বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী নিল ওয়াকার বলেছেন, বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম ও সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনক। এসব অপরাধ বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। গতকাল হোটেল সোনারগাঁওয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত (ইউনিভার্সেল পিরিয়ডিক রিভিউ-ইউপিআর) প্রিপারেশন ফর দ্য সেকেন্ড সাইকেল রিভিউ ফেসিলিটেড ‘বাই দ্য হিউম্যান রাইট কাউন্সিল’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী জাতীয় সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিচার না হওয়ার সংস্কৃতি অব্যাহত থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেই চলেছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে উত্থাপিত গুমের ঘটনা নিয়ে অভিযোগের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে গণমাধ্যম কর্মীদের ভয় দেখানোর প্রবণতা। নিয়মিত বিরতিতে সার্বিক পর্যালোচনার (ইউনিভার্সেল পিরিয়ডিক রিভিউ-ইউপিআর) খসড়া প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। খসড়া প্রতিবেদনটি সেমিনারের ওয়ার্কিং সেশনে উপস্থাপন করা হয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহায়তায় দু’দিনের এ সেমিনারের আয়োজন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, বাংলাদেশ। দু’দিনের এ সেমিনারে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের দেয়া অভিমত যুক্ত করে ইউপিআর প্রতিবেদনটি আগামী ৯ অক্টোবর জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে জমা দেয়া হবে।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী নিল ওয়াকার তার বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা চলছে। এই বিচারবহির্ভূত হত্যার সঙ্গে যুক্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দায়মুক্তি দেয়া ঠিক হবে না। প্রতিটি ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত, গুম ও নির্যাতনের ঘটনার পাশাপপাশি গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর নিয়মিত হামলার ঘটনা ঘটছে। এটি উদ্বেগজনক ব্যাপার। এসব অপরাধ বন্ধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
নিল ওয়াকারের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত সেন্ড ওলিং বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির কিছু কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, মানবাধিকার মানদণ্ডের কোনো কোনো ক্ষেত্রে যে ঘাটতি আছে, সেটি আমরা স্বীকার করি। মানদণ্ডের ঘাটতি আমাদের হতাশ করে। আর এজন্য দায়ী বিদ্যমান ব্যবস্থা।
দীপু মনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে পুরোপুরি মানবাধিকার রক্ষা করাটা কঠিন। এর মাঝে সামরিক শাসন কিংবা ছদ্মাবরণে সামরিক শাসন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত করেছে। কয়েক বছরের মধ্যেই অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা রয়েছে, সরকার সেগুলো স্বীকার করছে। এটি গুরুত্বপূর্ণ। আর এ থেকেই আমরা আশাবাদী হতে পারি মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নতির ক্ষেত্রে আমরা সঠিক পথেই হাঁটছি।
বিচার না হওয়ার সংস্কৃতি অব্যাহত থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেই চলেছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে উত্থাপিত গুমের ঘটনা নিয়ে অভিযোগের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে গণমাধ্যম কর্মীদের ভয় দেখানোর প্রবণতা। নিয়মিত বিরতিতে সার্বিক পর্যালোচনার (ইউনিভার্সেল পিরিয়ডিক রিভিউ-ইউপিআর) খসড়া প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। খসড়া প্রতিবেদনটি সেমিনারের ওয়ার্কিং সেশনে উপস্থাপন করা হয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহায়তায় দু’দিনের এ সেমিনারের আয়োজন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, বাংলাদেশ। দু’দিনের এ সেমিনারে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের দেয়া অভিমত যুক্ত করে ইউপিআর প্রতিবেদনটি আগামী ৯ অক্টোবর জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে জমা দেয়া হবে।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী নিল ওয়াকার তার বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা চলছে। এই বিচারবহির্ভূত হত্যার সঙ্গে যুক্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দায়মুক্তি দেয়া ঠিক হবে না। প্রতিটি ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত, গুম ও নির্যাতনের ঘটনার পাশাপপাশি গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর নিয়মিত হামলার ঘটনা ঘটছে। এটি উদ্বেগজনক ব্যাপার। এসব অপরাধ বন্ধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
নিল ওয়াকারের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত সেন্ড ওলিং বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির কিছু কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, মানবাধিকার মানদণ্ডের কোনো কোনো ক্ষেত্রে যে ঘাটতি আছে, সেটি আমরা স্বীকার করি। মানদণ্ডের ঘাটতি আমাদের হতাশ করে। আর এজন্য দায়ী বিদ্যমান ব্যবস্থা।
দীপু মনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে পুরোপুরি মানবাধিকার রক্ষা করাটা কঠিন। এর মাঝে সামরিক শাসন কিংবা ছদ্মাবরণে সামরিক শাসন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত করেছে। কয়েক বছরের মধ্যেই অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা রয়েছে, সরকার সেগুলো স্বীকার করছে। এটি গুরুত্বপূর্ণ। আর এ থেকেই আমরা আশাবাদী হতে পারি মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নতির ক্ষেত্রে আমরা সঠিক পথেই হাঁটছি।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন