গে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তাদের স্কাইপি আলোচনা থেকেও এটা স্পষ্ট। বিচারপতি নিজমুল হক নাসিম স্কাইপি আলোচনার বিষয়টি স্বীকার করে দ্য ইকোনমিস্টের বিরুদ্ধে রুল জারির পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বিচারপতি কোর্টের বাইরে মামলা নিয়ে কারও সঙ্গে বিশেষ আলোচনা করতে পারেন কি না—এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আইনজীবী মহলে।
ইকোনমিস্টকে জারি করা রুলের আদেশে বিচারপতি নিজামুল হক বলেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনটি নতুন ধারণা। এজন্য তিনি বিশেষজ্ঞ হিসাবে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন ও অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনা করে পরামর্শ নেন। আমাদের কাছে আসা স্কাইপি আলোচনার তথ্যে বিচারপতির মুখে শোনা যায় বিভিন্ন কথা। তিনি ১৪ অক্টোবরের কথোপকথনে আহমদ জিয়াউদ্দিনকে বলেন-গভর্নমেন্ট রায়ের জন্য পাগল হইয়া গেছে। সাঈদীরটা হলে ডিসেম্বররের মধ্যে রায় দেতে পারবো। গভর্নমেন্ট গেয়ে পাগল হইয়া। তারা একটা রায় চায়।’ ১৫ অক্টোবরের কথোপকথনের এক পর্যায়ে তিনি ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন বলেন-‘আমাদের তো স্টেট মিনিস্টার যাচ্ছে হজে। আজকে আসছিল আমার লগে দেখা করতে সন্ধ্যায়। ওনি বললেন যে রায়টা তাড়াতাড়ি দেবেন।’ ২৭ আগস্টের কথোপকথনে দেখা যায় ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি এ কে এম জহির পদত্যাগের বিষয়ে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন জানতে চান। এবং নতুন যাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তাঁর সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। এর জবাবে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম জানান, ‘আমাদের চয়েসও না, আমার জানা মতে ল’ মিনিস্টারের চয়েসও না। কিন্তু তাঁর নাম আইস্যা চীফ জাস্টিসের রিকমান্ডেশনও হইয়া গেছে। সে হলো জজ কোর্টের ল’ইয়ার ছিল। জজ কোর্টের লেবেল থেকে মনে হয় হইছে। কামরুল-টামরুল করছে আর কি। যাই হোক, মনে হচ্ছে আমার। জজ কোর্টের ল’ইয়ার ছিল। আপনার অ্যা.. স্মাগলিং কোর্টের পিপি আছিলে, তাঁর নাম হইল সোনা জাহাঙ্গির।‘ ৬ সেপ্টেম্বরের কথোপকথনে বিচারাতি নিজামুল হক নাসিম বলেল-‘সিনহা বাবু কইছে-ডিসম্বরের মধ্যে ৩ডা দিয়া লন, তার পর আমরা আপনারে এহানে নিয়া আসি।’ এছাড়াও বহু রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে কথোপকথনে। গত আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বিভিন্ন দিনের কথোপকথন পর্যালোচনা করে ২৭ আগস্ট, ৬ সেপ্টেম্বর, ৮ সেপ্টম্বর, ১৪ অক্টোবর ও ১৫ অক্টোবরের স্কাইপি কথোপকথনের বিস্তারিত হুবহু পাঠকের সামনে তুল ধরা হলো।
কথোপথনের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১২
নিজামুল হক নাসিম : হ্যালো...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কেমন আছেন, কেমন?
নিজামুল হক নাসিম : আছি ভালোই, আপনে কেমন আছেন?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আছি ভালোই, আজকে আমরা তো একটু গণতন্ত্র চর্চা করে এলাম আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : কী চর্চা...?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : গণতন্ত্রের চর্চা আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : ও গণতন্ত্র!
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আজকে আমাদের এই লোকাল, স্থানীয় সরকার ও প্রাদেশিক সরকারের ইয়ে ছিল আরকি।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ভোট ছিল।
নিজামুল হক নাসিম : ভোট ছিল, ভোট?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, ভোট।
নিজামুল হক নাসিম : বা... বা... বা খুব ভালো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন: কিন্তু এগুলো তো হচ্ছে, পানসা ভোট আসলে।
নিজামুল হক নাসিম : এ্যা...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এগুলো পানসা-টানসা টাইপের ভোট আরকি।
নিজামুল হক নাসিম : তা তো বটে, ভোট হয় বাংলাদেশে। ওইসব ভোটে কোনো আরাম আছে—কেনো আরাম নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানুষ যাচ্ছে ভোটিং সেন্টারে যার যার। একটা, দুইটা, তিনটা কইরা মানুষ যাইতেছে, চাইরটা কইরা যাইতেছে, আস্তে কইরা গাড়ি থেকে নাইমা চইলা গে। আবার আস্তে... কোনো মানুষ নাই, কেউ রিসিভ করতেছে না, কেউ জিন্দাবাদ নাই... কোনো কিছু নাই।
নিজামুল হক নাসিম : ভালো...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইবারে আরেকটু নতুন জিনিস করেছে আরকি। এর আগের বারে ইলেকট্রোনিক ভোটিংই ছিল, কিন্তু এইবার টাচ্ ইলেকট্রোনিক ভোটিংয়ের আরেকটা, সেফটি মেজার এইবার ইনট্রিডিউস করছে আরকি। তাতে হচ্ছে যে, এটা আরও সিকিউরড হইছে যে, আপনার ভোটটা ওরা আইডেনটিফাই করতে পারবে।
নিজামুল হক নাসিম : ও জাগায় তো ভোট দেয়া কম্পালসারি, না?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ কম্পালসারি দেইখাইতো যাইতে হয়, না হইলে তো মানুষ বোধহয় যাইতও না। এইবার একটু বেশি মনে হচ্ছে আমার কাছে, স্থানীয় নির্বাচনে একটু ইন্টারেস্ট থাকে মানুষের। কারণ এটা এই, এই লোকাল গভর্নমেন্টের তো, এখানে রাস্তাঘাটের প্ল্যানিং-ট্যানিং থেকে শুরু করে সার্ভিস-টার্ভিস সবই তো লোকাল গভর্নমেন্ট প্রভাইড করে। সেই জন্য একটা ইন্টারেস্ট আছে আর কি। বাট এ্যাঁ, এটা হচ্ছে যে, বাসায় বাসায় চিঠি পাঠাচ্ছে যে, চিঠি দিয়ে যাচ্ছে দুই-চারটা ক্যানডিডেট দেখি, দু-একটা পার্টির ক্যানডিডেট আসছেও আর কি। মানে চিঠি দিতে আসছে আর কি। সব কেনডিডেটই আসে আর কি। নিজে আইসা বাসায় বাসায় চিঠি দিয়া যায় আর কি। কিন্তু এতটুকুই আর কি, এর বেশি কিছু না। দুই-একজন বইলা গেছে, আমরা কিন্তু তোমার প্রতিবেশী।
নিজামুল হক নাসিম : হে, এ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তা ঠিক আছে। আপনার আজকের দিন কেমন ছিল? আমি তো দেখলাম কয়েকটা নিউজ আজকে।
নিজামুল হক নাসিম : ভালোই, আর খবর-টবর কী?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এ্যাঁ..., খবর তো আমরা কালকে নিজেরা কথা বলছি। সো... একটা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে এগুলোর। আপনার সাথে কালকে যেটা কথা হইছে। কাল মালুম ভাইর সাথে কথা হয় নাই। কাজেই... আজকে ওই গোলাম আযমেরটা কতদূর আগাইছে?
নিজামুল হক নাসিম : গোলাম আযম ফাস্ট হাফ হইছে। সেকেন্ড হাফে আবার সাঈদী ধরছিলাম। আগাচ্ছে আর কি। সাঈদীর তো ওই ডকুমেন্ট জমা হচ্ছে। ১৩ নম্বর সাক্ষী এখনও চলতেছে, চলবে...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন: উনাদের কারো সঙ্গে কালকে কথা হয় নাই অবশ্য। কালকে বোধহয় ছুটির দিন ছিল দেইখ্যা উনারা ব্যস্ত ছিলেন বোধহয়, এইজন্য স্কাইপি আসতে পারে নাই।
নিজামুল হক নাসিম : আইজকে তো... আচ্ছা দেখা যাক, সাঈদী এবং গোলাম আজম কেইসই তো আগাচ্ছি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন: হ্যাঁ, ওই যে দুই নাম্বারের চক্করটা। এটা বুঝার জন্য আলোচনা কালকে রাত্রে হওয়ার কথা ছিল। আমি ধারণা করছিলাম হয়তোবা আজকে হবে। দেখা যাক, আমি মনে করি এইটা যে, দুই-তিনটা স্ট্র্যাটিজি হতে হবে। একটা হচ্ছে যে, একটা অলরেডি মেসেজ দেওয়া হইছে আর কি...। আইনমন্ত্রীকে দেয়া হইছে। মানে দেওয়ার কথা আজকে মেসেজ পৌঁছানোর কথা আছে।
নিজামুল হক নাসিম : মেসেজ দেলে কি কাজ হইবে..., মেসেজে?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তা জানি না। কিন্তু এটা তো দিতে হবে। একদিক থেকে শুরু করতে হবে আরকি। এটা উনাকে মেসেজটা দেওয়া হচ্ছে যে একটা, ইয়েটা-ডিসিশনটা হবে দুই বছরে। মানে এটা একটা কাইন্ড অব পলিসি ডিসিশনের পার্ট হিসাবে হবে। যে, কোন কেইসটা আগে যাচ্ছে? অ্যাটলিস্ট প্রথম কেইসটা। সেকেন্ড হচ্ছে যে, না হলে এটা একদম উপরে যেতে হবে। কারণ এখানে গুড রিজন আছে। যে, সবচেয়ে বেশি যার দায়বদ্ধতা—বেশি, যেটা সবচেয়ে বেশি সিগনিফিকেন্ট পলিটিক্যালি অ্যান্ড আদারওয়াইজ, সেগুলো তো আগে অ্যাড্রেস করতে হবে। বিশেষ করে রেসপনসিবিলিটির দিক থেকে। এটার রিয়েল এরিয়াতেও সিগনিফিকেন্ট এবং পলিটিক্যাল কনটেক্সটেও সিগনিফিকেন্ট। যে বড়গুলারে বাদ দিয়া ছোটগুলারে আগে নিয়া আসার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। এটা প্রথম থাইকা এই সমস্যাটা ছিল। কিন্তু এখন এইটা যে পর্যায়ে আসছে, এটাকে ওভারকাম করা যেতে পারে, যদি মন্ত্রীর একটা সিদ্ধান্ত হয়। এখন পর্যন্ত ১২টা সাক্ষী এই সেন্সে বাকি আছে। আর ওইখানে যে কেইসটা নিয়ে কথা হচ্ছে, একজাক্টলি সেই কেইসটা কী অবস্থায় আছে, সেটা আমি জানি না। কয়টা সাক্ষী ডি ডব্লিউ চলতেছে... ডিডব্লিউই তো চলতেছে ওদের ওইখানে, তাই না?
নিজামুল হক নাসিম : না, ডি ডব্লিউ শুরু হয় নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওই কেইসে ডিডব্লিও শুরু হয় নাই এখনও?
নিজামুল হক নাসিম : না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, তার মানে তারা অনেক বেশি... না কাছাকাছিই তো এগিয়ে আছে বলা যেতে পারে। নাকি না ?
নিজামুল হক নাসিম : হ্যা.. হ্যা... হ্যা...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওইটার ডি ডব্লিউ শুরু হইতে... ওইটার ব্যপারে আপনার কি কোন ধারণা আছে? ঠিক আছে...। আজকে আমি জিজ্ঞাসা করব।
নিজামুল হক নাসিম : না... না... আমার ধারণা নাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওইটার প্রসিকিউটিং ল’ইয়ার কে?
নিজামুল হক নাসিম : তা-ও আমি জানি না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইগুলাই জিজ্ঞাসা করে নিব আজকে, যদি কথা হয়। আর আমাদের আরেকটা লিস্টও করতে হবে। আসলে কে কে হেল্প করতেছে, কে প্রসিকিউটার, মানে লিড প্রসিকিউটার, এই আর কি। কাদের মোল্লার মামলাটা... এটা বোধহয় তারেক।
নিজামুল হক নাসিম : না, তারেক না। তারেক দেখে কামারুজ্জামান। সে মামলা ঢিল দেছে...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আচ্ছা, তার মানে, এটা অন্য কেউ দেখে তাহলে। এটা একটা সিনক্রোনাইজ একটা ডিসিশনটা হতে হবে, এই জিনিসটা বুঝাতে হবে যদি...।
নিজামুল হক নাসিম : শোনেন, আমি একটা জিনিস মনে করি। যেডা আমার ব্যক্তিগত মতামত যে, সম্ভব হইলে গোলাম আযম ফাস্ট, সাঈদী সেকেন্ড, কাদের মোল্লা থার্ড। আর যদি তা প্রবলেম হয়, তাইলে সাঈদী ফাস্ট, গোলাম আযম সেকেন্ড, কাদের মোল্লা থার্ডই থাক। কেননা সাঈদীর কেইসটা ডিফারেন্ট। এই সাঈদীর কেইসটার লগে আইনের সম্পর্ক খুব বেশি না। এডা আমাদের দেশি দরবারের মতোই। গোলাম আযম হইল সেটেলমেন্ট অব ল’ হয়ে যাবে এবং...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : রাইট।
নিজামুল হক নাসিম : এই গোলাম আযম হইলো টিম লিডার। সাঈদী সাইড ট্র্যাক। সাঈদীর লগে আপনার লিডার-টিডারশিপের কোনো প্রশ্ন আসতেছে না। গোলম আযমের রায়ের পরে আপনার নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান—সবগুলা রায় হইতে পারে, এর পরে। কিন্তু গোলাম আযম ফাস্টে। ওই গ্রুপের থেকে একমাত্র সাঈদী, সাকা এরা বায়রায় (বাইরে)। সাকারে তো আমি থামাইয়াই দিছি। সাঈদীরে থামাচ্ছি না। কারণ, সাঈদী প্রায় শেষ। এইটা যদি উনাদেরকে বইল্লা... এইডা ওনাদেরকে (ট্রাইব্যুনাল-২) হায়ার লেভেল থেইকা বইল্লা, থামায়া দিতে হবে যে, আপনি কাদের মোল্লারে ঢিল দেন। ঢিল দিয়া বাকিগুলারে সামনে আগান। কেননা, ওই যে অ্যাবসেন্ট যে আছে, ওর নাম জানি কী...? ও বাচ্চু, হ্যারে দিয়া শুরু করেন। আরেকজনরে নিয়া আগান সামনে। এরপর আপনার, পর পর ৩-৪টা রায় দিয়া দেন, অসুবিধা নাই কোন। বাট আফটার গোলাম আযম। নট বিফোর দ্যাট।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইখানে আরেকটা ব্যাপার আছে, এটা আপনি যেটা বললেন, সেটা ঠিক। আবার লিগ্যাল অ্যাঙ্গেল থেকেও এটা ঠিকই যে, সাঈদীরটা লিডারশিপে বা অফ ল’ ইনভলবমেন্ট নাই। কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, বাইরের ওয়ার্ল্ডে অর্থাত্ আউটসাইড দ্য কোর্ট রুম...।
নিজামুল হক নাসিম : তারা চাইবে গোলাম আযমের রায়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, এটা হচ্ছে ইম্পরটেম্লট। সেই অডিয়েন্সটা আছে। আর সেকেন্ড হচ্ছে খুবই ইম্পরটেম্লট... । যদি, সাঈদী যদি প্রথম হইয়া যায়, তাইলে এইটা কিন্তু হিস্টোরিক। মানে ইট উইল নট হিস্টোরিক অ্যানিথিং। মানুষের প্রত্যাশাটা থাকবে হচ্ছে এ্যাঁ এ্যাঁ......।
নিজামুল হক নাসিম : গোলাম আযমের দিকে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সকল দিক বিবেচনা করে বড়টার রায়...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ... শিওর।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কাজেই সেইটাকে ওইভাবেই টিউন করে নিতে হবে। এখন হয়তোবা পরের দিন জাজমেন্ট দিলেন বা এক সপ্তাহ পরে জাজমেন্ট দিলেন, কোনো অসুবিধা নাই। মানে ডিসিশন এরা পরে দেক, কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু পরে হতে হবে।
নিজামুল হক নাসিম : এডা আমি একমত আপনার লগে। এরা চাপে কেবল... গোলাম আযম শেষ করতে গেলে...। কেননা গোলাম আযম এখনও আইও চলতেছে, তারপর ডিফেন্স উইটনেস হবে। তারপরও এইডা আপনার জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির আগে হবে না। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি লাগবে শেষ করতে। এই পর্যন্ত গভর্নমেন্ট ওয়েট করবে না। গভর্নমেন্ট রায়ের জন্য পাগল হইয়া গেছে। সাঈদীরডা হলে আমি ডিসেম্বরে রায় দেতে পারব। গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া। তারা একটা রায় চায়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ..., না মানে.., কিন্তু আরেকটা, তাদের সাথে তো কোনো কথা হইতেছে না। সাঈদীরটা আগে রায়ের মধ্যে সিগনিফিকেন্সটা কী? তারা তো শুধু একচোখা হিসাবেই আগাইতেছে, বা তারা পেনিকড হইতেছে। এখানে পেনিক তো হওয়ার কিছু নাই।
নিজামুল হক নাসিম : তারা গেছে পাগল হইয়া মোটমাট, আমি আপনারে বলতেছি। একটা জাজমেন্ট না পাইলে ১৬ই ডিসেম্বর... ১৬ই ডিসেম্বর কইরা ডাহাডাহি করতেছে। এটা কোনো অর্থ হয় না। তারা একটা জাজমেন্ট চাচ্ছে, সোজা হিসাব।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ১৬ই ডিসেম্বরের ভূত তো এর আগেরবারেও ছিল।
নিজামুল হক নাসিম :সে ব্যাপারে সাঈদী আগাইয়া আছে, সাঈদীর রায়ডা হইয়া গেলে গভর্নমেন্ট ঠা-া হইত।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ১৬ই ডিসেম্বরে ভূত কিন্তু, এটা নুতন ভূত না।
নিজামুল হক নাসিম : ডিসেম্বরের আগে না, ডিসেম্বরে হইতে পারে সাঈদীরডা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই ১৬ই ডিসেম্বরের ভূত করতে করতেই তো সমস্ত বিপদে ফেলতেছে আরকি।
নিজামুল হক নাসিম : সব, আর শুরু হইছে তো গোলাম আযম ছয় নাম্বরে। সাঈদী এক, সাকা দুই, নিজামী তিন, কাদের মোল্লা চাইর, কামারুজ্জামান পাঁচ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : তদন্ত সংস্থা তো ওইখানেই প্রবলেমটা করেছে।
নিজামুল হক নাসিম : তাইলে এইডা করবেন কী আপনি?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওয়েল, এইটা যদি হয়ে যায়, তাইলে তো আর অসুবিধা নাই।
নিজামুল হক নাসিম: তারা তো বাই হুক-অর বাই ক্রুক, এইটা ঠেকাইবে সবাই এবং আমরাও তো তাল পাচ্ছি না। কারণ সাঈদীর সাক্ষী কমে যাচ্ছে। আমি তাকে ফিরিয়ে দিব কীভাবে... ডিফেন্স উইটনেস! সাঈদী তো প্রায় শেষ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না না ডিফেন্স উইটনেস তো আর ফেরানো যাবে না।
নিজামুল হক নাসিম : সাঈদী তো প্রায় শেষ। ঈদের আগে তাদের সাক্ষী শেষ হয়া যাবে আশা করতেছি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঈদের আগে কি তার সাক্ষী, ডি ডব্লিউ শেষ হয়া যাবে?
নিজামুল হক নাসিম: হ্যাঁ শেষ হয়া যাবে। আর গোলাম আযমের কেইসে তারা দুই সপ্তাহ সময় চাইছে, সাক্ষীর নাম দেওয়ার জন্য। সেইডা আমি রিজেক্ট কইরা বলছি, কালকে পাঁচটা দিবেন, পরশু সাতটা দিবেন, এইডা লাস্ট চান্স। বললাম আমি। কিন্তু, তারা দেল না, তাইলে কী করবেন আপনে। আমি যদি স্টপ কইরা দেই, তাইলেও তো হইচই হবে যে, সাক্ষীর নামই জমা দিতে দেয় নাই। টাইম চাইছে টাইম দিতা...। তখন গভর্নমেন্ট কইবে, তুমি টাইম দেতা, খমাহা (খামোখা) তাদেরকে আরেকটা পয়েন্ট, তাগো পক্ষে যোগ করাইলা...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কিন্তু এরা তো আসলে কাউন্টার-এনকাউন্টার।
নিজামুল হক নাসিম : তাই তো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এজন্যই তো প্রবলেমটা। যে, আইসিটি যে যতগুলা কাজ করছে...।
নিজামুল হক নাসিম : এ গভর্নমেন্টই তো তহন আমারে কইবে, তুমি টাইম দিতা। তুমি একদিন সময় তাগো দেতা, দিয়া রাখতা হেগো কোর্টে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক আছে। দেখেন আপনি ওইভাবে। দেখা যাক এই... এইটা কতদূর আগানো যায়।
নিজামুল হক নাসিম : আমার প্ল্যান হইল, ল’ সেটেল হইবে গোলাম আযমের কেইসে, এইডা ঠিক। সাঈদীর কেইসে কোনো ল’ সেটল হইবে না। নরমাল একটা জাজমেন্ট দিয়া, নরমাল না সেডা ভালো জাজমেন্ট ইনশাল্লাহ হবে। তবুও যা হয় হবে, সেডা ভিন্ন কথা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ফাস্ট কেইস তো...! ফাস্ট কেইসের একটা সিগনিফিকেন্ট আছে। এবং ফাস্ট কেইসের জাজমেন্টটা একটা ফরম্যাটের মধ্যে আসবে।
নিজামুল হক নাসিম : সে তো বটেই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন :এবং পরবর্তীগুলাও ‘মোর অর লেস’ ওই একই ফরম্যাটের উপরে হবে। ভিন্ন ভিন্ন জিনিস হবে। কিন্তু, ফরম্যাটিংটা ঠিকই থাকবে। আর এইটাকে ছোট কেইস হিসাবে দেখার কোনো স্কোপই নাই, যেহেতু এইটা আইসিটির কেস। আইসিটির প্রত্যেকটা কেইসই সিগনিফিকেন্ট। আর এইটা এইভাবেই দিতে হবে। কারণ এটা ন্যাশনালি এবং ইন্টারন্যাশনালী স্ক্রটিনাইজ হবে।
নিজামুল হক নাসিম : আর আমি এমন টেকনিক শুরু করছি যে, আমি সাকার কেইস রাখি না, টাইম দিয়া দেই। আপনার নিজামী রাখি না। যদি সাঈদীরে বাধা দেতে চায় তাইলে গোলাম আযম চলবে। গোলাম আযমরে বাধা দিলে, সাঈদী চলবে। যার ফলে ওরা...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না... না... ঠিকই আছে। এটাই আপনার ফাস্ট ট্র্যাকে থাকতে হবে। ডান-বাম সব চালাইয়া যেতে হবে।
নিজামুল হক নাসিম :আমি তো সুযোগ দিচ্ছি তাদের। তারা বলে যে, এইডা এডজর্নমেন্ট দেন ওইডা শুরু করেন। এই সুযোগই দিচ্ছি না আমি, এ দুইডার মধ্যে একটা আরম্ভ করতে হইবে। কেইস করতে হইবে তোমার, কোনডা করবা কও। যেডা করবা, যেডার সাক্ষী আছে হেইডাই নিব। বল, কোনডা করবা। হা... হা....হা ....(হাসি)
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হা... হা... হি... হি...(হাসি)
নিজামুল হক নাসিম : আইদার সাঈদী অর গোলাম আযম—এই দুইডার কোনো এডজর্নমেন্ট হবে না, এডাও বলে দিছি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ভেরি গুড।
নিজামুল হক নাসিম : আমি আজকে এডাও বলছি, যেদিন ক্রস আইওর শেষ হবে, সঙ্গে সঙ্গে ডিফেন্স উইটনেস শুরু হয়ে যাবে। এটা বলে দিলাম আপনাদের। বি রেডি ফর দ্যাট। উইদাউট অ্যানি গ্যাপ, উইদাউট অ্যানি এডজর্নমেন্ট, ইমিডিয়েটলি আফটার অ্যান্ড অফকর্স একজামিনেশন অব আইও, দ্য ডিফেন্স উইটনেস উইল বি স্টার্টেড। ওরা খুশি মনে নেয় নাই, কিন্তু শোনতে হইছে ওদেরকে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না... না... এর মধ্যে তো কোনো অন্যায় নাই।
নিজামুল হক নাসিম : সোজা হিসাব।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা তো আগে থাইকা জানিয়ে দেওয়াই উচিত। ইটস্্ নট দ্যাট যে, আপনি হঠাত্ কইরা বললেন যে, এখনই তোমারে সাক্ষী দিতে হইবে আরকি। সো.. দে আর গেটিং এনাফ ওয়ার্নিং বিফোর হ্যান্ড। এইটা ভালো আর কি। এই যে কথাগুলা না, মিডিয়াতে আসতেছে না। এগুলা আবার অন্য কোনো থার্ড কোনো অপশন নাই তো। কারণ গভর্নমেন্ট আইসিটির কোনো একটা, মানে কিছুই তো করল না, ইভেন আইসিটির নিজের একটা মিডিয়া উইংও করল না ট্রাইব্যুনালে এই গভর্নমেন্ট। তারা আসলে একটা প্রো-অ্যাক্টিভলি, এটার পক্ষে ক্যাম্পেইনটা করতে পারে বা জানাতে পারে। যে, দেখ-কীভাবে এ ঘটনাটা কিন্তু এইভাবে ঘটে নাই। আজকে যদি বন্ধ করে, এটার পিছনে অনেকগুলি কারণ আছে। এত কিছু এইভাবে এইভাবে বলা হইছে...।
নিজামুল হক নাসিম : ওই, একমাত্র উঠলে ওডে ডেইলি স্টারে। উঠতে পারে কালকে। এইসব ল্যাঙ্গুয়েজ ডেইলি স্টারে দিয়ে দেয়।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা ভেরি ইম্পোর্টেন্ট যে, এই কথাগুলা আসা, যে এটা কোনো আনফেয়ার প্রসেস না। এটা টার্গেটেড প্রসেস না এবং তাদের যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যদি কোনো অ্যাডভার্স ডিসিশন নেওয়া হচ্ছে এটা বিকজ অব দেম। হ্যাঁ, ঠিক আছে এটা ভালো হইছে।
নিজামুল হক নাসিম : আপনি তো ইনশাআল্লাহ ২২ তারিখ নামতেছেন, না ?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, আমি ২২ তারিখে।
নিজামুল হক নাসিম: আচ্ছা, আজকে ওই আনোয়ার সাহেব আমারে জিজ্ঞাস করছিল, আমি বলছি উনারা চেষ্টা করতেছে। এখনও শিওর না, দেখা যাক আর কি। বুঝছেন কোনটা?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হে... এ্যা?
নিজামুল হক নাসিম : নতুন জজ দুইজন যে...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যা.. হ্যা.. হ্যা..। আজকে যে পারমান্যান্ট করা হইছে, এটা কি বাবুরে (বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস) পারমান্যান্ট করা হইছে?
নিজামুল হক নাসিম : করছে.. করছে হ্যাঁ, হ্যাঁ তো করবেই। আপনার সঙ্গে কি যোগাযোগ করতে পারছেন ওবায়দুল করিম?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কেন, মেসেজ দিয়া রাখছি। এখন তো উইক এন্ড না এইখানে।
নিজামুল হক নাসিম : ও উইক এন্ড! আচ্ছা ঠিক আছে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কালকে বিকালের আগে হয়তোবা কোনো ইয়েই পাওয়া যাবে না। তারে যদি ইটা দেয় ও, আমি তারে একবার বলব, বিকালে ওইখানে একটা ঢুঁ মারতে।
নিজামুল হক নাসিম : আমি বলছি যে, আপনি ২২ তারিখ আসতেছেন। এর মধ্যেই একটা মেসেজ পাওয়া যাবে আর কি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি আশা করি সেটা।
নিজামুল হক নাসিম : তারপরে তো টাইম থাকবে না। কেননা, ঈদে বন্ধ হয়ে যাবে। হের পর তো আর টাইম থাকবে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না, তারপরে টাইম থাকতেছে না। ওই সেন্সে টাইম থাকছে না। কিন্তু আপনাদের যাওয়া-আসার ব্যাপারে তো শুধু ডিসাইড করা দুটো জিনিস। একটা হচ্ছে রিটার্নটা যদি অ্যামসটারডামে করা যায়, এটা এই লোকেরে ধইরা করতে হবে...।
নিজামুল হক নাসিম : না... যদি আপনাদেরটা হয় তাইলে তো...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, সেটাই বলছি।
নিজামুল হক নাসিম : যদি ওই ডেইটে আপনাদেরটা হয়, তাহলে সেটা আগে ঠিক করতে হবে তো।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ভিসা হলে তো আর সমস্যা নাই। একটা ভিসাই যথেষ্ট।
নিজামুল হক নাসিম : তা এইটা জানি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কাজেই ঝামেলা অনেক কম। মানে এখন শুধু হইল যে, এইটাকে সেট করাটাই হইল। এদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়াটাই বড় কথা।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ... পেলে হবে। না হইলে তো আমর ধারণা, অনেক পিছাইয়া যাবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : না হইলে তো আবার কাভার করতে হইব আর কি। মানে আরেক রাউন্ড দিতে হবে। প্রবাবলি নিউ ইয়ারে করতে হইব সব।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ নিউ ইয়ারে। সেটাই... সেটাই মনে হচ্ছে আমার...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : অ্যা... তো মানে অত ইয়ের ভিতরে... মিড উইন্টারে আসাটা ঠিক হবে না। সবারই জন্য কষ্টকর হয়া যাবে। দেখা যাক এটা।
নিজামুল হক নাসিম : সেইটাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এমনেও তিন-চার দিনের ব্যাপার। চারদিন-পাঁচ দিনের ব্যাপার। এটা খুব বেশি সময় না।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ,
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা হলে একচোটে হয়া যেত।
নিজামুল হক নাসিম : রায়হানের কোনো খবর-টবর আছে...?
আহমদ জিয়াউদ্দিন : হ্যাঁ, রায়হান তো খুব অ্যাক্টিভ এখন। সে তো, তার যে কাজগুলো সে করে, সে একটার পর একটা লেখা লিখতেছে। কালকে আপনাকে একটা কথা বললাম না, ইনফ্রেইমইও, ইন কেইস জাজমেন্টটা যদি দিতে হয়, সাঈদীর কথাটা।
নিজামুল হক নাসিম : হুম...
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সাঈদীর জাজমেন্টের একটা রাফ স্কেচ তৈরি করা হইছে। স্ট্রাকচারটা কী হতে পারে হয়তোবা কাল আমি স্ট্রাকচারটা আপনাকে পাঠাব। জাস্ট টু দেখার জন্য। এটাকে আমরা রিয়েলি, এই স্ট্রাকাচরটা এমনভাবে করছি আমরা, তাতে খুব বেশি কষ্ট হবে না আপনার। আমাদের কিন্তু এমন করতে হবে, যেটা আমাদের দেশের কিছু টুকু থাকে। কিন্তু, এইটার স্ট্যান্ডার্ডটা, মানে অন্যরা যেন এইটা ফিল করে। আমাদের মেইন টার্গেট যদিও ডিসিশনের ক্ষেত্রে, মেইন টার্গেট হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। কিন্তু, এটার যে ক্রিটিক্যাল অ্যাঙ্গেলে যেটা দেখবে, সেটা কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ওইভাবে দেখবে না। তো, এই জাজমেন্টটা কীভাবে ওয়ার্ডেড হচ্ছে, কীভাবে স্ট্রাকচার্ড হইছে, কীভাবে ফ্রেইম হইছে...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ সেটা তো বটেই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এই জিসিগুলো কিন্তু আমাদের লোকগুলা বেশি দেখবে না। আমাদের লোকেরা দেখবে, সে আপনার কনক্লিউশনটা কী হইছে এবং বড় বড় ফ্যাক্ট কী হইছে। কিন্তু যারা এই জিনিসটা ক্রিটিক্যালি দেখবে এবং রেফার করবে এবং পরবর্তীকালে এটাকে আন্ডারমাইন্ড করার চেষ্টা করতে পারে এবং সেইটা না করার জন্য এইটাকে ফরম্যাটের দিক থেকে..., এইটাকে ওই স্ট্যান্ডার্ডে নিয়ে আসতে হবে আমাদেরকে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কাজেই স্ট্রাকচারটা, যদি স্ট্রাকচার রাইট, তাহলে আমরা মনে করি যে, বাকিগুলাও পারা যাবে। যেমন এই যে আমি বলতেছিলাম, আমি ইটালিয়ান যে অরগানাইজেশনের মিট করলাম এবং কথা বললাম, তারা আসলে অ্যাপ্রিশিয়েট করছে আমাদের এই অর্ডারটা। মানে রিক্যুজালের অর্ডারটা। কিন্তু তারপরেও তাদের ফিলিংসটা হচ্ছে যে, এখানে জাজকে মনে হইছে একটু হার্শ আরকি। কিন্তু, এইটা যে একটা ওয়েলড্রাফটেড, ওয়েলরিটেন, ওয়েল একটা কিছু, এইটা তারা অ্যপ্রিশিয়েট করছে। তারা ইক্যুয়ালি অ্যাপ্রিশিয়েট করছে মালুম ভাইয়ের ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের জন্য আমাদের করা প্রেজেনটেশনটা। যে কারণে তারা মালুম ভাইরে আনতে চাচ্ছে। আমি বললাম যে, উনাকে না নিয়ে এসে অন্য কাউকে আনতে হবে। সো..., সেই আলোচনা এখনও চলতেছে। ওরা হইল ওইটা দেখে আগে আর কি...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ওরা দেখে, যে টেক্সটা তৈরি হইছে, সেইটা ঠিক ওয়েদার ইট লুকস রাইট। ওইখানে আমাদের লুকস রাইটও দিতে হবে। আবার যেহেতু ইনকেইস প্রথম কেইসটা যদি সাঈদীরই হয়, বা যে কোনো কেইস হউক না কেন, এ দুটার, ডাজ নট মেটার। আমার মনে হচ্ছে যে, এইটা একটা অপরচুনিটি যে, আপনার কিছু রেফারেন্স দিতে হবে যে, এই প্রসেসটার শুরুটা কীভাবে হইছে।
নিজামুল হক নাসিম : সে তো বটেই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন: এবং কী কী প্রবলেমের ভিতর দিয়া গেছে আর কি।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : মানে ওই সেন্সে ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল। আউট সাইড যে, প্রবলেমগুলা বা লার্নিং প্রসেসটা কী ছিল। সো, ইট্স কাইন্ড অব ফার্স্ট কেইসেই এইটা থাকবে আর কি। আর বাকিগুলায় আর ওইভাবে থাকবে না।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ... সেইডাই, সেইডাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন :কিন্তু ফার্স্ট কেইসে এইডা দিতে হবে যে, এইটা কোথা থেকে আমরা শুরু করলাম। অ্যান্ড দ্যান আমরা কীভাবে শেইপ করেছি, রুলস অব প্রসিডিউর আমরা কী করলাম, কেন করলাম। মানে এই সামারি হলো এইটা। এটা হচ্ছে যে, আপনার ইতিহাসটা তুলে ধরা এবং আপনাদের কথা বলাটা। কেননা ট্রাইব্যুনাল তো কখনও সুযোগ পায় না কথা বলার। সো... জাজমেন্ট ইজ দ্যা অনলি ওয়ে অর অর্ডার ইজ দ্য অনলি ওয়ে যে, ট্রাইব্যুনাল স্পিকস। সো... এইটাকে একটা সুন্দর স্ট্রাকচারের ভিতরে এনে স্ট্রাকচারটা টানলে জাজমেন্ট লিখাটা হয়ে যাবে। এইটা করতে পারলে... আর এইটা করাটাই আমাদের মেইন উদ্দেশ্য।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, সেইডাই, সেইডাই।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : সো দ্যাট, এইটা আমরা সেল করতে পারব ইজিলি। ওদের যে চিন্তা-ভাবনা, আর ওরা যে জাজমেন্টগুলো পড়ে, দেখা যাবে কি একেবারে ওই জাজমেন্টের সাথে অলমোস্ট খাপে খাপে মিলে যাচ্ছে। এবং ওরাও দেখবে ঠিকই আমরা একই স্ট্রাকচার ফলো করছি। আমরা যে বাংলাদেশের ট্র্যাডিশনাল ওয়েটা ফলো করি, সেই হিসাবে এটা নেওয়া যাবে না। কারণ, এই কেইসটা সেই কেইসগুলা না এবং এই কেইসগুলাকে ইভেন কি ছোট কেইস, সাঈদীর কেইসটা আনুপাতিক হারে লেস লিগ্যালি কমপ্লিকেটেড, কিন্তু সেটা হচ্ছে লিগ্যাল আলোচনাটা কম হবে সেখানে ওই সেন্সে। কিন্তু তারপরও তো ডিগ্রি অব লিগ্যাল আলোচনা থাকতেই হবে। কারণ এখানে কিন্তু, ওই ইস্যুগুলা সেটেল হয়ে যাবে।
কারণ, এটা যদি ক্রাইম এগেইনেস্ট হিউম্যানিটি হয়, যেটাই হয়, সেটাই করতে হবে। কাজেই এইটা আমি বোধহয় আজকে... আমি কালকে রাত্রে স্ট্রাকচারের কাজ করছি একটু, এখনও এটা কমপ্লিট না। আমি এটা যেভাবে আগানোর চেষ্টা করতেছি সেটা হচ্ছে যে, আমি কয়েকটা চার্জ ফ্রেম... লিডিং চার্জ ফ্রেমগুলা দেখব আবার নতুন করে দেখব। যে, তারা কীভাবে এটাকে স্ট্রাকচারটা করছে আর কি। কীভাবে গুছাইছে জিনিসটা এবং কীভাবে শুরুর দিকে কী কী দিচ্ছে তারা। প্রত্যেকটা কেইস ডিফরেন্ট ফ্রম আদার ওয়ান।
আমি দেখছি স্ট্রাকচারের শুরুতে তারা কীভাবে দিচ্ছে, মাঝখানে কী দিচ্ছে, শেষের দিকে কী দিচ্ছে এবং এইগুলা আমাদের সিচুয়েশনটাতে আমরা কীভাবে এটাকে করতে পারি। সেই হিসাব করে প্রবাবলি কালকের ভিতরে একটা জাজমেন্ট স্ট্রাকচার পাঠিয়ে দেব। একটা রাফ স্কেচ পাঠায় দিব ফর আপনার ইনফরমেশন। আপনি দেখেন যে, এইভাবে করলে আপনার পোশায় কি না। তারপরেও এর ভিতরে, বডিতে কী দেওয়া হবে, না হবে, কতটুকু লেখা হবে এবং কত ডিপে যাওয়া হবে, কত এক্সপ্রেসে যাওয়া হবে, কত এনালিটিক্যাল হবে—সেগুলো হচ্ছে পরে আনব....।
নিজামুল হক নাসিম : হুম... (গম্ভীর)
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা হচ্ছে রাফলি স্পিকিং হেডলাইন এবং সাবহেডিংগুলো কী হবে এবং কোন কোন ইস্যুগুলা কাভার করা যেতে পারে। এরপরে তো আরও ডেফিনেটলি, মানে কাজ যখন করবেন তখন দেখা গেল কি, আরও অনেক রকম ইস্যু আসবে, যেটা আপনার মনে পরে যাবে তখন আমাকে আবার জানাবেন। আমি ওইখানে কিছু স্ট্যাটিসটিকস দেওয়ার চিন্তা করতেছি। যেমন কতগুলা অর্ডার হইছে, কতগুলা রিভিউ পিটিশন গেছে, জাস্ট এ রকম। কারণ এইটা তো আপনার শেষ কথা, এরপর তো আর কথা থাকতেছে না ট্রাইব্যুনালের।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : কাজেই, আপনাকে আরেকটা জিনিস মনে রাখতে হবে। এই জাজমেন্টের ক্ষেত্রে যে, প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে এইটা কিন্তু আপনার কথা টু অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালস, মানে অ্যাপিলেট অথরিটি। এই জাজমেন্টটা পড়লে অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে যে প্রশ্ন আসতে পারে সেইটারও উত্তর কিন্তু এই ট্রাইব্যুনালে থাকতে হচ্ছে। অর্থাত্ এই যে যেসব ইস্যুগুলো আসছে, সেই ইস্যুগুলো যেগুলো চ্যালেঞ্জ করা হইছে, এ নাম্বার অব মেজর চ্যালেঞ্জেস, সেগুলার উপরে ছোট ছোট আলোচনা করে, এই যে কেন এইগুলাকে ডিল করা হইছে আর কি। ডিটেইল আলোচনা কিন্তু রিলেভেন্ট অর্ডারে আছে। এইটা পড়লেই যেন বোঝা যায় এবং অ্যাপিলেট জাজেসরা যেন এট লিস্ট এই জাজমেন্টটা যদি পড়ে, তাহলে যেন বুঝে যে, আসলে এই ট্রাইব্যুনাল চিন্তা কী করছিল। প্রত্যোকটা অর্ডারের পিছনে ট্রাইব্যুনালের কী চিন্তা ছিল এবং কী র্যাশনাল বা কী যুক্তি ট্রাইব্যুনাল ব্যবহার করেছে এবং সেইটা কতটুকু লজিক্যাল। মানে এইটা এই অর্ডারের ভিতরে, মানে এইটা এই জাজমেন্টে বলে দেব যে, হাউ লজিক্যাল র্যাশনাল রিকয়্যার্স—আমরা কী কী বিবেচনায় এইটা নিয়েছি এবং কেন নিয়েছি। প্রথম যেটা হবে সেটা পলিটিক্যালি সিগনিফিকেন্টও হচ্ছে, কিন্তু লিগ্যালি সিগনিফিকেন্টের দিক থেকে যেটাই হোক না কেন, এইটার ট্রিমেন্ডাস সিগনিফিকেন্ট আছে আসলে ফাস্ট কেইস হিসাবে। বাট, এইটা একটু সময় লাগবে। এখানে আমাদের মেজর কনসার্নটা হচ্ছে, সরকার যে চাপ দিতাছে এইটা আমরা... রিয়েলি আপনারা উনাদের সাথে বিভিন্নভাবে আমাদেরকে যোগাযোগ করতে হবে। এবং বলে দিতে হবে। বিকজ দিস ইজ সাম থিং... এইভাবে হাত-পা টাইট করে দেওয়াটা ঠিক না। কারণ যেটা চিন্তা করা হচ্ছে এবং এইটাই যদি করতে হয়, এইটা কিন্তু আপনিও তো ফিল করতেছেন এবং বলতেছেন যে, জাজমেন্টটা কিন্তু ৫০০ পাতার জিনিস হবে। তাইলে এইটা আপনি সাত দিনের ভিতরে নামায় দিবেন কেমন কইরা?
নিজামুল হক নাসিম : প্রশ্নই ওডে না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এটা কোনো কথা হইলো! এই সমস্ত ডকুমেন্ট কমপেয়ার করে, সমস্ত ডকুমেন্ট দেখে শুনে এইটা তো আর চাট্টিখানি কথা না। এইটা হইলো ট্রাইব্যুনালের ব্যাপার। এটা হচ্ছে ফাস্ট জাজমেন্টের ব্যাপার। এটা জাজমেন্টের ব্যাপার, এইটা তো অ্যাপিলে যাবে। উনাদের কনসিডারেশনের সাথে এইটা আমাদেরকে কোনো অবস্থাতেই উনাদের টাইম ফ্রেমের সাথে এইটা হবে না। মানে এইটার অর্থ এই নয় যে, এইটাকে দেরি করা হবে। এই জন্য কাজটা এখন থেকেই শুরু কইরা দেয়া হচ্ছে। একটা স্ট্রাকচার যদি আমরা কইরা ফেলতে পারি, তাইলে আমি মনে করি যে, বাকিগুলা সবগুলাকেই ওই ওই ...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ, সে তো বটেই। আগানো যাইবে তাইলে অনেকখানি।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এদিক-সেদিক, এদিক-সেদিক কইরা ফিটিং করানো যাইবে। আরেকটা কেইসে দেখা গেল যে কি, আরো কিছু দিতে হচ্ছে বা কিছু কমায়ে দিতে হইতাছে, সেগুলা আমরা তখন ইজিলি করতে পারব। এটা আমরা অলমোস্ট চার্জের যেভাবে ইয়ে করছিলাম না.. টেমপ্লেট যে রকম করছিলাম চার্জের ক্ষেত্রে...।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ... হ্যাঁ... হ্যাঁ...।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : ঠিক ওই চার্জের ক্ষেত্রে টেমপ্লেট যেভাবে করছি, জাজমেন্টের ক্ষেত্রেও মোটামুটি একই টেমপ্লেট। ওই একই রকম একটা কিছু আগে তৈরি করছি। ওইটা আমি ইফেক্টিভলি কাজ করছি। আর সরকারের ওই চাপটা আমাদেরকে সহ্য করতেই হবে। কীভাবে করব দ্যাট উই ডোন্ট নো। বাট, এইটা তাদেরকে বোঝাইতে হবে ওইভাবে এইটা চাপচাপি না করা। এইটা ইয়ে না। প্রডাক্ট না যে, জাস্ট আপনে কইলেন আর মেশিন না যে, বাইর হয়া গেল। আর এইগুলা উনাদের বুঝার মতোও অবস্থা নাই। তারপরও বুঝাইতে হবে, তারপরও উনাদের সাথেই তো কথা বলতে হবে। আমরা যতই মানে রায়হান আমাকে এবার জোরে-শোরে বলছে, আপনি আইনমন্ত্রীর সাথে মানে ইয়ে করে আসবেন। লাভ হউক, আর না হউক, কিন্তু আমরা তো আসলে... কাজ করার নাই তো কেউ আর। যতরকম আমার এভিনিউ আছে, অন্যান্য যত এভিনিউ আছে, ইনক্লুডিং এক নাম্বার পর্যন্ত পৌঁছানোর এভিনিউ—এইসব এভিনিউ ব্যবহার করতে হবে এবং বুঝাইতে হবে আসলে যে রিয়েলিটিটা কী। শুধুমাত্র উইক এন্ডে আইসা, কনফারেন্সে গিয়া বা সেমিনারে গিয়া একটা বইলা দিল, ওইটা হবে না।
আর এইটা আপনাদের জন্য রিয়েলি কষ্টের, আপনাদের কোনো হ্যান্ড তো নাই, যে এই কাজগুলা করবে। আপনাদের হ্যান্ড নাই, ঠ্যাং নাই, কিচ্ছু নাই। তো কী কইরা কী হবে। তাদেরকে আপনারা বইলা দিবেন যে, এই জাজমেন্ট যেভাবে হইতেছে, যা হইছে, অন্ততপক্ষে ৫০০-৭০০ পাতার কইরা এক একটা জাজমেন্ট হবে।
নিজামুল হক নাসিম : হ্যাঁ হ্যাঁ অবশ্যই, মিনিমাম ৫০০ পৃষ্ঠার হবে।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : দেন হাউ ডু ইউ এক্সপেক্ট ইট যে, এটা ওভারনাইট কইরা ফেলা হবে? আপনি যদি আমারে অর্ডারটা দিতেন, আমি অর্ডার পোরশনটা কইরা দিয়া, আমি পরে জাজমেন্টটা লেইখা দিতাম, শান্তিমতো কইরা। ওইটা বোধহয় শাহিনুর সাহেবদের সাথে আলোচনা কইরা এইটা করছে। এই যে আইনের এই পরিবর্তনটা, সময় কমিয়ে দেয়ার পরিবর্তনটা। কারণ উনারা গিয়া বলছে হয়তো যে, আমরা কইরা দিবোনে কোনো অসুবিধা নাই। আমরা একসাথে সবই দিতে পারব, যখন অর্ডার দিব তখন জাজমেন্টটা দিয়া দিব হাতে। কিছু একটা হইছে মানে এইটা তো আপনাদের কাছ থেকে আসে নাই।
নিজামুল হক নাসিম : না।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : এইটা একমাত্র সাসপেক্ট। আমার সন্দেহ হচ্ছে, এইটা শাহীনুরদের ওইখান থাইকা আসছে। দেখি, রায়হানকে দেখি, পাই কি না এখন। ঠিক আছে তা হলে...
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা।
আহমদ জিয়াউদ্দিন : আমি আপনাকে কালকে স্ট্রাকচারটা পাঠাব। ওকে ঠিক আছে।
নিজামুল হক নাসিম : আচ্ছা, রাখি খোদা হাফেজ।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads