শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৪

আন্দোলনের ঘোষণা ও সরকার পক্ষের আস্ফালন


এক ॥ সাবেক প্রধানমন্ত্রী, ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঈদের পর সরকার বিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন। সরকারের জুলুম, নির্যাতন, হত্যা, গুম, খুন, অপহরণ ও দেশব্যাপী নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে এ আন্দোলনের আহ্বান। পবিত্র মাহে রমযানে যতগুলো ইফতার মাহফিলে তিনি যোগ দিয়েছিলেন, তার প্রায় প্রত্যেকটিতেই প্রদত্ত বক্তব্যে আন্দোলনের জন্য জনগণকে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়ার আন্দোলনের ঘোষণা ও বিএনপির মহানগর কমিটি পুনর্গঠন, জনগণের কাছে আন্দোলনের প্রস্তুতি সম্পর্কে একটি মেসেজ দিয়েছে। ২০ দলীয় জোটনেত্রীর আন্দোলনের ঘোষণার জবাবে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী, এমপি, সরকার দলের নেতাগণ এক ধরণের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে নানা ব্যাঙ্গাত্মক ভাষায় বিদ্রƒপ, হাসি মসকরা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন “দেখা হবে ময়দানে।” সরকার দলের নেতাদের বক্তব্যে সংযমহীনতা, ঔদ্ধত্য, আস্ফালন, বেপরোয়া ও দাম্ভিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। জনগণের সমর্থন ছাড়া যারা ক্ষমতা দখল করেন তাদের বৈশিষ্ট্য এটাই। এ সরকারের প্রতি জনগণের কোনো সমর্থন নেই। সরকারেরও জনগণের এবং দেশের প্রতি কোনো ভালবাসা নেই। গোটা দেশ সরকারের দুঃশাসন ও জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। কড়াই উত্তপ্ত হলে যে অবস্থা, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও বর্তমানে সেরকমই। সরকার মনে করেছে বিরোধী দলের আন্দোলন আকাশে মেঘের গর্জনের মতো। যত গর্জায় তত বর্ষায় না। কিন্তু জনগণের মধ্যে যে প্রচ- ক্ষোভ, যন্ত্রণা ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা যে টর্নেডো, সাইক্লোন, সিডরের চাইতেও ভয়ঙ্কররূপে এ সরকারের উপর মহাপ্রলয় ডেকে আনতে পারে সরকার হয়তো সেটা উপলব্ধি করতে পারছেন না।
বিরোধী দলের বিনয়কে দুর্বলতা ভাবা, প্রতিপক্ষকে তুচ্ছজ্ঞান, আইনের সীমা অতিক্রম, ধরাকে সরাজ্ঞান করা বর্তমান ক্ষমতাসীনদের এক দূরারোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ মনে করছেন, ক্ষমতা থেকে কেউ তাদেরকে অপসারণ করতে পারবে না। তারা বলছেন, দেশ চলছে সুষ্ঠুভাবে। উন্নতি হচ্ছে। সুতরাং তারা ৫ বছরের পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকবেন।
কিন্তু প্রকৃত চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। যে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীয় বর্তমান মেয়াদে ক্ষমতা দখল করেছে তা কোনো নির্বাচনই নয়। এই নির্বাচন দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্য হয়নি। আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার নির্লজ্জভাবে কেড়ে নিয়েছে। নির্বাচনভিত্তিক গণতন্ত্রের যে ধারা বাংলাদেশে সুচিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ তার কবর রচনা করেছে। এরপর উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, ভোট জালিয়াতি, ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের মহোৎসব করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচন কমিশন আওয়ামী দলীয় ক্যাডারের মতো ভূমিকা পালন করেছেন। দুনিয়ার ইতিহাসে মানুষের ন্যায্য ভোটাধিকার এমন নগ্নভাবে হরণ করার ঘটনা পৃথীবির আর কোথাও হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। নির্বাচনবিহীন এ সরকারের ক্ষমতা দখলকে যদি মেনে নেয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যতে গণতন্ত্র, নির্বাচন পদ্ধতির কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। জোর জবরদস্তি করে ক্ষমতা দখলের পথ উন্মুক্ত হবে। যে জাতি তার ভোটের অধিকার রক্ষা করতে পারে না, পৃথিবীর কোথাও সে জাতির কোনো স্থান নেই।
৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীনির্ভর একটি দলে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে এ সরকার। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আওয়ামী সরকারের ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। পুলিশ নানা অপরাধ ও কেলেঙ্কারীতে জড়িয়ে পড়েছে। পুলিশী বর্বরতায় জনগণ আজ অতিষ্ঠ। বিগত ৫ বছর সীমাহীন ব্যর্থতা ও হাজারো কেলেঙ্কারি মাথায় নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা অবস্থায় আওয়ামী লীগ যে স্বার্থপর, সুবিধাভোগী ও দুর্নীতিবাজ গোষ্ঠীর জন্ম দিয়েছে তারা তাদের স্বার্থ বজায় রাখার উদ্দেশ্যে আস্ফালন করবে এটাই স্বাভাবিক। তাদের পক্ষে জনগণের মনের অবস্থা বোঝা কিছুতেই সম্ভব নয়। এসব সুবিধাবাদী উচ্ছিষ্টভোগীরা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থের পাহাড় গড়ে তুলেছে। সরকারি প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ পথে উপর্জিত অর্থ তারা বিদেশে পাচার করছে। ফলে দেশে বিনিয়োগে ভাটা পড়েছে। কর্মসংস্থানে সংকট দেখা দিয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ও জীবনযাত্রার মানে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এবারের ঈদের সময় বিভিন্ন মার্কেটে ক্রেতা সংকট ও ক্রয়-বিক্রয় পরিস্থিতির করুন অবস্থা থেকে বুঝা যায় মানুষের জীবনযাত্রায় কি ধরণের বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। ৪০ লাখ পরিবহন শ্রমিক ঈদ বোনাস থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। পবিত্র ঈদে শুন্য হাতে বাড়ি ফিরেছেন পোশাক কর্মীরা। দেশে আওয়ামী লীগের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির কারণে যে সংঘাতময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা উপলব্ধি করার জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। সরকার একদিকে যেমন গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে এবং জনবিদ্রোহের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে তেমনিভাবে কূটনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
॥ দুই ॥
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাহে রমযানে ৩ দিনের সফরে যুক্তরাজ্য গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাজ্য সফর অত্যন্ত সফল বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। কিন্তু তার এ দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। প্রকৃত সত্য আড়াল করে তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে যে বক্তব্য তুলে ধরেছেন, তাতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ের সত্যতা প্রকাশ পায়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে  জানিয়েছেন, “ডেভিড ক্যামেরুন বলেছেন ‘ঊষবপঃরড়হ রং ড়াবৎ. ওঃ রং ঢ়ধংঃ. ঘড়ি বি ষড়ড়শ ঃড় ঃযব ভঁঃঁৎব.” এ বিষয়ের সত্যতা জানতে চাইলে ডাউনিং স্ট্রীট মুখপাত্র বলেছেন, “পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দেয়া মিডিয়া বক্তব্য যথাযথ নয়।” ডাউনিং স্ট্রীটের অন-ডিউটি প্রেস অফিসার বলেছেন, “আমাদের কাছে উভয় প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার যে ট্রান্সক্রিপ্ট আছে তার আলোকে আমি বলতে পারি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী এ ধরণের মন্তব্য করেননি।”
৫ জানুয়ারির নির্বাচন বিষয়ে অবস্থান বদলায়নি যুক্তরাজ্য। বরং নির্বাচন বিষয়ে বৃটেনের অবস্থান সম্পর্কে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা নিয়ে বিব্রত ডাউনিং স্ট্রিট। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন কেন্দ্রীক যুক্তরাজ্য সরকারের অবস্থান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য সফর পরবর্তী বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে প্রদত্ত বিভিন্ন রকম বিবৃতির বিষয়টি বৃটিশ ফরেন ও কমনওয়েলথ অফিসে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন শেখ হাসিনার সাথে বৈঠককালে বাংলাদেশের ৫ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বৃটেনের অসন্তোষ ব্যক্ত করেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বৃটেনের হাউস অব কমন্স এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এক সপ্তাহের ব্যবধানে নির্বাচনের প্রতি গভীর অনাস্থা ব্যক্ত করেছিল। ভারত, চীন ও রাশিয়া ব্যতিরেকে অবশিষ্ট বিশ্ব ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে না। ওই নির্বাচন সম্পর্কে শীর্ষ পর্যায়ের কোনো আলোচনার সরকারি অনাস্থা ব্যক্ত করার খবর ওয়েস্ট মিনিস্টার গণতন্ত্রের দেশ বৃটেন থেকেই প্রথম ব্যক্ত করা হলো।
ক্যমেরুন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের নির্বাচন, যার অর্ধেকেরও বেশি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সম্পন্ন হয়েছে, সে বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
গত ৩০ জানুয়ারি হাউস অব কমন্সের বিতর্কে অংশ নিয়ে ফরেন ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী হাগ রবার্টসন বলেছিলেন, “প্রথমত: ওই নির্বাচনে সহিংসতা ও জনগণ তাতে অংশগ্রহণ না করার ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। দ্বিতীয়ত: বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে গণতান্ত্রিক ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে এবং একটি দীর্ঘ মেয়াদী টেকসই সমাধানে পৌছতে আবার অবিলম্বে প্রধান দলগুলোর মধ্যে সংলাপে অংশগ্রহণের ব্যবস্থার আহ্বান জানাচ্ছি। তৃতীয়ত: বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য একটি কার্যকর গণতন্ত্র দরকার।” রবার্টসন আরও বলেছিলেন, “৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে বাংলাদেশী জনগণের মতামতের সত্যিকার প্রতিফলন ঘটেনি।”
প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় পলিটিক্যাল সিস্টেমে পলিটিক্যাল পার্টির অংশগ্রহণের কথা নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। জানুয়ারির কমন্স বিতর্কে বিভিন্ন দলের সংসদ সদস্যরা সমস্বরে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা সমীচিন হয়নি।
লেবার দলীয় এমপি আন্ড্রু স্মিথ প্রশ্ন করেছিলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার ফলেই কি বাংলাদেশ আজকের পলিটিক্যাল ট্রাজেডির মুখোমুখি হয়নি?”
প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের তকমা গায়ে লাগিয়ে জনসমর্থনহীন সরকারের বৈধতা অর্জনের জন্য যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তা ব্যর্থ হয়েছে। শেখ হাসিনাকে বিবিসির সাংবাদিক সাব্বির মোস্তফা প্রশ্ব করেছিলেন- ‘৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বৃটিশ সরকার, মার্কিন সরকার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে আপত্তি উত্থাপন করে। তারা বলেছে- এটা ভালো ইলেকশন হয়নি। বিরোধী দল অংশগ্রহণ করেনি। সকল মহল থেকে ভবিষ্যৎ নির্বাচন যাতে অংশগ্রহণমূলক হয় তার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও আলোচনার কোনো লক্ষ্যণ দেখা যাচ্ছে না কেন?’ প্রধানমন্ত্রী এর জবাবে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন।
যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরে গণভবনে ২৬ জুলাই সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “তাদের সাথে মাঠে দেখা হবে।” ২০ দলীয় জোটের আন্দোলন সম্পর্কে শেখ হাসিনা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, “মাঠে নামুক না। মাঠে আওয়ামী লীগ আছে। মানুষ আছে। মাঠের খেলা মাঠেই হবে। ফুটবল মাঠে কে কয়টা গোল দেয় সেটা মাঠেই দেখা যাবে। আর নির্বাচনের ট্রেনতো চলে গেছে। এখন তাদের নতুন ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরেকটা ট্রেন কখন আসে।” বিরোধী দলের আন্দোলনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আন্দোলনের নামে তারা সহিংসতা করবে আর আমরা বসে বসে দেখবো? যারা এসব করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।”
॥ তিন ॥
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় আবারো জুলুম, নির্যাতনের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। তিনি ৭২ এর সংবিধান ফিরিয়ে আনার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও বলেছেন “৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দেশের মানুষ শান্তি ও স্বস্তিতে আছে এটা এক শ্রেণীর মানুষের পছন্দ হচ্ছে না।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রতি বছর বাজেটের পর সবকিছুর দাম বাড়লেও এবার বাড়েনি। গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালেও জিনিষের দাম বৃদ্ধি পায়নি।” দেশের দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধগতি যদি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে পাল্টে যেতো তাহলে কোনো কথা ছিল না। বক্তৃতায় সমস্যার সমাধান হয়না। মানুষের জীবনে যে দুর্বিসহ যšণা তা বুঝার ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী হারিয়ে ফেলেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সংলাপ না করা, আন্দোলনকে রাষ্ট্রশক্তি দ্বারা প্রতিহতের ঘোষণা, পূর্ণমেয়াদে ক্ষমতায় থাকার আস্ফালন দেশের রাজনীতিকে অনিবার্য সংঘাতের দিকে ঠেলে দিবে। যে সরকার রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আলাপ-আলোচনার পথ পরিহার করে জুলুম, নির্যাতনের মাধ্যমে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চায় তাদের এ অহমিকতার মোহ জন¯্রােতের সামনে ভেসে যাবে। কিন্তু তখন আর করার কিছুই থাকবে না। (চলবে)
মতিউর রহমান আকন্দ

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads