বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৩

আরে ও উজান গাঙের নাইয়া


দূরে কোথায়ও যখন কালো মেঘ দেখা যায়, তখন অভিজ্ঞ মাঝি ঠিক ঠিক আঁচ করতে পারেন, এই মেঘের পরিণতি কী হবে। এই মেঘ কি হাওয়ার দাপটে উড়ে চলে যাবে, নাকি আরও প্রবল শক্তি নিয়ে তুফান, ঘূর্ণিঝড়ে, টাইফুনে রূপ নেবে। সেই বুঝে তিনি নৌকা ঘাটে ভিড়িয়ে রাখেন কিংবা নৌকা ছাড়েন সমুদ্রের আরও গভীরে। কুঁছ পরওয়া নেহি।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এখন কুঁছ পরওয়া নেই। তিনি ভাটি এলাকার মানুষ। বলেন, মেঘ  ঢেউয়ের খেলা তার ভালোই জানা আছে। সে সাহসে তিনি বলেছেন যে, যারা ভাবছেন আওয়ামী লীগে এখন ভাটার টান, তারা পানির গতিবিধি জানেন না। ভাটা শুরু হলে তারও শেষ আছে। তারপর এক সময় সাগরের কূল ভেঙে তীব্র জোয়ারের সৃষ্টি হয়। তখন নৌকা ঠিকই কূলে এসে ভিড়ে যায়। আর ভাটার টান দেখে সে সময় কেউ যদি লাফ দিয়ে নৌকা থেকে নেমে পড়তে চায়, তাহলে তার বিপদ ভারী হবে। একেবারে কাদার মধ্যে পা ডুবে যাবে। যেন এক মরণ দশা।
আর প্রধানমন্ত্রী দারুণ নেয়ে। দক্ষ মাঝি। তিনি বলেছেন, হাল তিনি শক্ত করেই ধরে রেখেছেন। নৌকা গন্তব্যে পৌঁছে যাবে। এ যেন অনেকটা মানিক বন্দোপাধ্যায় রচিত ‘পদ্মা নদীর মাঝি’র কাহিনীর মতো। এই কাহিনীর মূল নায়ক হোসেন মিয়া। দক্ষ মাঝি। পদ্মার কোন দূরে ছোট্ট এক চিলতে ময়না দ্বীপ জেগে উঠেছে হোসেন মিয়া তা জানে। সেখানে সে স্বপ্নের বসতি গড়তে চায়। ধর্মবর্ণহীন এক মানব বসতি। যারা জঙ্গল কেটে সাপ-বিচ্ছু নির্মূল করে সেখানে নিজেরাই নিজেদের জীবিকার ব্যবস্থা করবে। বণ্টন ব্যবস্থা হবে একেবারেই সুষম। এমন এক স্বপ্ন নিয়ে হোসেন মিয়ার কায়কারবার। যদিও সে সম্ভবত চোরাচালান কাজের সাথে যুক্ত। তারপরেও সে কেতুপুরের জেলেপাড়ার মানুষের প্রতি মমতাশীল।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের প্রতি মমতাশীল। কোন কারণে কোনো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে তিনি কাউকে কাউকে মেয়ে বানান। কাউকে কাউকে লাখো টাকাও দেন। কখনো শোকে কাঁদেন। হোসেন মিয়াও কেঁদেছেন। এর ওপর মানুষের আর কী গুণাবলী থাকবে। আর যে গুণ, সে তার নৌকা চালানোর দক্ষতা। তিনি ঠিক ঠিক জানেন ভাটার টান ধরলে সেখানে কাদা জমে যায়। লাফ দিয়ে নামলে হাঁটু পর্যন্ত গেড়ে যায়। ভাটা শেষে জোয়ার আসে। নাবিক হাসিনা ‘শক্ত হাতে’ হাল ধরে আছেন। তিনি নিশ্চয়ই তার স্বপ্নের ময়না দ্বীপ ‘ভিশন ২০২১’-এ পৌঁছে যাবেন। এভাবেই হোসেন মিয়া ময়না দ্বীপে নিয়মিত যাতায়াত করতো। আর সব সময় নাবিক থাকতো সে-ই।
উপন্যাসিক মানিক বন্দোপাধ্যায় তার কাহিনী ভিন্নভাবেও শেষ করতে পারতেন। আমাদের সিনেমা-টিনামাগুলোতে যা হয়। মাদক চোরাচালানের দায়ে হোসেন মিয়াকে ধরিয়ে দিয়ে কাহিনীর সমাপ্তি টানতে পারতেন তিনি। সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হতে পারতো। কিন্তু তিনি তা করেননি। সমাজ যেভাবে বয়ে যায়, সেভাবেই বয়ে যেতে দিয়েছেন। এখানে দুর্নীতি থাকবে, মাদকের চোরাচালান থাকবে। আর একজন মানুষের স্বপ্নের ময়না দ্বীপও থাকবে। সেখানে নিরন্তর আদম পাচারও থাকবে।
আমরা তেমনি এক সমাজে আছি। ওপরের প্রসঙ্গ আসতো না যদি না শেখ হাসিনা গর্ব করে এ কথা বলতেন যে হাল তিনি শক্ত হাতেই ধরে রেখেছেন। জোয়ার-ভাটাও তিনি ভালো বোঝেন। কিন্তু তিনি কী যে বোঝেন, সেটি অনুমান করা সহজ নয়। তার কথা শুনে মনে হয় নিকট-অতীতের সব কিছুই তিনি ভুলে যেতে বসেছেন। ২০০৭ সালে তার চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দেশকে যে কোথায় নিয়ে গিয়েছিল সে কথা এখন আর তার মনে নেই। তিনি অবিরাম বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় দেখান যে, যদি তিনি শেখ হাসিনার পাতানো নির্বাচনে না আসেন তবে তাকে চরম মূল্য দিতে হতে পারে। এমনকি তাকে সপুত্রক জেলের ঘানিও টানতে হতে পারে। এ কথা তিনি কেন বলেছেন, সেটি শেখ হাসিনা নিজে ভুলে গেলেও আমরা সাধারণ নাগরিকরা এখন পর্যন্ত ভুলে যাইনি। সেই সংঘাতময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তিনি সেনাপতি মইনউদ্দিন ও মার্কিন নাগরিক ফখরুদ্দিনকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন। মইনউদ্দিন এক অথর্ব সেনা শাসক ছিলেন। সে যাত্রা শেখ হাসিনা বেঁচে গিয়েছিলেন। মইনউদ্দিন ক্ষমতায় থাকার জন্য কোশেশ কম করেননি। এই রকম কমিটি গঠন করতে হবে, সে রকম কমিটি গঠন করতে হবেÑ এমনি নানাবিধ কথা আমরা তার মুখে শুনেছি। যদি তিনি সফল হতেন, তাহলে শেখ হাসিনাকেও এত দিনে জেলের ঘানি টানতে হতো। কারণ তার সম্পর্কে তার নিকটজনরা যেসব কথা বলেছিলেন সেগুলো তার বহুদিনের কারাবাসের জন্য যথেষ্ট ছিল।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তার ডেকে আনা সরকার যেসব মামলা মোকদ্দমা করেছিল সেগুলো বহাল থাকলে নিশ্চিতভাবেই তার কঠোর শাস্তি হতো। আর আত্মীয়-স্বজনসহ বছরের পর বছর জেল খেটে যেতে হতো। সেসব মামলায় প্রত্যক্ষ সাক্ষীর অভাব হয়নি। শেখ হাসিনার প্রিয়ভাজন ব্যবসায়ীরা একেবারে আদালতে গিয়ে সাক্ষী দিয়েছিলেন যে, কীভাবে কার মাধ্যমে কোথায় কত টাকা শেখ হাসিনাকে নগদে ঘুষ দিয়েছিলেন আর কত টাকা দিয়েছিলেন চেকের মাধ্যমে। এখন বড় বড় কথার বড়াই শুনি। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মামলা তিনি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। কিন্তু ঐ সরকারের আমলে দায়েরকৃত খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলাগুলো চলে, আর শেখ হাসিনার সরকার নির্লজ্জভাবে নতুন মামলা দায়ের করে। এর কোনো কিছুই আখেরে টেকে না।
প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসা টেলিভিশন টক-শোতে বলেছিলেন যে, আওয়ামী লীগের নেতা-এমপি-মন্ত্রী দেখলেই জনগণ যেন ধুয়া দেয় যে ‘চোর চোর’। সোনালী ব্যাংক থেকে হলমার্ক কেলেঙ্কারির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক উপদেষ্টার তত্ত্বাবধায়নে চার হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে গেল। অর্থমন্ত্রী বললেন, আমাদের এত বড় অর্থনীতি, এর মধ্যে চার হাজার কোটি টাকা কোনো টাকাই না। তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে কোন্্ লজ্জায় খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুই-চার-পাঁচ কোটি টাকার নয়ছয়ের মামলা করেন? বেহায়াপনারও বোধকরি একটা সীমা আছে। এ সরকার সে সীমানার বাইরে।
কিন্তু কেন এত খোল-করতাল? ২০০৭ সালে ভারতীয় দূতাবাস, মার্কিন দূতাবাস, ইইউ, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র এমনকি জাতিসংঘ বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিল। সে যুক্ত হওয়াও ছিল ধাপে ধাপে। ইউএনডিপির এক চিঠির বরাত দিয়ে ভ- মইনউদ্দিন আহমদ সেনাবাহিনী বিডিআর ও পুলিশ বাহিনীর মধ্যে এই আশঙ্কার সৃষ্টি করেন যে, ঐ মুহূর্তে যদি সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ না করে তবে লাভজনক জাতিসংঘের চাকরিতে তাদের আর বহাল করা হবে না। আর যারা ইতোমধ্যে চাকরিতে বহাল আছে তাদেরও ফেরত পাঠানো হবে। কিন্তু জাতিসংঘের ওয়েব সাইট ঘেঁটে এ রকম কোনো বার্তা পাওয়া যায়নি। অথচ তখন বলতে গেলে চুপ করেই ছিলেন ইউএনডিপির প্রতিনিধি রেনেটা লক। কিন্তু বাংলাদেশ ছাড়ার আগেই তিনি বলেছেন, ঐ সময়ে যা ঘটেছে সে জন্য তিনি দুঃখিত।
একই ঘটনা প্রায় ধারাবাহিকভাবে এখন ঘটতে শুরু করেছে। কিন্তু এবারের মাত্রা সামান্য ভিন্ন। বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ বটে, কিন্তু তারপরেও খেল তো। হেরে গেলে চলবে না। বস্তুতপক্ষে গতবার খেলাটা ছিল এদেশে রাজনীতিবিদ আর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে। এবার খেলাটা একপক্ষে ভারতনির্ভর হাসিনা ও তার প্রধান নির্ভর ভারত। অপর পক্ষে পুরানো সব খেলোয়াড়রা আর বাংলাদেশের জনগণ। শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এখন দুই পয়সাও মূল্য দিচ্ছেন না। মাসের পর মাস ধরনা দিয়েও মার্কিন রাষ্ট্রদূত শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। কারণ তার সময়ের বড় অভাব। আর সবাই এসে গেছেন। হাসিনাকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। ইইউ এসেছে, ব্রিটেন এসেছে, মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলো এসেছে। জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল এসেছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধি এসেছেন। ফায়দা খুব একটা হয়নি। শেষ পর্যন্ত জাতিসংঘ মহাসচিব নিজেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে কথা বলেছেন।
কী ফল ফলবে জানি না। কিন্তু এবারের খেলায় মাত্রার ভিন্নতা তো আছেই। হ্যাঁ, বাংলাদেশের গৌরব নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত অর্থনীতিবীদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস সে সময় একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সে মাত্র দু-তিন দিনের জন্য। তারপর তিনি বুঝেছিলেন সে কাজটি সহজ নয়। মঞ্চ থেকে সরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক দল এখন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার দাবি তুলেছেন। এমনকি তার যে ১৪ দলের মৈত্রী, তাদের মধ্যেও অনেকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবি তুলেছেন। শেখ হাসিনা বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কিন্তু সে সংবিধান এখন নির্বাচনোপযোগী আছে কি না সন্দেহ। এর আগে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার সময় বেগম খালেদা জিয়ার সরকার যখন সংবিধানের দোহাই দিয়েছিলেন, তখন  শেখ হাসিনাই বলেছিলেন, সংবিধান মানুষের জন্য। মানুষ সংবিধানের জন্য নয়। সে কারণেই সংবিধান অবশ্যই সংশোধনযোগ্য। এখন বলছেন সংবিধানের বাইরে তিনি এক চুলও নড়বেন না। পৃথিবীর কেউ এটাকে  যৌক্তিক মনে করে না।
সরকার বিচার প্রশাসন, আইন-শৃংখলা বাহিনী, মানবাধিকার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ যত প্রতিষ্ঠান আছে সব কিছুকে দলীয়করণ করে ফেলেছে। এই সকল প্রতিষ্ঠান সরকারের সুরে কোরাস ধরে। সরকার যেভাবে বলে ঠিক ঠিক সেভাবে নিজেদের হাত-পা কেটে ডালায় করে সরকারকে উপহার দেয়। দুর্নীতি দমন কমিশন সরকারের লাখো কোটি টাকার দুর্নীতিকে কোনো দুর্নীতিই হয়নি বলে সার্টিফিকেট দেয়। আর বিরোধী দলকে একেবারে দুর্নীতির আখড়া বলে অভিহিত করে মামলা দায়ের করে। আর তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে সুখ পায়। বস্তায় বস্তায় টাকা যারা চুরি করে, সে বস্তা ধরা পড়ার পরও তাদের মন্ত্রিত্ব বহাল থাকে। বিশ্বব্যাংক যেখানে দুর্নীতির প্রমাণ হাজির করে সেখানে প্রধানমন্ত্রী তাকে মহান দেশপ্রেমিক হিসেবে আখ্যায়িত করেন। আর দুর্নীতি ধরে ফেললো কেন এই নিয়ে তার সে যে কী বিষোদগার!
আর নির্বাচন কমিশন? ছিঃ বললেও যথেষ্ট বলা হয় না। বিএনপিকে ঠেকাতে এক বিকল্প দাঁড় করানোর চেষ্টা হচ্ছে বিএনএফ (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট)। তারা প্রতীক চায় বিএনপির ধানের শীষ কিংবা চায় গমের শীষ। কিংবা চায় ধান গাছ। কিংবা চায় রজনীগন্ধা। সাদাকালোতো বাজেভাবে ছাপা এর সব কিছুকেই ধানের শীষ বলে মনে হবে। বিএনপি যদি নির্বাচনে আসেও এবং নির্বাচন যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতেই হয়, তাহলেও যেন শিক্ষাবঞ্চিত বিএনপি সমর্থকরা ভুল করে ধানের শীষ বাদ দিয়ে ঐ মার্কায় ভোট দেয়। বিএনপির ভোট কিছু কমে।
কিন্তু দল নিবন্ধনের কিছু শর্ত আছে। তা হলো ঐ দলের জেলায় জেলায় কার্যালয় আছে কি না। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কমিশন তিন দিন আগে জানায় যে, গোটা জেলায় তাদের একটিও কার্যালয় নেই। কিন্তু সরকারের ইচ্ছা যে ভিন্ন। ফলে তিন দিনেই পাল্টে যায় সে রিপোর্ট। তিন দিন পর চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয় জানায় যে, বিএনএফের ১৫টি কার্যালয়ের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এখানে ছিঃ বললেও যথেষ্ট বলা হয় না। এই কমিশন জাতীয় সংসদের নির্বাচন পরিচালনা  করবে, আর সবাই তা মেনে নেবে? উত্তাল দরিয়ায় হাল ধরা মাঝি শেখ হাসিনা তেমনি বিশ্বাস করছেন। ঘটনার অগ্র-পশ্চাৎ বিবেচনা করতে পারছেন না। দেখা যাক, উজান-ভাটা আর শক্ত হাতে হাল ধরা মাঝি শেখ হাসিনার পরিণতি কী হয়।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads