বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, আপনি এখন জনমত উপেক্ষা করে পুলিশের কাঁধে ভর দিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। শুধু বেডরুমই নয়, জনগণের বাথরুম পাহারা দেয়ার দায়িত্বও আপনার। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আপনি শপথ নিয়েছেন। তিনি বলেন, গত ১২ মার্চ সরকারের বিপর্যয় ঘটেছে। জনগণের বিপক্ষে গেলে সরকারের এ অবস্থায়ই হয়। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের পিতা, বাঙালি জাতির পিতা নন। আজকে দেশের উন্নয়নে সরকার সবচেয়ে বড় বাধা। সরকারের বাধা অতিক্রম করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘স্বাধীনতার চার দশক-প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন।
লেখক ও গবেষক প্রফেসর ড. মাহবুবউল্লাহর সভাপতিত্বে ঐতিহ্য সংসদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ গোলটেবিল আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীর প্রতীক), দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, কবি আল মুজাহিদী। বক্তব্য রাখেন কবি আসাদ বিন হাফিজ, ঐতিহ্য সংসদের আহ্বায়ক শেখ আবুল কাশেম মিঠুন, সদস্য সচিব ড. মোজাদ্দেদ হাসান তাদনান প্রমুখ।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু ছিলেন বড় অসহায়। মৃত্যুর সময় ছিলেন আরও বেশি অসহায়। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের পিতা, বাঙালি জাতির পিতা নন। তিনি বলেন, গত এক বছর আগে আমাকে রাজাকার বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এতে আমি একটুও কষ্ট পাইনি। খুশি হয়েছি। আজকে দেশের উন্নয়নে সরকার সবচেয়ে বড় বাধা। সরকারের বাধা অতিক্রম করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সাংবাদিক দম্পতি হত্যার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কারও বেডরুম পাহারা দেয়া সম্ভব নয়। আমি বলি—শুধু বেডরুমই নয়, বাথরুমও পাহারা দেয়ার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর।
তিনি বলেন, আমাকে যুদ্ধাপরাধী বলা হচ্ছে। নিশ্চয়ই আমি দেশের সবচেয়ে বড় যুদ্ধাপরাধী। আমার বিচার করুক। আমার বিচার করার আগে আর কারও বিচার করা যাবে না। আমাকে এ অপবাদ থেকে মুক্ত না করা পর্যন্ত আমি সরকারি কোনো অনুষ্ঠানে যাবো না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আসলে কিছু নয়, তারা চাচ্ছে এটা বলে আগামী নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে।
আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, সিকিমের লেন্দুপ দর্জি ভারতকে সবকিছু দিয়েও তার শেষরক্ষা হয়নি। আজকে যারা ভারতকে সবকিছু দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন, তাদেরকে এ বিষয়টি ভাবতে হবে। আমাদের আজকের অবস্থার জন্য দায়ী নৈতিক অবক্ষয় ও ফ্যাসিজম।
মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, আওয়ামী লীগ না করলে আপনি মুক্তিযোদ্ধা থাকবেন না—একথা কেউকে আমরা লিখে দিইনি। যে অবস্থা চলছে, দেখে মনে হচ্ছে আগামী কিছুদিনের মধ্যে অলিখিতভাবে দেশের নাম বদলে হবে আওয়ামী প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ। গণতন্ত্র আর থাকবে না।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, সাগর-রুনি হত্যার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বেডরুম পাহারা দিতে পারবেন না। আমরা বেডরুম পাহারা দিতে বলি না। বেডরুমে ঢুকে হত্যা করে যারা চলে যায় তাদের গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি। আপনি ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের বিচার করছেন। দলীয় ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক বলে চালাচ্ছেন। সবকিছুর জন্যই যুদ্ধাপরাধের জিকির তুলেছেন। সরকার গণতন্ত্রকে হত্যার সব আয়োজন করেছে। বিরোধী দলের অফিস খুলতে দিচ্ছে না, মিছিল-মিটিং বন্ধ করার জন্য সরকারি উদ্যোগে যানবাহন বন্ধ করা হচ্ছে। আমারদেশ,২৫ মার্চ ২০১২
লেখক ও গবেষক প্রফেসর ড. মাহবুবউল্লাহর সভাপতিত্বে ঐতিহ্য সংসদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ গোলটেবিল আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীর প্রতীক), দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, কবি আল মুজাহিদী। বক্তব্য রাখেন কবি আসাদ বিন হাফিজ, ঐতিহ্য সংসদের আহ্বায়ক শেখ আবুল কাশেম মিঠুন, সদস্য সচিব ড. মোজাদ্দেদ হাসান তাদনান প্রমুখ।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু ছিলেন বড় অসহায়। মৃত্যুর সময় ছিলেন আরও বেশি অসহায়। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের পিতা, বাঙালি জাতির পিতা নন। তিনি বলেন, গত এক বছর আগে আমাকে রাজাকার বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এতে আমি একটুও কষ্ট পাইনি। খুশি হয়েছি। আজকে দেশের উন্নয়নে সরকার সবচেয়ে বড় বাধা। সরকারের বাধা অতিক্রম করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সাংবাদিক দম্পতি হত্যার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কারও বেডরুম পাহারা দেয়া সম্ভব নয়। আমি বলি—শুধু বেডরুমই নয়, বাথরুমও পাহারা দেয়ার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর।
তিনি বলেন, আমাকে যুদ্ধাপরাধী বলা হচ্ছে। নিশ্চয়ই আমি দেশের সবচেয়ে বড় যুদ্ধাপরাধী। আমার বিচার করুক। আমার বিচার করার আগে আর কারও বিচার করা যাবে না। আমাকে এ অপবাদ থেকে মুক্ত না করা পর্যন্ত আমি সরকারি কোনো অনুষ্ঠানে যাবো না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আসলে কিছু নয়, তারা চাচ্ছে এটা বলে আগামী নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে।
আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, সিকিমের লেন্দুপ দর্জি ভারতকে সবকিছু দিয়েও তার শেষরক্ষা হয়নি। আজকে যারা ভারতকে সবকিছু দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন, তাদেরকে এ বিষয়টি ভাবতে হবে। আমাদের আজকের অবস্থার জন্য দায়ী নৈতিক অবক্ষয় ও ফ্যাসিজম।
মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, আওয়ামী লীগ না করলে আপনি মুক্তিযোদ্ধা থাকবেন না—একথা কেউকে আমরা লিখে দিইনি। যে অবস্থা চলছে, দেখে মনে হচ্ছে আগামী কিছুদিনের মধ্যে অলিখিতভাবে দেশের নাম বদলে হবে আওয়ামী প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ। গণতন্ত্র আর থাকবে না।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, সাগর-রুনি হত্যার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বেডরুম পাহারা দিতে পারবেন না। আমরা বেডরুম পাহারা দিতে বলি না। বেডরুমে ঢুকে হত্যা করে যারা চলে যায় তাদের গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি। আপনি ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের বিচার করছেন। দলীয় ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক বলে চালাচ্ছেন। সবকিছুর জন্যই যুদ্ধাপরাধের জিকির তুলেছেন। সরকার গণতন্ত্রকে হত্যার সব আয়োজন করেছে। বিরোধী দলের অফিস খুলতে দিচ্ছে না, মিছিল-মিটিং বন্ধ করার জন্য সরকারি উদ্যোগে যানবাহন বন্ধ করা হচ্ছে। আমারদেশ,২৫ মার্চ ২০১২
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন