সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩

রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা


গত রোববার ও সোমবার মার্চ ফর ডেমোক্রেসিকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দল এবং সরকার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, প্রতিহিংসা, একনায়কতন্ত্র, গু-ামী ও মিথ্যাচার এবং হীনমন্যতার যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সভ্য সমাজের ইতিহাসে এর দৃষ্টান্ত বিরল। বিরোধী দলের ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী ঢাকামুখী অভিযাত্রার গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করার জন্য তারা নৌ ও সড়ক পথের সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ করে দিয়ে সারাদেশের মানুষের জন্য এক ভয়াবহ সঙ্কট সৃষ্টি করেছেন। ঢাকার আবাসিক হোটেলসমূহ, রেস্টহাউজ ও বাসাবাড়িতে গ্রেফতার ও তল্লাশির নামে পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। পুলিশ পাহারায় মারমুখী সরকারি দল জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে দফায় দফায় হামলা করেছে। সুপ্রীম কোর্টের মূল ফটক ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে আইনজীবীদের ওপর নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে। হামলাকালে তাদের হাতে লাঠি, উইকেট স্ট্যাম্প, লগি-বৈঠা ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তাদের হামলায় এবং বেধড়ক মারধরে প্রায় বিশজন আইনজীবী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। এর মধ্যে রেহানা পারভীন ও সিনথিয়া নামক দুইজন মহিলা আইনজীবীও রয়েছেন। এডভোকেট সিনথিয়া আওয়ামী লীগ কর্মীদের লাঠির আঘাতে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন এবং সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করতে থাকেন। তাকে বিবস্ত্র করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত ও টিভি চ্যানেলসমূহে সম্প্রচারিত ছবিতে তার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে এই যে, এই মহিলা আইনজীবীর চিৎকারে র‌্যাব, পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্য এগিয়ে আসেননি। গত মে মাসে হেফাজতের কর্মসূচি চলাকালে দিগন্ত ভবনের নীচে একজন মহিলা সাংবাদিককে কে বা কারা ধাওয়া করেছিল। দিগন্ত টিভির সাংবাদিক, শিবির ও হেফাজত কর্মীরা তাকে উদ্ধার করেছিলেন। এনিয়ে হেফাজত ও ধর্মভিত্তিক দলগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের নারী সংগঠন এবং মানবাধিকার কর্মীরা বিক্ষোভ ও আন্দোলনের ঝড় তুলেছিল। আমি বিস্মিত হই ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা এই মহিলা আইনজীবীদের যখন লাঠিপেটা করে রাস্তায় ফেলে দিলেন এবং তাদের বিবস্ত্র করলেন তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিস্ক্রিয় থাকার কারণ কি ছিল? আমাদের নারী আন্দোলনের নেতা-নেত্রী এবং মানবাধিকার কর্মীরা এর বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটিও করলেন না কেন? গতকাল সোমবার প্রকাশিত দেশের দৈনিক পত্রিকাগুলোর কোথাও এর বিরুদ্ধে একটি বিবৃতি পর্যন্ত প্রকাশিত হতে দেখা যায়নি। এর কারণ জানার আবেদন রেখে আজকের লেখাটি আমি শুরু করছি।
সরকারের পেটোয়া বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপরেও হামলা করেছে এবং এই হামলায় সাতজন শিক্ষক এবং দুইজন শিক্ষিকা আহত ও লাঞ্ছিত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম জিয়াকে তার বাসা থেকে বের হতে দেননি। তারা নানারকম প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে তার পল্টন যাওয়া থামিয়ে দিয়েছেন এবং এ জন্যে তার বাড়ির সামনে ১৩ প্লাটুন পুলিশসহ র‌্যাব ও বিজিবির শত শত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের যত প্রতিবন্ধকতা, গ্রেফতার, নির্যাতন, অবরোধ, জলে, স্থলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়ার একটি কারণ তারা প্রদর্শন করেছেন এবং তা হচ্ছে তারা বিরোধী দলের ঢাকামুখী অভিযাত্রার পেছনে নাশকতা সৃষ্টির তথ্য পেয়েছিলেন এবং এই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই তারা জনগণের নিরাপত্তার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। অভিজ্ঞজনদের প্রশ্ন, বাংলাদেশের গোয়েন্দারা শুধু বিরোধী দল দমনের জন্যই কি সরকারকে তথ্য প্রদানে পারঙ্গম? ২০০৯ সালে বিডিআর হত্যাযজ্ঞে যখন ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে তাদের লাশ অবমাননা করা হলো, ড্রেনে ফেলে দেয়া হলো এবং তাদের পরিবার-পরিজনের উপর অমানুষিক নির্যাতন করা হলো তখন এই গোয়েন্দারা কোথায় ছিলেন? সামরিক, বেসামরিক গোয়েন্দারা কেন সরকারকে কোন তথ্য দিতে পারেননি কিংবা তথ্য দিলেও সরকার কেন কোন ব্যবস্থা নেয়নি? আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করার জন্যই কি সরকার গোয়েন্দা তথ্য আমলে নেননি? আর যদি গোয়েন্দারা কোন তথ্য না দিয়েই থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি কেন? এই প্রশ্নের জবাব এখনও পাওয়া যায়নি। সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখন নিরাপত্তার দোহাই দিচ্ছেন এবং নিরাপত্তার খাতিরে ঢাকায় সমাবেশ করতে দিচ্ছেন না। অথচ দেখা যাচ্ছে পুলিশ ও সরকারদলীয় ক্যাডাররা লাঠি ও অস্ত্র নিয়ে প্রেসক্লাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় হামলা করছেন। এতে নিরাপত্তার কোন সমস্যা হচ্ছে না। তাদের হামলা ও তা-ব, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের অবমাননা এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি এগুলো কি নাশকতার আওতায় পড়ে না? এতে কি জননিরাপত্তা বিঘিœত হচ্ছে না?
আমাদের দেশের ভোটাররা অত্যন্ত সাধারণ মানুষ। তাদের প্রত্যাশা সামান্য। তাদের বাড়িগাড়ি, প্লট-ফ্ল্যাট, লাইসেন্স, ঘুষ-রিসওয়াতের সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন নেই। প্রতি ৫ বছর অন্তর অন্তর তারা তাদের পছন্দের সরকার গঠনের আকাঙ্খা পূরণের জন্য একটি ভোট দিতে চান। ভোট দেয়া তাদের অধিকার। মত প্রকাশের স্বাধীনতা, দল করার, প্রতিবাদ করার, সভা-সমাবেশ করার অধিকার হচ্ছে তাদের সংবিধান প্রদত্ত অলঙ্ঘনীয় অধিকার। এই অধিকার থেকে সরকার তাদের বঞ্চিত করছেন এবং প্রহসনের নির্বাচন করে তাদের উপর দুর্নীতিপরায়ণ ও ক্ষমতালিপ্সু স্বৈরতান্ত্রিক একটি সরকার চাপিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন। তাদের উপর ফ্যাসিবাদ চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা যখন প্রতিবাদ করছেন, তখন তাদের প্রতিবাদের ভাষা এবং বাহন দুটিই কেড়ে নেয়া হচ্ছে। সরকার তাদের বিক্ষোভ প্রতিবাদকে দেশে-বিদেশে সন্ত্রাসী কর্মকা- হিসেবে অভিহিত করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। নির্বাচনের যে প্রহসন তারা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন তা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে খ্যাতনামা বৃটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট বলেছে যে, এতে আওয়ামী লীগ জিতবে কিন্তু বাংলাদেশ হারবে। বাংলাদেশ হারার অর্থ ১৬ কোটি মানুষের পরাজয়। একটি স্বাধীন দেশের ষোল কোটি মানুষকে ক্ষমতালিপ্সু একটি দলের গোলাম বানানো যায় না এবং এই জন্যেই বিরোধী দল-মানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পুনঃস্থাপন এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ভিত্তি মজবুত করার জন্যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। এখানে নাশকতার কোন প্রশ্ন ছিল না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, সরকার বিরোধী দলের কল্পিত নাশকতা ঠেকানোর নামে নিজেরাই নাশকতা সৃষ্টি করে জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছেন। এর বিরুদ্ধে দেশবাসীর রুখে দাঁড়ানো প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী মানুষকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলেন। কিন্তু তার এই একদলীয় নির্বাচনে দেশের ১৫৪টি আসনের ১০০ শতাংশ ভোটারের ভোটাধিকার তিনি হরণ করেছেন এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এসব আসনে তার দলীয় ¯েœহভাজনরা নির্বাচিত হয়ে গেছেন। এখন ১৪৬টি আসন বাকি। এই আসনগুলো পূর্ব নির্ধারিত আঁতাতের ভিত্তিতে ভাগ-বাটোয়ারার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। নির্বাচন এখন প্রহসন মাত্র। দেশের আশি থেকে নব্বই শতাংশ লোক এখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চলে গেছে। দশ ভাগ ডাইহার্ড নেতাকর্মী ছাড়া কেউ আওয়ামী লীগকে আর পছন্দ করেন না। আবার এই দশভাগের মধ্যে রয়েছেন অবৈধ পন্থায় গত পাঁচ বছরে কোটি কোটি টাকার বিত্তবৈভবের মালিক হওয়া মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা, এমপি এবং দল ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী।
ভারত ছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এখন বাংলাদেশের আর কোন বন্ধু নেই। সমস্ত পৃথিবীর মতামতকে উপেক্ষা করে তারা এককভাবে হাসিনার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তাদের উৎসাহ-উদ্দীপনায় হাসিনা জামায়াত-বিএনপিসহ দেশের সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোকে নির্মূল করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন। কিন্তু কেন? ভারতের এতে স্বার্থ কি?
এ প্রসঙ্গে ১৯৭২ সালের মার্চ মাসে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে লেখা সিরাজ শিকদারের একটি খোলা চিঠির কিছু অংশ এখানে উদ্ধৃত করছি। চিঠিতে তিনি ইন্দিরা গান্ধীকে বলেছেন,
“১. আপনার সেনাবাহিনী মিত্র বাহিনী। পাক বাহিনীর কয়েক শত কোটি টাকার যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম ভারতে নিয়ে গেল। (বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী লক্ষ কোটি হবে)। কলকারখানা, তার যন্ত্রাংশ, গাড়ি, উৎপাদিত পণ্য, পাট, চা, চামড়া, স্বর্ণ-রৌপ্য, ভারতে পাচার করল। আপনি কিছুই বললেন না।
২. আপনি নিজেকে মুক্তি সংগ্রামী বলে জাহির করেন। নাগামিজো, কাশ্মীরী ও শিখদের মুক্তি সংগ্রামকে কেন আপনি ফ্যাসিবাদী উপায়ে দমন করছেন। ইহা কি প্রমাণ করে না যে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে আপনি পূর্ব বাংলার মুক্তি সংগ্রামে সহায়তার বেশ ধরেছেন? আপনার উদ্দেশ্য উপনিবেশ স্থাপন, হারানো পশ্চাৎভূমি পুনরুদ্ধার, পূর্ব বাংলাকে শোষণ লুণ্ঠন করে আপনার আর্থিক ও রাজনৈতিক সংকট নিরসন এবং চীনকে প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে ঘাঁটি স্থাপন।
৩. পূর্ব বাংলায় আপনি ঔপনিবেশ কায়েম করেছেন, যারা আপনার ঔপনিবেশবাদে রাজী নন তাদের আপনি হত্যা করছেন। তাদের সন্ত্রাসী নকশাল নামে অভিহিত করছেন।
৪. আপনার তাঁবেদারদের শোষণ লুণ্ঠনের ফলে পূর্ব বাংলা এখন অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়ছে......।”
পাঠকরা সিরাজ শিকদারের এই চিঠিটির বিষয়বস্তুর সাথে পূর্ব বাংলা তথা বাংলাদেশের বর্তমান চিত্রটি একবার মিলিয়ে দেখতে পারেন। ভারতীয় তাঁবেদারদের অত্যাচার, নিপীড়ন, দুঃশাসন, লুটপাট ও দুর্নীতিতে বাংলাদেশ আজ পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছে। যে গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এদেশের মানুষ পিন্ডির আধিপত্য থেকে দেশকে মুক্ত করে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি করেছিল, দিল্লীর আধিপত্যের জাঁতাকলে তারা এখন পিষ্ট ও নিপীড়িত। গণতন্ত্র এখন স্বৈরতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদের বগলদাবা হয়ে প্রাণ রক্ষার জন্য আর্তনাদ করছে।
আমি এর আগেও একাধিকার বলেছি যে, আমাদের দেশে আওয়ামী লীগ নামক দলটির ঐতিহ্য ফ্যাসিবাদ। গণতন্ত্রের সাথে এই দলের কোন সম্পর্ক নেই। সন্ত্রাস এবং ফ্যাসিবাদকে লালন করেই তাদের উৎপত্তি এবং বিকাশ।
পাঠকদের অনেকেই জানেন ভারতে একটি সম্প্রদায় আছে যাদের পরিবারে স্ত্রীরা পালঙ্কে শোয়, স্বামীরা শোয় নীচে। এই অদ্ভূত প্রথার পিছনে একটি ঐতিহাসিক কারণ রয়েছে। এই সম্প্রদায়টি নাকি রাজপুতদের বংশধর। বাদশাহ আওরঙ্গজেবের সাথে প্রায় তিন দশক যুদ্ধ করে এদের পুরুষদের প্রায় সবাই প্রাণ হারিয়েছিল। মেয়েদের জন্য বর পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু যৌবন আর বয়স তো বসে থাকে না। শেষ পর্যন্ত রাজপুত মেয়েরা বাড়ির চাকর-বাকরদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও প্রভু-ভৃত্যের পুরনো সম্পর্ক অনুযায়ী বৌদের সামনে নব্য স্বামীরা চেয়ার-টেবিলে বসত না, একই খাটে শোয়াও তারা দারুণ বেয়াদবি মনে করত। এরই ধারাবাহিকতায় তারা বৌ’দের সাথে খাটে না শুয়ে নীচে শুয়ে ঘুমাতো। এই প্রথাটি এখনো প্রচলিত আছে। গণতন্ত্রের সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক প্রায় একই ধরনের। তারা অবশ্য আরো এক ধাপ এগিয়ে গেছেন এবং গণতন্ত্রের সাথে এর ফলে তাদের সহঅবস্থান কঠিন হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় যারা আওয়ামী লীগের কাছ থেকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রত্যাশা করেন তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করেন বলে আমার বিশ্বাস। কেন না আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণন্ত্র প্রতিষ্ঠার নয়, গণতন্ত্র ধ্বংসের ইতিহাস।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads