মঙ্গলবার, ২ অক্টোবর, ২০১২

সত্য বিকৃত করা এ সরকারের বদ অভ্যাসে দাঁড়িয়েছে



সি রা জু র র হ মা ন
‘কত রঙ্গ দেখালি পদি, অম্বলে দিয়া আদা’—গ্রাম বাংলাদেশে প্রায়ই শোনা যায় এই বিদ্রূপের কথাগুলো। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের ব্যাপারে এই উপমাটা ব্যবহার না করে উপায় নেই।
পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারি নিয়ে কত রকম বিভিন্ন, অসত্য, অর্থহীন ও পরস্পরবিরোধী কথাবার্তা প্রধানমন্ত্রী হাসিনা থেকে শুরু করে তাঁর মন্ত্রীরা বলেছেন, তার হিসেব করা অসম্ভব। বৈচিত্র্য সৃষ্টির চেষ্টায় নতুন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের পদ্মা সেতু নিয়ে অহেতুক কথা না বলতে সহকর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন। তার উক্তিও অহেতুক কথা ছিল, কেননা তিনি ভালো করেই জানতেন, খোদ প্রধানমন্ত্রীই তার কথায় কান দেবেন না।
লক্ষণীয় যে, ওবায়েদুল কাদের যেদিন এ উক্তি করেছেন, সেদিনই দুর্নীতির অপবাদ মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করার পর আবার পেছনের দরজা দিয়ে মন্ত্রী হওয়া সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, সব শর্ত মেনে নিয়েও পদ্মা সেতু হবে। ফালতু কথার বাদশাহ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের বিবৃতি পদ্মা সেতুতে প্রতিকূল প্রভাব ফেলবে না।
মোক্ষম ভাঁড়ামি করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ওবায়েদুল কাদেরের বিবৃতির পরের দিন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি বিশ্বব্যাংকের সংস্কার দাবি করেছেন। বৈঠকে উপস্থিত কূটনীতিকরা অবশ্যই অট্টহাসি হাসেননি। সেটা কূটনৈতিক রীতির বিরোধী হতো। কিন্তু মনে মনে অবশ্যই তারা বিদ্রূপের হাসি হেসেছেন। এক বছর ধরে তারা জানেন যে বিশ্বব্যাংক চোরদের শনাক্ত করে তাদের শাস্তি দাবি করেছে; পদ্মা সেতুর আয়োজনের পর্যায়েই যারা ৩৫ মিলিয়ন ডলারের দুর্নীতি করেছে, তাদের নামের তালিকা দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে যথাযথ ব্যবস্থা দাবি করেছে।
সাধারণ পরিষদের সদস্যরা আরও জানেন, শেখ হাসিনা সবার দৃষ্টির অগোচরে বিশ্বব্যাংকের দাবি কার্যকর করে বহু কেলেঙ্কারি আর বহু সমস্যা এড়াতে পারতেন। কিন্তু দুর্নীতির কাদার ছিটা নিজের গায়ে লাগার কারণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পাল্টা বিশ্বব্যাংককেই দুর্নীতিবাজ বলে গালাগাল করেছেন। কূটনীতিকরা জানেন, চোর প্রথমে অন্যদের দিকে আঙুল দেখিয়ে ‘চোর চোর’ বলে পালানোর চেষ্টা করে। তার পরও ধরা পড়ে গেলে প্রথমে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। তারপর আজেবাজে কথা বলে ধূম্রজাল সৃষ্টির চেষ্টা করে। আর বাংলাদেশের মানুষ জানে সেই প্রবাদ বাক্যটা — চুরিতে চুরি, তায় আবার সিনাজুরি।
বিশ্বব্যাংকের বিবৃতি
মুহিত সাহেব বিশ্বব্যাংকের যে বিবৃতির কথা বলেছেন, সেটি প্রকাশিত হয়েছে ২৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার। তার আগে ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকার অবশেষে এবং আপাতদৃষ্টিতে বিশ্বব্যাংকের গত বছরের দাবিগুলো মেনে নিয়ে বিশ্বব্যাংককে চিঠি লেখে। তার পর থেকে মন্ত্রীরা সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টায় এই বলে বগল বাজাচ্ছিলেন—সরকার বিশ্বব্যাংকের শর্তগুলো মেনে নিয়েছে এবং তাতে সমস্যা মিটে গেছে; ব্যাংক এখন পদ্মা সেতুর অর্থায়ন করবে। সেটা যে অসত্য, নিদেন পক্ষে সত্যের বিকৃতি ছিল ২৫ সেপ্টেম্বরের বিবৃতিতে সেটাই বলে দেয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিবৃতির বিবরণ
মিডিয়ায় বাংলাদেশ সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তাদের উক্তি বলে প্রকাশিত বিবরণে পদ্মা বহুমুখী সেতুর অর্থায়ন সম্বন্ধে বিশ্বব্যাংকের অবস্থান বিকৃত করা হয়েছে, তাই ব্যাংক নিম্নোক্ত বিবৃতিতে প্রকৃত পরিস্থিতি পরিষ্কার করে দিচ্ছে।
বিশ্বব্যাংক বারবার করে সেতু প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির প্রমাণ বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছে, কিন্তু সরকারের দিক থেকে বিশ্বাসযোগ্য সাড়ার অভাবে ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দান প্রস্তাব বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।
সরকার ২০ সেপ্টেম্বর তারিখে (১) তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত দুর্নীতি পরিকল্পনায় জড়িত বলে সন্দেহভাজন সরকারি কর্মকর্তাদের সরকারি চাকরি থেকে ছুটিতে পাঠাতে, (২) দুর্নীতি দমন কমিশনের মধ্যে একটি তদন্ত ও অভিশংসন (প্রসিকিউশান) টিম গঠন করতে, এবং (৩) আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত বিশেষজ্ঞদের একটি দলকে তদন্তের সব বিবরণ খতিয়ে দেখার সুবিধা দিতে সম্মত হয়েছে; এই বিশেষজ্ঞ দল বিশ্বব্যাংককে এবং সরকারি তদন্তের ব্যাপারে পরামর্শ দেবে।
সরকার (২০ সেপ্টেম্বরের চিঠিতে) পদ্মা সেতুর অর্থায়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ করেছে।
বিশ্বব্যাংক সাধারণভাবেই বাংলাদেশে দুর্নীতি সম্বন্ধে, বিশেষ করে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি সম্বন্ধে এখনও উদ্বিগ্ন। আমরা পরিষ্কার বলে দিয়েছি, নতুন করে এ প্রকল্পে জড়িত হওয়ার আগে আমরা নতুন ব্যবস্থাবলী চাই, যাতে বিশ্বব্যাংক ও সহ-অর্থায়নকারীদের অধিকতর খবরদারির সুযোগ থাকবে।
এসব ব্যবস্থা সন্তোষজনকভাবে চালু হলে এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিশেষজ্ঞদের তদন্তের সন্তোষজনক রিপোর্ট পাওয়া গেলে তবেই শুধু বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে।
বাংলাদেশের জনসাধারণ একটা দুর্নীতিমুক্ত সেতু চায়। আমি দৃঢ়ভাবে দাবি করছি (অর্থায়ন নিয়ে) এগিয়ে যেতে হলে একটা বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত হতে হবে এবং স্বচ্ছতা ও বর্ধিত তদারকি নিশ্চিত করতে হবে।
অর্থায়ন করার কথা বিশ্বব্যাংকের। তারা বলছে, তারা এখনও টাকা দিতে রাজি হয়নি, শুধু কতগুলো নতুন শর্ত দিয়েছে। এই শর্তগুলোর মধ্যে আছে—বিশ্বব্যাংকের মূল দুর্নীতির অভিযোগগুলোর প্রতিকারে সরকার বহু ধানাইপানাই করে যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে সেগুলো প্রকৃতই প্রতিকার কিনা, নাকি বিশ্বব্যাংককে চোখ ঠারার চেষ্টা, সেটা তদন্ত করবে একটা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ টিম। তাছাড়া বিশ্বব্যাংক ঋণ দিলেও সেতু নির্মাণে সে ঋণ ব্যবহারের স্বচ্ছতা সম্বন্ধে একটা আন্তর্জাতিক খবরদারি ব্যবস্থা থাকবে। অর্থাত্ ব্যাংকের অভিযুক্ত দুর্নীতিবাজদের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা খাঁটি কিনা এবং ভবিষ্যতেও সেতু নির্মাণে যে দুর্নীতি হবে না, সেসব ব্যাপারে বিশ্বব্যাংক এখনও নিশ্চিত হতে পারছে না। ব্যাংকের বিবৃতিতে পরিষ্কার বলে দেয়া হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার তাদের নতুন শর্তগুলো মেনে নিলেই শুধু ব্যাংক অর্থায়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে রাজি হবে।
বিশ্বব্যাংক এখনও রাজি হয়নি
পদ্মা সেতুর অর্থায়ন করতে বিশ্বব্যাংক মোটেই রাজি হয়নি এখনও। এ অবস্থায় অস্থিরমতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের গত বুধবারের বিবৃতিটি জনসাধারণকে প্রতারণার, তাদের বোকা বানানোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তারা মিডিয়ায় প্রকৃত পরিস্থিতি বিকৃত করেছেন বলে বিশ্বব্যাংক যে বিবৃতি প্রচার করেছে, তাতে পদ্মা সেতুর অর্থায়নে কোনো প্রতিকূল প্রভাব পড়বে না।’ অর্থমন্ত্রী সত্য কথা বলেছেন কিনা এবং তার কথাগুলো বিশ্বাসযোগ্য কিনা সে বিবেচনা আমি পাঠকদের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছি।
লুইস ক্যারোলের ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’ বইতে জনৈক হোয়াইট নাইটের গল্প আছে। এ নাইট আনাড়ি, কিন্তু মহা দাম্ভিক। তিনি আদৌ ঘোড়ায় চড়তে জানেন না, বাঁ দিক থেকে ঘোড়ার পিঠে ওঠার চেষ্টা করলে ডান দিকে পড়ে যান। তবু তিনি ঘোড়ায় চড়ার কলাকৌশল সম্বন্ধে অনর্গল অ্যালিসকে বক্তৃতা দিয়ে চলেছেন। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হয়েছে সেই দশা। প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ বাসনা তার রাজনীতির মূল পুঁজি। বলতে গেলে বিগত পৌনে চার বছর বাংলাদেশে একটা গৃহযুদ্ধের অবস্থা চলছে। প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন বিশ্বনেতারা এবং বিশ্ববাসী সে কথা জানে না, তাহলে তিনি আহাম্মকের স্বর্গে বাস করছেন। কিন্তু শেখ হাসিনা নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে অধীর হয়ে উঠেছিলেন। নোবেল পুরস্কার কমিটি তাকে যোগ্য বিবেচনা করেনি, কমিটি নোবেল শান্তি পুরস্কার দিয়েছিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ দারিদ্র্যবিমোচনে তার গ্রামীণ ব্যাংক মডেলটি উদ্ভাবনের জন্য। ক্রোধে আর হতাশায় হাসিনা উন্মাদ হয়ে গিয়েছিলেন। গ্রামীণ ব্যাংকটি ধ্বংস করার আয়োজন তিনি প্রায় পাকা করে ফেলেছেন। ড. ইউনূসকে হতমান করার বহু চেষ্টা হাসিনা ও তার অনুসারীরা করেছেন এবং করে চলেছেন। কিন্তু বহির্বিশ্বের মানুষ সেটাকে দেখেছে আকাশে থুথু ফেলার চেষ্টার মতো।
বিদেশভ্রমণ শেখ হাসিনার প্রথম কাঙ্ক্ষিত প্রমোদ। সব সময় তিনি বিদেশে যাওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। বাংলাদেশ বিমানকে তিনি প্রায় দেউলিয়া করে ফেলেছেন। বিশেষ ফ্লাইটে বিমানের গোটা উড়োজাহাজ নিয়ে না গেলে তার মন ওঠে না। আত্মীয়-স্বজন, স্তাবক ও চাটুকার তো বটেই, কলামিস্টদের বিনোদন ও তাদের ‘মাথা ঠাণ্ডা করার’ জন্য তাদের তিনি দরিদ্র রাষ্ট্রের অর্থে বিদেশে নিয়ে যান, হোটেল ভাড়াসহ তাদের যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করেন। সেসব ভ্রমণে তিনি শানশওকতের সঙ্গে পরিবারের জন্মদিন পালন করেন। জুলাই মাসে তিনি লন্ডনে এসেছিলেন অলিম্পিকের উদ্বোধন দেখতে। সে উপলক্ষে মার্কিন নাগরিক ছেলে জয়ের জন্মদিন পালন করেছেন লন্ডনে। আগস্টে অলিম্পিকের সমাপনী অনুষ্ঠানেও তাকে লন্ডন আসতে হলো। এবারে পালিত হলো বোন রেহানার জন্মদিন বিলাসবহুল ও ব্যয়বহুল হোটেলে। সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের অজুহাতে নিউইয়র্কে গেছেন প্রধানমন্ত্রী পরিবার ও পারিষদদের নিয়ে এবং সাড়ম্বরে নাতনির জন্মদিন পালন করেছেন সেখানে।
প্রধানমন্ত্রী মানুষ হাসাচ্ছেন
হাসিনা বুঝতে পারেন না, তিনি মানুষ হাসাচ্ছেন। তার ছেলে মার্কিন নাগরিক। সে দেশের পুলিশ রেকর্ডে তার সুনাম নেই। পদ্মা সেতুর ব্যাপারে বিশ্বব্যাংক যে ৩৫ মিলিয়ন ডলারের দুর্নীতির অভিযোগ করেছে, কানাডার পুলিশ সে সম্বন্ধে আন্তর্জাতিক তদন্ত চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে তাদের তদন্তের মধ্যে আছে প্রধানমন্ত্রীর ছেলের একটি কনসালট্যান্সি কম্পানি এবং ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের আলেকজান্দ্রিয়া ও আর্লিংটনে তার দুটি প্রাসাদোপম অট্টালিকা ক্রয়ের অর্থের উত্স সম্বন্ধে। অলিম্পিক উদ্বোধনী উপলক্ষে লন্ডনে এসে তিনি ছেলেকে বাকিংহ্যাম প্রাসাদে নিয়ে গিয়ে রানী এলিজাবেথের সামনে হাজির করেছিলেন। উপরোক্ত দুর্নীতির ব্যাপারে কানাডার পুলিশ প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে-জামাইয়ের কানাডীয় পাসপোর্ট জব্দ করেছে। এবারে নিউইয়র্কে তিনি প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে ফটো সেশনে সেই মেয়েকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে হাজির করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সমাজকে কী সঙ্কেত পাঠাতে চাইছেন, তিনিই জানেন। তিনি কি বোঝাতে চাইছেন, বাংলাদেশে একটা রাজতন্ত্র চলছে, আর সে রাজপরিবারের সদস্যদের চিনে রাখা বিশ্ব নেতাদের উচিত?
নিউইয়র্কে শেখ হাসিনা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় ঔদ্ধত্য শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বক্তৃতায়। তিনি বিশ্বব্যাংকের সংস্কার দাবি করেছেন। বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে তার আক্রোশের কারণ কারও অজানা নয়। এ ব্যাংককে তিনি দুর্নীতিবাজ বলে বহু গলাবাজি করেছেন। এর আগে সরকারের ভেতর থেকে দুর্নীতি দূর করা কি শেখ হাসিনার জন্যে বেশি শোভন হতো না? ইংরেজি প্রবাদে আছে : ‘হিলার হিল দাইসেল্্ফ’—ডাক্তার, আগে নিজের অসুখ সারাও। আর, হ্যাঁ, বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করলে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কিছু বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরে পাওয়ার আশা করতে পারতেন।
(লন্ডন, ৩০.০৯.১২)

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads