মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৩

অধিকার এবং প্রোপাগান্ডা


আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রোপাগান্ডার সাথে সবাইকে সুর মেলাতে হবে এটিই এখন সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূল নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ যদি ভিন্ন মত প্রকাশ করে তবে তার পরিণতি হতে পারে গুম, খুন, রিমান্ড অথবা জেল। ভিন্ন মত দমনের সব ধরনের নিপীড়নমূলক পথ এখন বেছে নেয়া হয়েছে। এর সর্বশেষ শিকার হয়েছেন মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান। তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। যদিও উচ্চ আদালতের নির্দেশে তার রিমান্ড স্থগিত করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে তিনি প্রায় দুই দিন পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। সেখানে তার ওপর নির্যাতন চালানো হতে পারে এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছিল। অধিকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেসব বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকে তার মধ্যে রিমান্ডে নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সীমান্তে হত্যার মতো বিষয়গুলো রয়েছে। বাংলাদেশে কোনো মানবাধিকার কর্মীকে এভাবে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমে এ ঘটনার সমালোচনা করা হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে আদিলুরের গ্রেফতারের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার তার সব চেয়ে উচ্চকণ্ঠ সমালোচকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। জনসমর্থন তলানিতে ঠেকায় আওয়ামী লীগ এখন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সাথে উপহাস করছে। গ্রেফতারের পরদিন তাকে যখন আদালতে নেয়া হয় তখন সুইডেন ও নেদারল্যান্ড দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি উপস্থিত ছিলেন। লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার এক টুইটার বার্তায় এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার গ্রেফতারের ব্যাখ্যা চেয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও নিন্দা জানিয়েছে। এসব খবর বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা দারুণভাবে ক্ষুণœœ করছে; কিন্তু সরকার এসবের কোনো তোয়াক্কা করছে বলে মনে হয় না বরং সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা কিছু গণমাধ্যমে অধিকার ও আদিলুর রহমান খানকে নিয়ে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিভিন্ন বক্তব্য হাজির করার চেষ্টা করছে। কেউ কেউ তার সাধুতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি কোনো সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন তা বড় করে তুলে ধরা হচ্ছে। আবার সব কিছুতে জামায়াতের ছায়া দেখায় অভ্যস্ত গণমাধ্যমে তার জামায়াত কানেকশনও আবিষ্কার করা হয়েছে। একটি বার্তা সংস্থায় অধিকারকে ডানপন্থী মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। তা হলে প্রশ্ন হচ্ছে অন্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো কি সরকারপন্থী? তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, অধিকার বিএনপি-জামায়াতের অঙ্গ সংগঠনের মতো কাজ করছে। তথ্যমন্ত্রী অধিকার ও আদিলুর রহমান খানকে ভালোভাবেই জানেন। বিগত জোট সরকারের আমলে অপারেশন কিনহার্ট ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে অধিকার এভাবেই রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। তখন অধিকারের এ কাজে অনেকেই প্রশংসা করেছেন। অধিকার হেফাজতের সমাবেশে নিহতদের তালিকা দিতে পারছে না বলে কয়েকটি টেলিভিশনে ন্যক্কারজনকভাবে ক্রমাগত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এই প্রচারণায় তাদের জন্য সমস্যা হচ্ছে মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে অধিকার অতীতে যেসব রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে কখনোই অসত্য তথ্য হাজির করেনি। ফলে অন্য অনেক বেসরকারি সংস্থার চেয়ে ছোট আকারে হলেও মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে দেশ-বিদেশে অধিকারের নিজস্ব ভাবমর্যাদা ও বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে। আসলে ক্ষমতাসীনদের দলীয় প্রোপাগান্ডা মেশিন হিসেবে পরিচিত এসব গণমাধ্যমের চরিত্র হননের কষ্টকর কল্পনা সাধারণ মানুষের মধ্যে অধিকারের রিপোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতাকে আরো প্রতিষ্ঠিত করেছে। আদিলুর রহমান খানের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে বলা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে পুলিশি অভিযানের ব্যাপারে তিনি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছেন। আসলে কি অধিকার মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে? হেফাজতের সমাবেশে অভিযান নিয়ে অধিকার ১০ জুন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সমাবেশ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন শীর্ষক তথ্যানুসন্ধান রিপোর্ট প্রকাশ করে। এতে অধিকার বলছে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে অভিযানে হতাহতের ব্যাপারে চলমান অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় প্রাথমিকভাবে ৬১ জনের মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। অধিকার এ ব্যাপারে আরো অনুসন্ধান করছে। অধিকার আরো বলছে, অত্যন্ত সতর্কতার সাথে মর্গ, প্রত্যক্ষদর্শী, নিহত ব্যক্তিদের পরিবার পরিজন ও সাংবাদিকদের সাথে আলাপ করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে অভিযানের পর সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও পুলিশের মুখপাত্ররা বলেছিলেন এই অভিযানে একজনও মারা যায়নি। ৮ মে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বেনজির আহমদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতকর্মীদের সরিয়ে দিতে যে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এই অভিযানে কোনো মারণাস্ত্রও ব্যবহার করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯ জুন জাতীয় সংসদে বলেন ৫ মে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের ওপর কোনো গুলিবর্ষণ করা হয়নি বরং হেফাজতকর্মীরা লাল রঙ লাগিয়ে মৃতের অভিনয় করেছে। হেফাজতকর্মীরা গায়ে লাল রঙ মেখে শুয়েছিল। পরে পুলিশ এলে তারা ভয়ে দৌড়ে পালায়।আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম জাতীয় সংসদে বলেন, ‘হেফাজতের সমাবেশে কোনো গুলি হয়নি। কোনো হত্যাকাণ্ড হয়নি। যদি বিরোধী দল একজন নিহত হয়েছে প্রমাণ দিতে পারে, তা হলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো।প্রধানমন্ত্রী থেকে পুলিশ প্রশাসন যখন অভিযানে হতাহতের ঘটনা অস্বীকার করছে তখন অধিকারের তথ্যানুসন্ধান রিপোর্ট নিশ্চয়ই সরকারের প্রচারণার ক্ষেত্রে বড় আঘাত হিসেবে দেখা দেয়। এর পর তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১০ জুলাই অধিকারকে চিঠি দিয়ে নিহত ৬১ জনের নাম তাদের বাবা-মার নাম ও ঠিকানাসহ পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনটি চাওয়া হয়। এই চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিহত সংখ্যা নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে তা আরো গভীরভাবে অনুসন্ধান করে নিহত প্রকৃত সংখ্যা ও ঘটনা জনগণের সামনে প্রকাশে সরকার আন্তরিক। সরকারের এ কাজে আপনাদের প্রকাশিত তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি প্রয়োজনীয় হবে বলে আশা করি।চমৎকার চিঠি। তথ্য মন্ত্রণালয় বলছে নিহত নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে এবং তা নিরসন করতে চায়। তথ্য মন্ত্রণালয়ের এই চিঠিকে আশাব্যঞ্জক উল্লেখ করে অধিকার চিঠির জবাবে বলছে সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হবে যদি সরকার তালিকা করে থাকে এবং আমরা পরস্পরের সাথে তালিকা মিলিয়ে দেখতে পারি। সরকার আন্তরিক হলে অধিকার সব রকমের সহযোগিতা দিতে আগ্রহী।মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে অধিকারের কিছু দায় রয়েছে। এ কারণে তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে আরো কিছু বিষয় নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছে। এগুলো হচ্ছে ১. নিহতদের তালিকা অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে যেসব মানবাধিকার সংগঠন কাজ করছে তাদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করা। ২. তথ্য প্রদানকারী, ভিকটিম/তাদের পরিবার এবং সাক্ষীদের জন্য সুরক্ষার সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেয়া ও সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ৩. এই তথ্য প্রদানকারী, ভিকটিম/তাদের পরিবার এবং সাক্ষীদের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটবে না সেই ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেয়া। অধিকার কেন এই দাবিগুলো করেছে তারও ব্যাখা তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে দেয়া চিঠিতে উল্লেখ করেছে। এতে বলা হয়েছে সরকার নিরস্ত্র মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও বিধিবিধানের মানদণ্ডে অপরাধী বলে অভিযুক্ত। তার পরও সেই রাতে কিছুই ঘটেনি বা কোনো প্রাণহানি হয়নি দাবি করার মধ্য দিয়ে এটিই প্রমাণ করছে যে সরকার তাদের দায় অস্বীকার করতে চায় এবং এই ঘটনার কোনো সুষ্ঠু তদন্ত করতে আগ্রহী নয়। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে সরকারের এই আচরণ অত্যন্ত গুরুতর একটি বিষয়। যেখানে সরকার নিজেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত এবং কোনো প্রাণহানি হয়নি বলে বক্তব্য দিচ্ছে সেই পরিস্থিতিতে এই ঘটনা সম্পর্কে অনুসন্ধান ও নিহতের প্রকৃত সংখ্যা জনগণকে জানানোর বিষয়ে সরকার আন্তরিক নয় বলেই প্রতীয়মান হয়। অধিকার চিঠিতে আরো ব্যাখা করে বলেছে হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহতা ও পরবর্তী দমন-পীড়নের কারণে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। গত ৫ মে ঘটনায় অন্তত এক লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ২৩টি মামলা করেছে সরকার। ভিকটিম পরিবারগুলোর আশঙ্কা তাদের পরিবারের সদস্যদের সরকার হয়রানি করতে পারে এবং এ কারণে তারা জনসম্মুখে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। অধিকার চিঠিতে বলছে, এ ধরনের কমিশন যদি গঠন করা হয় সব তথ্য সরবরাহ ও সহযোগিতা করা হবে। অধিকার তার তথ্যানুসন্ধান রিপোর্টসহ নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা সেই নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশনের কাছে হস্তান্তর করবে। নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের নিশ্চয়তা বিধান, নিহতদের নাম ঠিকানাসহ পূর্ণাঙ্গ তালিকা সরবরাহ দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনে সহায়তা বলে বিবেচিত হবে। অধিকারের এই চিঠিতে এটি স্পষ্ট যে সংস্থাটি ৬১ জনের নিহত হওয়ার দাবি করেছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তাদের কাছে আছে; কিন্তু এই তথ্য তারা সরকারকে দিতে চায় না, এ কারণে যে নিহতদের পরিবার এবং যারা এসব তথ্য দিয়েছে তাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে তথ্যদাতা ও নিহতের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে অধিকার যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছে। আমরা যেন ভুলে না যাইÑ এ ঘটনার পর হাজার হাজার হেফাজত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে, এমনকি নিহতদের জানাজা পড়তে বাধা দেয়া হয়েছে। হাফেজ মোয়াজ্জেমুল হক নান্নু নামে গুলিবিদ্ধ একজন হেফাজত কর্মী ১২ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। যশোর ঈদগাহ মাঠে তার নামাজে জানাজায় পুলিশ বাধা দেয়। জানাজায় আসা লোকদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। মাইক কেড়ে নেয়া হয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে নিহতদের পরিবার ও সাক্ষীদের তথ্য দেয়ার অভিযোগে পুলিশ হয়রানি করবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়? এত বড় একটি অভিযানের ব্যাপারে আমাদের গণমাধ্যম ও মানবাধিকারজীবী অন্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ ব্যাপারে নিশ্চুপ রয়েছে। অথচ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের রিপোর্টে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে। সরকার ও ক্ষমতাসীনদের প্রোপাগান্ডা মেশিনারি এসব গণমাধ্যমে অধিকার ও আদিলুর রহমানের চরিত্র হননের কারণও অস্পষ্ট নয়। নিশ্চুপ এসব মানবাধিকার সংগঠন ও গণমাধ্যমের মনোভঙ্গি হচ্ছে হেফাজতের সমাবেশে রাতের আঁধারে এই অভিযানে যদি কেউ নিহত হয়ে থাকে তা নিয়ে আলোচনার কী আছে? হেফাজতে ইসলামের নেতাদের ডাকে গ্রাম থেকে আসা এসব মানুষকে ফাশ আউট করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথার্থ কাজই করেছে। এদের আবার কিসের মানবাধিকার? কিন্তু অধিকার মনে করেছে এদের নাগরিক অধিকার আছে। মানবাধিকারের দৃষ্টিতে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ উচ্ছেদ করতে অভিযানে যারা নিহত হয়েছেন তারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বিশেষ করে র‌্যাবের ক্রসফায়ার ও পুলিশের হেফাজতে নিহতদের ব্যাপারে অধিকার বহু রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। একইভাবে হেফাজতে ইসলামের সমাবশে অভিযানে যারা নিহত হয়েছে তাদের ব্যাপারেও রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। দল মতের ঊর্ধ্বে উঠে মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে অধিকার যথার্থ দায়িত্ব পালন করেছে। অন্য দিকে কিছু মানবাধিকার সংগঠন ও গণমাধ্যম সরকারের দলীয় অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে এ ঘটনা নিয়ে শুধু নিশ্চুপ নয় রাজধানীর বুকে এই হত্যাযজ্ঞকে আড়াল করার চেষ্টা করেছে। এর মাধ্যমে এসব গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠন রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। 


0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads