যশোর এক মৃত্যু উপত্যকা
হত্যা, খুন, গুম বাংলাদেশে এখন সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে এখন দু-একটি খুনের ঘটনা খুব একটা গুরুত্ব পায় না। কারণ খুন ও খুনের প্রচেষ্টার ঘটনা প্রতিদিন গণ্ডায় গণ্ডায় থাকে। এর পরও কিছু জায়গার পরিস্থিতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠছে। এর মধ্যে অন্যতম যশোর জেলা। এ যেন এক মৃত্যুর উপত্যকা। চলতি বছরে এখানে একজন সাংবাদিক ও রাজনৈতিক দলের ১০ জন নেতাকর্মীসহ ৮৪ জন খুন হয়েছেন। যুদ্ধ বা বিচ্ছিন্নতাবাদী কোনো কর্মকাণ্ড ছাড়া একটি জেলায় বছরে এতগুলো খুন কিভাবে সম্ভব হতে পারে! দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে খুনিদের বিচারে কোনো অগ্রগতি নেই। এতগুলো খুনের ঘটনার পর সরকার তো জেলাটিকে একটি অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসিবে চিহ্নিত করে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘোষণা করা দরকার ছিল। সে ধরনের কিছু দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।
চলতি মাসেই যশোরে সাতটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ১২ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার দত্তপাড়ায় রতœা বিশ্বাসকে তার স্বামী শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন। ১৩ সেপ্টেম্বর শহরের রেলগেটের ব্যবসায়ী মেহেদি হাসানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ১৪ সেপ্টেম্বর শহরের পুরনো কসবায় গৃহবধূ নয়ন বেগমকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেন তার স্বামী। ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে খুন হন বিএনপি কর্মী সাবেক ইউপি সদস্য জিয়াদুল হক জিয়া। ১৭ সেপ্টেম্বর বেনাপোলে ছুরিকাঘাতে খুন হন শার্শার বারপোতা গ্রামের সাইফুল ইসলাম। একই দিনে চৌগাছার ইছাপুরে বোমা বিস্ফোরণে ইস্্রাফিল নিহত ও অভয়নগরে অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়। আগস্ট মাসে যশোর জেলায় খুন হয়েছে আটজন। জুলাই মাসেও আটটি হত্যাকাণ্ড ঘটে। জুন মাসে ১৬টি। মে মাসে হত্যার শিকার হন সাতজন। ছয়টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এপ্রিল মাসে। মার্চ মাসে ১২ জনকে হত্যা করা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে আটটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৩ জন খুন হন। নয়া দিগন্ত গতকাল এক প্রতিবেদনে খুনের ঘটনাগুলোর বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নামে সন্ত্রাস চলছে। তারা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরছে। পুলিশ নির্বিকার। বিরোধীদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন। বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা হত্যার শিকার হওয়ার পর মামলা করতে গেলেও পুলিশ নেয় না। এটা একটি গণতান্ত্রিক দেশে কিভাবে চলতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে দলের বাইরের সন্ত্রাসীরাও সুযোগ নেয়। তারা মনে করে এখনই সুবর্ণ সুযোগ। যার কারণে স্ত্রী-স্বামী ও আত্মীয়স্বজনের মধ্যে শত্রুতার জের ধরে খুনের ঘটনা ঘটছে। পুলিশ যখন খুনিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তখন এসব খুনিরা আরো উৎসাহী হচ্ছে।
যশোরের মানুষ এখন চরম আতঙ্কে রয়েছে। জীবনের নিরাপত্তা সেখানে একেবারেই ভঙ্গুর। আইনশৃঙ্খলা বলতে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা যা বলেন তাই আইন। খুনের ঘটনার যে গড় হার তাতে এ ধরনের পরিস্থিতিকে খুনিদের স্বর্গরাজ্যই বলতে হবে। এ অবস্থা সরকারের জন্য কোনোভাবেই সুখকর হতে পারে না। তার পরও কেন ক্ষমতাবানদের ঘুম ভাঙছে না, তা বোঝা মুশকিল। আমরা মনে করি, অচিরেই যশোরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বিশেষ অঞ্চল ঘোষণা করা হোক। অপরাধীদের দলীয় বিবেচনার বাইরে রেখে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হোক।
চলতি মাসেই যশোরে সাতটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ১২ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার দত্তপাড়ায় রতœা বিশ্বাসকে তার স্বামী শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন। ১৩ সেপ্টেম্বর শহরের রেলগেটের ব্যবসায়ী মেহেদি হাসানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ১৪ সেপ্টেম্বর শহরের পুরনো কসবায় গৃহবধূ নয়ন বেগমকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেন তার স্বামী। ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে খুন হন বিএনপি কর্মী সাবেক ইউপি সদস্য জিয়াদুল হক জিয়া। ১৭ সেপ্টেম্বর বেনাপোলে ছুরিকাঘাতে খুন হন শার্শার বারপোতা গ্রামের সাইফুল ইসলাম। একই দিনে চৌগাছার ইছাপুরে বোমা বিস্ফোরণে ইস্্রাফিল নিহত ও অভয়নগরে অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়। আগস্ট মাসে যশোর জেলায় খুন হয়েছে আটজন। জুলাই মাসেও আটটি হত্যাকাণ্ড ঘটে। জুন মাসে ১৬টি। মে মাসে হত্যার শিকার হন সাতজন। ছয়টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এপ্রিল মাসে। মার্চ মাসে ১২ জনকে হত্যা করা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে আটটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৩ জন খুন হন। নয়া দিগন্ত গতকাল এক প্রতিবেদনে খুনের ঘটনাগুলোর বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নামে সন্ত্রাস চলছে। তারা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরছে। পুলিশ নির্বিকার। বিরোধীদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন। বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা হত্যার শিকার হওয়ার পর মামলা করতে গেলেও পুলিশ নেয় না। এটা একটি গণতান্ত্রিক দেশে কিভাবে চলতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে দলের বাইরের সন্ত্রাসীরাও সুযোগ নেয়। তারা মনে করে এখনই সুবর্ণ সুযোগ। যার কারণে স্ত্রী-স্বামী ও আত্মীয়স্বজনের মধ্যে শত্রুতার জের ধরে খুনের ঘটনা ঘটছে। পুলিশ যখন খুনিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তখন এসব খুনিরা আরো উৎসাহী হচ্ছে।
যশোরের মানুষ এখন চরম আতঙ্কে রয়েছে। জীবনের নিরাপত্তা সেখানে একেবারেই ভঙ্গুর। আইনশৃঙ্খলা বলতে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা যা বলেন তাই আইন। খুনের ঘটনার যে গড় হার তাতে এ ধরনের পরিস্থিতিকে খুনিদের স্বর্গরাজ্যই বলতে হবে। এ অবস্থা সরকারের জন্য কোনোভাবেই সুখকর হতে পারে না। তার পরও কেন ক্ষমতাবানদের ঘুম ভাঙছে না, তা বোঝা মুশকিল। আমরা মনে করি, অচিরেই যশোরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বিশেষ অঞ্চল ঘোষণা করা হোক। অপরাধীদের দলীয় বিবেচনার বাইরে রেখে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হোক।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন