শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৩

অধিকারের কণ্ঠরোধ : দুনিয়া জুড়ে ধিক্কার ইসলামী জনতার খুনে রাঙা মিসর


গত সপ্তাহে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাইরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। তুলনামূলকভাবে কোনটাই কোনটার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই ভাবছি যে কোনটা ছেড়ে কোনটা লিখবো। বাংলাদেশে ‘অধিকার’ নামক ১৯ বছর বয়সী একটি প্রতিষ্ঠিত এবং নামজাদা মানবাধিকার সংস্থার জেনারেল সেক্রেটারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম এডভোকেট আদিলুর রহমান শুভ্র। শুভ্রকে গ্রেফতারের পর দেশে বিদেশে যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে সেগুলো দেখে মনে হচ্ছে যে আওয়ামী সরকার ভীমরুলের চাকে ঢিল দিয়েছে। শুধু মাত্র বাংলাদেশ নয় , আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘসহ বলতে গেলে গোটা বিশ্ব এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা করেছে এবং তার মুক্তির দাবি করেছে। দেশের বাইরে মিসর। সেখানে কয়েক দিনের বিক্ষোভ এবং রক্তক্ষয়ী ঘটনাবলির পর এটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, ‘ইখওয়ানুল মুসলেমিন’ বা ‘মুসলিম ব্রাদারহুড’ মিসরের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক সংগঠন। মাস দেড়েক আগে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও‘ মিসরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি এবং তার সরকারকে মিসরের সেনাবাহিনী গায়ের জোরে ক্ষমতাচ্যুত করে এবং সামরিক শাসন জারি করে সেখানে একটি পুতুল সরকার বসায়। এই অন্যায় বরখাস্তের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে জনতা রাজপথে বিক্ষোভ করলে সেনাবাহিনীর গুলীতে ৮০ জন মিসরীয় শাহাদাৎ বরণ করেন। এটি মাসাধিককাল আগের কথা। এত বড় হত্যাকা-ের পর জনগণ সংগঠিত হতে থাকেন এবং কায়রোতে দু’টি স্থানে লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্যাম্প খাটিয়ে অবস্থান গ্রহণ করেন। প্রতিবাদী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য সেনাবাহিনী নির্বিচারে গুলীবর্ষণ করে। এতটুকুতেই তারা ক্ষান্ত হয়নি। সামরিক বাহিনী আকাশ থেকেও হেলিকপ্টার যোগে গুলীবর্ষণ করে। এর ফলে শুধুমাত্র সরকারের হিসাব মতে ৬৩৮ জন ব্যক্তি নিহত হয়। পক্ষান্তরে ইরান, আল-জাজিরা এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের খবর মোতাবেক ২২০০ ব্যক্তি শাহাদাৎ বরণ করেন। একই সূত্র মোতাবেক আহত হয়েছেন ১০ হাজার ব্যক্তি। এ সম্পর্কে সীমিত পরিসরে কিছুক্ষণ পর আলোচনা করবো। তার আগে অধিকার সম্পাদক আদিলুর রহমানের গ্রেফতার সম্পর্কে দু’টি কথা সংক্ষেপে বলবো।
আদিলুর রহমানের গ্রেফতার সম্পর্কে পত্র পত্রিকায় গত কয়েকদিন ধরেই আলোচনা হয়েছে। তবুও এ সম্পর্কে দু’তিনটি পয়েন্টে আলোচনা না করলেই নয়। কারণ এগুলো নিয়ে রীতিমত অপপ্রচার এবং মিথ্যাচার চলছে। অভিযোগ করা হচ্ছে যে অধিকার সম্পাদক নাকি চাওয়া সত্ত্বেত্ত সরকারকে শাপলা চত্বরে নিহত ব্যক্তিদের তালিকা দিতে অস্বীকার করেছে। এর চেয়ে বড় মিথ্যাচার আর কিছু হতে পারে না।
সকলেই জানেন যে গত  ৫ মে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর অবরোধ করে। অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসাবে শাপলা চত্বরে হেফাজতের বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় অন্তত ২০ লক্ষ লোকের সমাবেশ ঘটে বলে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। সন্ধ্যার আঁধার নেমে আসার পর বোধগম্য কারণেই জনসমাবেশের আকৃতি কমতে থাকে। সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে সারারাত তারা শাপলা চত্বরে অবস্থান করবেন এবং ভোরে এই সমাবেশ শেষ হবে। রাতে শাপলা চত্বরে অবস্থানের যে কারণ ছিলো সেটি হলো এই যে লক্ষ লক্ষ মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে এসেছিলেন। ঢাকায় তাদের কোন থাকার জায়গা ছিল না। খাওয়ারও কোন ব্যবস্থা ছিলো না। তাদের সম্বল ছিল সাথে আনা কিছু চিড়া আর গুড়। তাই খেয়ে রাতটি তারা শাপলায় কাটিয়ে দেবেন এবং ভোরে যে যার ঘরে ফিরে যাবেন।
অথচ আওয়ামী সরকার মাত্র একটি রাতও তাদের সেখানে থাকতে দিলো না। যেখানে শাহবাগ চত্বরে গণজাগরণ ওয়ালাদেরকে রাস্তা অবরোধ করে ৩ মাস থাকতে দেয়া হয় সেখানে শাপলা চত্বরে নিরীহ আলেম-ওলামাদেরকে এক রাতও থাকতে দেয়নি সরকার। রাত আড়াইটায় বর্ডার গার্ড, র‌্যাব এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী সমাবেশের ওপর সাঁড়াশী অভিযান চালায়। এই অভিযানে কত লোক আহত বা নিহত হয়েছেন তার কোন পরিসংখ্যান সরকারিভাবে দেয়া হয়নি। বেসরকারিভাবে বিদেশী সংবাদ মাধ্যম মানবাধিকার সংস্থা এবং বিভিন্ন বেসরকারি সূত্র থেকে হতাহতের বিভিন্ন পরিসংখ্যান দেয়া হয়। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের পরিসংখ্যানে বলা হয় যে, এই অভিযানে নিহত হয়েছে ৬১ ব্যক্তি। তাদের রিপোর্টের সারমর্ম প্রকাশিত হয় চলতি বছরের ১০ই জুন।
॥দুই॥
সর্বশেষ খবর থেকে জানা যায় যে, অধিকার ৬১ জনের ঐ তালিকা দেয়নি বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে সেটি সঠিক নয়। গতকাল শনিবার একটি বাংলা দৈনিকে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায় যে, অধিকার ইতিমধ্যে এই তালিকা স্পেশাল র‌্যাপোর্টিয়ার, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) কাছে পাঠিয়েছে। গত শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অধিকার এ তথ্য জানায়। এটি ছাড়াও অধিকার তো কখনো বলেনি যে, তারা তালিকা দেবে না। তারা বরং বলে আসছে যে, শাপলা চত্বরের যৌথ অভিযান এবং হত্যাকা- সম্পর্কে সরকার একটি নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করুক। সে কমিটির কাছে তারা যাবতীয় তথ্য দেবে। এত বড় একটি ঘটনা ঘটলো, অথচ আজ পর্যন্ত সরকার কোন রকম তদন্তের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। এটি অত্যন্ত রহস্যময়। কোথাও কোন একটি সাধারণ খুন বা মারামারি হলে সরকার যেখানে তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত চালায় সেখানে হেফাজতের এত বড় দুনিয়া কাঁপানো ঘটনার পরেও সরকার তদন্তের ব্যাপারে সম্পূর্ণ নির্বিকার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ড. দিলারা চৌধুরী বলেছেন যে, আইন মোতাবেক সরকারের কাছে নিহতদের তালিকা দিতে অধিকার বাধ্য নয়।
আওয়ামী ঘরানার পলিটিশিয়ান এবং তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা তাদের সমালোচনাকারীদের ব্যাপারে সেই গতানুগতিক মহাজনী পন্থা অনুসরণ করছেন। সেটি হলো, ‘কুকুরটির বদনাম করো এবং তাকে হত্যা করো।’ ইংরেজীতে এটিকেই বলে, ‘এরাব ঃযব ফড়ম ধ নধফ হধসব ধহফ যধহম রঃ.’ যেহেতু অধিকার সরকারের হত্যাকা-ের চিত্র তুলে ধরেছে তাই তাকে রাতারাতি বিএনপি জামায়াতের লোক বলে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চলছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এ ব্যাপারে সবচেয়ে মুখর হয়েছেন জাসদ নেতা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। সারাজীবন জাসদের রাজনীতি করেছেন। সারাজীবন মন্ত্রী হওয়া তো দূরের কথা একজন এমপিও হতে পারেননি। কিন্তু এইবার তার জন্যে এসেছে মোক্ষম সুযোগ। আওয়ামী লীগের নৌকায় চড়ে তিনি প্রথমে এমপি হয়েছেন এবং তারপর মন্ত্রী হয়েছেন। মন্ত্রিত্বের নরম গদিতে বসেই তিনি তার সমস্ত অতীত ভুলে গেছেন। তিনি কি জানেন না যে, আদিলুর রহমান বিএনপি বা জামায়াত নয়, তারই দল জাসদ করতেন ? তিনি কি ভুলে গেছেন যে, জাহানারা ইমামের নেতৃত্বাধীন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিতেও সক্রিয় ছিলেন আদিলুর রহমান ? তিনি কি আরও ভুলে গেছেন যে, স্কাইপি কেলেঙ্কারির অন্যতম নায়ক বেলজিয়াম প্রবাসী আহাম্মেদ জিয়া উদ্দিনের সাথে গভীর সম্পর্ক রয়েছে আদিলুর রহমানের? ১৯৮৪ সালে অধিকারের জন্ম। সেই থেকে তারা দলমত নির্বিশেষে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছেন। বিএনপি’র সর্বশেষ আমলে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের কেস তিনি তুলে ধরেছেন। তখন কি তিনি আওয়ামীপন্থী মানবাধিকার কর্মী হয়েছিলেন? সেটি যদি না হয়ে থাকেন তাহলে আজ আওয়ামী লীগ আমলে সংঘটিত হত্যাকা- তুলে ধরার জন্য তিনি বিএনপি জামায়াতপন্থী মানবাধিকার কর্মী হিসেবে চিত্রিত হন কিভাবে? আদিলুর রহমানের গ্রেফতার নিয়ে আরও অনেক কথা বলার ছিলো। কিন্তু স্থান সংকুলান না হওয়ায় আজকে আর এ ব্যাপারে অতিরিক্ত কিছু বলা সম্ভব হলো না। এ প্রসঙ্গ শেষ করতে চাই একটি মাত্র কথা বলে। সেটি হলো, আওয়ামী লীগ বিরোধী মতকে বিন্দুমাত্র সহ্য করতে পারে না। বাকশালের রক্ত এখনো তাদের ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে। সে রক্তের কারণেই  তাদের একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার মানসিকতা কোন দিনও দূর হবে না।
॥তিন॥
ফিরে আসছি মিসরের ঘটনায়। গতকাল শনিবারের পত্রপত্রিকায় দেখা গেলো যে, মিসরে আবার রক্তপাত ঘটেছে। মিসরের সেনাবাহিনী শুধুমাত্র কায়রোতে নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে গুলী চালিয়েছে এং আকাশ থেকে হেলিকপ্টারযোগে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলী চালিয়েছে। মিসরের সেনাবাহিনী নতুন করে গণহত্যায় মেতে উঠেছে। সমগ্র মিসরের ১৯টি প্রদেশে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে এবং কারফিউ দেয়া হয়েছে। রাতের আঁধারে কারফিউ উপেক্ষা করে জনগণ রাস্তায় নেমে এসেছেন। বুধবারের গণহত্যার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থান বিরোধী জোটের আহ্বানে ‘ক্ষোভ দিবস’ পালনকালে কায়রোর রামসিস স্কয়ার, দামিয়েত্তা, অক্টোবর ৬ ব্রীজ, মে ১৫ ব্রীজ এলাকা এবং বন্দর নগরী ইসমাইলিয়ায় অভ্যুত্থান বিরোধীদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষকালে হতাহতের এসব ঘটনা ঘটে। রাতের নামাজের পর ক্ষোভ দিবসের কর্মসূচী সমাপ্ত এবং একই সঙ্গে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। মিসরে গণহত্যার প্রতিবাদে সংসদে প্রস্তাব পাস করেছে পাকিস্তান এবং প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ হয়েছে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায়। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিক্ষুব্ধ গণতন্ত্রকামী মানুষ গতকাল বাদ জুমা ২৮টি মসজিদ থেকে মার্চ করে যাবার সময় তাদের ওপর হেলিকপ্টার থেকে গোলা নিক্ষেপ করে। বিক্ষোভে সব বয়সের পুরুষের পাশাপাশি অনেক মহিলাও ছিলেন।
এবারে মিসরে যে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন শুরু হয়েছে সেটি শুধুমাত্র গণতন্ত্রের আন্দোলনই নয়, সেটি ইসলামী বিপ্লব কায়েমেরও আন্দোলন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে দেশে আজ শুরু হয়েছে ইসলামী মূল্যবোধ পুনরুত্থানের আন্দোলন। তিউনিশিয়ায় ইসলামী আন্দোলন চলছে আন্ নাহাদা দলের নেতৃত্বে। তুরস্কে এই আন্দোলন পরিচালিত হচ্ছে জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টির নেতৃত্বে। মিসরে এটি পরিচালিত হচ্ছে ইখওয়ানুল মুসলেমিন বা মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতৃত্বে। মিসরের জনগণ ৫ বছরের জন্য ড. মুহাম্মদ মুরসিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছিলেন। কিন্তু তাকে এক বছরও পূর্ণ করতে দেয়া হয়নি। বিগত ১৩ জুলাই সামরিক বাহিনী তাকে উৎখাত করে। বিগত ২৭ জুলাই রাব্বা আল আদাবিয়া মসজিদের সামনে গুলী করে হত্যা করা হয় ৮০ জন ইসলামী বিপ্লবের কর্মীকে। রাব্বা আল আদাবিয়া মসজিদ থেকে সেই বিপ্লবের আগুন ছড়িয়ে গেছে নাহাদা স্কয়ারে। এখন সেটি ছড়িয়ে গেছে মিসরের ২৪টি প্রদেশের মধ্যে ১৯টি প্রদেশে। ইসলামী জনতার এই উত্থান রুধিবার সাধ্য কারও নাই। ৮০ বছর নিষিদ্ধ থাকার পরেও মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিশ্চিহ্ন বা নির্মূল করা যায় নাই। ৮০ বছর পর সেখানে সম্পৃক্ত হয়েছে সাধারণ মানুষ। আজ সেই জনতা রক্ত দিচ্ছে। মিসরে সামরিক সরকারের গণহত্যার প্রতিবাদে গর্জে ওঠেছে মুসলিম জাহানের ইরান, কাতার, তুরস্ক, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং পশ্চিমের কয়েকটি দেশ। দুঃখের বিষয় বাংলাদেশ এই পাইকারি গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। কোন মুখে তারা গণহত্যার নিন্দা করবে ? নিজ দেশে অর্থাৎ বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই তারা গণহত্যা করেছে। মিসরের জনগণ যেমন ফুঁসে উঠেছে, বাংলাদেশের জনগণও তেমন ফুঁসে উঠবে। এটি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads