শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১২

রাজনৈতিক উত্তাপ প্রশমনে সরকারকে যত্নবান হতে হবে



ড. মা হ্ বু ব উ ল্লা হ্
বেশ কিছুদিন ধরে নিরুত্তাপ থাকার পর রাজপথ আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট গত ৯ ডিসেম্বর দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। এই অবরোধ কর্মসূচিতে ৪ জন নিহত হয়েছে এবং শত শত মানুষ আহত ও গ্রেফতার হয়েছে। এর প্রতিবাদে বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোট ১১ ডিসেম্বর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি পালন করেছে। এই কর্মসূচিতেও গ্রেফতার ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ১০ ডিসেম্বর ছিল প্রতিবাদ মিছিলের কর্মসূচি। কিন্তু ঢাকায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে প্রতিবাদ মিছিলপূর্ব সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল হতে পারেনি। সকাল থেকেই সেখানে যেসব নেতাকর্মী আসছিলেন, পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। ছিল র্যাব-পুলিশের নিশ্ছিদ্র পাহারা। এদিনই বিএনপি অফিসের সামনে থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ তাকে জাপটে ধরে পুলিশ-ভ্যানে ওঠাতে চেয়েছিল। মির্জা ফখরুল তাত্ক্ষণিক এর প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, ‘আমি তো নিজেই যাচ্ছি, আমার গায়ে হাত রাখবেন না।’ একটি রাজনৈতিক দলের মহাসচিব পর্যায়ের ব্যক্তি পুলিশের কাছ থেকে ন্যূনতম শোভন ও শালীন আচরণ আশা করতে পারে। এই পর্যায়ের মানুষগুলো নিঃসন্দেহে ক্রিমিনাল নয়। সুতরাং তাদের প্রতি ক্রিমিনাল সদৃশ আচরণ পুলিশের কাছ থেকে কোনোক্রমেই অভিপ্রেত নয়। রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে শালীনতা ও মার্জিত আচরণকে ইচ্ছাকৃতভাবেই বিদায় দিয়ে পরিস্থিতিকে সংঘাতমুখর ও মারমুখী করে তোলার একটা উস্কানি লক্ষ করা যায়। রাজনৈতিক নেতারা কেউ ক্ষমতার আসনে থাকেন, আবার কেউ ক্ষমতার বাইরে থাকেন। আজ যারা ক্ষমতার বাইরে কাল তারা ক্ষমতার আসনে বসবেন না এমনটি কেউ হলফ করে বলতে পারে না। সুতরাং পুলিশকে শ্রেয়বোধ ও শালীনতা বিসর্জন দিলে চলবে না। হতে পারে ক্ষমতাধরদের পক্ষ থেকে কেউ কেউ পুলিশকে অমার্জিত আচরণে উত্সাহিত করতে পারেন। কিন্তু তাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে দু’দিন পরে তারাও এ ধরনের অবাঞ্ছিত আচরণের শিকার হতে পারেন। ক্ষমতায় থাকাকালে আমরা নদীর নিয়মটি ভুলে যাই। নদীর একূল ভাঙে, ওকূল গড়ে এই তো নদীর খেলা। সকাল বেলায় যিনি আমির সন্ধ্যা বেলায় তিনি ফকিরে পরিণত হতে পারেন। সুতরাং প্রকৃতি ও সময়ের এই নিয়মকে কারোরই অবজ্ঞা করা ঠিক নয়। বিগত ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিনের অসাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনাকে অত্যন্ত অশোভনভাবে টেনেহিঁচড়ে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। টেলিভিশন ফুটেজে দেখা সেদিনকার এই দৃশ্য আমি আজও ভুলতে পারি না। সেদিন তার প্রতি যে অবজ্ঞা ও অসম্মান প্রদর্শন করা হয়েছিল তা কোনো সভ্য সমাজে অনুমোদনযোগ্য নয়। সেদিন অপর নেতা বেগম খালেদা জিয়া বিবৃতি দিয়ে এই অশোভন আচরণের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়ার এই শ্রেয়বোধ সেদিন বহুল প্রশংসিত হয়েছিল। আজ শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী। আর ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিন সাহেবরা দেশ ছেড়ে স্বেচ্ছানির্বাসনে রয়েছেন। একেই বলে সময়ের ফের। এই সময়ের ফের সম্পর্কে কারোরই বিস্মৃত হওয়া উচিত নয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আদালতে হাজির করা হলে পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতের কাছে তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানানো হয়। রিমান্ডে একজন বন্দীর প্রতি কী আচরণ করা হয় তা বিশদ ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। আমার দেশ সম্পাদক জনাব মাহমুদুর রহমানকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। রিমান্ডে তার প্রতি অত্যন্ত অবমাননাকর আচরণ করা হয়। এই আচরণের বিবরণ তিনি তার কারাস্মৃতির ওপর লেখা বই ‘জেল থেকে জেলে’-তে বর্ণনা করেছেন। জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো মাপের একজন রাজনৈতিক নেতাকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদনের মধ্যে ক্ষমতার দাম্ভিকতা ও ঔদ্ধত্য উভয়েরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এতে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত বাজে দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়। অবশ্য বিপ্লবী নেতা সিরাজ শিকদারের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছিল, সেটিও আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক লজ্জাজনক অধ্যায়। তাকে বন্দী অবস্থায় হত্যা করা হয়। তাকে হত্যার পর বানোয়াট গল্প প্রচার করা হয়েছিল। তিনি পালাতে চেয়েছিলেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হককেও পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী একইভাবে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে হত্যা করে। কেউ কেউ অবশ্য মনে করেন আয়ুব খানের পতন নিশ্চিত করতেই ক্ষমতার উচ্চতর বৃত্ত থেকে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। আমরা জানি না প্রকৃত ইতিহাস কী। ইতিহাস কোনোদিন এই রহস্যের জাল উন্মোচিত করবে কিনা তাও বলা কঠিন। তবে এসব ঘটনা যে ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় সেকথা বিস্মৃত হলে চলবে না। স্বাধীন বাংলাদেশেও আমরা দেখি গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা একের পর এক ঘটছে। দলমত নির্বিশেষে এসব প্রবণতার বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাতে হবে। শুধু ধিক্কার জানানোই নয়, এসব মানবতাবিরোধী কার্যকলাপ চিরতরে রুখে দিতে হবে। নইলে এই আগুনের লেলিহান শিখায় যারা এসব ব্যাপারে উদাসীন কিংবা যারা এসব ঘটনাকে উত্সাহ জোগান তারাই জ্বলেপুড়ে ছারখাড় হয়ে যাবেন। সুতরাং সব মহলকে এসব সভ্যতা ও মানবতাবিরোধী প্রবণতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে ৩৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মনে হয় সরকার ভাবছে মামলার হয়রানিতে পর্যুদস্ত হয়ে মির্জা আলমগীর নতিশিকার করবেন। কিন্তু তিনি তো দুর্নীতির মতো অসদাচরণে লিপ্ত হননি; যে কারণে লজ্জায় তাকে হীনবল হতে হবে! সোজা কথা, সরকারের হিসাব-নিকাশে ভুল আছে। সরকার হয়তো ভাবছে এতসব মামলার জালে জড়িয়ে তার পক্ষে মুক্ত আলোয় বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে না। নিদেনপক্ষে সরকারের বাকিটা সময় তাকে কারাগারেই কাটাতে হবে। রাজনীতিবিদদের জন্য কারাজীবন অস্বাভাবিক কিছু নয়। বরং দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাদের কারাবরণ গৌরবজনক। এই গৌরব তাদের মহামানবে পরিণত করে। নেলসন ম্যান্ডেলা ২৭ বছর করাবরণ করে আজ বিশ্বের সবচাইতে সম্মানিত ব্যক্তি। আমার প্রয়াত পিতা ইতালির গ্যারিবন্ডির কাহিনী বলতেন। গ্যারিবল্ডি এত দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন যে তার সেলের মেঝের পাথরগুলো তার পদচারণায় ক্ষয়ে গিয়েছিল। তাই সলীল চৌধুরী রচিত গানটির ছত্র মনে জাগে। ‘বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে সেই জনতা।’
জনৈক মন্ত্রী বলেছেন, মির্জা ফখরুল রাজপথে অবরোধের দিন গাড়ি না নামাতে অনুরোধ করে কার্যত অবরোধের সংঘটিত সব হিংসাত্মক ঘটনার উসকানিদাতায় পরিণত হয়েছেন। সুতরাং তাকে সবকটি হিংসাত্মক ঘটনার জন্য ১ নং আসামি হতে হয়েছে। এই যুক্তি বোধগম্য নয়। কারণ একটি রাজনৈতিক দল যখন রাজপথ, সড়কপথ অবরোধ ঘোষণা করে তখন তার পক্ষ থেকে এ ধরনের আবেদন-নিবেদন আসতেই পারে। এই আবেদন-নিবেদনে সাড়া দেয়া বা না দেয়া জনগণের নিজস্ব অধিকারের ব্যাপার। এর আগেও তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে বাস পোড়ানো এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ককটেল ফাটানোর অভিযোগে মামলা হয়েছিল। সে মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন।
একটি বহুল প্রচারিত দৈনিক বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের আন্দোলন সম্পর্কে বিশেষ প্রতিবেদন ছাপাতে গিয়ে শিরোনাম করেছে ‘বিএনপি হঠাত্ কেন মারমুখী?’ বিএনপির জামায়াত সম্পৃক্ততা এবং যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রতিবেদনে বলার চেষ্টা করা হয়েছে, জামায়াতের চাপ এবং বেগম খালেদা জিয়া ও তার সন্তানদের বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলাগুলোর রায় অত্যাসন্ন হয়ে ওঠাতেই বিএনপি কঠোর অবস্থানে চলে গেছে। সবশেষে উপসংহার টেনে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘দলের সূত্রগুলো জানায়, এই অবস্থায় যতটা সম্ভব আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিষয়টির সুরাহা করে নিতে চায় বিএনপি। আগামী বছরের অক্টোবরে বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হবে। বিএনপি মনে করছে, মে অথবা জুন মাসের মধ্যেই সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করাতে হলে রাজপথে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। তাই এতদিন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে এসে আকস্মিক মারমুখী কর্মসূচি দিতে শুরু করেছে দলটি।’
এই পত্রিকাটির প্রতিবেদকের আঁচ-অনুমানের ওপর সর্বতোভাবে আস্থা রাখা যায় না। অতীত অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগও ১৯৯৬ সালে এবং ২০০৬ সালে অনেক বেশি মারমুখী আচরণ করেছিল। দুর্ভাগ্যের বিষয় ’৯১ পরবর্তীকাল চক্রাবর্তাকারে এমন একটি পরিস্থিতির জালে জড়িয়ে পড়েছে, সময় থাকতে সমঝোতা করে স্থিতিশীলতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে আন্তরিক আগ্রহ তেমন একটা দেখা যায়নি। ফলে দেশবাসীকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। তবুও আমরা লক্ষ করেছি, ১৯৯৬ সালে রাজপথের সহিংসতার মুখে সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস করার জন্য একটি ক্ষণস্থায়ী সংসদ গঠন করা হয়েছিল এবং বিল পাস হওয়ার পর বিচারপতি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হলে যথাযথভাবে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সেবার এভাবেই একটি সংঘাতমুখর অবস্থার সমাধান হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন হলো এতদূরও কি যাওয়ার প্রয়োজন আছে? সময় থাকতে একটা সমঝোতা করে সব পক্ষের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা কি এতই কঠিন? প্রয়োজন শুধু আন্তরিকতার এবং শুভবুদ্ধির উদ্রেক।
এতসব আলোচনার পর ট্র্যাজিক হত্যাকাণ্ডের শিকার বিশ্বজিত্ দাসের কথা না বললেই নয়। প্রথম আলোর রিপোর্ট : ‘দোতলায় উঠে রড লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর, চাপাতির কোপ। সেখান থেকে মারতে মারতে নিচে নামিয়ে চারদিক ঘিরে চলে বর্বরতা। শেষমেশ মৃত্যু। এটি পুরান ঢাকার জজ কোর্ট এলাকার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নৃশংসতায় পথচারী বিশ্বজিত্ দাস হত্যার ঘটনা। শুরু থেকে শেষ এ হত্যাযজ্ঞের সময় লেগেছে মাত্র ১০ মিনিট। আর মাত্র ১০-১৫ গজ দূরে লালবাগ অঞ্চলের উপকমিশনার (ডিসি) হারুনুর রশীদসহ অন্তত ৩০ পুলিশ সদস্য; হামলাকারীদের প্রতিহত করতে এবং বিশ্বজিেক রক্ষায় এগিয়ে আসেননি কেউ।’ বিশ্বজিতের এই হত্যা একটি বর্বর নৃশংসতা। এমনভাবে নিহত হওয়ার পরও বিশ্বজিত্ দাসকে নিয়ে কম নাটক হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন ৮ জন গ্রেফতার হয়েছে। আর পুলিশ বলেছে কেউ গ্রেফতার হয়নি, অপরাধী শনাক্ত করা হয়েছে। আরও দাবি করা হয়েছে অপরাধী অভিযুক্তরা কেউ ছাত্রলীগের কর্মী নয়, ওরা বহিষ্কৃত। সবমিলিয়ে রহস্যের ধূম্রজাল। কিন্তু ধূম্রজাল সত্ত্বেও জনগণ সব বুঝতে পারে। বিশ্বজিতের আত্মা শান্তি পাক—এই কামনাই করি। কামনা করি আর যেন কাউকে বিশ্বজিতের ভাগ্যবরণ করতে না হয়।
শীতের মধ্যেও রাজনীতি যে উত্তাপ ছড়াচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এই উত্তাপে অন্য কেউ আরও দাহ্যবস্তু নিক্ষেপ করে পরিস্থিতিকে ঘোলাটে ও জটিল করে তুলছে কিনা সেটাও রাজনীতিবিদদের গভীরভাবে নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ ও বীক্ষণ করতে হবে এবং সময়োচিত রাষ্ট্রনায়কসুলভ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেবল তাহলেই অন্য কেউ রাজনীতিকদের মুখে কালি ছিটাতে পারবে না।
লেখক : অধ্যাপক, অর্থনীতিবিদ
mahbubullah@yahoo.com

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads