বুধবার, ২৯ মে, ২০১৩

মইন-ফখরুদ্দীনের চটিতে পা ঢুকিয়েছে সরকার

টা দিন সবার দৃষ্টি আটকে ছিল সাভার ট্র্যাজেডি ঘিরে। হঠাৎ করে দৃষ্টি ফেরাতে হলো শাপলা ট্র্যাজেডির দিকে। এরপর মহাসেন এলো ধেয়ে। সাভার ট্র্যাজেডির দুর্বিষহ চাপ পুরো জাতিকে ব্যথাতুর করেছে। বেদনাবিধুর এই দুঃসহ স্মৃতি বারবার মানুষকে টেনে নিয়ে গেছে সাভারের অসহনীয় স্মৃতির বাঁকে। হঠাৎ করে ঘটিয়ে দেয়া হলো শাপলা ট্র্যাজেডি। সাভার ট্র্যাজেডি কিছু দুর্বৃত্তের দুষ্কর্মের ফল। শাপলা ট্র্যাজেডি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হলো, ক্ষমতার বিষাক্ত ছোবল পড়লো শাপলা চত্বরে। এর জের চলবে বছরের পর বছর। যুগের পর যুগ। ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে শাপলা ট্র্যাজেডি সামনে এসে দাঁড়াবে। এ সময়ের সরকারকে বারবার বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। যেমনি দাঁড়া করায় দিল্লিতে বাহাদুর শাহ জাফরের ক্ষমতাচ্যুতির পর পরিকল্পিত দিল্লি হত্যাকাণ্ড, জালিয়ান ওয়ালাবাগের হত্যালীলা, বালাকোটের ঘটনাপ্রবাহ। পলাশীর আমবাগানে সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র যুদ্ধের পর সিরাজকে হত্যার বীভৎস কাহিনী যেমন ভুলবার নয়, তেমনি ভুলে থাকা যায় না বক্সারের যুদ্ধে স্বাধীনতার অস্তমিত সূর্যখ্যাত মীর কাশিমের কষ্টমাখা বিয়োগান্ত পরিণতির কথা। শহীদ তীতুমীরের বাঁশের কেল্লার ঘটনা, তীতুমীর ও গোলাম মাসুমসহ শহীদদের আর্তচিৎকার যেন এখনো কান পাতলে শোনা যায়। যেমনি শোনা যায় একাত্তরের শোকের মাতম।
ইতিহাস কোনো ট্র্যাজেডিকে ভুলে যেতে দেয় না। কোনো আত্মত্যাগও সময়ের বাঁকে হারিয়ে যায় না। শহীদ হাবিলদার রজব আলী, সূর্যসেন, ুদিরামরা কোনো দিন হারিয়ে যাবেন না। সালাম, বরকত, জব্বার, শফিক, রফিক ও অসংখ্য নাম না জানা ত্যাগী প্রাণগুলো বারবার প্রেরণা হয়ে সামনে এসে দাঁড়ায়। ভবিষ্যতেও দাঁড়াবে। তাই যারা ভাবছেন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে প্রচারণার জোরে পার পেয়ে যাবেন, তারা ভুল ভাবছেন। মানুষের ওপর মানুষের জুলুম বিধাতাও ক্ষমা করে দেবেন না। তাছাড়া শাপলা চত্বর গুঁড়িয়ে দিয়ে যারা নিজেদের সক্ষমতা ও সাফল্যের আস্ফালন দেখাচ্ছেন, তারা নিজেদের অস্তিত্বের ইতিহাসও ভুলে গেছেন। বোধ করি, এটাই ক্ষমতার ধর্ম। ডুবে মরার আগ পর্যন্ত সবকিছুতেই সাফল্য দেখতে পায়। কোনো ভুলই চোখে পড়ে না।
রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ সব সময় নাড়িছেঁড়া স্মৃতি রোমন্থন করায় না। রাজা যায় রাজা আসে, তাও স্মৃতির পাতায় ঠাঁই পায় না। রাজ্য শাসন ও সরকার পরিচালনার অনেক ঘটনাপ্রবাহই আড়ালে চলে যায়, কিন্তু রক্তাক্ত ঘটনাপ্রবাহ ইতিহাসের গ্লানি হয়ে কালে কালে কালান্তরিত হয়ে স্মৃতিতে জুড়ে থাকে। খলনায়কদের ভাগ্যে জোটে অভিসম্পাত, ঘৃণা ঢেলে মানুষ অভিশাপ দেয়। ঘৃণার থু থু ছিটিয়ে গ্লানি ভুলবার চেষ্টা করে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে আজকের সময়টা গ্রহণকাল। এ সময়টি কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। কারণ এত পাপের বোঝা বহন করা যায় না। এত পাপ মাফ হয়ে যায় না। সোজা কথায় আমরা এ সময়ে এসে দমন-পীড়নের চূড়ান্ত মাত্রায় জনগণের ককিয়ে ওঠার আর্তনাদ শুনতে পাচ্ছি। ভিন্নমত দমন ও দলনের এমন সীমাহীন ঔদ্ধত্য এর আগে কমই দেখা গেছে। আইনের শাসন এভাবে ভূলুণ্ঠিত হয়ে থাকতে আর কখনো দেখা যায়নি। ছদ্মবেশী জরুরি অবস্থার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করে মৌলিক অধিকার নিয়ে এতটা ছিনিমিনি কেউ খেলে না। মানবাধিকার নিয়ে এত তুচ্ছতাচ্ছিল্য বোধকরি কেউ করে না। বিচারের বাণী অতীতেও নিভৃতে কেঁদেছে, কিন্তু এই পরিমাণ প্রহসন কেউ দেখেনি। দেশের সংবিধান, সংসদ ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুমড়ে মুচড়ে শ্রী হারিয়ে পড়ে আছে। প্রশাসন যেন ক্ষমতাসীন দলের বিশেষ শাখা। পুলিশ দলীয় ক্যাডার। জেলগুলোতে ঠেসে আছে হাজার হাজার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী। রিমান্ডের নামে যে কী অবস্থা চলছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অসংখ্য সরকারি কর্মকর্তা বাধ্য হয়ে যাতনাবোধ ও সামাজিক বিড়ম্বনা এড়াতে চাকরি ছেড়েছেন। সমপরিমাণ ওএসডি হয়ে আছেন।
এবার মহাজোট সরকার আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে একেবারে পাল্টে দিয়েছে। এমন কিছু নতুন নজির স্থাপন করেছে, যার কিয়দংশও যদি ভবিষ্যতে কোনো সরকার চর্চা করে কিংবা প্রতিশোধস্পৃহ হয়ে কিছু করতে চায় তাহলে আরো ভয়াবহ অবস্থার জন্ম দেবে। এ ভীতি সম্ভবত ক্ষমতাশীনদেরও পেয়ে বসেছে। তাই যুক্তি, রাজনীতি, মানবতাবোধ হারিয়ে সরকার নিষ্ঠুরতার পথে হাঁটতে শুরু করেছে। এখনো সরকার ভাবছে দমন-পীড়নই তাদের অবারিত ক্ষমতাচর্চাকে নিরাপদ করবে। ব্যর্থতাগুলো আড়ালে চলে যাবে। মূল গলদটা এখানেই। সম্ভবত এ কারণেই রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টির মতো ভয়াবহ অবস্থার কথা ভুলে গেছে। রাজনৈতিক শূন্যতা থেকেই ঝড়ের মতো বিপর্যয় নেমে আসে। সে ধরনের নিম্নচাপের মাত্রা নির্ণয় করলে এখন দশ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত দেখাতে হবে।
এক-এগারোর সরকার এক বছর দাপটের সাথে ক্ষমতাচর্চা করে দেখল, পেছনে তারা শুধু পাপ আর ব্যর্থতার পাহাড় সৃষ্টি করেছে। মাইনাস টু তত্ত্ব মাঠে মারা গেছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে সংস্কার আর দুর্নীতিবিরোধী জেহাদের স্লোগান। রাজনীতিবিদদের হয়রানি সুফল দেয়নি। ক্যাঙ্গারু কোর্ট পরিচালনা, বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ ও রিমান্ডের অমানবিক নির্যাতন ও হয়রানি করার সুফল তাদের ঘরে উঠছে না। দুদককে অপব্যবহার করে সুফল ঘরে তোলা যাচ্ছে না। রাজনীতিবিদ ও কিছু ব্যবসায়ীকে হেনস্তা করে লাভ হয়নি। দল ভাঙার চেষ্টাও সফল হলো না। নির্বাচন কমিশনকে খেলারাম বানিয়ে স্বস্তি ফিরল না। নতুন দল করার চেষ্টাও জনগণ ওয়াক থু বলে বর্জন করেছে। মইনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার খোয়াব মেটারও কোনো সম্ভাবনা নেই। দেশ পরিচালনা করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। তখন তাদের মোহভঙ্গ হয়। ঘোর কেটে যায়। ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থায় নিরাপদ অবতরণের পথ খুঁজতে বাধ্য হয়। সংবিধান উপেক্ষা করে দুমড়ে মুচড়ে লণ্ডভণ্ড করে বেপরোয়া পথ চলার গতি থামাতে হয়। এরই ফলোআপ হিসেবে দুনেত্রীর সাথে সমঝোতা করে ভবিষ্যৎ নির্ধারণের পথ খুঁজতে বাধ্য হয়। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নিরাপদ অবতরণের নিশ্চয়তা না পেয়ে এক নেত্রীর হাতে ত্রিশ আসন ধরিয়ে দেয়া হয়। বিচারের মুখোমুখি না হওয়ার নিশ্চয়তা পেয়ে অন্য নেত্রীকে আজগুবি ও ভুতুড়ে ভোটের বন্যায় ভাসিয়ে দিয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনের মালিক বানিয়ে দেয়া হয়। এভাবেই নিরাপদে কেটে পড়ার সুযোগ নেয় মইন-ফখরুদ্দীনের পুরো দলটি।
এরপর দেশ পেল একটি নতুন সরকার। দুর্ভাগ্য, এ সরকার যেন এক-এগারো সরকারের নতুন সংস্করণ। সেই সরকারের ছদ্মবেশ ছিল কেয়ারটেকারের আলখেল্লা। এর ভেতরে ছিল সেনাবাহিনীর অতি উচ্চাভিলাসি একটি ুদ্র দল। যারা পুরো সেনাবাহিনীর ভাবমর্যাদা লুণ্ঠন করে সরকার চালানোর চেষ্টা করেছে। বাস্তবে সেই সরকার কেয়ারটেকারও ছিল না, পুরো সেনাবাহিনী সমর্থিত ও পরিচালিত সরকারও ছিল না। সেটা ছিল ক্ষমতার রাজনীতির কুৎসিত চেহারার বিপরীতে বিদেশী পৃষ্ঠপোষকতায় একটি ককটেল ধরনের অসাংবিধানিক অথর্ব সরকার। দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র ছিল তার নেপথ্য শক্তি। প্রথম দিকে জনগণের মৌন সমর্থন ও নির্বিকার ভাব ছিল তাদের বিশেষ পুঁজি। লগি-বৈঠার তাণ্ডব ছিল তাদের পরিপ্রেক্ষিত সৃষ্টির উপাদান। অথচ তাদের ছিল না অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা এবং দূরদর্শিতা। কিছু আবেগ, কিছু উচ্চাভিলাষ তাড়িত কজন সেনা কর্মকর্তার মনে এক ধরনের রোমাঞ্চকর ধারণা বাসা বেঁধেছিল। ষোল কোটি মানুষ ও সরকার পরিচালনা সম্পর্কে এরা ছিল অজ্ঞ। এ সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণাই ছিল না। কেন যেন মনে হচ্ছে, আজকের দাম্ভিক ও অহমিকা লালিত সরকার মইন-ফখরুদ্দীনের ছুড়ে ফেলে পালিয়ে যাওয়া সেই চটি জুতাতে পা ঢুকিয়ে পথ চলছে। নির্বাচন কমিশন ব্যবহার, দুদককে আজ্ঞাবহ বানানো, বিচারে হস্তক্ষেপ, প্রশাসনের ওপর অন্যায্য নীতি আরোপ, হামলা-মামলা, রিমান্ড নির্যাতন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে দুর্নীতির ভেতর আকণ্ঠ নিমজ্জিত হওয়া, সম্মানিত লোকদের মান নষ্ট করা, প্রতিপক্ষের চরিত্র হনন, সংস্কারের ডুগডুগি বাজানো সব যেন দুয়ে দুয়ে চারের মতো মিলে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী যতই বলুন ব্যর্থ উপদেষ্টাদের উপদেশ খয়রাত নেবেন না। এখন মনে হচ্ছে শেষ পর্যন্ত এই সরকারকে মঈনদের মতো ছিটানো থু থু গিলে নেয়ার মত প্রতিপক্ষের হাত-পা ধরে বিদায় নেয়ার মতোই সুযোগ খুঁজতে হবে। এমন হতে পারে ব্যর্থদের মধ্যস্থতাও মেনে নিজেদের নিরাপদ প্রস্থানের পথ খুঁজে পেতে বাধ্য হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আজো মন্ত্রীদের ব্যর্থতার পরিমাণ পরিমাপ করার সুযোগ পাননি। উপদেষ্টাদের ওপর নির্ভরতার খেসারতও তিনি মেপে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না। দিনে দিনে জনগণের পাওনা কত জমেছে সেই হিসাবও তার কাছে নেই। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত মন্ত্রীদের হটিয়ে তিনি স্বচ্ছ পথ রচনা করার সাহস পাননি। কেন তিনি এসব বিষয়ে নজর দেননি-এর জবাব বড় কঠিন। কারণ তিনি বলেন নিজের মতো করে। তিনিই সংবিধান, তিনিই দল ও আইন, তিনিই গণতন্ত্র। তিনিই দেশ। তার ওপর কিছু হলেও ভরসা করে চলেন দৃশ্য-অদৃশ্য উপদেষ্টাদের কথামতো, দলের সিনিয়রদের দূরদৃষ্টি সম্পন্ন চিন্তা দিয়ে নয়। মন্ত্রীদের মন্ত্রণা অনুসরণ করেও নয়।
মইনেরা প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আইয়ুবি ধারায়, এরশাদীয় পন্থায় এক দশক ক্ষমতাচর্চা করে রাজনীতিবিদদের পিটিয়ে সোজা করে নতুন ধরনের এক খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। আরো স্বপ্ন ছিল দেশের জনগণকে সুখের সাগরে ভাসিয়ে দেবে। তাতে আলাদা দুধের নহর বয়ে যাবে। কার্যত দেশটাকে তারা হীরক রাজার দেশে পরিণত করে মাঝপথে বিদায় নিয়েছে। বলা চলে অজ্ঞতা, অদক্ষতা, সীমাহীন বাড়াবাড়ি, ঔদ্ধত্য ও অদূরদর্শিতার কারণে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছে। তারা ছিল হাতেগোনা কজন। তাদের কর্মী ছিল না, দলীয় কাঠামো ছিল না, ছিল না তেমন কোনো পিছু টান, যা কামিয়েছে তাই দিয়ে বিদেশে নিশ্চিন্তে বসবাসের ব্যবস্থা করে দেশ ছেড়েছে। একটি রাজনৈতিক সরকারের অবস্থান ততটা ভুঁইফোড় নয়। এটা রাজনৈতিক সরকারের অ্যাসেট। আবার বিপর্যয়ের কালে, পতনের বিউগল বাজলে বড় ধরনের লায়াবেলেটিজও।
বর্তমান সরকারের সামনেও এক-এগারোর হোতাদের মতো স্বপ্ন একই ধরনের। দুহাজার একুশ সাল পর্যন্ত ক্ষমতাচর্চা করবেন। দেশকে ডিজিটাল বানিয়ে বিশ কোটি মানুষের হাতে একটি স্বপ্নের সোনার বাংলা ধরিয়ে দেবেন। বিনিময়ে অমরত্ব লাভ করে বিদায় নেবেন। মইনেরা প্রতিপক্ষ ভেবেছে রাজনীতিবিদদের। বর্তমান সরকার প্রতিপক্ষ বানিয়েছে তাবৎ বিরোধীদলকে, সব ইসলামি শক্তিকে, ভিন্ন মতকে, দেশের সব ধর্মপ্রাণ মানুষকে, খ্যাতিমান সব চিন্তাশীল মানুষকে, বুদ্ধিজীবী ও দেশাত্মবোধে উজ্জীবিত মুক্ত চিন্তার সব মানুষকে। সর্বোপরি গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও ন্যায় ইনসাফকে। সরকারের অসহিষ্ণুতা যতটা পরীক্ষিত বন্ধুদের ওপর, ততটা নির্ভরতা আধিপত্যবাদের ওপর। এর ফলে নতুন কোনো মেঘনাদ বধ কাব্য রচিত হতে পারে। সরকারের স্বপ্ন পূরণের কোনো দিশা হতে পারে না। যে রাজনৈতিক শূন্যতার জন্ম সরকার দিয়েছেÑ সেটাই নিম্নচাপকে অনিবার্য করবে। সময়টা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। তবে জরুরি অবস্থার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করে সরকার প্রমাণ করেছে রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে, আদর্শকে আদর্শ দিয়ে, যুক্তিকে যুক্তি দিয়ে মোকাবেলার সব নৈতিক শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। এখন নিজের ছায়াকেও শত্রু ভেবে যুদ্ধটা নিজের বিরুদ্ধেই করছে। অন্যান্য ভীতির মতো তারেক জিয়াভীতিও সম্ভবত তারই একটি উপসর্গ।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads