শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৩

আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা: দেশ কি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিক্ষিপ্ত হবে?


আর মাত্র দুই-তিনদিন বাকি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধুমাত্র বিরোধী দলকেই নয়, সমগ্র জাতিকে অর্থাৎ ১৬ কোটি মানুষকে পর্বতের খাড়া গিরিখাদের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। এখন আর একটি ধাক্কা দিলেই খাড়া গিরিখাদে পড়ে যাবে এবং সমগ্র জাতি ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। হিমালয় সদৃশ্য এই সমস্যা সৃষ্টির জন্য তিনি যেমন এককভাবে দায়ী তেমনি এই সমস্যার সমাধানও তাকেই এককভাবে করতে হবে। যদি তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে সমাধান না করেন তাহলে তার খেসারত শুধু মাত্র ব্যক্তিগত ভাবে তাকে এবং দলগত ভাবে আওয়ামী লীগকেই দিতে হবে না, সমগ্র জাতিকে দিতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এক জনের ভুলের মাশুল সমগ্র জাতি পরিশোধ করবে কেন?
কেউ কেউ আবার দুই কূল সামলানোর জন্য বলেন যে, উভয় পক্ষকেই, অর্থাৎ উভয় নেতাকেই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে এবং ছাড় দিতে হবে। যারা এসব কথা বলেন তারা “শ্যাম রাখি না কুল রাখি” সমস্যায় ভুগছেন। দুই নৌকায় পা দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। এখানে বিরোধী দলের তথা বেগম খালেদা জিয়ার কি ই বা করার আছে? তিনি তো সরকারকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়ে রেখেছেন। বলেছেন যে, নির্দলীয় সরকারের দাবী মেনে নিলেই মুহূর্তের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী যদি নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার ইস্যুতে নীতিগত ভাবে সম্মত হন, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে হরতাল প্রত্যাহার করা হবে, অবরোধ আসবে না, অসহযোগ আসবে না এবং গণ কারফিউ জারি করা হবে না। এর চেয়ে বেশি ছাড় বেগম খালেদা জিয়া আর কি দিতে পারেন?
যদি কেউ কঠোর ভাবে নিরপেক্ষ এবং বস্তুনিষ্ঠ ভাবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেন, তাহলে তিনি দেখবেন যে, প্রধানমন্ত্রীর একচোখা পলিসি বাংলাদেশকে বিশ্ব সমাজে একঘরে করেছে। তার কাছে পররাষ্ট্র নীতির কর্নারস্টোন হলো ভারত। তার পররাষ্ট্রনীতি হলো ইন্দোসেন্ট্রিক, অর্থাৎ সম্পূর্ণভাবে ভারতকেন্দ্রিক। সেটি করতে গিয়ে সমগ্র পশ্চিমা বিশ্ব এবং মুসলিম জাহান থেকে তিনি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এক মাত্র ভারতের নিঃশর্ত সমর্থন পেয়ে তিনি আর কাউকে থোড়াই কেয়ার করছেন। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তিনি ইটালীর ফ্যাসিজমের জনক বেনিটো মুসোলিনি, জার্মানীর নাৎসিবাদের জনক হের হিটলার, স্পেন এবং পর্তুগালের ডিক্টেটর ফ্রাঙ্কো এবং সালাজারের পথ ধরেছেন। হিটলারের গেস্টাপো বাহিনী রাতের আঁধারে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে উঠিয়ে নিয়ে যেত। তার পর তাদের আর কোন খোঁজ পাওয়া যেত না। চিরদিনের জন্য তারা এই সুন্দর পৃথিবী থেকে হারিয়ে যেত। ডিক্টেটরদের ক্ষেত্রে এমন ভুরি ভুরি নজির রয়েছে। সেগুলো উল্লেখ করে আমার সম্মানিত পাঠকগণকে আর ভারাক্রান্ত করতে চাই না।
আওয়ামী সরকারের আমলেও বিশেষ বাহিনী মানুষকে উঠিয়ে নিচ্ছে, এবং চিরদিনের জন্য তারা হারিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইলিয়াস আলী গেছেন, আর ফিরে আসেননি। ঢাকার নেতা চৌধুরী আলম গেছেন, আর ফিরে আসেননি। এভাবে শতাধিক নেতা গায়েব হয়ে গেছেন। আর ফিরে আসেননি। ইংরেজীতে বিশেষ করে পাশ্চাত্য গণতন্ত্রে এটিকে বলা হয় ঊহভড়ৎপবফ উরংধঢ়ঢ়বধৎধহপব. পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী পত্রিকা আমেরিকার ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ এবং লন্ডনের বিশ্ব বিখ্যাত সাপ্তাহিক ‘ইকোনমিস্ট’ এসব প্রশ্ন তুলেছে। এসব প্রশ্নে সরকারের কোন জবাব নাই।
আমার কাছে সবচেয়ে অবাক লাগে এই যে, বাংলাদেশে যুদ্ধ অপরাধ বা মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে তেমন একটা প্রশ্ন ওঠেনা। প্রশ্ন উঠলেই বলা হয় যে, ওরা যুদ্ধ অপরাধের বিচার বানচাল করতে চায়। বলা হয় যে, ওরা রাজাকার, আলবদর এবং পাকিস্তানী এজেন্ট। কিন্তু নিউইয়র্ক টাইমস, মার্কিন কগ্রেস বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট এব্যাপারে নীরব থাকেনি। তারা যুদ্ধ অপরাধ বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং বিচারের নামে প্রহসন বন্ধ করার দাবি তুলেছেন। তারা এ কথাও বলছেন যে, বিচারের নামে ক্ষমতাসীন দল দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে স্পর্শ কাতর ইস্যু হলেও বিদেশে বিশেষ করে পশ্চিমা দুনিয়ায় এই ইস্যুটি তথা এই বিচারটি সিরিয়াস চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
দুই
শেখ হাসিনার ভারত প্রীতি অথবা উল্টোভাবে দেখলে ভারতের শেখ হাসিনা প্রীতি খোদ ভারতেরও অনেকে সুনজরে দেখছে না। ভারতের অত্যন্ত প্রভাব শালী প্রত্রিকা দি হিন্দু গত বুধবারের ইস্যুতে স্পষ্ট ভাষায় বলেছে যে, দিল্লী যদি এককভাবে শুধু মাত্র শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিয়ে যায় তাহলে তারা মারাত্মক ভুল করবে। দি নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে যে, বাংলাদেশে সুশাসনের অভাবে দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে। ইকোনমিস্ট পত্রিকা বলেছে যে, এরশাদের জাতীয় পার্টির সাথে জোট বাঁধা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপি অনেক শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে। এ সব পত্রিকায় প্রকাশিত মতামত নীচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত থাকলে দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকা ‘নিউইয়র্ক টাইমস্’। ‘পলিটিক্যাল ক্রাইসিস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের সম্পাদকীয়তে দাবি করা হয়, বছরের শুরু থেকে সাধারণ ধর্মঘটের (হরতাল) কারণে বাংলাদেশ অচল হয়ে পড়েছে, পরস্পর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রধান বিরোধী দলের কয়েকজন নেতা ও মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতগুলো অন্যায্য রায় দিচ্ছেন এবং (মানবতা বিরোধী অপরাধীদের) মুত্যুদ-ের রায়গুলোতে আইনী প্রক্রিয়ার সর্বাধিক লঙ্ঘন ঘটেছে। এতে আরো বলা হয়, ‘এসব সঙ্কটের দায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসিনার ওপরই বর্তাবে। হাসিনাকে মনে হচ্ছে, তিনি জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে এবং বিরোধী পক্ষগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ২০১১ সালে তিনি সাধারণ নির্বাচন পরিচালনার জন্য তিন মাস মেয়াদী নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান তিনি সংবিধান থেকে তুলে দেন। এর পরিবর্তে শেখ হাসিনা তাঁর নেতৃত্বে একটি ‘সর্বদলীয়’ সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন। কিন্তু এই ব্যবস্থা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি।’ লন্ডনের বিখ্যাত সাপ্তাহিক ইকোনমিস্টে বলা হয়, এরশাদের জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সাথে জোট বেঁধেছে। তা সত্ত্বেও বিএনপি শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে বলে মনে করা হয়। গতকাল ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিনের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়। রিপোর্টে আরো বলা হয় যে, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা অনেক পড়ে গেছে। বাংলাদেশে সরকার সাংবিধানিক। কিন্তু জনপ্রিয়তা খুবই কম। জনমত জরিপ বলে যে, এ দেশের পাঁচ ভাগ মানুষের মধ্যে চারভাগই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের পক্ষে। বিএনপি নতুন করে গঠন করা সরকারকে বলেছে প্রহসন। এতে নেই ১৮ দলীয় বিরোধী জোটের কোন সদস্য। উপরšুÍ, জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত আদালতের রায়কে নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশন।
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী দল। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের চারজন প্রসিকিউটর এবং এ আদালতের তদন্ত সংস্থার প্রধান নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা চেয়ে আবেদন করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, প্রসিকিউটর থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ব্যক্তিরা যে শাস্তি দাবি করবেন সে মোতাবেকই রায় হবে বলে পত্রিকাটি মনে করে।
তিন
ভারতের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক ‘দি হিন্দুতে বলা হয়, নয়াদিল্লীর অবশ্যই এমন কিছু করা উচিত হবে না, যা দৃশ্যত বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাতমূলক হয়। বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক অচলাবস্থায় ভারতের উচিত, কোন পক্ষ অবলম্বন না করে বড় দুই রাজনৈতিক দলকে এই সমস্যার সমাধান বের করতে উৎসাহী করা। এরই মধ্যে বিএনপি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার হুমকি দিয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি বিজয়ী হয়, তাহলে তা হবে অন্তঃসারশূন্য, অসার। এরমধ্য দিয়ে দেশকে রাজনৈতিক সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়া হবে। ‘ক্রিপলিং ডেডলকস’ শীর্ষক ওই সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, বর্তমান এই সঙ্কটের মূল প্রোথিত রয়েছে ২০১১ সালে। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার জন্য হাসিনার সরকার সংবিধান সংশোধন করে। ফলে দেশ সঙ্কট থেকে সঙ্কটে নিপতিত হয়েছে। এরপর একটি ঘটনার সাথে আরেকটি ঘটনা যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা পাকিস্তানী সেনাদের সহযোগিতা করেছিল তাদের বিচার হচ্ছে। এই বিচারকে কেন্দ্র করে দেখা যায় ব্যাপক সহিংসতা। বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ মিত্র জামায়াতে ইসলামীর ওপর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এটা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের গণতান্ত্রিক আচরণের সুনাম মোটেও বৃদ্ধি করেনি। বাংলাদেশে এখনকার পরিস্থিতিতে পুরো এই অঞ্চলের নিরাপত্তা অনিশ্চিত।
দিল্লীকে দেখা হয় শেখ হাসিনাপন্থী। কিন্তু নয়াদিল্লীর অবশ্যই এমন কিছু করা উচিত হবে না, যা দৃশ্যত দল বিশেষের প্রতি পক্ষপাতমূলক হয়।
চার
যে তিনটি পত্রিকার মতামত ওপরে তুলে ধরা হলো সেই একই ধরনের মতামত ব্যক্ত করেছে মার্কিন কংগ্রেস এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তাই আর তাদের মতামত বিস্তারিত তুলে ধরলাম না। কারণ পাঠক ভাইয়েরা ইতোমধ্যেই সেগুলো পত্রপত্রিকা পড়ে এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে জেনে গেছেন। এখন জাতীয় এবং অন্তর্জাতিক মতামতের বিরুদ্ধে সরকারের যে অবস্থান সেটি সমগ্র আওয়ামী লীগ বা সমগ্র জাতীয় পার্টির নয়, এটি এক ব্যক্তির মতামত। আর তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন এক ব্যক্তির মতামতের যূপকাষ্ঠে বলি হতে চলেছেন বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ। দেশে যে অবরোধ আসছে সেখানে ঢাকার সাথে মফস্বলের রেল সড়ক এবং নৌ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। এসব কথা শেখ হাসিনা জানেন কি না জানি না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য খালেদা জিয়া সমস্ত দরজায় করাঘাত করেছেন। ইংরেজীতে বলা যেতে পারে ঝযব যধং বীযধঁংঃবফ ধষষ ৎবংড়ঁৎপবং. কিন্তু তিনি কোন সাড়া পাননি। সৈয়দ আশরাফকে মির্জা ফখরুল চিঠি দিয়েছেন। আশরাফ সাহেব ঐ চিঠির জবাব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। এরপর মির্জা ফখরুল আশরাফ সাহেবকে টেলিফোন করেছেন। কিন্তু সৈয়দ আশরাফ রিটার্ন কলও করেননি। শেখ হাসিনার টেলিফোনের জবাবে বেগম জিয়া বলেছিলেন যে, ২৮শে নবেম্বরের পর তিনি যে কোন দিন আধরষধনষব থাকবেন, তাকে বল্লেই তিনি আলোচনায় চলে আসবেন। কিন্তু শেখ হাসিনা আর কোন উদ্যোগ নেননি। পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, সংলাপের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নেতারা যে দু’চারটি বাতচিৎ করেছেন সেগুলি নেহায়েত লোক দেখানো ব্যাপার মাত্র।
তবে ইতিহাস থেমে থাকে না। এবার যদি কিছু ঘটে তাহলে তার দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগ সরকার এবং ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রীকেই বহন করতে হবে।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads