মোস্তাফিজুর রহমান
কথায় যুক্তি থাকুক আর নাই থাকুক, ‘টক ঝাল মিষ্টি’র উক্তি ছড়িয়ে দেয়ার মতো লোকের অভাব এ দেশে নেই। বর্তমান সরকার নিষ্ঠুর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসে যে ক’জনকে অতি সম্মানিত করেছেন, তাদের মধ্যে বিদায়ী যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এবং বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অন্যতম। সরকার এ দু’জনকে মহান সম্মানে সম্মানিত করলেও দুজনই সরকারকে যারপরনাই অসম্মান করেছে। এ দেশে বিনা পয়সায় উপদেশ দেয়ার মতো লোকের অভাব নেই জেনেও অনভিজ্ঞ পরামর্শ গ্রহণের জন্যই সরকার আবার যোগাড় করেছে নানা কিসিমের উপদেষ্টা। তাদের কীর্তি অবশ্যই অল্প বয়ানে শেষ করা যাবে না। মাত্র দু’জনের কীর্তি এবং উক্তি সরকারকে ভয়ানক বিপদগ্রস্ত করেছে। বিষয়টি অনুধাবন করে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন তিনি যেন কম কথা বলেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই সাধারণ মানুষ যে আশার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল, সে স্বপ্ন প্রথমেই দুঃস্বপ্ন হয় শেয়ারবাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যাওয়ায়। সে ক্ষত আজও ক্ষতই আছে। যেখানে সুচিকিত্সার বদলে হয়েছে অপচিকিত্সা। যার নেপথ্যে অনেকের মধ্যে আছেন ওই প্রিয় অর্থমন্ত্রী নিজেই। এই শেয়ারবাজার নিয়ে তিনি যে পরিমাণ উক্তি ছড়িয়েছেন তার সংখ্যা কারও অজানা নয়। পদ্মা সেতুর মতো দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি নিঃসন্দেহে ১৬ কোটি মানুষের। এ ধরনের অবকাঠমোগত একটি বড় প্রকল্প চায় না এমন মানুষ দেশে থাকার কথা নয়। সেই পদ্মা সেতুর প্রকল্প নিয়ে ঘটেছে অভাবনীয় সব ঘটনা। দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংকের দাবির মুখে ঘোলা পানির শরবত পান করতে হয়েছে সৈয়দ আবুল হোসেনকে। যদিও পদহারা আবুল হোসেনের দেশপ্রেমে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন আইএসও সনদ। সরকারের সাড়ে তিন বছরের শেষে সেরকম সনদ দেয়ার মতো আস্থা জনগণ প্রধানমন্ত্রীর ওপর এখনও রেখেছেন কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে। বিদ্যুত্ একটি অপরিহার্য সেবাখাত । বর্তমান সরকারের আমলে ছয়বার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি কুইক রেন্টালের বিদ্যুত্ এখন ভোক্তাদের বৈদ্যুতিক শক দিয়ে চলেছে। সাধারণ মানুষের উপলব্ধি, বিদ্যুত্ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ভুল পরামর্শ দিয়ে জনগণকে অসহনীয় জ্বালায় রেখেছেন। এ সরকারের আমলেই হঠাত্ রেলের কালো বিড়ালের ছায়া জনগণ দেখল। আশাবাদী জনগণ ভেবেছিল, কালো বিড়ালের শুধু ছায়া নয়, প্রকৃত কালো বিড়ালটিই তারা প্রত্যক্ষ করবে।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় ডেসটিনির আগ্রাসনে পড়ে দেশের মানুষ হতভম্ব। ডেসটিনির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা তিন হাজার ২৮৫ কোটি টাকা পাচার করেছে। এগুলো নিয়েই যখন দেশের অর্থনীতিতে সাড়ে বারোটা বাজার উপক্রম, তখনই শুরু হয়েছে হলমার্ক কেলেঙ্কারি। অভিযোগে জানা গেল, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার হওয়া টাকার পরিমাণ ৪ হাজার কোটি। যদিও হাতেম তাই আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ৪ হাজার কোটি টাকা পাচার তেমন কিছুই নয়। অবশ্য দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, ৪ হাজার কোটি টাকা ১৬ কোটি মানুষের দেড় দিনের আয়ের সমান। একটি দেশের বেহাল অবস্থায় ৪ হাজার কোটি টাকা কত বড় বড় কাজে লাগতে পারত তা নিশ্চয় বেসরকারি সত্ উদ্যোক্তারা ভালো করে বলতে পারবেন। সঠিক নির্দেশনা ও ব্যবস্থাপনা থাকা সত্ত্বেও শুধু আর্থিক সঙ্কটের কারণে অনেক শিল্প উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে। ৪ হাজার কোটি টাকায় আর কী কী করা যেত তার তালিকা অর্থমন্ত্রীর কাছে অবশ্যই আছে। সরকার পদ্মা সেতুর মতো বাংলাদেশের সর্ববৃহত্ এই স্পর্শকাতর প্রকল্পটি অনিশ্চয়তায় উঠিয়ে রেখেছে। মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের দুর্নীতি আড়াল করতে এখানে জড়ানো হয়েছে নোবেল জয়ী ড. ইউনূসকে। তার হাতে গড়া গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যত্ নিয়ে শুধু সরকারের শীর্ষ পর্যায় ছাড়া প্রায় সবাই উদ্বিগ্ন। সরকার তার আচরণে এটা প্রমাণ করেছে যে, ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত হয়ে তারা তার বিরুদ্ধে একগুঁয়েমি ও কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করেছে। যার প্রতিক্রিয়ায় চরম অবস্থান নিয়েছে দেশে-বিদেশে ড. ইউনূসের বন্ধু মহল এবং পশ্চিমা দাতা গোষ্ঠী। সরকার অভিযোগ করেছে, তাদের দুর্নীতি নয়, ড. ইউনূসের কারণে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর প্রকল্প থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। সরকারি অভিযোগ যদি সত্যিই হয় তাহলে ড. ইউনূসের ব্যক্তি ইমেজ সম্পর্কে দেশবাসীর আরেকটি নতুন ধারণা জন্মাল বলা যায়। ব্যক্তি ইউনূস যদি বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহত্ এই অবকাঠামো উন্নয়নের অর্থপ্রাপ্তিতে বড় ফ্যাক্টর হন তাহলে বৃহত্ স্বার্থে সরকার ইউনূসকে যথাযথ মর্যাদা দিলেই তো হয়। বর্তমান মেয়াদে সরকার ক্ষমতায় আসার পর যতগুলো বিষয় নিয়ে তারা দেশ-বিদেশে চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে তার মধ্যে শেয়ারবাজার, পদ্মা সেতু, ড. ইউনূস বিতর্ক, কুইক রেন্টাল, রেলের কালো বিড়াল, ডেসটিনি-হলমার্কের অর্থ কেলেঙ্কারিসহ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, খুন, গুম, ধর্ষণের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা তো আছেই। এসব বিষয় নিয়ে বাস-ট্রেন, চায়ে আড্ডায় এমনকি সাধারণ মানুষের জটলায় দিন-রাত চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনার আড্ডায় সেদিন হঠাত্ দেখা মিলল তিন ব্যক্তির। তারা যুক্তি দিয়ে অর্থমন্ত্রীর দেয়া উক্তির ব্যাখ্যা দিলেন। তাদের মধ্যে প্রথমজন আতর ব্যবসায়ী। তিনি বললেন, অর্থমন্ত্রী একজন আতর ব্যবসায়ীর মতো। আতর ব্যবসায়ীর আতর কিনে গায়ে মাখতে হয় না। বোতলের মুখ খোলা আর বন্ধ করলেই তার গায়ে সুগন্ধি ছড়ায়। একজন আতর ব্যবসায়ী সারা জীবন যে পরিমাণ আতর বেচাকেনা করেন তার তুলনায় গায়ে সুগন্ধি ছড়ানো আতরের পরিমাণ আসলেই কিছু নয়। বলতে গেলে ধর্তব্যের মধ্যেই পড়ে না। অর্থমন্ত্রী এ পর্যন্ত যতবার বাজেট প্রস্তুত ও পেশ করেছেন, টাকার অংকে তার পরিমাণ কত মিলিয়ন বিলিয়ন, একবার ভেবে দেখুন তো!
দ্বিতীয় ভদ্রলোক ব্যাংকার। তিনি বললেন, আপনি ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে যে চেকবই লেখেন সেখানে টাকার অংক যাই হোক ব্যাংকিং নিয়মে ‘মাত্র’ কথাটা থাকেই। অর্থাত্ আপনি পাঁচশ’ টাকা তুললেও লিখেন পাঁচশত টাকা মাত্র, পাঁচ কোটি টাকা তুললেও লিখে দেন পাঁচ কোটি টাকা মাত্র। সে নিয়মে ৪ হাজার কোটি টাকা মাত্র তো বটেই। তৃতীয় ব্যক্তি হিসাববিজ্ঞানের একজন শিক্ষক। তিনি বললেন, শিক্ষার্থীদের হিসাব বিজ্ঞানের অংকে লক্ষ-কোটি টাকার হিসাব শেখাই। অংক করতে গিয়ে যাদের অংকের ফলাফল মেলে না তাদের বলি—কী, তোমার অংক মেলেনি? কত টাকার হিসাবে গড়মিল? শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ বলেন—স্যার, এক কোটি বা দুই কোটি। তখন তাদের মজা দেয়ার জন্য বলি—ঠিক আছে, ওটা আমার কাছ থেকেই নিও। অর্থমন্ত্রীকে অনেকের হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে দিতে হয়। সেদিক থেকে হলমার্কের না মিলানো অংক হয়তো তিনি মিলিয়ে দিতে পারেন। তিনজনের কথায় অন্য রকমের যুক্তি পাওয়া গেল। যে যুক্তি কারও কাছে অবোধ্য নয়।
লেখক : কবি
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় ডেসটিনির আগ্রাসনে পড়ে দেশের মানুষ হতভম্ব। ডেসটিনির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা তিন হাজার ২৮৫ কোটি টাকা পাচার করেছে। এগুলো নিয়েই যখন দেশের অর্থনীতিতে সাড়ে বারোটা বাজার উপক্রম, তখনই শুরু হয়েছে হলমার্ক কেলেঙ্কারি। অভিযোগে জানা গেল, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার হওয়া টাকার পরিমাণ ৪ হাজার কোটি। যদিও হাতেম তাই আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ৪ হাজার কোটি টাকা পাচার তেমন কিছুই নয়। অবশ্য দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, ৪ হাজার কোটি টাকা ১৬ কোটি মানুষের দেড় দিনের আয়ের সমান। একটি দেশের বেহাল অবস্থায় ৪ হাজার কোটি টাকা কত বড় বড় কাজে লাগতে পারত তা নিশ্চয় বেসরকারি সত্ উদ্যোক্তারা ভালো করে বলতে পারবেন। সঠিক নির্দেশনা ও ব্যবস্থাপনা থাকা সত্ত্বেও শুধু আর্থিক সঙ্কটের কারণে অনেক শিল্প উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে। ৪ হাজার কোটি টাকায় আর কী কী করা যেত তার তালিকা অর্থমন্ত্রীর কাছে অবশ্যই আছে। সরকার পদ্মা সেতুর মতো বাংলাদেশের সর্ববৃহত্ এই স্পর্শকাতর প্রকল্পটি অনিশ্চয়তায় উঠিয়ে রেখেছে। মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের দুর্নীতি আড়াল করতে এখানে জড়ানো হয়েছে নোবেল জয়ী ড. ইউনূসকে। তার হাতে গড়া গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যত্ নিয়ে শুধু সরকারের শীর্ষ পর্যায় ছাড়া প্রায় সবাই উদ্বিগ্ন। সরকার তার আচরণে এটা প্রমাণ করেছে যে, ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত হয়ে তারা তার বিরুদ্ধে একগুঁয়েমি ও কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করেছে। যার প্রতিক্রিয়ায় চরম অবস্থান নিয়েছে দেশে-বিদেশে ড. ইউনূসের বন্ধু মহল এবং পশ্চিমা দাতা গোষ্ঠী। সরকার অভিযোগ করেছে, তাদের দুর্নীতি নয়, ড. ইউনূসের কারণে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর প্রকল্প থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। সরকারি অভিযোগ যদি সত্যিই হয় তাহলে ড. ইউনূসের ব্যক্তি ইমেজ সম্পর্কে দেশবাসীর আরেকটি নতুন ধারণা জন্মাল বলা যায়। ব্যক্তি ইউনূস যদি বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহত্ এই অবকাঠামো উন্নয়নের অর্থপ্রাপ্তিতে বড় ফ্যাক্টর হন তাহলে বৃহত্ স্বার্থে সরকার ইউনূসকে যথাযথ মর্যাদা দিলেই তো হয়। বর্তমান মেয়াদে সরকার ক্ষমতায় আসার পর যতগুলো বিষয় নিয়ে তারা দেশ-বিদেশে চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে তার মধ্যে শেয়ারবাজার, পদ্মা সেতু, ড. ইউনূস বিতর্ক, কুইক রেন্টাল, রেলের কালো বিড়াল, ডেসটিনি-হলমার্কের অর্থ কেলেঙ্কারিসহ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, খুন, গুম, ধর্ষণের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা তো আছেই। এসব বিষয় নিয়ে বাস-ট্রেন, চায়ে আড্ডায় এমনকি সাধারণ মানুষের জটলায় দিন-রাত চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনার আড্ডায় সেদিন হঠাত্ দেখা মিলল তিন ব্যক্তির। তারা যুক্তি দিয়ে অর্থমন্ত্রীর দেয়া উক্তির ব্যাখ্যা দিলেন। তাদের মধ্যে প্রথমজন আতর ব্যবসায়ী। তিনি বললেন, অর্থমন্ত্রী একজন আতর ব্যবসায়ীর মতো। আতর ব্যবসায়ীর আতর কিনে গায়ে মাখতে হয় না। বোতলের মুখ খোলা আর বন্ধ করলেই তার গায়ে সুগন্ধি ছড়ায়। একজন আতর ব্যবসায়ী সারা জীবন যে পরিমাণ আতর বেচাকেনা করেন তার তুলনায় গায়ে সুগন্ধি ছড়ানো আতরের পরিমাণ আসলেই কিছু নয়। বলতে গেলে ধর্তব্যের মধ্যেই পড়ে না। অর্থমন্ত্রী এ পর্যন্ত যতবার বাজেট প্রস্তুত ও পেশ করেছেন, টাকার অংকে তার পরিমাণ কত মিলিয়ন বিলিয়ন, একবার ভেবে দেখুন তো!
দ্বিতীয় ভদ্রলোক ব্যাংকার। তিনি বললেন, আপনি ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে যে চেকবই লেখেন সেখানে টাকার অংক যাই হোক ব্যাংকিং নিয়মে ‘মাত্র’ কথাটা থাকেই। অর্থাত্ আপনি পাঁচশ’ টাকা তুললেও লিখেন পাঁচশত টাকা মাত্র, পাঁচ কোটি টাকা তুললেও লিখে দেন পাঁচ কোটি টাকা মাত্র। সে নিয়মে ৪ হাজার কোটি টাকা মাত্র তো বটেই। তৃতীয় ব্যক্তি হিসাববিজ্ঞানের একজন শিক্ষক। তিনি বললেন, শিক্ষার্থীদের হিসাব বিজ্ঞানের অংকে লক্ষ-কোটি টাকার হিসাব শেখাই। অংক করতে গিয়ে যাদের অংকের ফলাফল মেলে না তাদের বলি—কী, তোমার অংক মেলেনি? কত টাকার হিসাবে গড়মিল? শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ বলেন—স্যার, এক কোটি বা দুই কোটি। তখন তাদের মজা দেয়ার জন্য বলি—ঠিক আছে, ওটা আমার কাছ থেকেই নিও। অর্থমন্ত্রীকে অনেকের হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে দিতে হয়। সেদিক থেকে হলমার্কের না মিলানো অংক হয়তো তিনি মিলিয়ে দিতে পারেন। তিনজনের কথায় অন্য রকমের যুক্তি পাওয়া গেল। যে যুক্তি কারও কাছে অবোধ্য নয়।
লেখক : কবি
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন