মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৪

ইমরান খান : পাকিস্তানের শাহবাগী


 ২০১২ সালে পাকিস্তান সরকারের আমন্ত্রণে ১০ দিনের জন্য ঐ দেশ সফরে গিয়েছিলাম। উত্তরমুখী লম্বা দেশ। তখন সমুদ্র তীরবর্তী করাচীতে তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর ইসলামাবাদে মাইনাস ২ ডিগ্রী ক্ষমতায় ছিল আসিফ আলী জারদারীর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি। এর নেতা ছিলেন জুলফিকার আলী ভূট্টো। পরে তার কন্যা বেনজীর ভূট্টো। আসিফ আলী জারদারী বেনজীর ভূট্টোর স্বামী। বেনজীর যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন গোটা বিশ্ব মিডিয়ায় তার নাম এই বলে খ্যাত হয়েছিল যে, তিনি ‘মিস্টার টেন পার্সেন্ট’। ২০০৯ সালে নির্বাচনী প্রচারাভিযানকালে বেনজীর আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। তার জন্য তৎকালীন সেনা-শাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফকে সাধারণভাবে দায়ী করা হয়। বেনজীর ভূট্টোর হত্যাকা-ের পরে পাকিস্তানজুড়ে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রতি সাধারণ মানুষের ব্যাপক সহানুভূতি সৃষ্টি হয়। পিপিপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। জারদারী সরকার গঠন করে।
আমরা যে দলটি পাকিস্তান গিয়েছিলাম, সেই দলের গাইড ছিলেন একজন সরকারী কর্মকর্তা। তাদের শিডিউল অনুযায়ী তারা আমাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ লোকের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেছিল। তাদের মধ্যে কূটনীতিক ছিলেন। সাংবাদিক ছিলেন। টেলিভিশনের উপস্থাপক ছিলেন। মন্ত্রী ছিলেন। সচিব ছিলেন। আর ছিলেন কিছু সংখ্যক তরুণ গবেষক, যারা আমাদের তরুণদের মতোই সংক্ষুব্ধ এবং বাংলাদেশবিরোধী। তরুণদের মধ্যেই সেটা প্রবলভাবে লক্ষ্য করলাম। তাদের কথা একটাই ছিল। তোমরা পাকিস্তান ভাঙলে কেন? তাতে তোমাদের কী সুবিধা হয়েছে? যদি অখ- পাকিস্তানের সঙ্গে থাকতে তাহলে তোমাদের শক্তি, সামর্থ্য, মর্যাদা অনেক বেশি হতো। যেসব তরুণ গবেষক, এমফিল, পিএইচডি, ফেলো আমাদের এইসব প্রশ্ন করছিলেন, তাদের সবার বয়সই ছিল ত্রিশের কোঠায়। আমাদের দলে সবচাইতে জুনিয়র যিনি ছিলেন তারও বয়স ছিল পঞ্চাশোর্ধ্ব। আমি তখন ষাটের ঘরে। বাকি দুইজন সত্তরে।
সেখানকার একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধ করেছেন এমন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ারও ছিলেন। এরপর একাধিক পার্টিতে মেজর জেনারেল বা লেফটেন্যান্ট জেনারেল কর্মকর্তাদের সাথেও সাক্ষাৎ হয়েছে। উচ্চপদস্থ অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তারা আমাদের কেবল আপ্যায়নই করতে চেয়েছেন। পুরানো বেদনাদায়ক স্মৃতি রোমন্থনের দিকে যেতে চাননি। কিন্তু তরুণরা ছিলেন নাছোড়বান্দা। তাদের হাজারো প্রশ্ন। কেন তোমরা পৃথক হলে? কেন আমরা পাকিস্তান (পূর্ব-পশ্চিম) উভয়প্রান্তে বড় বেশি দুর্বল হয়ে গেলাম? গবেষণা আমিও করেছি। তাদের দোষ দেই না। তাদের ভেতর উত্তেজনা ছিল। হতাশা ছিল। এরকম একটা ভাবও ছিল যে, আমরাই বোধ করি পাকিস্তান ভাঙলাম।
আমি তাদের বললাম, পাকিস্তান আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানসহ পূর্ব বাংলা তথা পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতিকদের যে অসাধারণ ভূমিকা ছিলো সে সম্পর্কে আপনাদের সম্যক উপলব্ধি থাকা প্রয়োজন। আমার ধারণা হচ্ছে, সে উপলব্ধি আপনাদের নেই। তা যদি থাকতো, তাহলে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সামরিক রাজনৈতিক নেতৃত্বে যে অদূরদর্শিতার পরিচয় মিলল, আপনারা তার বিরুদ্ধে বলতেন। আমি তো ইসলামাবাদ থেকে রাওয়ালপিন্ডি যাওয়ার পথে আপনাদের দেওয়ালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল কাশেম ফজলুল হক (শেরে বাংলা)-র মুরাল দেখলাম। এই ৪২ বছরের মধ্যেও আপনারা তা মুছে ফেলেননি। অর্থাৎ পাকিস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলনে পূর্ব পাকিস্তানের এই নেতাদের অবদান আপনারা স্বীকার করে নিয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে সেইজন্য আমি কৃতজ্ঞ।
কিন্তু কী ঘটল ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর? শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ গোটা পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলো। তাকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী করতে কেনো জুলফিকার আলী ভূট্টো, জেনারেল ইয়াহিয়া খান ও পাকিস্তানের সামরিক বেসামরিক আমলাতন্ত্র অস্বীকার করলো। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর খাজা নাজিমউদ্দিন, বগুড়ার মোহাম্মদ আলী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। কই আপনাদের পূর্ব পুরুষেরা তো তার প্রতিবাদ করেনি? বরং তাকে স্বাগতই জানিয়েছিলেন। পাকিস্তানের রাজনৈতিক-সামরিক ইতিহাস অনেক ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ। সে ইতিহাস গবেষক হিসেবে আপনাদের জানার কথা। যদি তা না জেনে থাকেন, আপনাদের কাছে আবেদন জানার চেষ্টা করুন। আগেও যেমন, তেমনি শেখ মুজিবুর রহমান গোটা পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হয়েছিলেন। তার প্রধানমন্ত্রী হতে কোনো বাধা ছিল না। তাহলে ষড়যন্ত্র কেন করা হলো? খাজা নাজিমউদ্দিন, বগুড়ার মোহাম্মদ আলী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী  এরা সবাই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কোনো সমস্যাও হয়নি। কোনো উচ্চবাচ্যও হয়নি। তাহলে শেখ মুজিবের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা তো ছিল না। তারপরেও পাকিস্তান পিপলস পার্টির জুলফিকার আলী ভূট্টো এবং পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র মিলে শেখ মুজিবকে প্রধানমন্ত্রী না হতে দিয়ে যে কলঙ্কজনক অবস্থার সৃষ্টি করেছিল, তার জন্য দায়ী জুলফিকার আলী ভূট্টো ও জেনারেল ইয়াহিয়া খান।
তরুণেরা তখন প্রশ্ন করেছিল এই যদি আপনার উপলব্ধি হয়, তাহলে আপনি কেন মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে গেলেন? আমি সাফ সাফ জবাব দিলাম, আমার আর কোনো অপশন ছিল না। আমার বয়স তখন ১৮। টগবগে তরুণ। আমি যদি পালিয়ে বেড়াতে থাকি, তাহলে একদিন না একদিন পাকিস্তানী সেনাবাহিনী আমাকে ধরে হত্যা করবে। মৃত্যু যখন অবধারিত, তখন লড়াই করে মরাই ভাল। ধারণা করি, আপনাদের জীবনে এমন দিন এলে আপনারাও সেরকমই চিন্তা করবেন। আপনারা কেউ বাংলাদেশে যাননি। আমাদের জাতীয় স্টেডিয়াম কাকে বলে আপনারা দেখেননি। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ যখন কারফিউ শিথিল হলো, তখন আমি ৬ কিলোমিটার দূরে আমার এক নিকট আত্মীয়ের বাসায় ছুটলাম। হেঁটে। দৌড়ে। যখন স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে পার হচ্ছিলাম, তখন দেখলাম, স্টেডিয়ামের গেটগুলোতে লাশের স্তূপ। রক্তে ভেসে যাচ্ছে প্রান্তর। খুব স্বাভাবিকভাবেই মনে হলো, আমার সীমিত শক্তি দিয়ে এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ করতে হবে। এবং আমি তাই করলাম। এই দৃশ্য দেখার পর আমার পক্ষে কিছুতেই আর যৌক্তিকভাবে পাকিস্তান দরকার ছিল, সেটি মনে করার সকল কারণ অবলুপ্ত হলো। আমিও মনে করলাম, যদি মরতেই হয়, পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেই মরবো।
সে যুদ্ধে আমরা জিতেছি। আপনারা হেরে গেছেন। হেরে গেছেন আপনাদের ভুল নেতৃত্বের কারণে। ইয়াহিয়া এবং ভূট্টো, আমাদের অনেক ঠোঁটকাটা বন্ধু বলে, যদি বাংলাদেশে কাউকে জাতির পিতা ঘোষণা করতে হয়, তাহলে ভূট্টোকেই করা উচিত। কই এতক্ষণ ধরে যে এত আলোচনা হলো, আপনারা কেউ তো ভূট্টো বা ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে একটি বাক্যও উচ্চারণ করলেন না। তারা ছিলেন, প্রতারক ও শঠ। এবং সেই কারণেই ভারতের কাছে পাকিস্তানের ভয়াবহ পরাজয় হয়েছে। ঐ তরুণদের ক্ষোভ প্রধানত সেখানেই। তাদের হিসেবে বাংলাদেশের কারণেই পাকিস্তানকে ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে। ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের ক্ষেত্রে এতবড় অসম্মান আর কখনও ঘটেনি। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে ঐ তরুণদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে, এই জন্য ভূট্টো-ইয়াহিয়াই দায়ী ছিলেন, শেখ মুজিব নন।
ইমরান খান সম্পর্কে লিখতে গিয়ে এতবড় গৌরচন্দ্রিকা বোধ করি দরকার ছিল না। পাকিস্তান সফরকালে আমাদের যে গাইড ছিলেন, তিনি হয়তো সততার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের, টিভি উপস্থাপকদের আমাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন। বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে তাদের সঙ্গে সাক্ষাত হয়। খুব নাকি জনপ্রিয় এক উপস্থাপকের সঙ্গে একদিন সাক্ষাৎ হলো। তিনি বললেন, ইমরান খানই হবেন পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী। ইমরান খান বিশ্বে সাড়া জাগানো ক্রিকেটার ছিলেন। তার ব্যক্তিজীবনও বহুলভাবে আলোচিত। ইমরান খান কেন আগামী নির্বাচনে জিতবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে গাইড আমাকে একটা টিভি অনুষ্ঠান দেখালেন। তাতে দেখলাম, ইমরান খানের এক জনসভার চিত্র। ইমরান খান তখনও অনুষ্ঠানে আসেননি। কিন্তু মঞ্চে তরুণ-তরুণীরা ব্যান্ডের তালে তালে লাফালাফি করে বেশ এক আনন্দময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করলেন। আমাদের গাইডও নিশ্চিত ছিলেন যে, আগামী নির্বাচনে ইমরান খানের নবগঠিত দলই বিরাট বিজয় অর্জন করবে। আমি তাকে বললাম, এটা অসম্ভব। পাকিস্তানের রক্ষণশীল সংস্কৃতি ভেঙে ইমরান খান শহুরে কিছু পোলাপান নিয়ে যা করতে চাচ্ছেন, তা এক ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে। আগামী নির্বাচনে ইমরান খানের জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই। ঐ কর্মকর্তা হেসে বললেন, দেখো, ইমরানই প্রধানমন্ত্রী। আমি তর্ক বাড়াইনি।
২০১৩ সালে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পাকিস্তানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই নির্বাচনে নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয় লাভ করে। তার আগে ক্ষমতায় ছিল আসিফ আলী জারদারীর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি। ঐ নির্বাচনে নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ ৩৪২ আসনের মধ্যে ১৯০ আসনে জয়লাভ করে। পাকিস্তান পিপলস পার্টি পায় ৪৭ আসন। ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি পায় ৩৪ আসন। কওমী মুভমেন্ট ২৪ আসন, জমিয়াত উলামায়ে ইসলামী ১৩, মুসলিম লীগ (এফ) ৫, জামায়াতে ইসলামী ৪। অন্যরা এক-আধটি করে আসন লাভ করে। সেই সরকারের এক বছর এখনও পূর্ণ হয়নি। হুট করেই ইমরান খান সাহেব নওয়াজ শরীফ সরকারের বিরুদ্ধে একেবারে জেহাদ ঘোষণা করে বসলেন। নির্বাচনের প্রায় এক বছর পর তার হঠাৎ মনে হলো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এখানে নওয়াজ শরীফের দল নানাভাবে কারচুপি করেছে। অতএব আবার নির্বাচন দিতে হবে। এমন উদ্ভট ও হাস্যকর দাবী পৃথিবীর কে কোথায় গ্রহণ করবে? ইমরান খানের ধারণা ছিল সেনাবাহিনী তাকে সমর্থন দিবে এবং নওয়াজ শরীফ সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে। সেটিও ঘটেনি। কার্যত ইমরান খান এখন পথের ভিখারি। কিন্তু ইমরান খানের আক্কেলজ্ঞানের অভাব আছে। তার দল জাতীয় সংসদের ৩৪২ আসনের মধ্যে মাত্র ৩৪ আসনের মালিক। নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ পেয়েছে ১৯০ আসন। জারদারীর পাকিস্তান পিপলস পার্টি পেয়েছে ৪৭ আসন। ইমরান বুঝতেই পারছেন না যে, হি ইজ মিস্টার নোবডি।
তারপরেও তিনি ঘোষণা দিলেন যে, নওয়াজ শরীফ পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ১০/২০ হাজার লোক নিয়ে তিনি পার্লামেন্ট ভবন ঘেরাও করেছিলেন। রেড জোনে ঢুকে গিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, ৩৪ আসন দিয়ে ১৯০ আসনের পতন ঘটাবেন। ব্যাপারটা যে অতটা সহজ নয়, তা তিনি বুঝতে পারেননি। বাংলাদেশে শাহবাগীদের মতো এক আন্দোলনের ঘোরে ইমরান খান অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তার চাইতেও বড় দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির জারদারী নওয়াজ শরীফের লাঞ্চে এসে বলেছেন, নির্বাচনে কোনো কারচুপি হয়নি। তিনি নওয়াজ শরীফের সরকারকে সমর্থন করেন। এখন ইমরানের অবস্থা শাহবাগীদের মতো। এ-ওকে লাথি মারে। ও-একে লাথি মারে। পাকিস্তান পিপলস পার্টি নওয়াজ শরীফকে সমর্থন দেওয়ায় এখন চিল্লাপাল্লা ইমরান একেবারেই চুপসে গেছেন। নওয়াজ শরীফ রাষ্ট্রনায়কোচিত মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন। ইমরান খান ১০/২০ হাজার লোক নিয়ে সংসদ ভবন ঘেরাও করার চেষ্টা করেছিলেন। নওয়াজ শরীফ যদি চাইতেন, তাহলে ১০ লক্ষ লোক হাজির করে ইমরান খানের লোকদের পিষে ফেলতে পারতেন। ধন্যবাদ, নওয়াজ শরীফ। আপনি গণতন্ত্রের পথ ছেড়ে স্বৈরতন্ত্রের দিকে যেতে চাননি। বাংলাদেশে শাহবাগীদের যে পতন হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ বিরোধী নব্য-শাহবাগী ইমরান খানের তেমন পতন অনিবার্য।
পাদটীকা :
লেখাটি শেষ করে ফেলেছিলাম। প্রেসে পাঠানোর আগে ইমরান খানের রাজনীতিতে নতুন ডাইমেনশন দেখা দিল। মাত্রাহীন হঠকারিতার কারণে তার দলের ৩৪ সদস্যের ১৩ জন সংসদের আলাদা গ্রুপ করেছেন যা আশংকা করেছিলাম, তেমন পতন অভিমুখে এখন ইমরান খান। মর্ত্যরে দিকে উল্কার গতিতে নামতে শুরু করেছেন। (২৫ আগস্ট ২০১৪)
ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads