মনিরুজ্জামান মনির
‘পুবাল হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া।’ এই ধরনের অসাধারণ গান, কবিতা, গল্প-উপন্যাস লেখা হয়েছে ‘হাওয়া’কে নিয়ে। বিশেষত আজও বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জের মানুষ দক্ষিণদুয়ারী ঘর-জানালা নির্মাণ করে দখিন হাওয়ার মিষ্টি সুশীতল পরশ লাভের আশায়। এছাড়া মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী পৃথিবীতে প্রথম প্রেরিত আদিপুরুষ আদমের সঙ্গিনী আদি নারী ‘হাওয়া’। হয়তোবা এইসব সমীকরণ করেই বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মতো সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক মহকুমার অধিবাসী আসুক মিয়ার স্ত্রীর নাম রাখা হয়েছিল হাওয়ারুন্নেছা বেগম।
বর্তমানে লন্ডনপ্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা বলে পরিচিত আসুক মিয়া ঢাকার বনানীতে একসময় একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেন এবং যথারীতি তার প্রিয়তমা স্ত্রীর নামে সেই বাড়ির নামকরণ করেন ‘হাওয়া ভবন’। ২০০১-এ নির্বাচনের আগে সেই ভবনটি ভাড়া নেয়া হয় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অফিস হিসেবে। ওই ভবনে শহীদ জিয়া বেগম জিয়ার যোগ্য উত্তরসূরি বাংলাদেশের রাজনীতিতে অরুণরাঙা তরুণ নেতা সেই সময়কার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের দফতর স্থাপন করা হয়। অবশ্য সেই থেকেই শুধু সাধারণ মানুষ কেন রাজনীতি-সচেতন জনগোষ্ঠীর মাঝে অপপ্রচার চালানো হয় বেগম হাওয়ারুন্নেছার হাওয়া ভবন নয়, হাওয়া ভবন তারেক রহমানের। অর্থাত্ বিএনপিবিরোধী সমালোচকরা তারেক রহমানের নাম জড়িয়ে হাওয়া ভবনের আঙিনায় বির্তকের বীজ রোপণ করলেন। হাওয়া বিবির পবিত্র হাওয়া ভবনকে রাজনৈতিকভাবে কলঙ্কিত করার জন্য একদল কুচক্রী অপপ্রয়াস নিল। সেই হাওয়া ভবনে বিএনপির চেয়ারপার্সন নিয়মিত তার দলীয় সাংগঠনিক কাজ করতেন। সেখানে বসেই তারেক রহমান বিএনপির কর্মী, সমর্থক ও নেতাদের তৃণমূল পর্যায় থেকে সংগঠিত ও সমন্বিত করার পরিকল্পনা করেছিলেন। একানব্বইয়ের নির্বাচনী প্রচার কর্মকাণ্ড হয়েছিল এখানেই। ওই নির্বাচনী বিজয়ে তারেক রহমানের যে সহায়ক ভূমিকা ছিল, তা অনস্বীকার্য।
তারেক রহমান এমপি বা মন্ত্রী না হয়েও জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে হতে চাইলেন আরও পরিশীলিত, আরও পরীক্ষিত, আরও শিক্ষা নিতে চাইলেন রাজনীতির পাঠশালা থেকে। এদেশের মানুষ রাজনীতির রাজপথে তারেকের পদযাত্রাকে জানালো স্বাগত। তারা তারেকের মাঝে দেখতে পেল শহীদ জিয়ার যোগ্য উত্তরাধিকার এবং বেগম জিয়ার সহায়ক শক্তির প্রতিচ্ছবিকে। আর দৃশ্যামান এই উজ্জ্বল আগামীর প্রতিচ্ছবি কুনজরে পড়ল বিএনপিবিরোধী দেশীয় কুচক্রী মহল ও বিদেশি গোয়েন্দাদের, যারা চায় না ভারতে নেহেরু গান্ধী পরিবার, পাকিস্তানের ভুট্টো পরিবার এবং বাংলাদেশের শহীদ জিয়ার পরিবার থেকে কেউ ঐতিহ্যবাহী ধারাবাহিক রাজনীতিবিদ হিসেবে সংশ্লিষ্ট দেশের শাসনভার নিক এবং তাদের জনসমর্থন অব্যাহত থাকুক।
একানব্বইয়ের তারেকের চেয়ে ২০০১-এর তারেক আরও বিচক্ষণ আরও মেধাসম্পন্ন এবং আরও কর্মনিষ্ঠ। তাই অবশেষে ১/১১-এর আধা সামরিক-আধা বেসামরিক সংবিধান লঙ্ঘনকারী তত্ত্বাবধায়ক সরকার পূর্ব-অভিযোগ ছাড়াই বেগম খালেদা জিয়া এবং আরাফাত রহমান কোকোর মতোই গ্রেফতার করে তারেক রহমানকে। এটা স্পষ্টই অনুমান করা যায়, এ ধরনের অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ সেই সরকার নিয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে হাজতবাস করানো ছাড়াও তার দুই সন্তানকে এমন অমানবিক নির্যাতন করার জন্য। যার ফলে তারা দাঁড়িয়ে ছিল মৃত্যুর মুখোমুখি। এখন দুই সন্তানই বিদেশে সুচিকিত্সা নিচ্ছে। তারা দেশের রাজনীতির সীমানা থেকে দূরে। বেগম জিয়ার মাতৃত্বের কোলকে শূন্য করে, স্নেহের বন্ধন থেকে দুটি হাতকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতেই যেন চেয়েছিল এইসব চক্রান্তকারী। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারও যেন চেয়েছিল তা-ই। তারেক রহমানকে অমানবিক নির্যাতনের বিচার না করে তত্ত্ববধায়ক সরকারের ১০টি মামলার সঙ্গে নতুন করে আরও তিনটি মামলা জুড়ে দিয়ে তারেক রহমানকে করল ফেরারি আসামি। এতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, এই দল এই সরকারের তারেক রহমানকে সম্পূর্ণ শেষ করার চক্রান্তে যোগসাজশ ছিল। এছাড়া এই সরকারের চার বছর সময়ে প্রায় প্রতিদিন তারেক রহমানের হাওয়া ভবন কর্তৃক কল্পিত দুর্নীতির কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। তবে দেশের মানুষের কাছে এখন স্পষ্ট, দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী এই তরুণ নেতা নির্দোষ, কেননা শত চেষ্টা করেও দেশ-বিদেশের কোথাও পায়নি তারেকের সঞ্চিত টাকার পাহাড়। বিদেশ থেকে ভাড়া করা সাক্ষী এনেও প্রমাণ করতে পারেনি তারেক রহমানের দুর্নীতি।
এখন প্রমাণ হয়েছে তারেক রহমানের দুর্নীতির কারখানা ‘হাওয়া ভবন’ নয়। ‘হাওয়া ভবন’ পবিত্র অকলঙ্কিত বেগম হাওয়ারুন্নেছারই রয়ে গেছে। তারেক রহমান একটি উদীয়মান সূর্যের নাম। কিছু কিছু কালো মেঘের পুঞ্জ তাকে কিছু সময়ের জন্য ঢেকে রাখলেও তার যাত্রা থাকবে অব্যাহত গন্তব্যের দিকে। এদেশের মানুষ প্রবাসে থাকা নেতার উদ্দেশে কোরাস কণ্ঠে গান ধরেছে, ‘তোমাকে চায় বাংলাদেশ, তোমাকে চায় বাংলাদেশ। তুমি কি শুনতে পাও না সাত সমুদ্র তের নদীর ওপারে সেই আওয়াজ। তুমি আসবে কবে?’
monirlyric@gmail.com
বর্তমানে লন্ডনপ্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা বলে পরিচিত আসুক মিয়া ঢাকার বনানীতে একসময় একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেন এবং যথারীতি তার প্রিয়তমা স্ত্রীর নামে সেই বাড়ির নামকরণ করেন ‘হাওয়া ভবন’। ২০০১-এ নির্বাচনের আগে সেই ভবনটি ভাড়া নেয়া হয় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অফিস হিসেবে। ওই ভবনে শহীদ জিয়া বেগম জিয়ার যোগ্য উত্তরসূরি বাংলাদেশের রাজনীতিতে অরুণরাঙা তরুণ নেতা সেই সময়কার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের দফতর স্থাপন করা হয়। অবশ্য সেই থেকেই শুধু সাধারণ মানুষ কেন রাজনীতি-সচেতন জনগোষ্ঠীর মাঝে অপপ্রচার চালানো হয় বেগম হাওয়ারুন্নেছার হাওয়া ভবন নয়, হাওয়া ভবন তারেক রহমানের। অর্থাত্ বিএনপিবিরোধী সমালোচকরা তারেক রহমানের নাম জড়িয়ে হাওয়া ভবনের আঙিনায় বির্তকের বীজ রোপণ করলেন। হাওয়া বিবির পবিত্র হাওয়া ভবনকে রাজনৈতিকভাবে কলঙ্কিত করার জন্য একদল কুচক্রী অপপ্রয়াস নিল। সেই হাওয়া ভবনে বিএনপির চেয়ারপার্সন নিয়মিত তার দলীয় সাংগঠনিক কাজ করতেন। সেখানে বসেই তারেক রহমান বিএনপির কর্মী, সমর্থক ও নেতাদের তৃণমূল পর্যায় থেকে সংগঠিত ও সমন্বিত করার পরিকল্পনা করেছিলেন। একানব্বইয়ের নির্বাচনী প্রচার কর্মকাণ্ড হয়েছিল এখানেই। ওই নির্বাচনী বিজয়ে তারেক রহমানের যে সহায়ক ভূমিকা ছিল, তা অনস্বীকার্য।
তারেক রহমান এমপি বা মন্ত্রী না হয়েও জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে হতে চাইলেন আরও পরিশীলিত, আরও পরীক্ষিত, আরও শিক্ষা নিতে চাইলেন রাজনীতির পাঠশালা থেকে। এদেশের মানুষ রাজনীতির রাজপথে তারেকের পদযাত্রাকে জানালো স্বাগত। তারা তারেকের মাঝে দেখতে পেল শহীদ জিয়ার যোগ্য উত্তরাধিকার এবং বেগম জিয়ার সহায়ক শক্তির প্রতিচ্ছবিকে। আর দৃশ্যামান এই উজ্জ্বল আগামীর প্রতিচ্ছবি কুনজরে পড়ল বিএনপিবিরোধী দেশীয় কুচক্রী মহল ও বিদেশি গোয়েন্দাদের, যারা চায় না ভারতে নেহেরু গান্ধী পরিবার, পাকিস্তানের ভুট্টো পরিবার এবং বাংলাদেশের শহীদ জিয়ার পরিবার থেকে কেউ ঐতিহ্যবাহী ধারাবাহিক রাজনীতিবিদ হিসেবে সংশ্লিষ্ট দেশের শাসনভার নিক এবং তাদের জনসমর্থন অব্যাহত থাকুক।
একানব্বইয়ের তারেকের চেয়ে ২০০১-এর তারেক আরও বিচক্ষণ আরও মেধাসম্পন্ন এবং আরও কর্মনিষ্ঠ। তাই অবশেষে ১/১১-এর আধা সামরিক-আধা বেসামরিক সংবিধান লঙ্ঘনকারী তত্ত্বাবধায়ক সরকার পূর্ব-অভিযোগ ছাড়াই বেগম খালেদা জিয়া এবং আরাফাত রহমান কোকোর মতোই গ্রেফতার করে তারেক রহমানকে। এটা স্পষ্টই অনুমান করা যায়, এ ধরনের অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ সেই সরকার নিয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে হাজতবাস করানো ছাড়াও তার দুই সন্তানকে এমন অমানবিক নির্যাতন করার জন্য। যার ফলে তারা দাঁড়িয়ে ছিল মৃত্যুর মুখোমুখি। এখন দুই সন্তানই বিদেশে সুচিকিত্সা নিচ্ছে। তারা দেশের রাজনীতির সীমানা থেকে দূরে। বেগম জিয়ার মাতৃত্বের কোলকে শূন্য করে, স্নেহের বন্ধন থেকে দুটি হাতকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতেই যেন চেয়েছিল এইসব চক্রান্তকারী। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারও যেন চেয়েছিল তা-ই। তারেক রহমানকে অমানবিক নির্যাতনের বিচার না করে তত্ত্ববধায়ক সরকারের ১০টি মামলার সঙ্গে নতুন করে আরও তিনটি মামলা জুড়ে দিয়ে তারেক রহমানকে করল ফেরারি আসামি। এতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, এই দল এই সরকারের তারেক রহমানকে সম্পূর্ণ শেষ করার চক্রান্তে যোগসাজশ ছিল। এছাড়া এই সরকারের চার বছর সময়ে প্রায় প্রতিদিন তারেক রহমানের হাওয়া ভবন কর্তৃক কল্পিত দুর্নীতির কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। তবে দেশের মানুষের কাছে এখন স্পষ্ট, দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী এই তরুণ নেতা নির্দোষ, কেননা শত চেষ্টা করেও দেশ-বিদেশের কোথাও পায়নি তারেকের সঞ্চিত টাকার পাহাড়। বিদেশ থেকে ভাড়া করা সাক্ষী এনেও প্রমাণ করতে পারেনি তারেক রহমানের দুর্নীতি।
এখন প্রমাণ হয়েছে তারেক রহমানের দুর্নীতির কারখানা ‘হাওয়া ভবন’ নয়। ‘হাওয়া ভবন’ পবিত্র অকলঙ্কিত বেগম হাওয়ারুন্নেছারই রয়ে গেছে। তারেক রহমান একটি উদীয়মান সূর্যের নাম। কিছু কিছু কালো মেঘের পুঞ্জ তাকে কিছু সময়ের জন্য ঢেকে রাখলেও তার যাত্রা থাকবে অব্যাহত গন্তব্যের দিকে। এদেশের মানুষ প্রবাসে থাকা নেতার উদ্দেশে কোরাস কণ্ঠে গান ধরেছে, ‘তোমাকে চায় বাংলাদেশ, তোমাকে চায় বাংলাদেশ। তুমি কি শুনতে পাও না সাত সমুদ্র তের নদীর ওপারে সেই আওয়াজ। তুমি আসবে কবে?’
monirlyric@gmail.com
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন