কোনো ধাক্কা ছাড়াই সরকার পিছু হটতে শুরু করেছে। একের পর এক অঘটন সামাল দেয়ার ব্যর্থ অপচেষ্টা সরকারের ভেঙেপড়া আড়াল করতে পারছে না। শেষ পর্যন্ত দেশে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বিপর্যয়ের শিকার হয়েছেন হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশী। অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা, লুটপাট, দুর্নীতি সর্বগ্রাসী হয়ে উঠেছে। কোনোভাবেই আর ধামাচাপা দেয়া যাচ্ছে না এসবকে। অর্থমন্ত্রী নাম প্রকাশ করতে অস্বীকার করলেও এখন শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির হোতা প্রভাবশালী রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। সব হম্বিতম্বি ভুলে একে একে শর্ত পূরণ করেই পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকেরই দ্বারস্থ হতে হয়েছে সরকারকে। সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হয়েছে হলমার্কের আর্থিক কেলেঙ্কারির মতো ঘটনা সরকার ধামাচাপা না দিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। না নিয়ে যে উপায় নেই, সেটা তিনি ভালোভাবেই বুঝেছেন। ব্যাংক খাতে ছড়িয়ে পড়া দুর্নীতি গোটা অর্থনীতিকে কীভাবে নাড়া দিয়েছে, সেটা পত্রপত্রিকার খবর আর ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ থেকেই সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে।
এখন প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছেন, কেন সময় থাকতে কিছু করেননি? হলমার্কের মতো প্রতিষ্ঠানের ভুয়া আইবিপি নিয়ে বিপাকে পড়ার ঘটনা তো নতুন নয়। এমনই একটি ভুক্তভোগী বেসরকারি ব্যাংকের অভিযোগ পেয়েই বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত শুরু করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে। এতে সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখাসহ ২৬টি ব্যাংকের ৫৪টি শাখার অনিয়ম-দুর্নীতি প্রকাশ পায়। অথচ অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি অনিয়মে জড়িত থাকার কারণে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠনে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শও উপেক্ষা করেছে সরকার। এর একটাই কারণ, পর্ষদে রাজনৈতিকভাবে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তারা সব ক্ষমতাসীনদের নিজেদের লোক। ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ পদেও বসানো হয়েছে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের। এখন জানা যাচ্ছে, হলমার্ক জালিয়াতির শুরু ২০০৭ সাল থেকে। অথচ তখন দুর্নীতিবিরোধী পিলে চমকানো অভিযানে সবার তটস্থ থাকার কথাই জানা ছিল। সে অভিযানের নায়ক ছিলেন বাঘা বাঘা সেনাপতিরা। তারা দুর্নীতির জন্য জিরো টলারেন্সে অটল থাকার ঘোষণা দিলেও জালিয়াতি-দুর্নীতি যে বন্ধ হয়নি, তার প্রমাণ এখন আর অজানা থাকার কথা নয়। তারপর চমক সৃষ্টিকারী মহাজোট সরকার মাথা থেকে পা পর্যন্ত রদবদল করে নিজেদের বাছাই করা লোকদেরই চেয়ারে বসিয়েছে। অথচ কী আশ্চর্য, হলমার্কের গায়ে আঁচড় লাগেনি। তাদের হাত এতই লম্বা! বরং দেখা গেছে, তারা খোদ প্রধানমন্ত্রীর হাতে পুরস্কৃত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাকে মুজিব কোট পরে হাসিমুখে দেখা গেছে হলমার্কের সংবর্ধনা সভায়। কেউই তার জালিয়াতির কথা জানতে পারেননি, নাকি চাননি। এখন প্রধানমন্ত্রী বলছেন, হলমার্কের উত্থান হাওয়া ভবন থেকে। যদি একথা সত্য হয়, তবে বলতেই হয়—তাকে লালন-পালন করেছে বর্তমান সরকার। সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি নাকি ছিলেন জিয়া পরিষদের নেতা। এক্ষেত্রেও নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে প্রশ্ন জাগতেই পারে, এসব কথা কি আগে মনে ছিল না? পরিস্থিতি সামাল দিতে আর কত বেসামাল কথা শুনতে হবে? এভাবে যখন যেমন তখন তেমন সেজে কি আর পরিত্রাণ পাওয়া যাবে?
পায়ের তলার মাটি যে বেশ তেতে উঠেছে, সেটা বেশ ভালোই বোঝা যাচ্ছে। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকেও বলতে হচ্ছে দুর্নীতি দেশকে গ্রাস করেছে। তার অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতার কথা না বলে পারেননি। তবে সুশীল সমাজের এমন সুললিত কণ্ঠের অভিযোগে কাজ হবে না—এটা সবাই বোঝে। এখন ঝেড়ে কাশার সময় এসেছে। অনিয়ম, অব্যবস্থা, দুর্নীতির শেকড় উপড়ে ফেলতে জনগণকেই আবারও রাস্তায় নেমে আসতে হবে। কঠিন আন্দোলনের বিকল্প কিছু আছে বলে মনে হয় না।
এখন প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছেন, কেন সময় থাকতে কিছু করেননি? হলমার্কের মতো প্রতিষ্ঠানের ভুয়া আইবিপি নিয়ে বিপাকে পড়ার ঘটনা তো নতুন নয়। এমনই একটি ভুক্তভোগী বেসরকারি ব্যাংকের অভিযোগ পেয়েই বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত শুরু করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে। এতে সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখাসহ ২৬টি ব্যাংকের ৫৪টি শাখার অনিয়ম-দুর্নীতি প্রকাশ পায়। অথচ অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি অনিয়মে জড়িত থাকার কারণে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠনে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শও উপেক্ষা করেছে সরকার। এর একটাই কারণ, পর্ষদে রাজনৈতিকভাবে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তারা সব ক্ষমতাসীনদের নিজেদের লোক। ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ পদেও বসানো হয়েছে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের। এখন জানা যাচ্ছে, হলমার্ক জালিয়াতির শুরু ২০০৭ সাল থেকে। অথচ তখন দুর্নীতিবিরোধী পিলে চমকানো অভিযানে সবার তটস্থ থাকার কথাই জানা ছিল। সে অভিযানের নায়ক ছিলেন বাঘা বাঘা সেনাপতিরা। তারা দুর্নীতির জন্য জিরো টলারেন্সে অটল থাকার ঘোষণা দিলেও জালিয়াতি-দুর্নীতি যে বন্ধ হয়নি, তার প্রমাণ এখন আর অজানা থাকার কথা নয়। তারপর চমক সৃষ্টিকারী মহাজোট সরকার মাথা থেকে পা পর্যন্ত রদবদল করে নিজেদের বাছাই করা লোকদেরই চেয়ারে বসিয়েছে। অথচ কী আশ্চর্য, হলমার্কের গায়ে আঁচড় লাগেনি। তাদের হাত এতই লম্বা! বরং দেখা গেছে, তারা খোদ প্রধানমন্ত্রীর হাতে পুরস্কৃত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাকে মুজিব কোট পরে হাসিমুখে দেখা গেছে হলমার্কের সংবর্ধনা সভায়। কেউই তার জালিয়াতির কথা জানতে পারেননি, নাকি চাননি। এখন প্রধানমন্ত্রী বলছেন, হলমার্কের উত্থান হাওয়া ভবন থেকে। যদি একথা সত্য হয়, তবে বলতেই হয়—তাকে লালন-পালন করেছে বর্তমান সরকার। সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি নাকি ছিলেন জিয়া পরিষদের নেতা। এক্ষেত্রেও নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে প্রশ্ন জাগতেই পারে, এসব কথা কি আগে মনে ছিল না? পরিস্থিতি সামাল দিতে আর কত বেসামাল কথা শুনতে হবে? এভাবে যখন যেমন তখন তেমন সেজে কি আর পরিত্রাণ পাওয়া যাবে?
পায়ের তলার মাটি যে বেশ তেতে উঠেছে, সেটা বেশ ভালোই বোঝা যাচ্ছে। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকেও বলতে হচ্ছে দুর্নীতি দেশকে গ্রাস করেছে। তার অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতার কথা না বলে পারেননি। তবে সুশীল সমাজের এমন সুললিত কণ্ঠের অভিযোগে কাজ হবে না—এটা সবাই বোঝে। এখন ঝেড়ে কাশার সময় এসেছে। অনিয়ম, অব্যবস্থা, দুর্নীতির শেকড় উপড়ে ফেলতে জনগণকেই আবারও রাস্তায় নেমে আসতে হবে। কঠিন আন্দোলনের বিকল্প কিছু আছে বলে মনে হয় না।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন