বিএসএফ কেন বারবার সিলেট সীমান্তেই হামলা চালাচ্ছে তার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে গোপন খবরটি।সেটা ইউরেনিয়াম ও হীরা সংক্রান্ত। ভারতের রাজ্য মেঘালয় ঘেঁষা সিলেট সীমান্তে বিপুল পরিমাণ হীরা ও ইউরেনিয়ামের মজুদ আবিষ্কৃত হয়েছে। বাংলাদেশকে না জানিয়েই ভারত ওই অঞ্চলে খনন এবং হীরা ও ইউরেনিয়াম উত্তোলনের কাজে হাত দিয়েছে। এ উদ্দেশ্যে ভারত কৌশলও নিয়েছে অতি ধ্বংসাত্মক। বাংলাদেশের জনগণ যাতে হীরা ও ইউরেনিয়াম আবিষ্কার, খনন ও উত্তোলন সম্পর্কে জানতে না পারে সেজন্যই ভারত বিএসএফকে দিয়ে তামাবিল ও জৈন্তাপুর সীমান্তে গোলযোগ শুরুকরে যার প্রমান ২০১০ সালের ঘটনা ।
অথচ ‘ভারত বান্ধব' আর তোসামুদ কারী অতি পরিচিত দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় সীমান্তে সংঘাত হবার কথা না । তাছাড়া পিলখানা হত্যাকান্ডের পর থেকে বি জি বি রয়েছে খুবই দুর্বল অবস্থায়। ফলে বাংলাদেশের দিক থেকে কোনো উস্কানি দেয়ার প্রশ্ন উঠতে পারে না।
সবচেয়ে বড় কথা, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে দিল্লি সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ভারতের সব ইচ্ছা ও দাবিই পূরণ করে এসেছেন। সুতরাং বিএসএফেরও গোলযোগ সৃষ্টি করার কারণ নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিএসএফ ধারাবাহিকভাবে হামলার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। হামলার উদ্দেশ্য আসলে বাংলাদেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করা এবং তাদের মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে রাখা। তারা যাতে কোনোভাবেই হীরা ও ইউরেনিয়াম আবিষ্কৃত হওয়ার এবং খনন ও উত্তোলনের কাজ চালানো সম্পর্কে জানতেই না পারে। আওয়ামী লীগ সরকারও গোপনীয়তা রক্ষার কার্যক্রমে ভারতকে সহযোগিতা করছে।
এই সুযোগে ইউরেনিয়াম করপোরেশন অব ইন্ডিয়া গত ২০০৯ সালের নভেম্বর থেকে সিলেট সীমান্ত ঘেঁষে মেঘালয় রাজ্যের পশ্চিম খাসিয়া পাহাড়ের জেলা ডোমিসিয়াটে খননের কাজে হাত দিয়েছে।
ভারত সিলেটের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের জমিনের নিচে জমে থাকা হীরা ও ইউরেনিয়ামের বিপুল মজুদ লুন্ঠন করে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। এই কাজ যতোদিন শেষ না হবে ততোদিন ভারত হয় বিএসএফকে দিয়ে যুদ্ধাবস্থা বজায় রাখবে নয়তো তামাবিল ও জৈন্তাপুরসহ সিলেটের বিস্তীর্ণ এলাকা নিজের দখলে নিয়ে নেবে।
অতচ এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আইন হলো, প্রতিবেশী দুটি দেশকে মিলিতভাবে খনিজ সম্পদ খনন ও উত্তোলনের কাজ করতে হবে। তারও আগে দেশ দুটিকে সম্পদের প্রাপ্য অংশের ব্যাপারে একমত হয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রাপ্য অংশ দেয়া দূরে থাকুক, ভারত বাংলাদেশকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পর্যন্ত দিচ্ছে না।
ভারতের এই অপকর্মে সহযোগিতা করছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। ক্ষমতায় কোনো দেশপ্রেমিক সরকার থাকলে ভারতের কার্যক্রম সম্পর্কে জাতিসংঘ ও আইএইএসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করতো, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতো এবং খনন কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতো। কিন্তু ‘ভারত বান্ধব' ভারতের খুব প্রিয় আওয়ামী লীগ সরকার হাঁটছে সম্পূর্ণ উল্টো পথে। দেশ যাক তাতে কি ক্ষমতা আর দাদারা খুশি হলে সব টিক -- চলবে ( পর্ব -১ )
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন