শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৩

শেষ সময়ের ‘হরিলুট’


মেয়াদের শেষ সময়ে এসে ক্ষমতাসীনরা নিজেদের ভালো-মন্দ বোঝার মতো বুদ্ধি ও কা-জ্ঞানও হারিয়ে ফেলেছেন কি না সে প্রশ্ন আজকাল সাধারণ মানুষের মুখেও উচ্চারিত হচ্ছে। এর কারণও ক্ষমতাসীনরাই তৈরি করে চলেছেন। অন্তরালে গভীর কোনো ষড়যন্ত্র বা অন্য যে কোনো অশুভ কৌশল ও উদ্দেশ্যই থেকে থাকুক না কেন, প্রধানমন্ত্রীর সুপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় সম্প্রতি এক ‘তথ্য-তত্ত্ব’ হাজির করে বলেছেন, তার মায়ের দলই আবার ক্ষমতায় আসবে। তত্ত্বটি নিয়ে নিন্দা ও বিতর্কের ঝড় উঠতে না উঠতেই দৃশ্যপটে এসে গেছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি ঘোষণা করেছেন, তার কাছে জয়ের মতো কোনো তথ্য না থাকলেও তিনিও একই ‘গন্ধ’ পাচ্ছেন। ওদিকে ব্যঙ্গাত্মক কথায় ও ঘোষণায় যথারীতি এগিয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিরোধী দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তো বটেই, তার ছেলের বয়সী তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও তিনি তীরের পর তীর ছুঁড়ছেন। কথিত ঘুষ আর দুর্নীতির ব্যাপারে কথার খৈ ফুটিয়ে চলেছেন তিনি। অন্য কিছু কথার মাধ্যমেও ঝড় তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এসবের মধ্যে সংবিধান থেকে  ‘এক চুল’ও নড়বেন না ঘোষণাটি তো এরই মধ্যে ‘ঐতিহাসিক’ ঘোষণা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে! একযোগে ভাষণে-বিবৃতিতে তিনি চরম মিথ্যাচারই শুধু করে বেড়াচ্ছেন না, জনগণকে ভয়-ভীতিও দেখাচ্ছেন। নিজেদের সাধু-সন্ন্যাসীর পর্যায়ে উন্নীত করার হাস্যকর প্রচেষ্টা চালানোর পাশাপাশি বিএনপিসহ বিরোধী দলকে তারা দুর্নীতিবাজ ও জঙ্গি-সন্ত্রাসী বানিয়ে ছাড়ছেন। বোঝাতে চাচ্ছেন, বিএনপি এবং ১৮ দলীয় জোটকে ভোট দিলে বাংলাদেশ নাকি তালেবান রাষ্ট্র হয়ে যাবে! ঘটনাপ্রবাহে নির্বাচনী প্রচারণার ব্যাপারেই ক্ষমতাসীনদের সবচেয়ে বেশি তৎপর দেখা যাচ্ছে। আইনত নিষিদ্ধ হলেও সরকারি খরচে আয়োজিত বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে তারা দিব্যি নিজেদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল ৩০ আগস্টও তিনি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্বাচনী জনসভা করেছেন।
আজকের নিবন্ধে আমরা অবশ্য অন্য দু-একটি দিকের উল্লেখ করবো। জনগণের অর্থের ‘হরিলুট’ এরকম একটি বিষয়। প্রকাশিত বিভিন্ন খবরে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প বা এডিপি বাস্তবায়নের নামে সরকারের বিরুদ্ধে আবারও হরিলুটের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অর্থবছরের শেষপ্রান্তে এসে রাতারাতি প্রকল্প বাস্তবায়ন করার এবং বিপুল অর্থের ব্যয় দেখানোর ব্যাপারে অতীতেও অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এবার স্থাপিত হয়েছে হরিলুটের নতুন রেকর্ড। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ আইএমইডির এক রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে এসে এডিপি বাস্তবায়ন খাতে অস্বাভাবিক পরিমাণ ব্যয় দেখানো হয়েছে। বিস্ময়কর তথ্য হলো, সংশোধিত এডিপির ২৭ শতাংশই ব্যয় হয়েছে জুন মাসে। ৫২ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকার মধ্যে মে মাস পর্যন্ত যেখানে ব্যয় হয়েছিল ৩৬ হাজার কোটি টাকা সেখানে একমাত্র জুন মাসেই হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। মোট ব্যয়ের দিক থেকেও এবার চমক সৃষ্টি করা হয়েছে। মোট বরাদ্দের ৯৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ অর্থই নাকি ব্যয় হয়ে গেছে! অথচ আইএমইডি জানিয়েছে, স্বাধীনতার পর আগে কখনো এত ব্যাপক হারে এডিপির বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। ফলে অর্থনীতিবিদসহ বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও সন্দেহ-সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করেন, কাজ না করেই অনেক প্রকল্পের টাকা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। দলীয় বিবেচনার মতো বিশেষ কারণে সরকার ঠিকাদারদের আগাম চেক দিয়েছে। কিছু কাজ হলেও সেগুলোর মান নিশ্চিত করা হয়নি। ফলে লোপাট হয়ে গেছে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ অর্থ। কোনো অর্থনীতিবিদ ব্যঙ্গ করে বলেছেন, মনে হচ্ছে সরকার হাতে আলাদিনের চেরাগ পেয়েছে। না হলে এত অল্প সময়ে এত বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভবই নয়। দেখা গেছে, পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় ৯০ থেকে ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে ১৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। শুধু তা-ই নয়, ১১টি বিভাগ ও মন্ত্রণালয় আবার নির্ধারিত বরাদ্দের চেয়ে অনেক বেশি অর্থও ব্যয় করেছেÑ যার পরিমাণ এমনকি ১৭ থেকে ২৪ শতাংশ পর্যন্ত বেশি। সরকারও তাদের এই অতিরিক্ত অর্থ দিয়েছে। তথ্যাভিজ্ঞরা জানিয়েছেন, নির্বাচন এগিয়ে আসায় প্রতিশ্রুতি পূরণের উদ্দেশ্যে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়ে থাকতে পারে। একই কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও রেকর্ড করেছে সরকার। টাকার সঙ্গে বিপুল পরিমাণ খয়রাতি চাল, গম প্রভৃতিও লোপাট হয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন এবং এটাই সত্য যে, প্রকল্প বাস্তবায়নের চাইতে টাকা আদায় করার ব্যাপারেই আসলে বেশি লক্ষ্য রাখা হয়েছে। সরকারও ‘চাহিবা মাত্র’ টাকা দেয়ায়, এমনকি অনেক ক্ষেত্রে বরাদ্দের চাইতে অনেক বেশি টাকা দেয়ায় এ অভিযোগই অনস্বীকার্য হয়ে উঠেছে যে, প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে বাস্তবে চলছে হরিলুটের পালা। আইএমইডির পর্যালোচনায়ও পরিষ্কার হয়েছে, সারা বছর বসে থাকার পর অর্থবছর শেষ হওয়ার ঠিক প্রাক্কালে এসে ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, এমপি ও কর্মকর্তারা হঠাৎ তৎপর হয়ে উঠেছেন। প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে দেখিয়ে জুন মাসেই তারা বরাদ্দকৃত অর্থ তুলে নিয়েছেন। অথচ বাস্তবে তখন পর্যন্ত অনেক প্রকল্পেরই অর্ধেকের বেশি কাজ অসম্পূর্ণ ছিল। অনেক প্রকল্পের বাস্তবায়নও সন্তোষজনক ছিল না। কিন্তু জুন মাসে এসে রাতারাতি পাল্টে গেছে সবকিছু। এমনভাবেই ৯০/৯৫ শতাংশ পর্যন্ত বাস্তবায়নের রিপোর্ট হাজির করা হয়েছে যেন কর্তাব্যক্তিরা হাতে আলাদীনের চেরাগ পেয়ে গেছেন! না হলে মাত্র এক মাসেই সম্পূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলো কীভাবে? আসল রহস্য অবশ্য আড়াল করা যায়নি। অবস্থায় পরিবর্তন ঘটেছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে। টাকা ফেরত চলে গেলে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন চলবেন কীভাবে? তাছাড়া সামনেই আবার জাতীয় নির্বাচন। দলের কর্মী-ক্যাডাররা অস্ত্রে শান দিয়ে বসে আছে। তাদেরকেও তো হাতে রাখতে হবে! এজন্যই কাগজপত্রে প্রকল্পের বাস্তবায়ন ৯৫ থেকে ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত সম্পন্ন দেখিয়ে হরিলুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই লুটের অর্থ শুধু ঠিকাদারদের পকেটে যায়নি, ‘ভাগ’ পেয়েছেন মন্ত্রী-এমপি থেকে সরকারের কর্তাব্যক্তিরাও। না হলে তারাই বা সব জেনেশুনে চাল, গম এবং নগদ অর্থ ছাড় করবেন কেন?
উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বিলবোর্ডে দেশ ছেয়ে ফেলা হলেও বাস্তবে ঠিক কোন ধরনের কাজকারবার চলছে তারই কিছু চিত্র পাওয়া গেছে আলোচ্য রিপোর্টটিতে। প্রকল্পের ব্যয় নিয়ে এমন অবস্থারই যে সৃষ্টি হবে সে সম্পর্কে অবশ্য কিছুদিন আগে থেকেই জানা যাচ্ছিল। যেমন এপ্রিলে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে অধিকাংশ মন্ত্রণালয় ব্যর্থ হয়েছে। ধরে নেয়া যায়, তখনই সম্ভবত হুকুম এসেছিল ‘ওপর’ থেকে। সে হুকুমই তামিল করা হয়েছে মাত্র। অন্যদিকে কাজের কাজ যে কিছুই হয়নি তার প্রমাণ তো বিভিন্ন বিভাগ ও  মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়ন চিত্র থেকেই পরিষ্কার হয়েছে।  কথা শুধু এটুকুই নয়। কাজ যা হয়েছে সেগুলোরও ঠিকাদারি পেয়েছে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন। তাদের কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য বর্তমান সরকার এমনকি টেন্ডারের আইনেও পরিবর্তন করেছে। আগে দু’লাখ টাকা পর্যন্ত কাজের জন্য টেন্ডার লাগতো না। এখন আট কোটি টাকার কাজও বিনা টেন্ডারেই পাওয়া যাচ্ছে। পাচ্ছেও ক্ষমতাসীন দলের লোকজনই। মূলত এজন্যই সময় মতো উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন না করা হলেও ‘শ্রাদ্ধ’ করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও খাদ্যের। এভাবে চলতে দেয়া হলে সব উন্নয়ন কর্মসূচিই যে হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে সে কথা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। বলা দরকার, বিষয়টির সঙ্গে জাতীয় উন্নতি ও সমৃদ্ধির প্রশ্ন জড়িত রয়েছে বলেই প্রতিটি বিষয়ে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা দরকার। বিভাগ ও মন্ত্রণালয়গুলো কেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারেনি এবং অর্থবছরের শেষ মাসে এসে কীভাবে বরাদ্দের সমুদয় অর্থ তুলে নিতে পেরেছে তারও কৈফিয়ৎ আদায় করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে মন্ত্রী, এমপি, ঠিকাদার ও কর্মকর্তাসহ প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া দরকার। না হলে দুর্নীতি ও অর্থের হরিলুট সীমা ছাড়িয়ে যাবে এবং উন্নয়ন কর্মকা- পিছিয়েই পড়তে থাকবে।
হরিলুটের সর্বশেষ অন্য একটি খাত হিসেবে এসেছে ‘খাম্বা’ বাণিজ্য। জাতীয় দৈনিকের এক পিলে চমকানো রিপোর্টে জানানো হয়েছে, নিয়মনীতি না মেনে হাজার হাজার কোটি টাকার কেনাকাটা ও টেন্ডার বাণিজ্য তো চলছেই, একযোগে শুরু হয়েছে বিদ্যুতের জন্য ‘খাম্বা’ কেনার জোর তৎপরতাও। বিদ্যুৎ খাতে বড় কোনো প্রকল্প বাস্তবায়িত না হলেও এরই মধ্যে প্রায় ১২ লাখ ‘খাম্বা’ কিনেছে সরকার। সম্প্রতি আবার নতুন করে আরও ৬০ হাজার ৬২৫টি ‘খাম্বা’ কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বলেছে, ১৮ লাখ পল্লী গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার জন্য নাকি এই খাম্বাগুলো দরকার। লাখ লাখ কিলোমিটার তার কেনার জন্যও অর্থ বরাদ্দ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। খাম্বা ও তার ছাড়া সরাসরি কমিশন এবং মুনাফা পাওয়া যায় এমন অন্য কিছু খাতেও অর্থ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই। যেমন ২৯ জুলাই অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে জ্বালানি তেল আমদানির জন্য ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর দু’ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রস্তাব উঠেছে আরও ১০টি প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ দেয়ার। অথচ বাস্তবে এসব প্রকল্পের কোনো অস্তিত্ব নেই। সবই রয়েছে কেবল কাগজপত্রে। এজন্যই প্রকল্পগুলোকে সরকারের স্বপ্নবিলাস হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। বড়কথা, সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্বের আড়াল নিয়ে এসবের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন ক্ষমতাসীন দলের রুই-কাতলারা। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নাম তো বটেই, উচ্চারিত হচ্ছে বিদেশে বসবাসরত বিশিষ্টজনদের নামও।
রিপোর্টে আরও কিছু তথ্য-পরিসংখ্যান রয়েছে, যেগুলোর ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, বিভিন্ন বাহারী নামের প্রকল্পের আড়ালে আসলে শুরু হয়েছে ‘হরিলুট’। বলা দরকার, হরিলুট চলছে রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই। এ প্রসঙ্গে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প বা এডিপি বাস্তবায়নের বিষয়টি লক্ষ্য করা যেতে পারে। বস্তুত নির্বাচন এগিয়ে আসায় প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ‘রেকর্ড’ করে চলেছে সরকার। বলার অপেক্ষা রাখে না, প্রতিটি বিষয়ে হুকুম এসেছে ‘ওপর’ থেকে। সে হুকুমই তামিল করা হয়েছে, এখনও হচ্ছে। অন্যদিকে কাজের কাজ কিছুই যে হয়নি এবং হচ্ছে না তার প্রমাণ তো বিভিন্ন বিভাগ ও  মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়ন চিত্র থেকেই পরিষ্কার হয়েছে। কথা শুধু এটুকুই নয়। কাজ যা হয়েছে সেগুলোরও ঠিকাদারি পেয়েছে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন। মূলত এজন্যই সময় মতো উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন না করা হলেও ‘শ্রাদ্ধ’ করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও খাদ্যের। এভাবে চলতে থাকলে সব উন্নয়ন কর্মসূচিই যে ‘স্বপ্ন’ থেকে যাবে সে কথা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। এসবের সঙ্গে জাতীয় উন্নতি ও সমৃদ্ধির প্রশ্ন জড়িত রয়েছে বলেই প্রতিটি বিষয়ে আমরা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানাই। ‘হরিলুট’ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। কারণ, টাকাটা গরীব জনগণের।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads