নয়া দিগন্তকে সাবেক আইএসআই প্রধান জেনারেল আসাদ দুররানি
বাংলাদেশ বা বিএনপি প্রসঙ্গে কোনো কথা ছিল না সাক্ষ্যে
মনির আহমেদ পাকিস্তান থেকে
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস'া ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ আসাদ দুররানি বলেছেন, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিকে আইএসআই’র পক্ষ থেকে অর্থ দেয়ার ‘খবর’ সম্পূর্ণ কাল্পনিক। এই কাহিনী বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি আদালত কেন, অন্য কোথাও এ ধরনের কোনো কথা বলিনি। আমাকে কেউ এ ধরনের কথা জিজ্ঞাসাও করেনি। এ নিয়ে যে প্রচারণা চলছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট।
গতকাল নয়া দিগন্তের সাথে এক সাক্ষাৎকারে জেনারেল দুররানি এ কথা বলেন। ইসলামাবাদে তিনি এই সাক্ষাৎকার দেন। বর্তমানে তিনি অবসর জীবনযাপন করছেন। ৭১ বছর বয়সী জেনারেল দুররানির জন্ম পাকিস্তানের গ্যারিসন শহর রাওয়ালপিন্ডিতে। সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি জার্মানি ও সৌদি আরবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। স্বীকৃতিস্বরূপ পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘হিলাল-ই-জুরাত’ ও ‘হিলাল-ই-ইমতিয়াজ’ প্রাপ্ত হন তিনি। জেনারেল দুররানি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অ্যাডভোকেট জেনারেল ও বিচারক ছিলেন। তার সাক্ষাৎকারটি নিচে তুলে ধরা হলো :
নয়া দিগন্ত : বাংলাদেশে আপনার একটি বক্তব্য নিয়ে তুমুল হই চই চলছে। আপনি সুপ্রিম কোর্টে বলেছেন, ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিকে পাঁচ কোটি রুপি দিয়েছিলেন। বিষয়টি খোলাসা করে বলবেন কি?
জেনারেল দুররানি : দেখুন, বিষয়টি আমিও শুনেছি। বিভিন্নভাবে আমার কাছে খবরটি এসেছে। এ খবরের মধ্যে কোনো সত্যতা নেই। এটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন প্রচারণা। এর সাথে সত্যের কোনো সম্পর্ক নেই।
নয়া দিগন্ত : কিন' সংযুক্ত আরব আমিরাতের দৈনিক খালিজ টাইমস পত্রিকা আপনাকে উদ্ধৃত করে সর্বপ্রথম এ তথ্য প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়েছে, আপনি সুপ্রিম কোর্টে এই টাকা দেয়ার কথা বলেছেন।
জেনারেল দুররানি : আমি স্পষ্ট ভাষায় বলছি, আমি কোথাও এ কথা বলিনি। আর খালিজ টাইমসের কোনো সাংবাদিক আমার সাথে কখনো যোগাযোগও করেনি। তারা কী লিখেছেন, সেটা তাদের ব্যাপার। আমাকে কিছু জিজ্ঞেস না করেই তারা এই প্রতিবেদন ছেপেছে। তাদের ওই প্রতিবেদন অসত্য। আমি এই প্রতিবেদনের বিষয় শুনেছি। তা ছাড়া খবরটি কিন' পাকিস্তান থেকে কেউ দেননি। বাইরে থেকে গল্প রচনা করা হয়েছে।
নয়া দিগন্ত : তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন, খালিজ টাইমস অসত্য প্রতিবেদন ছেপেছে?
জেনারেল দুররানি : ঠিক তাই। আর আদালতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আসবে কেন? বিচার্য বিষয় তো ছিল পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ প্রসঙ্গ।
নয়া দিগন্ত : তাহলে বিষয়টি আসলে কী ছিল? আরো খোলাসা করে বলবেন কি?
জেনারেল দুররানি : দেখুন, আমি স্পষ্ট করেই বলছি। বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা সরকারের সাথে আইএসআই’র কোনো প্রকারের আর্থিক লেনদেন হয়নি। আমরা তা করতে যাবো কেন? উদ্দেশ্যমূলক এই অপপ্রচার করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য এটা হতে পারে, বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করা কিংবা এর পেছনে অন্য কোনো মতলবও থাকতে পারে। আমি আবারো বলছি, আমার বক্তব্যের কোথাও বাংলাদেশের কোনো কথাই নেই। আদালতে কী বক্তব্য দেয়া হয়েছে তার রেকর্ড তো সংরক্ষিত থাকে। কোর্টে কিছু বলা হলে সেটি সব মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার কথা। সেটি তো হয়নি।
উল্লেখ্য, খালিজ টাইমসে গত ৩ মার্চ আসাদ দুররানির উদ্ধৃতি দিয়ে আইএসআই বিএনপিকে পাঁচ কোটি রুপি দিয়েছে বলে রিপোর্টটি ছাপা হয়। এর পর দিন ৪ মার্চ একই রিপোর্ট ঢাকার দৈনিক প্রথম আলো ছাপে। পরে ডেইলি মেইলের ভারতীয় অনলাইন সংস্করণ, সাপ্তাহিক ইন্ডিয়া টুডে এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস'া বাংলাদেশ সংবাদ সংস'াও রিপোর্টটি প্রকাশ করে।
ভারতীয় সাংবাদিক দীপাঞ্জন রায় ডেইলি মেইল ও ইন্ডিয়া টুডেতে রিপোর্টটি করেন। দীপাঞ্জন রায় ঢাকার দৈনিক প্রথম আলোর নয়াদিল্লি প্রতিনিধি। ইনডিয়া টুডেতেও তিনি বাংলাদেশ বিষয়ে লিখে থাকেন। বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বাসস ইন্ডিয়া টুডের ওই রিপোর্টটি হুবহু প্রচার করেছে। তবে এ বিষয়ে পাকিস্তান বা ভারতের অন্য কোনো পত্রিকায় এই রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়নি। নয়া দিগন্তের সাথে আসাদ দুররানির সাক্ষাৎকারের মধ্য দিয়ে ঘটনার সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার বক্তব্য ও অবস'ান স্পষ্ট করলেন।
গতকাল নয়া দিগন্তের সাথে এক সাক্ষাৎকারে জেনারেল দুররানি এ কথা বলেন। ইসলামাবাদে তিনি এই সাক্ষাৎকার দেন। বর্তমানে তিনি অবসর জীবনযাপন করছেন। ৭১ বছর বয়সী জেনারেল দুররানির জন্ম পাকিস্তানের গ্যারিসন শহর রাওয়ালপিন্ডিতে। সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি জার্মানি ও সৌদি আরবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। স্বীকৃতিস্বরূপ পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘হিলাল-ই-জুরাত’ ও ‘হিলাল-ই-ইমতিয়াজ’ প্রাপ্ত হন তিনি। জেনারেল দুররানি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অ্যাডভোকেট জেনারেল ও বিচারক ছিলেন। তার সাক্ষাৎকারটি নিচে তুলে ধরা হলো :
নয়া দিগন্ত : বাংলাদেশে আপনার একটি বক্তব্য নিয়ে তুমুল হই চই চলছে। আপনি সুপ্রিম কোর্টে বলেছেন, ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিকে পাঁচ কোটি রুপি দিয়েছিলেন। বিষয়টি খোলাসা করে বলবেন কি?
জেনারেল দুররানি : দেখুন, বিষয়টি আমিও শুনেছি। বিভিন্নভাবে আমার কাছে খবরটি এসেছে। এ খবরের মধ্যে কোনো সত্যতা নেই। এটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন প্রচারণা। এর সাথে সত্যের কোনো সম্পর্ক নেই।
নয়া দিগন্ত : কিন' সংযুক্ত আরব আমিরাতের দৈনিক খালিজ টাইমস পত্রিকা আপনাকে উদ্ধৃত করে সর্বপ্রথম এ তথ্য প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়েছে, আপনি সুপ্রিম কোর্টে এই টাকা দেয়ার কথা বলেছেন।
জেনারেল দুররানি : আমি স্পষ্ট ভাষায় বলছি, আমি কোথাও এ কথা বলিনি। আর খালিজ টাইমসের কোনো সাংবাদিক আমার সাথে কখনো যোগাযোগও করেনি। তারা কী লিখেছেন, সেটা তাদের ব্যাপার। আমাকে কিছু জিজ্ঞেস না করেই তারা এই প্রতিবেদন ছেপেছে। তাদের ওই প্রতিবেদন অসত্য। আমি এই প্রতিবেদনের বিষয় শুনেছি। তা ছাড়া খবরটি কিন' পাকিস্তান থেকে কেউ দেননি। বাইরে থেকে গল্প রচনা করা হয়েছে।
নয়া দিগন্ত : তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন, খালিজ টাইমস অসত্য প্রতিবেদন ছেপেছে?
জেনারেল দুররানি : ঠিক তাই। আর আদালতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আসবে কেন? বিচার্য বিষয় তো ছিল পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ প্রসঙ্গ।
নয়া দিগন্ত : তাহলে বিষয়টি আসলে কী ছিল? আরো খোলাসা করে বলবেন কি?
জেনারেল দুররানি : দেখুন, আমি স্পষ্ট করেই বলছি। বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা সরকারের সাথে আইএসআই’র কোনো প্রকারের আর্থিক লেনদেন হয়নি। আমরা তা করতে যাবো কেন? উদ্দেশ্যমূলক এই অপপ্রচার করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য এটা হতে পারে, বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করা কিংবা এর পেছনে অন্য কোনো মতলবও থাকতে পারে। আমি আবারো বলছি, আমার বক্তব্যের কোথাও বাংলাদেশের কোনো কথাই নেই। আদালতে কী বক্তব্য দেয়া হয়েছে তার রেকর্ড তো সংরক্ষিত থাকে। কোর্টে কিছু বলা হলে সেটি সব মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার কথা। সেটি তো হয়নি।
উল্লেখ্য, খালিজ টাইমসে গত ৩ মার্চ আসাদ দুররানির উদ্ধৃতি দিয়ে আইএসআই বিএনপিকে পাঁচ কোটি রুপি দিয়েছে বলে রিপোর্টটি ছাপা হয়। এর পর দিন ৪ মার্চ একই রিপোর্ট ঢাকার দৈনিক প্রথম আলো ছাপে। পরে ডেইলি মেইলের ভারতীয় অনলাইন সংস্করণ, সাপ্তাহিক ইন্ডিয়া টুডে এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস'া বাংলাদেশ সংবাদ সংস'াও রিপোর্টটি প্রকাশ করে।
ভারতীয় সাংবাদিক দীপাঞ্জন রায় ডেইলি মেইল ও ইন্ডিয়া টুডেতে রিপোর্টটি করেন। দীপাঞ্জন রায় ঢাকার দৈনিক প্রথম আলোর নয়াদিল্লি প্রতিনিধি। ইনডিয়া টুডেতেও তিনি বাংলাদেশ বিষয়ে লিখে থাকেন। বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বাসস ইন্ডিয়া টুডের ওই রিপোর্টটি হুবহু প্রচার করেছে। তবে এ বিষয়ে পাকিস্তান বা ভারতের অন্য কোনো পত্রিকায় এই রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়নি। নয়া দিগন্তের সাথে আসাদ দুররানির সাক্ষাৎকারের মধ্য দিয়ে ঘটনার সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার বক্তব্য ও অবস'ান স্পষ্ট করলেন।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন