শেষ পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্প ঝুলে গেল। বিশ্বব্যাংকের এই প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়টি পুরোপুরি অনিশ্চিত। কারণটিও এখন স্পষ্ট। বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্পে দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে যাদের পদত্যাগ দাবি করেছিল, তার মধ্যে উপদেষ্টা মসিউর রহমান অন্যতম। এর আগে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন পদত্যাগ করেন।
নয়া দিগন্ত-এর এক খবরে বলা হয়েছে, অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমান পদত্যাগ করছেন না। সম্প্রতি ভারত সফর করে এসে তিনি বলেছেন, অপবাদের দায় নিয়ে তিনি পদত্যাগ করবেন না। অর্থ উপদেষ্টা পদত্যাগ না করলে বিশ্বব্যাংকের এই প্রকল্পে ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনাই নেই। আর বিশ্বব্যাংকের সহায়তা ছাড়া এই বিরাট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। এই প্রকল্পে অপর দুই ঋণদানকারী সংস্থা এডিবি ও জাইকার ঋণের মেয়াদও আর বেশি সময় নেই। সংস্থা দু’টি এক মাস সময় বাড়িয়েছিল। আশা করা হয়েছিল, এই সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের সাথে সমঝোতায় আসা যাবে। কিন্তু এখন সমঝোতায় না আসার সম্ভাবনাই স্পষ্ট হয়েছে অর্থ উপদেষ্টার ঘোষণায়। পদত্যাগ তো দূরে থাক, তিনি এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অথচ অভিযোগ ওঠার পর নৈতিক কারণেই অর্থ উপদেষ্টার পদত্যাগ করা উচিত ছিল।
অর্থ উপদেষ্টা যে এলাকায় আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ হলে সে এলাকার মানুষ পদ্মা সেতুর সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হতেন। কিন্তু তার সরে না দাঁড়ানোয় তা হয়তো আর হবে না। এ ছাড়া ক্ষমতাসীন দলের বড় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর একটি ছিল পদ্মা সেতু। সেই প্রতিশ্রুতিও আর বাস্তবায়ন হবে না। এই সেতু নির্মাণ নিয়ে কানাডীয় যে প্রতিষ্ঠানকে ঘুষ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিচার শুরু হবে আগামী বছরে; তখন আরো তথ্য বেরিয়ে আসবে। এই প্রকল্পে ঘুষ দেয়া-নেয়ার সাথে আরো কারা কিভাবে সংশ্লিষ্ট, সে বিষয় আরো স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে।
আমরা লক্ষ করছি, পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্ট দুর্নীতির মতো দেশে বড় বড় দুর্নীতির ঘটনা উদঘাটিত হচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনাও ঘটেছে। এসব দুর্নীতি ও অনিয়মে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতাও পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তাদের কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না, বরং তারা দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গাইছেন। দুর্নীতির অভিযোগ যারা করছেন তাদেরকে দুর্নীতিবাজ বলে বিভিন্নভাবে আক্রমণ করছেন। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও উৎসাহ দেয়া হচ্ছে।
আমরা মনে করি, পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে আনার সব প্রচেষ্টা নেয়া উচিত। কোনো ব্যক্তিস্বার্থে জনগণের স্বার্থ বিপন্ন হতে দেয়া যায় না। শুধু অর্থ উপদেষ্টা নন, অন্য যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাদেরও সরে যাওয়া উচিত। আর এর মাধ্যমে পদ্মা সেতু নির্মাণ নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেয়া উচিত। এর দায়দায়িত্ব শুধু একজন উপদেষ্টার ওপর বর্তায় না, সরকারকেই নিতে হবে।
নয়া দিগন্ত-এর এক খবরে বলা হয়েছে, অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমান পদত্যাগ করছেন না। সম্প্রতি ভারত সফর করে এসে তিনি বলেছেন, অপবাদের দায় নিয়ে তিনি পদত্যাগ করবেন না। অর্থ উপদেষ্টা পদত্যাগ না করলে বিশ্বব্যাংকের এই প্রকল্পে ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনাই নেই। আর বিশ্বব্যাংকের সহায়তা ছাড়া এই বিরাট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। এই প্রকল্পে অপর দুই ঋণদানকারী সংস্থা এডিবি ও জাইকার ঋণের মেয়াদও আর বেশি সময় নেই। সংস্থা দু’টি এক মাস সময় বাড়িয়েছিল। আশা করা হয়েছিল, এই সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের সাথে সমঝোতায় আসা যাবে। কিন্তু এখন সমঝোতায় না আসার সম্ভাবনাই স্পষ্ট হয়েছে অর্থ উপদেষ্টার ঘোষণায়। পদত্যাগ তো দূরে থাক, তিনি এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অথচ অভিযোগ ওঠার পর নৈতিক কারণেই অর্থ উপদেষ্টার পদত্যাগ করা উচিত ছিল।
অর্থ উপদেষ্টা যে এলাকায় আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ হলে সে এলাকার মানুষ পদ্মা সেতুর সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হতেন। কিন্তু তার সরে না দাঁড়ানোয় তা হয়তো আর হবে না। এ ছাড়া ক্ষমতাসীন দলের বড় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর একটি ছিল পদ্মা সেতু। সেই প্রতিশ্রুতিও আর বাস্তবায়ন হবে না। এই সেতু নির্মাণ নিয়ে কানাডীয় যে প্রতিষ্ঠানকে ঘুষ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিচার শুরু হবে আগামী বছরে; তখন আরো তথ্য বেরিয়ে আসবে। এই প্রকল্পে ঘুষ দেয়া-নেয়ার সাথে আরো কারা কিভাবে সংশ্লিষ্ট, সে বিষয় আরো স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে।
আমরা লক্ষ করছি, পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্ট দুর্নীতির মতো দেশে বড় বড় দুর্নীতির ঘটনা উদঘাটিত হচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনাও ঘটেছে। এসব দুর্নীতি ও অনিয়মে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতাও পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তাদের কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না, বরং তারা দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গাইছেন। দুর্নীতির অভিযোগ যারা করছেন তাদেরকে দুর্নীতিবাজ বলে বিভিন্নভাবে আক্রমণ করছেন। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও উৎসাহ দেয়া হচ্ছে।
আমরা মনে করি, পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে আনার সব প্রচেষ্টা নেয়া উচিত। কোনো ব্যক্তিস্বার্থে জনগণের স্বার্থ বিপন্ন হতে দেয়া যায় না। শুধু অর্থ উপদেষ্টা নন, অন্য যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাদেরও সরে যাওয়া উচিত। আর এর মাধ্যমে পদ্মা সেতু নির্মাণ নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেয়া উচিত। এর দায়দায়িত্ব শুধু একজন উপদেষ্টার ওপর বর্তায় না, সরকারকেই নিতে হবে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন