শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৩

১৬ কোটি মানুষের কী অপরাধ


আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক মতানৈক্য সারা দেশকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। দৃশ্যত পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক জোট ও দলগুলো তাদের অবস্থান থেকে এক ইঞ্চিও সরতে চাচ্ছে না। এ নিয়ে সর্বশেষ বিরোধী দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের আমন্ত্রণ নিয়ে দুই নেত্রীর মধ্যে টেলিফোনে যে কথাকাটাকাটি হয়েছে, তাকে অনেকে নিরর্থকভাবে আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হিসেবে বেছে নিয়েছেন। রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে নেতৃত্বের অপারগতার কারণে সাধারণ নাগরিকদের সাথে সাথে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যেও হতাশা বেড়েছে। ঢাকায় কর্মরত বেশ কিছু বাংলাদেশের শুভাকাক্সী দেশের রাষ্ট্রদূতদের কর্মচঞ্চলতা এখনো ফলপ্রসূ না হওয়ায় জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বান কি মুন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সবার অংশগ্রহণভিত্তিক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য নতুন করে তাগিদ দিয়েছেন। অচলাবস্থার মূল কারণ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে বিরোধ। নির্বাচন বর্তমান সরকারের তত্ত্বাবধানে, নাকি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হবেÑ যে ব্যবস্থা ১৯৯১ সালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে চালু ছিল। ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ সালে তিনটি নির্বাচন কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থার অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। সব বিরোধী দল, এমনকি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট ও কয়েকটি শরিক দল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তার মিত্র দলগুলো এ দাবির সপক্ষে সারা দেশে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলেছে। আওয়ামী লীগ ও তার অন্ধ সমর্থক দলগুলো ক্ষমতাসীনদের তত্ত্বাবধায়নে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর। এরা শুধু বিরোধী দলের কিছু সংসদ সদস্যকে নির্বাচনকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্ত করতে রাজি আছেন। এর পক্ষে প্রধান যুক্তিÑ দুই বছরের সর্বশেষ কেয়ারটেকার সরকারের সময়ের দুরবস্থা, জরুরি অবস্থা এবং তার অধীনে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের ওপর নেমে আসা নিষ্পেষণ এবং মাইনাস টু ফর্মুলা ইত্যাদি। কিন্তু এখানে একটা জিনিস দৃষ্টির আড়ালে থেকে যাচ্ছে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা না থাকার কারণেই অচলাবস্থার সূত্র ধরে জরুরি অবস্থা এসেছিল। বর্তমান অবস্থা ঠিক ২০০৬ সালের মতো নয়। তখন বিরোধী দল বিচারপতি কে এম হাসানের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন শুরু করে। তখনকার বিএনপি সরকার নির্ধারিত সময়ে ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর পদত্যাগ করে। পরের দিন ২৮ অক্টোবর রাজপথের বর্বরতায় অর্ধডজন রাজনৈতিক কর্মী নিহত হওয়ার পর বিচারপতি কে এম হাসান দায়িত্ব নিতে অপারগতার কথা জানিয়ে দেন। রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ পরে নিজে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেন। কিছু দিন পর এই কেয়ারটেকার সরকারের চারজন উপদেষ্টা এক সাথে পদত্যাগ করলে নতুন চারজন উপদেষ্টাকে নিয়োগ দেয়া হয়। বিরোধী দলের আন্দোলন অব্যাহত থাকে। যদিও আজো প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারের কাজ শুরু করে দিয়েছিল। নির্বাচনের তারিখও নির্দিষ্ট ছিল। এমনকি ১১ জানুয়ারি ২০০৭ জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার আগে পর্যন্ত। তার আগের দিন জাতীয় পার্টি প্রধান এইচ এম এরশাদের মনোনয়নপত্র বাতিলকে কেন্দ্র করে বিরোধী জোট নির্বাচন বয়কট ঘোষণা করে। জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার পর ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে সেনাসমর্থিত নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শপথ নেয়। পরবর্তী দুই বছর এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারই দেশ পরিচালনা করে এবং ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ নির্বাচন অনুষ্ঠান করে অব্যাহতি নেয়। এ যাত্রায় সরকার-বিরোধী দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব আগের চেয়ে অনেক বেশি রক্তক্ষয়ী হয়েছে। তার মধ্যেও একটা শুভ লক্ষণ যে বিরোধী দল ও জোট সংবিধানের আওতার মধ্যে দ্বন্দ্বের অবসান চেয়েছে। তারা এখন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাচ্ছে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহালের দাবি থেকে সরে আসা এ প্রসঙ্গে খুবই তাৎপর্যবহ। সরকারি দল প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকারে বিরোধী দলের মনোনীত প্রতনিধি নেয়ার প্রস্তাব করেছে। তার পক্ষে প্রধান যুক্তি সংবিধানকে সমুন্নত রাখা। তাদের বক্তব্য উচ্চ আদালতের রায়ের ভিত্তিতেই সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। বিরোধী দল বলেছে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আরো দুইবার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছিল, যা বর্তমান সংসদে পাস করা ১৫শ সংশোধনীতে প্রতিফলিত হয়নি। এখানে বিরোধী দলের একটা পয়েন্ট আছে। এটা শুধু এ কারণেই নয় যে, নির্বাহী বিভাগ বা আইন বিভাগের কোনো কাজ সংবিধানসম্মত কি না এ সিদ্ধান্ত দেয়ার অধিকার থাকলেও বিচার বিভাগ নিজে আইন প্রণয়ন বা প্রশাসন পরিচালনার দায়িত্ব দিতে পারে না। বিচার বিভাগের রায়ের ভিত্তিতেই বিরোধী দলের দাবি জোরদার হয়। গণতন্ত্রের সাধারণ নিয়ম, নাগরিকদের স্বেচ্ছাসম্মতির ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার নীতি অবলম্বন করলে, এক দিনের মধ্যেই সংবিধানের সংশ্লিষ্ট বিধান পরিবর্তন করা সম্ভব। কারণ এ কথা সম্পূর্ণভাবে স্পষ্ট হওয়া দরকার যে সরকার-প্রস্তাবিত পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা দেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল, তথা বেশির ভাগ জনগণ, এ মুহূর্তে সমর্থন করে বলে মনে হয় না। তা ছাড়া বিরোধী দলের আরেকটা দাবিও উপেক্ষা করা যায় না। এরা বলেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতির পরিবর্তন আওয়ামী লীগ তথা তার নেতৃত্বাধীন জোটের কোনো রাজনৈতিক লক্ষ্য ছিল না। এ রকম কোনো কর্মসূচি ২০০৮ সালের নির্বাচন ম্যানিফেস্টোতেও বলা হয়নি। যারা ১৫শ সংশোধনী প্রণয়ন ও পাসের সাথে জড়িত তাদের বিভিন্ন সময়ের কথাবার্তা থেকেও এটা স্পষ্ট যে শুরুর দিকে কেউ এই মীমাংসিত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাননি। আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডের তরফে বলা হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার সাথে দুটি শর্ত জুড়ে দেয়া যেতে পারে : ১. নির্বাচনকালীন এই সরকারের মেয়াদ ৯০ দিনে সীমাবদ্ধ থাকবে; এবং ২. এ সরকার বিদেশের সাথে কোনো চুক্তি সই করতে পারবে না। সরকারি দলের এ মনোভাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলের নেতারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংরক্ষণের পক্ষে জোরালো বক্তব্য রেখে তাদের অবস্থান আরো স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন। এর পরেও পারস্পরিক আস্থাহীনতার যে বিরাট ফারাক ১৫ শ সংশোধনীর মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে, তা টেকসই গণতন্ত্রের স্বার্থে দূর করা দরকার। এই মূল ইস্যু বাদ দিয়ে মামুলি বিষয় ২৭-২৯ অক্টোবরের হরতালবিরোধী দল প্রত্যাহার করেছে কি নাÑ নিয়ে টানাটানি করলে ফলপ্রসূ হবে বলে মনে হয় না। জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বান কি মুনের ভাষায় অবাধ, নিরপেক্ষ ও সবার অংশগ্রহণভিত্তিক নির্বাচন করার পরিবেশ সৃষ্টি করা এখন জরুরি কাজ। এ কথা বলার অর্থ এই নয় যে একটা নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের তত্ত্বাবধানে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান অসম্ভব। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক এমন একটা মার্জিতপর্যায়ে এখনো আসেনি যে ক্ষমতার আসীন ব্যক্তিরা তাদের নির্ধারিত ক্ষমতা বা ম্যান্ডেটের বাইরে যাবেন না, এতটুকু বিশ্বস্ততা অর্জন করেছেনÑ যা বিরোধী দলের মধ্যে আস্থা এমনপর্যায়ে এসেছে যে এরা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োজিতের নিরপেক্ষতা ও সত্যনিষ্ঠার ব্যাপারে সন্দিহান নন। এখানে এ কথা বলা অপ্রাসঙ্গিক হবে না যে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানপ্রণেতারা মানুষের স্বভাবজাত পক্ষপাত বা লোভকে তাদের বিচারবুদ্ধির কাছে ছেড়ে না দিয়ে রাষ্ট্রের তিন অঙ্গ নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করে ছিলেন। এর ফলে মাত্র কদিন আগেও বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সরকারেরও কিছু কর্মকাণ্ড অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কারণ তার প্রবর্তিত স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থার জন্য চাহিদা মতো রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা কংগ্রেস তাকে দেয়নি। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনাকেও তার দূতাবাস ও বাসস্থানের বাইরে ভ্রমণ এ কারণে অনেকটা সীমিত রাখতে হয়েছিল। এটা স্পষ্ট আমাদের দেশে রাষ্ট্র বা সরকারের কোনো অঙ্গ বিরোধী দলের নিয়ন্ত্রণে নেই যে মার্কিন কংগ্রেসের মতো নির্বাহী বিভাগের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারে। আমাদের দেশের মতো সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় এ রকম নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা প্রায় অসম্ভব যদি না সংসদে কারো নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকে, বা দেশে কোয়ালিশন সরকার থাকে। এখানে শুধু উচ্চ আদালতের ক্ষমতা আছে নির্বাহী বা আইন বিভাগের ওপর চাপ সৃষ্টি করার। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে উচ্চ আদালত আগে থেকেই তার অবস্থান নিয়ে নিয়েছে। সংসদ সরকারি দলের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে আছে। বর্তমান রাজনৈতিক গিঁট খোলার জন্য তাই রাজনৈতিক নেতৃত্বের পর্যায় থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দর্শকদের বাহবাহ বা দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এমন অনেক কথাই বলা যায় যেমনÑ দেরিতে হলেও এখন বিরোধী দল সরকারকে জানিয়ে দিতে পারে এরা কোন দিন কখন গণভবনে গিয়ে সংলাপ ও নৈশভোজ করতে চায়। কিন্তু দুই পক্ষের মধ্যে পূর্বাহ্নে বিরাজমান বিরাট আস্থার দূরত্ব ঘুচানোর ব্যাপারে বোঝাপড়া না হলে তার মূল্য খুব সামান্যই হতে পারে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, সংসদীয় ব্যবস্থায় সরকারের ছত্রছায়ায়ই আইন বিভাগ পরিচালিত হয়। আবার পার্লামেন্ট একটা সংবিধান সংশোধনী বিল পাস করে এমনকি বিচার বিভাগের ক্ষমতা কমানোরও ক্ষমতা রাখে। বর্তমান সংসদের ওপর নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কতটা শক্তিশালী তা ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না। কারণ সংসদের নয়-দশমাংশ সদস্য সরকারি দলের বা জোটের। এরূপ অবস্থায় ক্ষমতাসীনরা চাইলে এক দিনের মধ্যে একটা সংবিধান সংশোধনী বিল পাস করে শাসনব্যবস্থা তথা সাংবিধানিক বিষয়ে ঐকমত্য ফিরিয়ে এনে শান্তিপূর্ণ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। এবং তা করলে তারা এ দেশের গণতন্ত্রকামী ও শান্তিপ্রিয় মানুষে মনে স্থায়ী শ্রদ্ধার আসন দখল করতে সক্ষম হবে। ঐকমত্য সৃষ্টিতে সমর্থ না হলে, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর বর্তমান জটিলতা আরো প্রকট হবে। বর্তমান ব্যবস্থায় নির্বাচনী প্রচারণা সমান অধিকারভোগী প্রতিযোগীদের মধ্যে হবে না, হবে অসম প্রতিযোগিতার নির্বাচন। একদল প্রতিযোগী সরকারি সুযোগ-সুবিধা এবং মর্যাদা পাবে, অন্য দল সাধারণের কাতার থেকে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। মন্ত্রীরা সুযোগ সুবিধার সাথে ক্ষমতাও প্রতিপত্তি ভোগ করবে। কারণ আইন প্রয়োগকারীরাসহ প্রশাসন প্রটোকল ও মর্যাদা রক্ষাসহ তাদের সন্তুষ্ট রাখার কাজে ব্যস্ত থাকতে বাধ্য হবে। যদিও প্রবাদে আছে একটা জনগোষ্ঠী যে ধরনের সরকারের জন্য উপযোগী সে ধরনের সরকারই পায়, তবুও বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ সম্ভবত বর্তমান অবস্থায় নিপতিত হওয়ার মতো কোনো অপরাধ করেনি। শত বিপত্তি অতিক্রম করে এ দেশের মানুষ এখনো উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলার সামর্থ্যরে পরিচয় দিয়ে চলেছে। রাজনৈতিক নেতৃত্বে উচিত ১৬ কোটি মানুষকে নিরাশ না করে ক্ষমতায়নের পরিবেশ আরো সুসংহত করা। 


0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads